Logo
শিরোনাম

ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রত্যেক মানুষেরই ত্বকের ধরন আলাদা আলাদা হয়। কারও তৈলাক্ত, কারও শুষ্ক, কারও আবার সংবেদনশীল। এ কারণে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ধরণও হয় আলাদা । শুষ্ক ত্বক সুস্থ রাখার প্রধান উপায় হলো ত্বককে যেভাবেই হোক আর্দ্র, ময়েশ্চারাইজ রাখা। আবহাওয়া, দূষণ, জীবনধারা, শারীরিক সমস্যা এবং আরও নানা কারণে অনেকেই সারা বছর শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে বাড়িতেই বিভিন্ন ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের যত্নে কোন কোন ফেস প্যাক ব্যবহার করবেন


শসার ফেস প্যাক: শশা ত্বককে হাইড্রেট ও নরম করে তোলে। শুষ্ক ত্বকে প্রায়ই চুলকানি দেখা যায়। ত্বকের জ্বালা, চুলকানি উপশম করতে শসার জুড়ি নেই। অর্ধেক শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টে এক টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণ। ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এই ফেস প্যাক। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগালেই ফল পাবেন।

মুলতানি মাটির ফেস প্যাক: মুলতানি মাটি সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকের ফেস প্যাকগুলিতেই ব্যবহৃত হয়। তবে শুষ্ক ত্বকের যত্নেও মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। মুলতানি মাটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এই ফেস মাস্ক শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি ও হাইড্রেশন দেয়। ১-২ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং সামান্য পানি মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেস প্যাক ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা ফেস প্যাক: অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেট করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণ। এই ফেস প্যাক ব্যবহার ত্বক কেবল ময়েশ্চারাইজ হয় না, পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ চন্দন পাউডার ভালো করে মিশিয়ে নিন। ফেস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগাতে পারেন।

চালের গুঁড়ার ফেস প্যাক: চালের গুঁড়া ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে। ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ওটমিল এবং ২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এই ফেস প্যাকটি লাগান।

দইয়ের ফেস প্যাক: দই শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু এবং এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'বার এই ফেস প্যাক লাগাতে পারেন।

হলুদের ফেস প্যাক: হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে। ২ চা চামচ কাঁচা দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিট ফেস প্যাকটি মুখে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ দিন পর দিনে একবার এই ফেস প্যাক লাগান।


আরও খবর

এখন দরকার নানারকম শীতের পোশাক

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বিয়ের কনের স্কিন কেয়ার রুটিন

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না সাত কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এরইমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ এ কথা জানান।

সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এবছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কমেছে মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রফতানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, কর্মসংস্থান এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠকের পর শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগস্ট-ডিসেম্বর এই ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। গত তিন বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মত বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য উদ্বৃত্ত হয়েছে।’

মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছর নয় লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। এর ফলে চলতি বছর প্রায় ১১ হাজার ৪শ’ ৪৪ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কূপ খনন করে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ আছে। নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত রয়েছে। দেশের ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে। যে পরিমাণ মজুত আছে আর আমদানি হচ্ছে তাতে পণ্যের দাম আরও কমে আসবে।

শফিকুল আলম বলেন, দেশে কোরিয়ান ইপিজেড নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। জমি জটিলতার কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছিল না। পতিত স্বৈরাচারেরা এই সমস্যা তৈরি করেছিল। এখন এই ভূমির সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেডকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এখানে বিনিয়োগে কোন সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, এই ইপিজেডে কোরিয়ার বিভিন্ন বড় কোম্পানি রয়েছে। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের ফলে সেখানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

শফিকুল আলম জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার।

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্ত্বশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে গত ৬ মাসে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ বছরের মধ্যে খুন সবচেয়ে কম সংঘটিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? জবাবে শফিকুল আলম বলেন, যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে গেছে। ওই সময় দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এই অপরাধে কারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




হজযাত্রীদের শিশু সঙ্গী নিষিদ্ধ করলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৫ সালের হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের সঙ্গী হিসেবে নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর তীব্র ভিড়ের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য। হজযাত্রার সময় শিশুদের সুস্থতা বজায় রাখা এবং যে কোনো ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

সৌদির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, এবারের হজ মৌসুমে তাদের সর্বদা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, যারা এর আগে হজ করেননি।

সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে বসবাসরতদের জন্য নুসুক অ্যাপ এবং সরকারি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ২০২৫ সালের হজ নিবন্ধন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। হজযাত্রীদের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই, সঙ্গী যুক্ত করা এবং মাহরাম পরিবর্তনের অনুরোধ অনলাইনে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

এ বছর সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের জন্য নতুন কিস্তি সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীরা এবার তিন কিস্তিতে হজ প্যাকেজের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। প্রথম কিস্তিতে ২০ শতাংশ অর্থ বুকিংয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে ৪০ শতাংশ করে অর্থ রমজান ২০ ও শাওয়াল ২০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। নুসুক প্ল্যাটফর্ম থেকে হজযাত্রীরা তাদের পছন্দের প্যাকেজ বাছাই, ই-ওয়ালেট রিচার্জ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। তীব্র ভিড় ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ বছর শিশুদের হজযাত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় গাজরের বাম্পার ফলন,সারে ৩ কোটি টাকা বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় অনুকুল আবহাওয়া ও উন্নত মানের বীজের কারণে এবারে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দাম আশানুরুপ হওয়ায় সারে ৩ কোটি টাকার গাজর বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাজর কন্দাল জাতীয় ফসল। নাতিশীতোঞ্চ আবহাওয়া এ চাষের জন্য উপযোগী। এবারে একটানা ঘন কুয়াশা ও দীর্ঘ মেয়াদী শৈত্য প্রবাহ ছিলো না। এ কারণে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। 

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মান্দা উপজেলায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বিলকরিল্যা, কুসুম্বা, বাদলঘাটাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে এ ফসলের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এ চাষ থেকে অন্তত ৭২ হাজার মণ গাজর উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য সারে ৩ কোটি টাকার উপরে। রবিবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ৯টি মেশিনের সাহায্যে গাজর পরিষ্কারের কাজ চলছে। গ্রামের গাজর চাষিরা খেত থেকে গাজর তুলে এসব মেশিনে পরিষ্কার করে নিচ্ছেন। পরে পাইকারদের কাছে দরদাম চুকিয়ে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। এদিন প্রকার ভেদে প্রতিমণ গাজর ৫২০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামের কৃষক হানিফ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, এবারে আমি ১৫ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। হালচাষ, সার-বীজ, কীটনাশক ও পরিচর্যা সহ প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ মণ করে। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় আমার ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

একই গ্রামের কৃষক আবুল বাশার বলেন, প্রতি বারের মতো এবারেও গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে ৯টি মেশিনের সাহায্যে গাজর পরিষ্কারের কাজ চলছে। এজন্য এক মণ গাজরে দিতে হচ্ছে ২৫ টাকা করে। প্রতিদিন এসব পয়েন্টে অন্তত ২ হাজার মণ গাজর প্রসেসিং করা হয়। এরপর ট্রাকে করে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এবারে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনের সঙ্গে বাজারে দামও ভালো। এবারে মান্দা উপজেলা থেকে সারে ৩ কোটি টাকার উপরে গাজর বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকেরা আশানুরুপ লাভবান হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর