Logo
শিরোনাম

টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত, গোপনে ঢাকায় ব্রিটিশ দল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও ব্রিটেনের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-এনসিএ। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে গোপনে ঢাকা সফর করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ সময় তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন।

শনিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ত মাসের বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এনসিএর গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন যে তারা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তির তদন্তে টিউলিপের বিরুদ্ধে নতুন প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ তথ্য প্রকাশের ফলে টিউলিপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ইমেল রেকর্ড খতিয়ে দেখার, এমনকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের এই সাবেক নগরমন্ত্রী ও তার মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তিন দশমিক নয় বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগে তদন্ত চলছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপও।

বাংলাদেশের এক সরকারি সূত্র সংবাদপত্রটিকে জানায়, এনসিএ ব্রিটেনে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের দ্বারা টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে এনসিএ।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যুক্তরাজ্যে ২০১০ সালের ঘুষ আইনের অধীনে তার ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাংলাদেশী কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের আয়োজিত এই বৈঠকের জন্য এনসিএই অনুরোধ করেছিল।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে এনসিএ বাংলাদেশে এসেছিল। সে সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে চুরি যাওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রস্তাব দেয়, যা ব্রিটেনের মতো দেশে পাচার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্র : মেইল অন সানডে


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




চার দফা দাবিতে ঝালকাঠিতে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঝালকাঠিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিডিএমএ, বেকার ডিপ্লোমা চিকিৎসক ও সম্মিলিত ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিডিএমএ এর ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি প্রবীর রঞ্জন হালদার। 

এসময় সংগঠনে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক হালদার এবং

শিবব সংকর সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ১৪ বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে তাই অনতিবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নতুন পদ সৃষ্টি করা। প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করে ইন্টার্নশিপে লগবুক চালু করা। বিএমএন্ডডিস স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার অধিকার প্রদান করা। প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তন করে "মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ' নামকরণ সহ প্রস্তাবিত ধারায় সংশোধনীসহ বাস্তবায়ন করার দাবি জাননো হয়।

কিছু কুচক্রী মহল বর্তমানের তাদের চলমান যৌক্তিক ৪ দফা আন্দোলন নিয়ে স্বৈরশাসকের দালাল গ্রেজুয়েট চিকিৎসকের উসকানিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন তাদের নিয়ে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিবৃতিতে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার প্রচারণা করছে। এতে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের অর্জিত সুনাম নষ্ট হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানানো হয়। 


আরও খবর



যৌথ বাহিনীর অভিযানে আক্তারুজ্জামান আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান মো. আক্তারুজ্জামানকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি অনলাইন প্রপার্টিজ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের একটি বাসা থেকে তাকে আটকের পর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, জবর দখল, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের শতকোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে মালিক করে অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা কামিয়ে অবৈধভাবে পাচার করেছেন তিনি। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। দুদক অভিযোগ আমালে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ জানায়, রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় অনলাইন প্রপার্টিজ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক আক্তারুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে ওই এলাকায় জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় সাধারণ মানুষকে আসামি হিসাবে নাম ঢুকিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

র‌্যাব-২ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) খান আসিফ অপু জানান, খান মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডের একটি বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে। সেখানে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



কানের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী জুরি প্রধান হলেন জুলিয়েট বিনোশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিনেমা দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হলো কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতিবছর ফ্রান্সের কান শহরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত এই উৎসবের ৭৮তম আসর বসতে যাচ্ছে। এবারের আসরে জুরি বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন ক্যারিয়ারে অস্কারসহ একাধিক পুরস্কারজয়ী বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ। 

এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় নারী জুরি সভাপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন জুলিয়েট বিনোশ। এটিকে এই ফরাসির জন্য অনেকটা বৃত্তপূরণের মতো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৮৫ সালে আন্দ্রে টেশিনের রেন্ডেজ-ভাউস প্রিমিয়ারের মধ্য দিয়ে কানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এ জন্য ২০১০ সালে কানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতা এই ফরাসি প্রায়ই বলে থাকেন, আমি কান ফেস্টিভ্যালে জন্মগ্রহণ করেছি।


