
ঠান্ডা
তাপমাত্রা এবং বাতাস আপনার ত্বকে বিশেষ করে কঠোর হতে পারে। শীতের এই সময়ে আপনার
ত্বককে নরম এবং কোমল রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। বিউটি এক্সপার্টরা
বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে ত্বকের।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?
– প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে
মুখ ধুয়ে ফেলুন।
– তারপর ত্বকের ধরন বুঝে
মেখে ফেলুন টোনার।
– ক্লিনজিং, টোনিং ও
ময়েশ্চারাইজিং, অর্থাৎ ‘সিটিএম’-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা
বলেছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।
– নারকেল তেল দিয়ে মিনিট
দুয়েক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সারারাত ওইভাবে মুখে তেল রেখে
দিতে পারেন।
– ত্বক তৈলাক্ত ভাব হলে
ম্যাসাজ করার পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।
নারকেল
তেলের মধ্যে কী এমন আছে?
নারকেল
তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা
ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে
মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ
এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলো নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো
জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।
মুখে
নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে কী হবে?
– ত্বকের জেল্লা বজায়
রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে এই তেল ম্যাসাজ করতে পারলে জেল্লা
বৃদ্ধি পাবে। লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বের
করে দেওয়া যায়।
– যেহেতু নারকেল তেলে
ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের
যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে।
– অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল
উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন
পোরসের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।