Logo
শিরোনাম

ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

প্রত্যেক মানুষেরই ত্বকের ধরন আলাদা আলাদা হয়। কারও তৈলাক্ত, কারও শুষ্ক, কারও আবার সংবেদনশীল। এ কারণে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ধরণও হয় আলাদা । শুষ্ক ত্বক সুস্থ রাখার প্রধান উপায় হলো ত্বককে যেভাবেই হোক আর্দ্র, ময়েশ্চারাইজ রাখা। আবহাওয়া, দূষণ, জীবনধারা, শারীরিক সমস্যা এবং আরও নানা কারণে অনেকেই সারা বছর শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে বাড়িতেই বিভিন্ন ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের যত্নে কোন কোন ফেস প্যাক ব্যবহার করবেন


শসার ফেস প্যাক: শশা ত্বককে হাইড্রেট ও নরম করে তোলে। শুষ্ক ত্বকে প্রায়ই চুলকানি দেখা যায়। ত্বকের জ্বালা, চুলকানি উপশম করতে শসার জুড়ি নেই। অর্ধেক শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টে এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণ। ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এই ফেস প্যাক। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগালেই ফল পাবেন।

মুলতানি মাটির ফেস প্যাক: মুলতানি মাটি সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকের ফেস প্যাকগুলিতেই ব্যবহৃত হয়। তবে শুষ্ক ত্বকের যত্নেও মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। মুলতানি মাটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এই ফেস মাস্ক শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি ও হাইড্রেশন দেয়। ১-২ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য পানি মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেস প্যাক ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা ফেস প্যাক: অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেট করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণ। এই ফেস প্যাক ব্যবহার ত্বক কেবল ময়েশ্চারাইজ হয় না, পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ চন্দন পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন। ফেস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগাতে পারেন।

চালের গুঁড়ার ফেস প্যাক: চালের গুঁড়া ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে। ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ওটমিল এবং ২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এই ফেস প্যাকটি লাগান।

দইয়ের ফেস প্যাক: দই শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগাতে পারেন।

হলুদের ফেস প্যাক: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে। ২ চা চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট ফেস প্যাকটি মুখে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ দিন পর দিনে একবার এই ফেস প্যাক লাগান।


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার ;আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অবদান ও সংগ্রামকে সম্মান জানাতে দিবসটি পালিত হয়। এটি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার দিন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য- শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি। স্বাধীনতাণ্ডউত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ১ মেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেন।

১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল।

শ্রমজীবী শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেওয়া যাবে না। ৮ ঘণ্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১ মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে, প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেপ্তার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আহত হন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবীদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। তাই তো সুকুমার ভট্টাচার্য লিখেছিলেন- হারাবার কিছু ভয় নেই শুধু শৃঙ্খল হবে হারা/জন কল্লোলে উত্তাল নদী মোহনায় দিশেহারা।। তুফানে তুফানে তুলেছে আওয়াজ সইবো না/আজন্ম কাঁধে শোষণের চাকা বইবো না/এবার লড়াই, এবার লড়াইয়ে অস্ত্র শানিয়ে দাঁড়া।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যেকোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে। এচাড়া আজ বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন।

 


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে রেল ট্রেন চলবে জুনে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর এখন দ্রুতগতিতে চলছে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের চূড়ান্ত ধাপের কাজ। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব। এর আগে গত ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চালানো হয় ট্রেন। সফলভাবে অতিক্রমের পর দ্রুত এগোচ্ছে চূড়ান্ত ধাপের কাজ।

জানা গেছে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির উপযোগী লাইনে লাগবে না কোনো জোড়া। তাই সেতুর স্লিপার ও স্টিলের ট্রেনলাইন যুক্ত করার ক্লিপ খুলে জোড়া যুক্ত করা হচ্ছে সূক্ষ্মভাবে। এ ছাড়া অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করতে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী অপটিক্যাল ফাইবার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী জুনের মধ্যেই মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো উপযোগী করা সম্ভব হবে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, গুণগত মান ও সুরক্ষাব্যবস্থা ঠিক রেখে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচলে যাত্রীদের কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৭২ কিলোমিটার রেলের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের সম্পূর্ণ রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হবে।

