Logo
শিরোনাম

তিন মাস ধরে দুবাইয়ের হিমঘরে পরে আছে রাণীনগরের মিন্টুর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত্যু জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেন। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর দশজনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আসায় তিন বছর আগে দুবাই পারি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের হিম ঘরে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পরে রয়েছে মরদেহ। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারছেননা স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে মরদেহ আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান,মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথাগোঁজার ঠাই ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই তার। শ্রমীকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল চলার। গত ২০২১সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই যান মিন্টু। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় অন্যত্র চলে যান মিন্টু। কিন্তু কোম্পানীর লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় অবৈধ হয়ে পরেন। তার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ফেব্রæয়ারী মারা যান মিন্টু। এর পর মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত পরিবারের লোকজন জানতে না পারলেও গত ১০মে এক স্বজনের মাধ্যমে মিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। আব্দুল মতিন জানান, কোম্পানীর আওতায় থাকলে কোম্পানীর খরচে তার মরদেহ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারনে নিজ খরচে মরদেহ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগদ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭৩৫ ১৯১৭৭৩(স্ত্রী),বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩ ৮৪০৭৪৪(মামা)।


আরও খবর



কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না, বললেন গভর্নর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশে কোনও দুর্ভিক্ষ হবে না। আমরা শ্রীলঙ্কা হয়ে যাইনি। আমাদের গ্রোথ কমেনি। বিনিয়োগ হার ও পরিবেশ ঠিক করছি। আমরা আশাবাদী, সামনে বিনিয়োগ আসবে, বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, যেকোনও পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনও দেশেই কমে না। মাত্র ৪ মাস সময় পার করছি। আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে। আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা রয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেক্সিমকো কয়েক মাস ধরে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছিল না। সরকার অর্থ দিয়ে তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। এখন গ্রুপটিতে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাতে এটি (বেক্সিমকো) সচল করা যায়। কোনও বিজনেস (আর্থিক) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি। বেক্সিমকোয় রিসিভার দেওয়া মানে কোম্পানি বন্ধ নয়, বরং এটা সচল করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের ব্যাংক খাত। এখন যদি দ্রুত সংস্কার বা সমাধান চাওয়া হয়, আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার অ্যাসেট এক পরিবারের হাতে ছিল। তারা ২৩ হাজার কোটি নিয়েছে। আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে আমি বলতে পারি কোনও ব্যাংক বন্ধ হবে না। কারণ তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অর্থপাচার নিয়ে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এটা ফিরে পাওয়া কঠিন। তবে আমাদের জাল ফেলা হয়েছে। এখন গোটানো বাকি। এরইমধ্যে আমরা দেশ ও দেশের বাইরেও যোগাযোগ করেছি। আমাদের সহযোগিতার জন্য চলতি সপ্তাহে আমেরিকার প্রতিনিধি আসছেন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি আসবেন, বিশ্বব্যাংক আসবে এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও কথা হবে। আমরা চাই না কোনও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বা শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। কারণ, সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আবার কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও জব্দ করা হয়নি, হবেও না। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় টোটাল ব্যাংকিংয়ের ৫৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ শতাংশ, বাকিটা অন্য জায়গা। আমরা এটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের এজেন্ট ব্যাংক বড় কাজ করছে। তাদের মাধ্যমে এমএফএস সেবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

গভর্নর বলেন, কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। কিন্তু তাদের নগদ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গত ৩ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনও নগদ সহায়তা দেওয়া হয়নি। কারণ ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবল রাখতে হবে। এটা স্ট্যাবল না হলে কোনও বিনিয়োগ হবে না। এজন্য ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য—যারা ব্যাংকের টাকা মেরেছে, তারা ব্যাংকের সঙ্গে থেকে যেন টাকা ফেরত দেয়। বাইরে যে টাকা চলে গেছে সেসব কীভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ শর্টেজ এখন নেই। আমি মনে করি সাপ্লাই সাইডে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট নিয়ে আসতে চাইছি। ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর পাকিস্তানের থেকেও দুর্বল। এটা ঠিক হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ প্রায় চার শতাধিক অতিথি ।


আরও খবর



ভোটার হবে ২০০৭ সালের আগে জন্ম হওয়া নাগরিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১৮ বা তার বেশি বয়সীদেরর মধ্যে যাদের এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র হয়নি তাদেরকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেছে সংস্থাটি। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা অথবা থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে রোববারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি ওপরের তথ্য দ্বারা সংশোধন করা হলো।

এর আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের লক্ষ্যে যাদের এনআইডিতে ভুল আছে, তারা যেন সংশোধনের আবেদন করেন। আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি।

সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে৷ এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন।

তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়েছেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক৷ এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো।


আরও খবর



চীনে গাড়িচাপায় অন্তত ৩৫ পথচারী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই শহরে এক চালক সোমবার সন্ধ্যার দিকে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। মঙ্গলবার চীনা পুলিশের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ঝুহাই স্পোর্টস সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে শরীর চর্চা করার সময় লোকজনের ওপর এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন। এতে ৩৫ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন।’’

পুলিশ বলছে, ফ্যান নামের এক ব্যক্তি তার ছোট এসইউভি পথচারীদের ওপর চালিয়ে দিয়েছেন। ঝুহাই স্পোর্টস সেন্টারের সামনে প্রতিবন্ধকতা গুঁড়িয়ে দিয়ে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। এ সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়েন বেসামরিক লোকজন।

হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় গাড়ির চালক ফ্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলার সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ফ্যান। বর্তমানে তিনি কোমায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর সাথে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে লোকজনের ওপর ফ্যান গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, বর্তমানে কোমায় থাকায় গাড়ির চালক ফ্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের শেয়ার করা এই ঘটনার বেশিরভাগ ভিডিও চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে কিছু ফুটেজ এখনও অনলাইনে রয়েছে। এতে দেখা যায়, হামলার স্থলে অনেক মানুষ মাটিতে পড়ে আছেন। স্থানীয় প্যারামেডিকস ও পথচারীরা সেখানে তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী চীনা সংবাদমাধ্যম কাইক্সিনকে বলেছেন, হামলার সময় সেখানে কমপক্ষে ছয়টি দল হাঁটার জন্য স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল। সেখানে রাস্তার পাশ ঘেঁষে প্রত্যেক দিনই শরীর চর্চা করেন তারা।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




সমালোচনায় মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বছরজুড়েই কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কখনও বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ নিয়ে, কখনও সন্তান নিয়ে। কখনওবা আবার রাজনৈতিক মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।

এবার মাহির একটি স্ট্যাটাস নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ভক্ত-অনুরাগীরা ভাবছেন, হয়তো হতাশা থেকে এমন কথা বলেছেন মাহি।

গত ১৬ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘ঝগড়া করারও কেউ নেই।’ অভিনেত্রী পোস্টটি করা মাত্রই তার কমেন্টসবক্সে মন্তব্যের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আমারও ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে। আরেকজন লেখেন, কোনো চিন্তা করবেন না, যার কেউ নেই তার জন্য আমি আছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন মাহি-রাকিব।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




আ.লীগকে বারবার গা‌লি দি‌তে চাই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বললেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বারবার ফ্যাসিস্ট বলতে চাই না। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভুল যে করবে সে সরি (ক্ষমা চাইবে) বলবে, করাপশন (দুর্নীতি) যে করবে তার শাস্তি হবে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সেই শাস্তি নিশ্চিত হবে, কোনও অবিচার করে নয়, কারও ওপর জুলুম করে নয়। কিন্তু বারবার তাকে গালি দিতে হবে এটা আমি খুব ভালো মনে করি না। অতীতে যারা রাজনীতি করেছেন তারা রাইট করুক আর রং করুক, তারা তো করে গেছেন। এখন আমরা কী করবো? তাদের নিয়ে শুধু পড়ে থাকলে আমাদের লাভ কী হবে? তারা যা করেছেন তার সাক্ষী জাতি হয়ে গেছে। জাতি বিচার করবে।

লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) আয়োজনে মতবিনিময় সভায় ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দলীয় পরিচয়ে কোনও বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সবাই সমানাধিকার ভোগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলিমদের মসজিদ পাহারা দেওয়া না লাগলে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হবে কেন? নিশ্চয়ই এমন কিছু কাজ আমরা করেছি, যার কারণে ওটা (মন্দির) পাহারা দেওয়া লাগে। ওই কারণটা দূর করতে হবে। যাতে কারোরই কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাহারা না দিতে হয়।

নারী অধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, মা, বোন, মেয়েদের বাদ দিয়ে একটা সমাজ উন্নত হবে, এমন চিন্তা করা বোকার স্বর্গে বাস করার সমান। নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সব পেশায় মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ আফগান ও পাকিস্তান হবে না, বাংলাদেশ হবে তারুণ্যসমৃদ্ধ ঐক্যবদ্ধ একটি দেশ।

বিবিসিসিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল দেওয়ান মাহদির পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহগীর বখত ফারুক, ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন, মুহিব চৌধুরী, ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা প্রমুখ।


আরও খবর