নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার রাতে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে র্যাবের এক বার্তায় জানানো হয়।
গ্রেপ্তারদের নাম পরিচয় ওই বার্তায় প্রকাশ করা হয়নি। তবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেছেন, ওই তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংঘর্ষের মধ্যে ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়াকে হত্যার ঘটনায় জগিত থাকার অভিযোগে। আর বাকি দুজন সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী ও উসকানিদাতা। আমরা সংবাদ সম্মলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।
রোজার মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মীদের বচসার পর এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে ডেকে আনে। তারা মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মধ্যরাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে বাঁধে সংঘর্ষ।
ওই সংঘর্ষ চলে পরদিনও। দিনভর সংঘর্ষের সময় ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
একই দিনে সংঘর্ষের সময় দুপুরের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন মো. মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মী। দুদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলার পাশাপাশি সংঘর্ষ, বোমাবাজি এবং অ্যাম্বুলেন্সে হামলার অভিযোগে মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে কয়েকশ ছাত্র ও দোকানকর্মীকে আসামি করা হলেও গত তিন সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেবল প্রধান আসামি মকবুল হোসেনকে।
যে দুই দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল, সেই দুই দোকানের মালিক মকবুল নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। মামলায় নাম আসা বাকিরাও বিএনপির নেতাকর্মী।
ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এর আগে ঢাকা কলেজের পাঁচ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তবে মোরসালিনকে হত্যায় জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি বলে গত ২৮ এপ্রিল জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার।