Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত তিন মাসে কোটিপতি হিসাবধারী বেড়েছে সাড়ে তিন হাজারের মতো।

২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে তিন মাসে কোটি টাকার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪২৬টি হিসাব। বিশ্ববাজারের ন্যায় দেশের বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক মুনাফা করায় কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে বলে ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোয় জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৪টি হিসাবে এই আমানত জমা হয়েছে। এসব হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটিপতিদের যে আমানত রয়েছে তা মোট ব্যাংকিং খাতের আমানতের ৪২.৬৩ শতাংশ। ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি হিসাবে। শুধু কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৯৪৬। সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬৫২০। অর্থাৎ তিন মাসে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৪২৬টি।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। আর কোটি টাকার ওপরে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানতের হিসাব ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাজার ১৬৭টি। যেখানে জমার পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১১ হাজার ৯৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৪৫টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১৮৩৩টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৪৩টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৮৮৭টি আমানতকারীর হিসাব।

আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪৭২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩১৫টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৫৭৭টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৭৬২টি। এসব হিসাবে দুই লাখ ২৯ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

এ বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ব্যাপক বাড়ায় অনেক ব্যবসায়ীদের আগে থেকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আমদানিকৃত পণ্য মজুদ ছিল। যার কারণে বিশ্ববাজারের ন্যায় ওইসব পণ্যের দাম দেশের বাজারে অেনেক বেড়ে যায়। এর ফলে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক লাভ করেছে।

 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




র‌্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাং লিডার রাব্বি সহ ৩ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কিশোর গ্যাং লিডার রাব্বি সহ ৩ জন কিশোর গ্যাং কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩,জয়পুরহাট ক্যাম্প।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের চৌকস অপারেশনাল দল শনিবার ২ মার্চ দিনগত সন্ধা সারে ৭ টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার ভাদসা হতে কিশোর গ্যাং লিডার রাব্বি হোসেন(২১), পিতা-মোঃ রমজান আলী, সাং-পন্ডিতপুর ও তার সহযোগী প্রিয় সৌরভ (২০), পিতা- শ্রী পরিমল চন্দ্র, সাং-বামনপাড়া ভাদসা এবং রিসাদ হোসেন (২১), পিতা-মোঃ কামরুল ইসলাম,সাং-পাবর্তীপুর সহ পলাতক একজন সিহাব হোসেন (১৯) সকলের থানা ও জেলা-জয়পুরহাট কে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব আরো জানায়,

সমসাময়িক সময়ে জয়পুরহাট এ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাংদের ঔদ্ধত্য আচরণে এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে এরা জড়িত হচ্ছে না।

এহেন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ আভিযানিক দল কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি আভিযানিক দল জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন ভাদসা এলাকায় পৌঁছে আটককৃত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের অস্ত্র সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



বাউল ছালমা হলেন বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ "জয়িতা"

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর প্রতিনিধি :

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যতম একটি মহতী উদ্যোগ "জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ" শীর্ষক কার্যক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪. রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১ ঘটিকায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে "সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে যে নারী" ক্যারাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোসাঃ ছালমা বেগম (বাউল ছালমা)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর গ্রেড-১ এর মহাপরিচালক কেয়া খান, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ জামিল হাসান (পিপিএম-সেবা ও পিপিএম), বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির (পিপিএম-সেবা ও পিপিএম), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাকারিয়া আফরোজ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মসূচি পরিচালক (যুগ্মসচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ ও জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বরিশাল।

অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক  মোঃ পারভেজহাসান (বিপিএএ) ও বরিশাল মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি। ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বড়ইয়া ইউনিয়নের মেয়ে ছালমা বেগম। বিশখালি নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়ে ওঠা ছালমার, স্বামীর বাড়িও একই এলাকায়। দরিদ্র ঘরে জন্ম নেয়া ছালমা বেগমের সমাজসেবা, জনসেবা ও গানের প্রতি আন্তরিকতা কমাতে পারেনি শত দারিদ্রতা। আর সেই শক্তি দিয়ে-ই ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ পেলেন "সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে যে নারী" ক্যাটাগরিতে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ "জয়িতা" সম্মাননা। 

