Logo
শিরোনাম

তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




গজারিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শাহাদাত হোসেন সায়মন : গজারিয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার সময় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ওয়াজীর আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন। পরবর্তী সময়ে বেলা সোয়া বারোটার দিকে গজারিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল জেলা প্রশাসককে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গজারিয়া থানা পরিদর্শন শেষে তিনি টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদ ও ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তাসহ গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো.মামুন শরীফ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্হিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপি সরকারী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, সহকারী কমিশনার(ভুমি) এর কার্যালয়,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় পরিদর্শনসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। একই দিনের বিকালে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবের দ্বিতীয় দিনের বৈশাখী মেলা পরিদর্শন ও বিভিন্ন কার্যক্রম উপভোগ ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসকের।


আরও খবর



ঢাকায় ইইউভুক্ত দেশের ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেসব দেশের ভিসা ঢাকা থেকে ইস্যু করা হয় না, ইইউ রাষ্ট্রদূতকে সেসব দেশের জন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত Michael Miller সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ জানান।

বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ইস্যু, অভিবাসন, মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধ, বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ইইউভুক্ত দেশসমূহে বাংলাদেশ অন্যতম জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। তাছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন, চিকিৎসা সহ নানা কাজে প্রচুর বাংলাদেশী লোকজন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও জনসংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীর শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে অন্যতম। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে গিয়ে ইইউভুক্ত দেশের জন্য ভিসা সংগ্রহ সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। তাই ইইউভুক্ত দেশসমূহের জন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলা অত্যাবশ্যক। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে ইইউভুক্ত দেশসমূহের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান।

বৈঠকের শুরুতে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইইউ বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াকে ইইউ সমর্থন করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ চাইলে ইইউ প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সামর্থ্য, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশে এ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের ঘাটতি রয়েছে বিধায় উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের জন্য ইইউভুক্ত দেশে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের অনুরোধ করেন। এসময় উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের আন্তরিকতা ও ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হলে এটি ফলপ্রসূ হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তবে ধীরে ধীরে এটির উন্নতি ঘটছে। এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত সংঘবদ্ধ মবসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক অপরাধ পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, যত বেশি সঠিক তথ্য জনগণকে সরবরাহ করা হবে, তত বেশি অপতথ্যের বিস্তার দূরীভূত হবে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি আমাদের মিডিয়াকে সবসময় সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছি।

রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অফিসিয়ালি বাংলাদেশে ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর চেয়েও বেশি শরণার্থী কক্সবাজারে বসবাস করছে যা ঐ অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকিস্বরূপ। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমাদের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থাও রোহিঙ্গাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।

মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে ইইউ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতিবছর প্রচুর বাংলাদেশী ইউরোপে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়। দালাল ও মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেকের প্রাণহানি ঘটে। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইইউ এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় ডায়ালগ আয়োজন ও পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইইউ'কে নেতৃত্ব প্রদান ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, রাজনৈতিক-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মুঃ জসীম উদ্দিন খান, ঢাকাস্থ ইইউ ডেলিগেশনের কাউন্সেলর Jurate SMALSKYTE MERVILLE, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) Sebastian Rigger-Brown সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নববর্ষ সামনে রেখে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ পালন হবে। ফলে বিষয়টি সামনে রেখে এবার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যতটুকু সন্তুষ্ট, আমিও ততটুকু সন্তুষ্ট।

বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির শপে ভাঙচুর হয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব শপের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হবে কি না, এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে, সেহেতু তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গাতে মেলাও হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে।



আরও খবর



নওগাঁয় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যা রহস্য উদর্ঘাটনসহ মূলহোতাকে আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আব্দুর জব্বার হত্যা রহস্য উদঘার্টন পূর্বক মূলহোতাকে আটক করেছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে মান্দা থানাধীন কশব মধ্যপাড়া তালপুকুরিয়া বিলের মাঝে ধান ক্ষেতের ভেতর অর্ধ-গলিত এক ব্যাক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে লোকজন থানায় খবর দিলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার পাশাপাশি হত্যা রহস্য উদঘার্টনেও কাজ শুরু করেন মান্দা থানা পুলিশের চৌকস টিম এবং মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঐ দিন 

বুধবার রাতে মান্দা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কশব ভোলাগাড়ী বাজার এলাকা থেকে আব্দুল জব্বার হত্যার মূলহোতা আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২২) কে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল আব্দুল জব্বারকে লাঠিদিয়ে আঘাত করে হত্যায় দায় শিকার করেন পুলিশের কাছে। আটককৃত আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লাঠিও উদ্ধার করেছেন পুলিশ। 


আটককৃত যুবক আমিনুল ইসলাম বুলবুল হলেন, মান্দা থানাধীন কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আর হত্যাকান্ডের শিকার আব্দুল জব্বার হলেন, মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে। তিনি গত শুক্রবার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, আব্দুল জব্বারের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই মৃত্যু রহস্য উদঘার্টনে পুলিশ কাজ শুরু করে এবং ঐ দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে আটক করার পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং

লাঠির আঘাতে আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জাহানারা বিবি বাদি হয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বৃহস্পতিবার আমিনুল ইসলাম বুলবুল কে নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



আমরা কখনোই বলিনি নির্বাচনের পরে সংস্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বলেছি নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু অবাধ মিনিমাম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেগুলো করতে হবে। আমরা কখনোই বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। এটা ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমরা বলেছি নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যে সংস্কার করা দরকার সেটা করতে হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আওমী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, জাকের পার্টিসহ সব রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। আর যারা এসেছেন সংস্কারের জন্য তারা জ্ঞানী মানুষ, পন্ডিত লোক, বিশাল ডিগ্রিধারী। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও সম্মান করি কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করে আমরা সেটিকে সমর্থন করতে পারব না।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। এই যে আমরা ভয়ে থাকি রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। তাহলে তো আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। এখানে স্বৈরাচার হয়ে উঠলে জনগণই তাদেরকে বের করে দেয়। সুতরাং এটার জন্য জনগণের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্র সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা।


আরও খবর