জুলিয়েট বিনোশ তার ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে
এমিলি ব্রোন্টেজ উদারিং হাইটস, চকলেট, দ্য ইংলিশ পেশেন্ট, ড্যান ইন রিয়েল লাইফ এবং সার্টিফায়েড কপির মতো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন। কানে জুরিপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


এক বিবৃতিতে এই ফরাসি অভিনেত্রী বলেন,
১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো যখন আমি এই ফেস্টিভ্যালে আসি, তখন ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তায় ভুগছিলাম। কখনো কল্পনাই করতে পারিনি, ৪০ বছর পর জুরি সভাপতির মতো সম্মানসূচক ভূমিকায় আসতে পারব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব, বিশেষাধিকার এবং এভাবে সম্মান জানানোয় কান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।


গত বছরের আসরটিতে জুরি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন
বার্বি সিনেমার পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। জুলিয়েট তার কাজেরও প্রশংসা করেন। সবশেষ ২০২৪ সালে উবার্তো পাসোলিনির মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য রিটার্ন সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে এই ফরাসি অভিনেত্রীকে।


আরও খবর



ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন। এছাড়া অপরাধের সাথে জড়িত হাসিনার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদেরও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মূলত হাসিনা সরকারপ্রধান থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদারকি করার পাশাপাশি গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলার সময় প্রফেসর ইউনূস বলেছেন: “বিচার হবে। শুধু তার (হাসিনা) নয়, তার সাথে জড়িত সকল লোক — তার পরিবারের সদস্য, তার ক্লায়েন্ট বা সহযোগীদেরও।”

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র।

হাসিনার বিরুদ্ধে গোপন আটক কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। এসব গোপন আটক কেন্দ্রে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো, নির্যাতনও করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যাও করা হয়েছিল — আর এই সবই করা হয়েছিল “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” ব্যানারে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশ। অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, (হাসিনাকে ফেরত চেয়ে) তারা “আনুষ্ঠানিক চিঠি” পাঠিয়েছেন কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে এখনও “কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া” পাওয়া যায়নি।

তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন, আর সেটা সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা অনুপস্থিতিতে, ভারতে থেকেই হোক।

প্রফেসর ইউনূস সম্প্রতি “হাউস অব মিররস: বা আযনাঘর নামে পরিচিত একটি কুখ্যাত গোপন কারাগার পরিদর্শন করেছেন। “দরিদ্রের ব্যাংকার” হিসেবে পরিচিত অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেছেন, সেখানে তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক।

ড. ইউনূস বলেন, এটিই সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস যা আপনি দেখতে পারেন, আপনি অনুভব করতে পারেন বা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার তদারকি করার অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রায় ৮০০ গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকি করার দায়ে অভিযুক্তদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা এবং পরিসর (বেশি হওয়ায়) কাজ করতে “সময় লাগছে”। তিনি বলেন, সবাই এই অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। পুরো সরকার এর সাথে জড়িত ছিল। সুতরাং এটা বের করা কঠিন যে— কারা সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এই অপরাধগুলো করছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল এবং কারা পুরোপুরি এসব অপরাধের সমর্থনকারী না হলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল।

হাসিনা, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে গত বছরের জুলাই এবং আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নের জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনগুলোতে প্রায় সরকারের সহিংস দমন-পীড়নে ১৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন।

প্রফেসর ইউনূস ভুক্তভোগীদের পরিবার কত দ্রুত ন্যায়বিচার দেখতে পাবে এবং তার চোখের সামনে সেই বিচার হবে কিনা তা নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করে চলেছেন। এমন অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নতুন নির্বাচন হতে পারে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কিছু অপরাধী শাস্তি পাবে, কিছু তখনও প্রক্রিয়াধীন থাকবে, কিছু তখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নী।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি খুবই গুরুতর। দেশে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে।

মূলত বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এছাড়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটির দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির পর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য তারা এখন একটি “নিরাপদ অঞ্চলের” সম্ভাবনা নিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে আলোচনা করছেন।

তিনি বাংলাদেশের কক্সবাজারে বড় সমস্যার কথাও স্বীকার করেছেন। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির রয়েছে এবং সেখানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে এবং সহিংসতা, মাদক এবং আধাসামরিক কার্যকলাপ ব্যাপকভাবে ছড়িযে পড়েছে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, এই উত্তেজনা “হারিয়ে যাবে না।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