Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

তরুণদের রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানাই

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশের তরুণরা রাষ্ট্র-রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এটি অবশ্যই ইতিবাচক দিক। এই তরুণরা গত দেড় দশক একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত এই তরুণদের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান, তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন সেটি জনগণকে হতাশ করবো। এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ, বক্তব্য প্রতিহিংসামূলক হলে সেটি জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, অতীতের পথ থেকে বেরিয়ে তারুণ্য নতুন পথ রচনা করবে, তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়। সেটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক।

বাংলাদেশের পক্ষে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি অযথা তর্ক সময়ের অপচয় বলে আমি মনে করি। একইসঙ্গে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য ধরে মানতে পারে। তাহলে যারা সরকারে আছেন তাদের আরও অনেক বেশি ধৈর্যশীল হওয়া উচিত বলেও আমি মনে করি।

নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির মনে জনগণকে নিয়ে রাজনীতি নয় বরং জনগণের জন্য রাজনীতি। তাই আমরা যে কোনও মূল্যে দেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত-পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তী সরকারের মতো সর্বজন সমর্থিত একটি নির্দলীয় অরাজনৈতিক সরকারের পক্ষে বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্তি দেওয়া সহজ। তাহলে এখন প্রশ্ন—এতদিনেও সরকার কেন বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। জনগণের ওপর কেন উল্টো ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন কেন বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। তাহলে কী সরকারের কেউ-কেউ অন্য ইস্যুতে বেশি মনোযোগী। নাকি সরকার পারছে না।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ হাজারো শহীদের রক্ত মাড়িয়ে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তুমি-আমি একই রয়ে গেছি। এখনও কোর্টে যাই, হাজিরা দিতে হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পাইনি। তাই আন্দোলন করে আমাদেরকে নির্বাচন আদায় করতে হলে দুঃখ পাবো না।

শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



পথশিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯১ শতাংশ সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে রয়েছেন। এই জনগোষ্ঠী চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করছেন এবং জীবিকার তাগিদে তাদের শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করছেন। এছাড়া সরকার দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি কর্মসূচি গ্রহণ করলেও পথশিশুদেরও প্রায় ৯৪ শতাংশ সরকারের কোনো রকমের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। পথে বেড়ে উঠা শিশুদের ৫৮ শতাংশেরই জন্মসনদ নেই, যার ফলে তারা শিক্ষার অধিকারসহ সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের এক জরিপে উঠে এসেছে।

কারিতাস বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি অফিসার রবিউল আলম জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারী পথশিশুদের ৫৮.২ শতাংশ (৩৮৮ জন) শিশুর জন্মসনদ নেই। জন্মসনদ না থাকা এসব শিশুর ৭১.৪ শতাংশ নিজের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর জানে না। যার ফলে জন্ম নিবন্ধন করতে তারা নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।

জরিপের পথশিশুদের শিক্ষার বিষয়েও হতাশাজনক চিত্র উঠে আসে। জরিপে অংশ নেওয়া মোট শিশুর মধ্যে ৫১.৬ শতাংশ বর্তমানে স্কুল/মাদরাসায় পড়ছে না। সরকারে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অংশগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা মাত্র ৫.৭ শতাংশ (৩৮-জন); বাকি প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ পথশিশু সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কারিতাস বাংলাদেশ আয়োজিত মিডিয়া পরামর্শ সভায় জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী শহরের ৬৬৭ জন পথশিশু ও বস্তি এলাকায় বসবাসরত ১ হাজার ২৪৬টি পরিবারের ওপর জরিপ পরিচালিত হয়।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বস্তি এলাকায় বসবাসরত ১ হাজার ২৪৬টি পরিবারের মধ্যে ৯২.৭ শতাংশ পরিবার নিম্নবিত্ত শ্রেণির (১২,৫০০ টাকার নিচে আয়), এসব পরিবারের ৯১.৭ শতাংশ কোনো সরকারি সুরক্ষা সুবিধা পায়নি। এসব পরিবারের মধ্যে ৩৮.১ শতাংশে পথশিশু হয়ে যায়। বস্তি এলাকায় বসবাসরত ৪৪.৪ শতাংশ পরিবারের সব শিশুর জন্মসনদ থাকলেও ৩২.৯ শতাংশ পরিবারের কোনো শিশুরই জন্মসনদ নেই বলে জরিপে উঠে আসে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে বন্ধ ছিলো রাণীনগরে ৪ টি মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

