Logo
শিরোনাম

টোল না দিয়েই পদ্মা সেতু পারের অভিযোগ এমপি গোলাপের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল : সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে টোল না দিয়ে পদ্মা সেতু পার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সেতুর টোল প্লাজার কর্মীরা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে জাজিরা এলাকার দিকে যাওয়ার সময় মাওয়া টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ না করেই পদ্মা সেতু ব্যবহার করে পার হয়ে যায় এমপি গোলাপের গাড়ি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলেন গোলাপ। তার গাড়িটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরের অংশ ছিল না বিধায় নিয়ম অনুযায়ী তার টোল পরিশোধের কথা।

পদ্মা সেতুর মাওয়া কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী (টোল) রাজন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, 'একজন এমপি টোল পরিশোধ না করেই মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতু ব্যবহার করে চলে গেছেন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।'

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদ্মা সেতুর অপর এক প্রকৌশলী জানান, গাড়িটি ছিল এমপি গোলাপের এবং তিনিই টোল না দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান। টোল প্লাজার কর্মীরা তাকে টোল পরিশোধ করার অনুরোধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

টোল পরিশোধ না করার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, 'টোল পরিশোধ না করার বিষয়টি আমি নিশ্চিত না। আই অ্যাম নট শিওর।

টোল প্লাজার কর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হওয়ার জানতে চাইলে বলেন, 'আমি ক্ষিপ্ত হইনি। ড্রাইভার কোনো মিস্টেক করেছে কি না, জেনে জানাতে হবে।'

টোল পরিশোধ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে 

সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, "আমি নিশ্চিত না, আই অ্যাম নট সিউর"। 

তিনি বলেন, "আমি কোন ক্ষিপ্ত হইনি, ড্রাইভার কোন মিস্টেক করেছে কিনা জেনে জানতে হবে।


আরও খবর



ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা :


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  মহাসড়ক না হলে যেমন যানবাহন চলতে পারে না, তেমনি ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি চলতে পারেনা। তিনি বলেন আমাদেরকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাদপদ বাংলাদেশে অনন্য ডিজিটাল সড়ক গড়ে তুলেছেন। মন্ত্রী হাওর অঞ্চলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে একসময় বলা হতো ‘বর্ষায় নায়ে, হেমন্তে পায়ে’- সেই হাওর এলাকার মা ডিজিটাল সংযুক্তির কল্যাণে এখন হাওর এলাকার গোয়াল ঘর বন্যায় ডুবে যাওয়ার চিত্র তার ছেলেকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাতে পারছে। তিনি আরও বলেন যে এই মহাসড়ক নির্মাণে বিটিআরসি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে যা আগামীতে আরও জোরদার করতে হবে।

তিনি বিটিআরসির বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সর্বনিম্ন ইন্টারনেট হার এক দেশ এক রেট প্রবর্তন, বাংলা এসএমএস এর অর্ধেক মূল্য নির্ধারণ, ৪জি-৫জির স্পেকট্রাম নিলাম, টেলিকম খাত থেকে বিপুল জাতীয় রাজস্ব আদায়, সকল মোবাইল গ্রাহককে বাংলায় সকল তথ্য প্রদান, হাওর-দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সংযুক্তি গড়ে তোলাসহ টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল যুগের উপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগুচ্ছি। এজন্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার চক, ডাস্টার, কাগজ, কলম, চেয়ার, টেবিল এর পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি গর্ব করার মতো যে বিটিআরসি তার এসওএফ তহবিলের একটি প্রকল্পেরে আওতায় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনের বিটিআরসি’র সভাকক্ষে সম্প্রতি ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক ও ‘বিজয় বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে সম্বর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ড. দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকার তিনটি সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশের  উদ্যোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবিরাম অবদান রাখা, বিজয় বাংলা সফটওয়ার এবং  বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যার উদ্ভাবনসহ  ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। আচার্য  দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোস্যাইটি ভারত এই স্বর্ণপদক প্রদান করে। সোস্যাইটি’র  সাধারণ সম্পাদক এবং দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেব কন্যা সেন এই  পদক মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ডরপ নামক বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রী মহোদয়কে বিজয় বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে যা করেছেন তা জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চাদপদ ছিল। প্রিন্টিং কাজের জন্য একসময় শীসার হরফ আনা হতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অথচ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারণেই আমাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল হরফ ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৭২ সালে যন্ত্রে বাংলা লেখার সুযোগ হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, আমাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিশন সচিব মো. নুরুল হাফিজ।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মাননীয় মন্ত্রীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি ও জানি। একসময় ভাই সম্বোধন করতাম। তিনি বলেন, আমিই প্রথম মাননীয় মন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব পদ পেতে যাচ্ছেন তার সংবাদটি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকরা সচেতন নয়। মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী একজন অনুপ্রেরণা দান করা সুন্দর মানুষ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নীতিমালা তৈরি সহ আইসিটির অনেক কাজেই তিনি মন্ত্রী হবার আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। তার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তিতে ঢুকতে পারছে।

বিটিআরসি’র মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি দেশবাসীর কাছে ডিজিটাল সেবা পৌছেঁ দেয়ার একজন কারিগর। বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন মন্ত্রীর সম্বর্ধনাকে যথার্থ মন্ত্রব্য করে বলেন, ক্ষণজন্মা মেধাবী এ মানুষটি তাঁর শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের চেহারা ৯০ দশকেই তিনি বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়েছিলেন। তিনি ৯০ দশকেই বুঝেছিলেন, আগামির বাংলাদেশটিকে কেমন হতে হবে। ৯০ দশকেই তিনি বিজয় কী বোর্ড আবিষ্কার করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার ব্যবহার শুরু করেছিলেন। এখন তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।

বক্তব্য শেষে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে বিশেষ স্মারক প্রদান করা হয়।

 


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, গুলিবিদ্ধসহ আহত অনন্ত ১৫ জন। বৃহস্পতবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলার বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতুর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর পাশে ফরাজিকান্দা বাজারের জমি দখল নিতে পিজা শামীমের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত দুর্বৃত্ত চারটি গাড়ি ও ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তারা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জমি মাপা শুরু করে। মাপঝোঁক শেষে ফরাজিকান্দা মসজিদের পাশে জাতীয় পার্টির নেতা ও কলাগাছিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল হকের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় রাইসুল হকের ছেলে মনিরুল হক পারভেজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাকে বাঁচাতে দৌড়ে আসে পারভেজের স্ত্রী সুমা হক। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাইসুল হকের স্ত্রী মাহফুজা হককেও মারধর করা হয়।

এ সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় সেতুর টোল প্লাজার সামনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের চারটি হোন্ডা ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। পরে দুটি হোন্ডায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

গুলিবিদ্ধ মনিরুল হক পারভেজ জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিতে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়ি। পিজা শামীমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক যুবক ফিল্মি স্টাইলে রাস্তা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাসায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়।বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, জমি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় কারা দোষী তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে নওগাঁয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

বুধবার ১৫মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের বাজার রোডে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক নওগাঁ শাখা কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাকাবের নওগাঁ জোনের জোনাল ব্যবস্থাপক মোঃ নবিউল করিম। 

রাকাবের নওগাঁ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক চিত্তরঞ্জন বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাকাবের জোনাল কার্যালয়ের মূখ্য কর্মকর্তা মীর আহম্মদ আলী, কর্মকর্তা জীবন মজুমদার সহ রাকাবের অন্যান্য কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৮৬ সালের ৫৮ নং অধ্যাদেশ বলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) তদানিন্তন রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখা সমূহের দায় ও সম্পদ নিয়ে ১৯৮৭ সালের ১৫ মার্চ কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ৩৮৩ টি শাখা নিয়ে ব্যাংকের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। রাকাব দেশের একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংক যার প্রধান কার্যালয় ঢাকার বাহিরে রাজশাহীতে অবস্থিত।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি কাজের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরন অথ্যাৎ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগেকৃষকদের মাঝে প্রয়োজনে কৃষি ঋন বিতরন করে কৃষির উন্নয়ন করা। ৩০টি শাখা নিয়ে রাকাব নওগাঁ জোন। এ জোনের বার্ষিক ঋন বিতরণ লক্ষামাত্র দুইশত ৩৩.৭৫ কোটি। কৃষি ও পল্লী ঋন বিতরণের পাশাপাশি ডাল, তৈলবীজ ও মসলা জাতীয় ফসলের ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদে ঋন, সরকার ঘোষিত কৃষি খাতে প্রনোদনা ঋন এবং সিএমএসএমইসহ অন্যান্য খাতে ঋন বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও বিএফটিএন, আরটিজিএস, এ চালান, রেমিট্যান্সসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। 

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরে প্রধান অতিথি ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও গ্রাহকদের নিয়ে কেক কাটেন।


আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদ সহ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

র‌্যাবের অভিযানে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও বিদেশী ৩ বোতল মদসহ মাদক কারবারি এক যুবক আটক।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩,জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদক কে জানানো হয়,

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকশ অভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে রবিবার ১৯ মার্চ পনে ৪টারদিকে জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৫৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ বোতল বিদেশী মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের

মৃত কলম বকস এর ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবক গঙ্গাদাসপুর এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকা থেকে ফেন্সিডিলের একটি বড় চালান আসবে এবং রাতেই তা বাসে করে ঢাকায় পাঠানো হবে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাবের একটি চৌকশ অভিযানিক দল গঙ্গাদাসপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত মাদক সহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।


আরও খবর



দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া'র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া'র

নিজস্ব জায়গায় ইকবালনগর পয়েন্টে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।২৪মার্চ শুক্রবার দারুল উলূম দরগাহপুর মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

শহরের ইকবালনগর পয়েন্ট সংলগ্ন জলিলপুর রোডের পাশে ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে  সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিচালক মাওলানা নুরুজ্জামান আলমগীরের সভাপতিত্বে ও দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়ার নির্বাহী পরিচালক ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরীর 

সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত হয় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল। দারুল হিকমায় বিশেষ অবদানের জন্য  জাকারিয়া জামান ও শামসুজ্জামানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন শায়খ আব্দুল মুক্তাদির মহনপুরী,মাওলানা ফখর উদ্দিন বিশ্বম্ভরপুরী,

 জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী,মাওলানা শায়খ হাম্মাদ আহমদ গাজিনগরী ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি মুফতি তাফাজ্জুল হক ও ক্বারী আহমদ শফী, যুব জমিয়ত নেতা এনাম উদ্দিন ও  ইমদাদুর রহমান চৌধুরী প্রমূখ।

হাফিজ দুলাল আহমদ,হাফিজ মনিরুল ইসলাম,শিক্ষক হাফিজ মাওলানা নুরুল হক,মাওলানা তামীম আহমদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য ২০২১ সালে ২৩ মে প্রতিষ্ঠিত হয়ে 

ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া। 

সুশীল সমাজ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়  শিক্ষা ও আর্ত মানবতায় অবদান রাখায় অল্প সময়ের মধ্যে এ প্রতিষ্ঠান ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে দারুল হিকমাহ আল ইসলামিয়া।

আরও জানা যায়  প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় রয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী শায়খ হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী ও লন্ডন প্রবাসী মাওলানা মখলিছুর রহমান চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী।


আরও খবর