Logo
শিরোনাম

উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ...ছলিম উদ্দীন সেলিম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দেশের এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন এর ছোয়া লাগেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম। 

রবিবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বরে শিক্ষার শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এমপি ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম।

ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি আরো বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কোন সরকারের আমলে হয়নি। আমাদের দেশের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি হয়েছে, মেট্রোরেল চলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বাড়ানো হয়েছে। দেশের সকল সেক্টরের মতো শিক্ষা সেক্টরেও উন্নয়ন হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় হয়তোবা এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব চলছে তথ্যপ্রযুক্তির উপর। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ল্যাব বিতরণ করছে সরকার। যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে। শেষে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যক্ষ আলহাজ মোঃ নাজিম উদ্দীন মিঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম নূরানী আলাল, অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান, অধ্যক্ষ আলহাজ মোবারক আলী, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস এম ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচন আয়োজনে চাপে জেলেনস্কি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

২০২২ সালের শুরু থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইউক্রেন। এরমধ্যে ২০২৪ সালের শুরুতে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নির্বাচনের। তবে চলমান যুদ্ধের মধ্যে নির্বাচন কতটা ফলপ্রসূ হবে তাই এখন চিন্তার বিষয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, এখন নির্বাচনের সঠিক সময় না। অন্যদিকে জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই দেশটির নির্বাচনের পেছনে থেকে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকানরা। এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের অনেকের মত যে, নির্বাচনই একটা জাতিকে এ পরিস্থিতিতে রক্ষা করতে পারে। তবে চলতি মাসের শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এখন নির্বাচনের সঠিক সময় না। এরপর থেকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত না করার পক্ষে দাবি জোরালো হচ্ছে। এর জের ধরেই একটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জন্ম নিয়েছে। তবে জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নির্বাচনের ইস্যুতে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক ওপরার চেয়ারওম্যান ওলহা আইভাজোভস্কা বলেছেন, ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিচ্ছে বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান দলের সদস্যরা। তিনি বলেন, এ রিপাবলিকানরা ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার জন্য মূলত এ দাবি তুলেছে। আইভাজোভস্কা আরো বলেন, এমন না যে, সব রিপাবলিকান ইউক্রেনকে সমর্থন করে না, তবে তারা নির্বাচনের সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে বাইডেনপুত্র হান্টারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কয়েক বছর ধরে তদন্ত করে আসছে রিপাবলিকানরা। তাদের অভিযোগ, বাইডেন তার ছেলের ব্যবসায় রক্ষার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। যদিও এর সাপেক্ষে এখনো কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে নির্বাচন করতে আগ্রহী না জানালেও এ নো সরাসরি না করেননি জেলেনস্কি। যুদ্ধ চলাকালীন নির্বাচনের প্রধান সমস্যা হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন নিরাপত্তা, আইন ও তহবিল-সংক্রান্ত জটিলতা।

ইউক্রেনের সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, এক বছরের মধ্যে যখন প্রয়োজন নির্বাচন করা হবে। প্রেসিডেন্টের এ কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, জেলেনস্কি যুদ্ধের সময় বিবেচনা করেই নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন নির্বাচন দিলে সামরিক আইন পরিবর্তন করা দরকার হবে। এরপরেও ভোট গ্রহণে বাধা রয়েছে। এখন জনগণের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে একমত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। বর্তমান রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা।

চলতি মাসে কিয়েভের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সোসিওলজি দ্বারা পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি মানুষ এখন নির্বাচনের পক্ষে না। বিরোধী ও ক্ষমতাসীন দুদলের এমপিরা দাবি জনিয়েছেন, আগামী বছর নির্বাচন করা ভুল সিদ্ধান্ত হবে।


আরও খবর



হামাস নির্মূলের ধারেকাছে নেই ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দুই মাস আগে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরে কাতারের মধ্যস্থতায় বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এরপর পৃথিবীর বুক থেকে হামাসকে নির্মূলের করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

তবে যুদ্ধের ৬০ দিন পেরিয়ে গেলেও হামাস নির্মূলের ইসরায়েলি সেনারা ধারে কাছেও যেতে পারেনি বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখা ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট আরো জানিয়েছে, হামাস এখনো গাজার উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে। হামাসকে সরিয়ে দিতে গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এখন ছোট্ট এ উপত্যকার দক্ষিণ দিকে আগ্রাসন চালাচ্ছে তারা।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলকে বিমান হামলা চালিয়ে ধসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের স্থল সেনারা এখনো হামাসের শক্তিশালী কয়েকটি ঘাঁটিতে প্রবেশ করতে পারেনি।

হামাসকে নির্মূল করতে না পারলেও গাজার সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার শিশু। যারা নিহত হয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশই হলেন নারী ও শিশু।


আরও খবর

গাজায় গণহত্যা অব্যাহত

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




এখন পর্যন্ত ২৫ ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, ১৩০টি বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত ২৫টি ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুরের ঘটনা এবং ১৩০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে বেতন বৈষম্য নাকি হরতাল-অবরোধের কারণে এমন হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সংগঠনটি।

১২ নভেম্বর দুপুরের উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা যখন বৈশ্বিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রাম করছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সে লক্ষ্য করছি, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে, কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদেরকে দিয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে। দুঃখের বিষয় যে, যখন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ড কাজ করছিল, তখনও কারখানা ভাঙচুর, কারখানায় অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উদ্যোক্তারা কিন্তু অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই শিল্প পরিচালনা করছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন, যারা লোকসান দিয়েও কারখানা সচল রেখেছেন, শুধুমাত্র ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। শ্রমিকদেরকে বেতন দিচ্ছেন ঋণের বোঝা মাথায় রেখে।

তিনি বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩ হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৯২১টি সদস্য কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানা বিজিএমইএ-তে তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেছে। এই ২ হাজার ৩৩৯টি সদস্য কারখানার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৬০০টি সদস্য কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার এনে কাজ করছে। অর্থাৎ আমাদের এ মুহূর্তে সরাসরি রপ্তানিকারক কারখানার সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৬০০টি।

তিনি আরও বলেন, সদস্যপদ নবায়ন করা ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কারখানা বাদে বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বিভিন্ন ব্যাংক দেনা ও দায়ের কারণে সরাসরি ব্যাক-টু-ব্যাক খুলতে পারছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নিতে পারছে না। এই সদস্য কারখানাগুলো মূলত সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো ব্যাংক দেনা ও আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তারা আগামীতে দেনা পরিশোধ করে ব্যবসায় ফিরে আসতে ইচ্ছুক।

এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, শিল্পের উত্থানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্ধ কারখানার সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে, বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩




নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তেলিগাতী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উক্ত খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: শামসুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহা: জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম, সম্রাট মিয়া সহ  সমিতির অন্যান সদস্যরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২১ সালে  প্রতিবন্ধীদের কে নিয়ে  করে তুলা হয় প্রতিবন্ধীদের  সহায়তায় তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সদস্য প্রায় চারশত।নিয়মিত এই সমিতিটির প্রতিবন্ধী পরিবারদের সহায়তায় করে যাচ্ছে।


আরও খবর



বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত: মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতিতে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বীর বিক্রম সক্রিয়তা নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি নতুন দল গঠন করছেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া যায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছ থেকে।

বুধবার ৮ নভেম্বর বেলা ১১টায় বনানীতে নিজের বাসায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, অনেকগুলা ভুল আমরা করেছি, সেই দলীয় ভুল প্রকাশ করার জায়গা এটি না। আর এটা প্রকাশ করাও ঠিক হবে না। কিন্তু আমার তো কোনো ফোরাম নাই এবং দলে কোনো অবস্থান নাই। গত আট বছর দলে কোনো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়নি। কোনো নেতা নির্বাচিত হয়নি। কারণ, নেতা নির্বাচন করার সুযোগ নাই এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য রাখারও সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, আমার চোখ কান নষ্ট না। আমি কোনো বধির স্কুলে পড়ি না। তবে জাতির স্বার্থে কিছু কিছু কথা বলতেই হয়। তবে আমার দেশ সবার উপরে। আমার নেতা জিয়াউর রহমান বলেছেন দেশ সবার আগে। আমিও তাই মনে করি, সে জন্য দু-চারটি কথা বলছি। তবে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে।


বিএনপিতে সত্য কথা বলার মতো কোনো লোক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিতে সত্যি কথা বলার মতো লোক বিশেষ করে চেয়ারপারসনের সামনে সত্য বলার মতো লোক আমার সামনে পড়েনি। অনেক আগে সাইফুর রহমান সাহেব বলতেন; তিনি বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা। এছাড়া বাকি সবাই ইয়েস স্যার, রাইট স্যার বলা আর কিছু জানেন না। এই হলো বাস্তবতা।