এবার ঈদুল আজাহার দীর্ঘ ছুটিতে বন্ধ ছিলো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম। ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সংলগ্ন ৪টি ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা। অথচ সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ঈদের ছুটিতে সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় উপজেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রে জানা, গত ৫ই জুন থেকে ঈদুল আজাহার ছুটি শুরু হয়। দীর্ঘ ১০দিনের ঈদের এই ছুটির সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মানব সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা এবং গর্ভকালীন সেবা, প্রসবসেবা, প্রসব-পরবর্তী সেবা, সাধারণ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। কিন্তু রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মিরাট, গোনা, বড়গাছা ও পারইল ইউনিয়নের মডেল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকার কারণে এই অঞ্চলের কোন মানুষই সেবা পায়নি। অথচ নিজের বিভাগকে খুশি করতে এবং নিজেদের অনিয়ম আর দুর্নীতিকে হালাল করতেই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদান না করেও সেবা প্রদান করার বিষয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে করে নানা অনিয়মে জড়িত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম সম্পর্কে সেবা গ্রহিতাদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। গোনা ইউনিয়নের গোনা দীঘির পূর্ব পাড়ার ডিস ব্যবসায়ী রুস্তুম সরদার জানান ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা ছিলো না। মাঝে মধ্যে এক ঘন্টা কোন দিন দুই ঘন্টার জন্য খোলা থাকে এই হাসপাতালটি। ডাক্তার কখন আসে আর কখন যায় তার কোন ইয়াত্তা নেই। গেলে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। আর হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা বলেন ওষুধের বরাদ্দ নেই।

গোনা খানপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে জনাব আলী জানান তার বাড়ি গোনা কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন। এবার ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে হাসপাতালটি খোলা ছিলো না। ঈদের ছুটিতে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখা যেতো। লোকজন ওষুধ নিতে আসতো। ঈদের ছুটির মধ্যে খোলা থাকলে অবশ্যই দেখতে পেতাম। ঈদের পর এখন খোলা থাকে হাসপাতালটি।

একই অবস্থা ছিলো উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পারইল ইউনিয়নের পারইল বাজার মাদ্রাসা সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রই ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে পুরোপুরি বন্ধ ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। সেবা প্রদান না করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মাঝে নেতিবাচক ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করায় এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে উপজেলার সচেতন ব্যক্তিরা। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরে আলম জানান জনবল ও ওষুধের সংকটসহ নানা সমস্যা মাথায় নিয়ে দেশের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেবা প্রদানের চেস্টা করে আসছে। আর তিনি উপজেলাতে সবেমাত্র যোগদান করেছেন। তিনি সেবা প্রদান না করার বিষয়ে খোঁজ খবর নিবেন বলেও জানান।


আরও খবর



ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী সব ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আশঙ্কায় কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে ঢাকা থেকে এসব গন্তব্যে পরিচালিত সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ ঘোষণায় জানিয়েছে, নাগরিক, অধিবাসী ও ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে আগমন ও বহির্গমন—দুই ধরনের ফ্লাইটই স্থগিত থাকবে।

সোমবার মধ্যরাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ থেকে দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত ও বাহরাইনগামী যাত্রীদের ওপর। ঢাকা থেকে পরিচালিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস- বাংলা এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ফ্লাইদুবাই, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ারসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানায়, এ অবস্থায় নির্ধারিত যাত্রার আগেই এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আপডেট পাওয়া মাত্র যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান। এরপর একে একে দেশগুলো তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।


আরও খবর



নওগাঁর এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কান্ডে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত একটি ট্রাঙ্কের তালা খুলে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছে। এ প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে কিনা বা ফাঁস করা হয়েছে কিনা এ নিয়ে সাধারণের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে দু'জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য গত মঙ্গলবার প্রশ্ন পত্রের একটি ট্রাঙ্ক থানায় রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য আসে। ট্রাঙ্কটি থানার একটি হাজত খানায় রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক পরিদর্শনে গেলে ট্রাঙ্ক খোলার ঘটনা ধরা পড়ে। পরে ঘটনা তদন্তে নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ তিন সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

নওগাঁর পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, বাক্স ভেঙ্গে প্রশ্নপত্র বের করা হলেও তা বাইরে ছড়িয়ে পড়েনি। থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই রাতে একটি হত্যা মামলার ৩ জন আসামিকে আটকের পর তাদের আলাদা আলাদা রুমে রাখতে গিয়ে রুম সংকটের কারণে প্রশ্নপত্র রাখা হাজতখানায় একজনকে রাখা হয়েছিল। ঐ আসামিই সিলগালা খুলে তালা চাবি দিয়ে ট্রাঙ্ক খুলেছেন। এরপর সে প্রশ্নপত্র গুলো ছিঁড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছিল। প্রশ্নপত্র গুলো কেন সে বের করেছিলো সেটি জানতে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ধামইরহাট থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর ও একজন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিনকে প্রধান করে পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে জেলা প্রশাসক। সে কমিটিও ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে।


আরও খবর



ঢাকার খালি জায়গা ঘাস-লতা দিয়ে পূরণ করা হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকার খালি জায়গা ঘাস-লতা দিয়ে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেছেন, ঢাকার যতগুলো ফাঁকা জায়গা আছে, সব জায়গায় ঘাস, লতা ও গাছ লাগানো হবে। জিরো সয়েল কর্মসূচির আওতায় আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে প্রশাসন, পরিবেশবাদী সংগঠনসহ নাগরিকদের সহযোগিতা জরুরি।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ২৬ জুন পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন এই সেমিনারের আয়োজন করে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমাদের শহরকেন্দ্রিক কাজ কম। ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স নিয়ে কাজ বলতে মানুষ উপকূলকে প্রাধান্য দেয়, কিন্ত এক্ষেত্রে শহরের পরিবেশও এখন অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় বর্তমানে ১৩ লাখ গাছ আছে। আমরা চাইলে এটাকে দ্বিগুণ করতে পারবো। সেই জায়গাও আমাদের আছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে বেশ কিছু জায়গা আমরা দখলমুক্ত করেছি। খাল পরিষ্কার করেছি। ৩০ বছরে ঢাকার ক্রাইসিস ছিল যে কোনো জায়গার মালিকানা রাজউক কিংবা রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে- এই সংক্রান্ত। আমরা গত চার মাসে সব জায়গাকে একছাতার নিচে এনেছি। নতুন যে ঢাকা তৈরি হবে পূর্বাচলে সেটাও রাজউকের কাছ থেকে নিয়েছি। সেখানে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স এলাকা হবে। গাছ লাগাচ্ছি। ওখানে যারা থাকবেন তারা যেন দুই-তিন ডিগ্রি কম তাপমাত্রার মধ্যে থাকেন। সেই ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, শহরের মধ্যে বড় বড় মেগা প্রকল্প হচ্ছে। আগামীতে সরকারি ও বেসরকারি এসব কনস্ট্রাকশন এরিয়ায় এয়ার কোয়ালিটি ও নয়েজ কোয়ালিটি মাপার জন্য মেশিন বসানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের লোকবল সংকট। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমঝোতা সই করতে চাই।


আরও খবর