ছালমা পল্লীগীতির তালিকাভুক্ত নিয়মিত কন্ঠশিল্পী বাংলাদেশ টেলিভিশনের এবং বাউল গানের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী বাংলাদেশ বেতার বরিশালের।

উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ৮ নং দক্ষিণ বড়ইয়া ওয়ার্ডের কৃষক মরহুম ইয়াকুব আলীর ২য় মেয়ে এবং ৯ নং পালট ওয়ার্ডের জনপ্রিয় সমাজকর্মী ও সাংবাদিক আলমগীর শরিফের স্ত্রী এবং বর্তমানে ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য।


আরও খবর



নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে শ্রী নিরাঞ্জন উড়াও নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর এর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীর সামনে এ রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ আবু শামিম আজাদ। এ মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন, সরকারী কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী নিরাঞ্জন উড়াও নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের শ্রী যোগেশ্বর উড়াও এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) গত ২০২২ ইং সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী নিরঞ্জন উড়াও এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ঐ দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াও কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর



দুর্গাপুরে বালুবাহী হ্যান্ডট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আবারও বালুবাহী হ্যান্ডট্রলি (লড়ি) চাপায় মেহেদী হাসান শাকিল (২৮) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন৷

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যার দিকে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত শিক্ষার্থী শাকিল দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের নগরসিংহা গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে। 

তিনি মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করতো বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড় এলাকায় শাকিলের মোটরসাইকেলের সামনে দিয়ে একটি বালুবাহী লড়ি যাচ্ছিল। 

এ সময় শাকিলের মোটরসাইকেলটি ব্যাটারি চালিত একটি অটোর সাথে ধাক্কা লেগে চলন্ত লড়ি ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে পরে যায় শাকিল।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)  জহিরুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, লড়িটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছেন। 

লাশ থানায় রাখা হয়েছে। এব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।


আরও খবর



রমজানে যুদ্ধবিরতি হলো না গাজায়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গতকাল রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে; কিন্তু রমজানের চাঁদ রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি পেরিয়েছে ৬ মাস। এ ছয় মাসে গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ওপেন আর্মস নামের স্পেনভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা ভূমধ্যসাগর পথে সম্প্রতি ২০০ টন খাদ্য ও ওষুধবাহী একটি জাহাজ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরশহর লারাঙ্কায় রয়েছে, সোমবারের মধ্যে সেটি গাজার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। গাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওপেন আর্মস।

খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়া গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কানাডা ও অন্যান্য দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা শুরু করেছিল, কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা বিভাগ জানিয়েছে, উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি জনগণের সবার কাছে ত্রাণ পৌছানোর জন্য বিমানের চেয়ে সড়ক পথ বেশি উপযোগী।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের শুরু থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। চলতি মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আসন্ন রমজানে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে গাজায়। এই বিরতির সময় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েলি বাহিনী এবং তার পরিবর্তে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

কিন্তু বহু আকাঙিক্ষত সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আর হয়নি; আর চুক্তি না হওয়ার জন্য ইসরায়েলের এবং হামাস উভয়ই পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাসের দাবি ছিল যে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গতকাল চাঁদরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান অভিযানে গাজার মধ্যাঞ্চল গাজা সিটিতে ১৩ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে গাজা উপত্যকায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন তাতে দিন দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, তা ইসরায়েলকে সহায়তার পরিবর্তে ক্ষতি করছে বেশি। গাজার বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীর আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ইসরালের জনগণের সঙ্গে এ ইস্যুতে তিনি সরাসরি মতবিনিময় করতে আগ্রহী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহ রয়েছে।

আমরা আশা করছি রমজানের মাঝামাঝি এ ইস্যুতে একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে, এএফপিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর