Logo
শিরোনাম

উপজেলা নির্বাচন: ইসির মণিটরিং সেল গঠন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সদরুল আইন:

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সেলটির নেতৃত্বে দেবেন স্মার্টকার্ড তথা আইডিইএ-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। ৫ জুন ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে এ সেল নির্বাচন ভবন থেকে পরিচালিত হবে।

আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলটিতে জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা; পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (এসপি) /অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।

বিজিবি/কোস্টগার্ড/র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) আনসার ও ভিডিপির উপপরিচালক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তা থাকবেন।

মনিটরিং সেল নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে। সেইসঙ্গে সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে কমিশনকে জানাবেন।

 


আরও খবর



২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করবে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলী নেওয়াজ বলেন, আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব। ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করতে পারব। যারা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা মাঠের যে জনবল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

তিনি আরও বলেন, ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটি আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব। জনগণ এটা দেখার সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন তাহলে তাদের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা করা হবে। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ কাজ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। এটাকে আমরা চব্বিশের হালনাগাদ ও পঁচিশের ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য করব।

আগাম এক বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুধু পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করব না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করব। তাদের আমরা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করব। তবে তারা পঁচিশ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন না।

দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।


আরও খবর



জবির প্রধান ফটকে ৩ দাবিতে তালা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন।

আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেনি তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলানোর ফলে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রয়েছে।

জবি শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



বেড়েছে সরবরাহ, সবজির বাজারে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভরা মৌসুমে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের সবজির। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাক-সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বেশির ভাগ সবজি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচা বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শীতকালীন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। কিন্তু দাম কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজারে মানভেদে শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ঢেরস ৮০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক ১০, পুঁই শাক ৪০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, এখন সবজি কিনে খুব স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাচ্ছে। দীর্ঘদিন পর হলেও বাজারে সবজি কিনে স্বস্তি মিলছে। তবে দু-এক বছর আগে শীতের সময় সবজির দাম আরও কম থাকতো। তারপরেও কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কমাটাই স্বস্তির বিষয়।

খিলগাঁও বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাব্বি বলেন, বাজারের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং কিছু সবজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি সবজির দামি অনেকটাই কমেছে। এই বিক্রেতার দাবি, সবজির দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি। সবজি সরবরাহ বাড়ার কারণে বিক্রি অনেক কমেছে। একই কথা বলেছেন এই বাজারের আরও কজন বিক্রেতা। তবে রাজধানীর অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সবজির দাম কমায় ক্রেতারা এখন সেসব সবজি বেশি করে কিনছেন। রামপুরা, মালিবাগ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আগে এক আইটেমের সবজি যদি পাঁচ কেজি বিক্রি হতো, এখন সেটা ৮-১০ কেজি বিক্রি হয়। এতে তারাও লাভবান হচ্ছেন।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

'নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে' স্লোগানে নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে মাদক বিরোধী প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগাঁ শহরের পুরাতন কালেক্টরেট চত্বর মুক্তমঞ্চে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক লোকমান হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম আশিফ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা ডিবেট ক্লাবের সভাপতি তানজিম বিম বারী, রিফাত বিন রাজীব ও রাশবদ আনজুম তন্ময় সহ অন্যরা। মর্ডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন, নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম।

আয়োজকরা জানান, বির্তক প্রতিযোগীতা প্রথম পর্যায়ে চারটি স্কুল অংশ নিয়ে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং নওগাঁ জিলা স্কুল বাছাই করা হয়। এরপর চুড়ান্ত পর্যায়ে ‘ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিমুখিতাই তরুণ তরুণিদের মাদকাসক্তির প্রধান কারণ’ বিষয়ে পক্ষে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুলের মধ্যে বিকর্ত হয়। বিপক্ষে নওগাঁ জিলা স্কুল বিজয় এবং রানাস আপ হয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় ফরহান সাদিক। শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন।


আরও খবর