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, গত ৪ এপ্রিল আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করেছি। এ পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও আমরা ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট-রান চালাই। ওই পরীক্ষামূলক কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। তিন অংশের কাজই দ্রুত এগিয়ে চলছে।

প্রকল্প সূত্রে আরো জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি সাড়ে ৯৩ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ভেঙ্গে পড়েছে হাটের শেড - চরম দুর্ভোগ ক্রেতা ও বিক্রেতা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের একডালা ইউনিয়ন এর একমাত্র হাট গুয়াতা হাট। এ হাটের পরিসর খুব একটা বড় না হলেও হাটটি স্থানীয়দের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন। 

প্রতিবছর সরকার এই হাট থেকে হাজার হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করলে হাটে স্পর্শ করেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। প্রায় এক বছর আগে ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া হাটের শেড মেরামত না হওয়ায় বোঝা যায় হাটটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্বহীন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ জানান, এলাকাবাসীদের কাছে হাটটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। উপজেলার অন্যান্য হাট অনেক দূরবর্তি হওয়ার কারণে এলাকাবাসীরা সপ্তাহের বাজার এই গুয়াতা হাট থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। বছর খানেক আগে ঝড়ে হাটের শেডটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। যার ফলে হাটুরিদের নিরাপদ স্থানে দোকান বসানোর জায়গা না থাকায় অনেক সময় হাটুরিরা রাস্তায় এসে দোকান বসায়। ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় ক্রেতা সহ বিক্রেতাদের। এমতাবস্থায় আমি ভেঙ্গে শেডটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। জানি না কবে হাটের শেডটি মেরামত হবে আর নিরাপদ স্থানে বসে বিক্রেতা ও ক্রেতারা তাদের পণ্য ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারবেন। 

একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান আলী বলেন, আমি শেড নষ্ট হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। আর আমার ইউনিয়ন পরিষদ এর নিজস্ব কোন তহবিল কিংবা বড় ধরনের আয় না থাকায় পরিষদের একার পক্ষে এই শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করাও সম্ভব নয়। তাই এই জনগুরুত্বপূর্ণ শেডটি মেরামত কিংবা সংস্কার করার জন্য অবশ্যই সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দের কোন বিকল্প নেই। 

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি কিন্তু অর্থ সংকুলান না হওয়ার কারণে শেডটি মেরামত কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই শেডটি মেরামত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, আমরা জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গৃহীত পাইলট প্রকল্পকে সমর্থন করতে এবং এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সমাজে পুনরায় একীভূত হতে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানাই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ২০ মে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন, উভয় পক্ষ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

এই প্রকল্পের অধীনে একদল রোহিঙ্গা প্রথম ব্যাচে মিয়ানমারে ফিরে যাবে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের প্রত্যাবাসন করা হবে।

তিনি আরও জানান, গত ৫ মে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যান। সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এর আওতায় রোহিঙ্গাদের পারিবারিক ইউনিটে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর আবার যেন তারা সেখানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের সম্মুখীন না হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলিকেও রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।

রোহিঙ্গাদের ওপর অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা, অন্যান্যদের মধ্যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



ফুলবাড়ি সিমান্তে ১৪টি স্বর্নের বার সহ-এক চোরাচালানকারী আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ২০৫জন দেখেছেন

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ১৪টি স্বর্নের বার সহ-এক পাচারকারী যুবককে কে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবির) টহল দল।

বর্ডার গার্ড বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ১২(মে) দুপুরের দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ধর্মপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলিয়ার নং ৯৪৩ এর পাশ থেকে কাশিপুর ক্যাম্পের টহলরত বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১৪টি স্বর্ণের বাস সহ এক পাছারকারী যুবককে হাতেনাতে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

আটক পাচারকারী যুবক হলেন কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩২)

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ ১৪টি স্বর্ণের বার সহ এক পাচারকারী যুবকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



আরও খবর