Logo
শিরোনাম

তিন দিন ভোগাতে পারে গ্যাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে আগামী তিন দিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। একইসঙ্গে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের চাপও কম থাকবে। ফলে সারাদেশে গ্যাস সংকট আরও বাড়বে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় অন্য টার্মিনাল থেকে দিনে ৫৭ থেকে ৫৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। দিনে ১৫ থেকে ১৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যাবে। এতে দেশের কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। সোম থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিবেদন বলছে, দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ২৭৬ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে এসেছে ৮৩ কোটি ঘনফুট। এ হিসাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে গ্যাসের সরবরাহ কমতে পারে ২০ কোটি ঘনফুটের বেশি।

জনসাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন । এবার সাত দফা থেকে সরে এসে একদফা দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় তিতুমীর কলেজের সামনে শনিবার রাত আটটার দিকে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন কলেজটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আর সাত দফা চাই না। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির একদফা দাবিতে অনশন ও বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমাদের সাত দফা দাবি থেকে একদফা দাবি ঘোষণা করছি। সেটা হলো- মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কলেজে এসে আমাদের বলবেন, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলো। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো।’

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আজ শনিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান ১-এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের এক পর্যায়ে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলগেট ক্রসিং ও আমতলী প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে যান। পরে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যান। সেখানে থেকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে এসে সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখেন।


আরও খবর

পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ট্রাম্পের নীতির ধাক্কা কতটা লাগবে বাংলাদেশে?

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেবার পর থেকে একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে বাংলাদেশে কতগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। সামনে আর কী অপেক্ষা করছে?

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেবার পর ইসরায়েল ও মিসরে জরুরি খাদ্য সহায়তা ও সামরিক তহবিল ছাড়া তাদের সব বৈদেশিক সহায়তা বা উন্নয়ন তহবিল ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক ব্রায়ান অ্যারনের স্বাক্ষর করা চিঠিতে রবিবার বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ থাকবে।

চিঠির শিরোনাম ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ: যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তার পুনঃ মূল্যায়ন ও পুনঃসামঞ্জস্যকরণ।’ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই চিঠিটি ইউএসএআইডি-বাংলাদেশের সব বাস্তবায়ন অংশীদারদের প্রতি একটি নির্দেশিকা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। যাতে আপনার সংশ্লিষ্ট ইউএসএআইডি-বাংলাদেশ চুক্তি, কার্যাদেশ, অনুদান, সমন্বিত চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা সরঞ্জাম অধীনে করা কোনো কাজ অবিলম্বে বন্ধ, থামানো বা স্থগিত করা হয়।

এতে অংশীদারদের সঙ্গে যেসব কাজ চলছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য সব যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ইউএসএআইডির অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে নিশ্চিত করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউএসএআইডি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশকে প্রায় ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার চুক্তি করে। এর আগে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২০২৬ সালের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডির মধ্যে একটি নতুন ডিওএজি (ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর হয়। ডিওএজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসএআইডি মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসআআইডি সাড়ে ৪২ কোটি ডলার দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত ও সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ফান্ড দিয়েছে।

সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক সাকিব আলী বলেন, ‘ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। এটা সাময়িক তিন মাসের জন্য। ইসরায়েল এবং মিশর ছাড়া সব দেশের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প আসলে তাদের দেওয়া অর্থ বিভিন্ন দেশে সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কি না এবং দেওয়া যৌক্তিক কি না তাই মার্কিন নাগরিকদের দেখাতে চান। তিনি রিভিউ করবেন। তার কাছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে সেটা তিনি বোঝাতে চান।’

‘আসলে যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মাধ্যমে অর্থ দেয়। সেটার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে হয় না। জাতিসংঘের মাধ্যমেও দেয়। সেটাও ঠিক থাকবে বলে মনে হয়। এখন ট্রাম্প বোঝাতে চাচ্ছেন যারা তাদের সঙ্গে থাকবেন, তাদের কাজে লাগবে তাদের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র থাকবে,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ট্রাম্প খুব লেনদেনে বিশ্বাস করেন। তিনি একজন ‘ট্রানজেকশনাল পার্সন'। তো তিনি লাভ লোকসানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবেন। যুক্তরাষ্ট্র তো আর বিনা লাভে কিছু দেয় না। তারা কৌশলগতভাবে এই সহায়তা দিয়ে তাদের স্বার্থ তুলে নেয়।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তহবিল সংকট হতে পারে বলে জানান বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম। আর এতে বাংলাদেশ চাপে পড়তে পারে। তার কথা, ‘এখনো রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তা পাওয়া যায় তার মধ্যে শীর্ষ দাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সহায়তা বন্ধ হলে ১৪-১৫ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজন কীভাবে মিটবে? এর ভেতর মানবিক ও মানবাধিকারের বিষয় আছে।

রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা ২০২১ সাল থেকে অব্যাহতভাবে কমছে। চলতি বছরে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। সেটা পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর রোববার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘ইউএসএআইডিসহ বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) অর্থ সহায়তা দেওয়ার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া বজায় রাখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৯০ দিন বিদেশে অর্থ সহায়তা বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য তারা যে সহায়তা দেন, সেটা বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে।

অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তা কতদিন বন্ধ রাখতে পারবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য ভারতকে প্রয়োজন। তাহলে ভারতে সহায়তা না দিয়ে শুধু কি ব্যবসা তারা করতে পারবে? বাংলাদেশের জন্যও একই কথা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার ভালোই থাকবে। কারণ এত সস্তায় তো আর কেউ পোশাক দিতে পারবে না।’

‘তবে অভিবাসন নীতির কারণে সেখানে যে বাংলাদেশিরা আছেন তারা সংকটে পড়তে পারেন। অনেক পরিবার আছে সেখানে নানা কাজ করে, ব্যবসা করে। অনেক ছাত্র আছেন। তাদের নিয়ে সমস্যা হলে তার চাপ তো বাংলাদেশের ওপরও পড়বে,’ বলেন তিনি।

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, ‘আসলে এই তিন মাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে তার উন্নয়ন সহায়তা যাচাই-বাছাই করবে। তারপর আসলে বোঝা যাবে কোন দেশে তার উন্নয়ন সহায়তা কতটুকু থাকবে। কতটুকু বাদ যাবে। আর তা থেকে তখন বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন নীতি স্পষ্ট হবে।

‘তবে বাইডেন প্রশাসনের বাংলাদেশের জন্য যে ফরেইন পলিসি ছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই একই ফরেইন পলিসি থাকবে- এটা বোঝাই যায়। সেটা ট্রাম্পের প্রথম টার্মেও হয়েছে। তবে চীন যদি ইস্যু হয় সেই কারণে হলে বাংলাদেশ ট্রাম্পের কাছে গুরুত্ব পেতে পারে। আবার ভারত যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে চাপ দেয় সেটারও একটা চাপ বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে। তবে কোনো কিছুই এখনো স্পষ্ট নয়,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ভারতের মিডিয়া খুব প্রচার করছে যে, ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনে ড. ইউনূস বিরোধী শিবিরকে ফান্ড দিয়েছে। ট্রাম্প ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলেছেন। আসলে এটা প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। এর কোনো ডকুমেন্ট নাই।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নিয়ন্ত্রণে আসছে না চাল, কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের দাম। এক মাস ধরে দাম বেড়েই চলেছে দেশের এই প্রধান খাদ্যশস্যের। কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চালের বাজারের এই নাজেহাল অবস্থায় বেকায়দায় নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তরাও। তারা জানান, আমনের ভরা মৌসুম হলেও চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। এতে চাপ বাড়ছে ভোক্তার ঘাড়ে।

ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার লুট করছে। আর পকেট কাটছে ভোক্তাদের। বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা শুধু মুখে বললেই হবে না, মাঠ পর্যায়েও সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। চালের দাম বাড়ান মিল মালিকরা। আর সরকার অভিযান চালায় খুচরা বাজারে। এভাবে দাম কমানো সম্ভব না।

এদিকে, একটি নিত্যপণ্যের দাম কমলে, বাড়ে বেশ কয়েকটির। তবে, স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় মিলছে প্রায় সব ধরনের সবজি।

আলু ও পেঁয়াজের দামও কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে গেল সপ্তাহে ৩৬০ টাকার সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা আর ব্রয়লার পাওয়া যাচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সব ধরনের মাছ ও খাসির গোশতের দামও বেড়েছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হবার কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারত থেকে এলো আরো ১২৫ টন চাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাথরের পাশাপাশি চাল আমদানিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। বন্দরটিতে কয়েক দফায় এসেছে টনের পর টন চাল। সোমবার বন্দরটিতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে এসেছে পাঁচ ট্রাকে ১২ টন আতপ চাল।

মঙ্গলবার সকালে চাল আমদানির তথ্যটিনিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ভারত থেকে আবার ১২৫ টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। এ চালগুলো আমদানি করেছে আল আমিন স্ট্যাবিলিসড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ২৫ টন করে পাঁচটি ট্রাক ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




যাত্রীদের জিম্মি করে কর্মসূচি দুঃখজনক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যাত্রীদের জিম্মি করে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মসূচি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রেন চলাচল বন্ধের পর সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসব কথা বলেন তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, স্টাফদের দাবির বিষয়ে আমাদের আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করব এবং অর্থ বিভাগেও তাদের এই দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি যাতে কম হয় সেজন্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও কোনো যাত্রী যদি স্টেশনে আসেন তাদের সুবিধা বিবেচনা করে আমরা বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে করে রেলের যে রুট গুলো আছে সেখানে যাত্রীরা যেতে পারে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, স্টাফদের যে দাবি মাইলেজ অ্যালাউন্সের দাবি, তা দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাদের এই দাবির অনেক অংশ আমরা ইতোমধ্যে পূরণ করেছি। বাকি দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি। রেলতো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এখানে আলোচনার সুযোগ আছে। রেল বন্ধের ফলে কিন্তু সরকারের অসুবিধা হচ্ছে না, অসুবিধা সাধারণ যাত্রীদের হচ্ছে। আমরা চাই এর সমাধান দ্রুত হোক। কারণ সামনে ইজতেমা আছে।

এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে যাত্রীদের জন্য দশটি করে মোট ২০টি গাড়ি প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে বাস আরও বাড়ানো হবে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