২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করার দরকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগের অবস্থা লেজে-গোবরে ছিল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য। কখন একজন এ আহ্বান জানায়? কারা এ ধরনের আহ্বান জানায়? আমরা সেই অবস্থার ফায়দা নিতে পারিনি। যে পথ অনুসরণ করেছি, সেই যে রাজপথে গেছি এখনো সেই রাজপথেই আছি।


হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সে নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার চিন্তা করব। তবে বিএনপির আগামী জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া উচিত। দলে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন, তারা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাস্তবতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প খোঁজা উচিত। আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের সরকার কিছুই না।


দেশের সহিংসতা তরুণ-কিশোরদের ওপর প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রতিদিন টেলিভিশনে দেখি বাস জ্বলছে। সেটা আওয়ামী লীগের ক্যাডারও জ্বালাতে পারে আবার বিএনপির থেকেও জ্বালাতে পারে। অথবা অন্য কেউ। তবে এর দায় সম্পূর্ণ বিএনপির ওপর এসে পড়ছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দেশের অভিভাবক হিসেবে সব সমস্যার সমাধান খোঁজা উচিত।


হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, আমি মনে করি বিএনপি এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলই ক্ষমতায় আসবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনে আদায় করতে জানতে হবে। শুধুমাত্র রাজপথে স্লোগান দিলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে বাড়ি যাবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক কানেকশন খুবই দুর্বল। সে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য নেতৃবৃন্দ তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। অনেক সময় রাষ্ট্রদূতের কথাবার্তা এক পেশে মনে হয় এবং সেটারও কোনো বেনিফিট বিএনপি নিতে পারেনি। তবুও এখন বিএনপির উচিত কীভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যাওয়া যায়। আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে মাঠে থাকবে।

  

আগামী নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইনমন্ত্রণালয় একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, তবে এটিও দিনের আলোর মতো সত্য যে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও হবে না এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের অধীনেও হবে না।


রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ অবসরে যাওয়ার বিষয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। এখন আমার প্রায়োরিটি হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ করা এবং চিকিৎসা করা। রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ এখন আর আমার অবশিষ্ট নেই।

 

গতকাল তথ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির মধ্যে একেবারেই একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গত কয়েকদিন ধরে কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতি শীঘ্রই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কারণে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়নি। মোট কথা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। এমন এক সময় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি একটি নতুন দল করতে যাচ্ছি। যা একদমই সঠিক নয়। আমি এখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি ৩১ বছর ধরে বিএনপির সদস্য।


তিনি আরও বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র ও ভুল বোঝাবুঝিকে আমার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আর বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছে আমার নেত্রী। তিনি যতদিন সুস্থ ছিলেন আমার কোনো সমস্যা ছিল না। এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন আমার করতে হয়নি। আমি কমফোর্টেবলি জনগণের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা ক্ষমতায় থেকে বা বিরোধী দলে থেকেই হোক না কেন। তবে দুঃখের বিষয় বিগত দুবার নিজের ভোটটাও দিতে পারিনি।


২০১৮ সালের নির্বাচনে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তারপর যখন আমি পুলিশ প্রোটেকশনে আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলাম তখন আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা আমার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখেছিল। যে কারণে সেবার আমি নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা ওইদিন আমাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি একটা মামলা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা। এমন অভিজ্ঞতা আমার মতো আরও অনেক বিরোধী দলের নেতার আছে। এরপর নির্বাচন থেকে সরে আসার পর আমার দলকে নাকি ৮০টি আসন দেবে নির্বাচনের পরে। আমি এই খবরও জানি না, আর এই ৮০ জনের মধ্যে আমি নিজেও ছিলাম না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর ২০২০ সালে আমার দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তখন আমার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ ছিল। আমি দলে সক্রিয় না, দলের কোনো কাজ করি না, সংস্কারপন্থী, আমি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করি। এ ধরনের আজগুবি ১১টি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল- আমি শওকত মাহমুদের সঙ্গে বিজয় নগরে সরকার বিরোধী মিছিল করেছি। আমরা বিরোধী দল সরকার বিরোধী মিছিলে অংশগ্রহণ করতেই পারি। তবে আমি এই মিছিলে কখনোই ছিলাম না। এসবে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করিনি। তখন আমি শো-কজের লিখিত জবাবও দিয়েছি। তবে আমার বক্তব্যের জবাব দল থেকে পাইনি। 


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