Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

উপকূলে আঘাত হানল ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


বঙ্গোপসাগরের প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলে আঘাত হেনেছে। রোববার (২৬ মে) রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। 


ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে সরে এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। 



আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক শামীম আহসান এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের প্রতিটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। 



গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়। আজ সকালে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।


 উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলোতেও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় ছিল।


এর পাশাপাশি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোও এই মহাবিপদসংকেতের আওতায় ছিল। 



আরও খবর



নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাযির-নাযির প্রসঙ্গ

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

প্রচারেঃ-মোতালিব শেখ আল মাইজভান্ডারি

ক. হাযির-নাযির বলতে কী বুঝায় ?

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ,,,,,,,,,,,,,,,, 

‘হাযির’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- সামনে উপস্থিত থাকা, অনুপস্থিত না থাকা। ‘নাযির’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো- দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি, দ্রষ্টা, চোখের মণি, নাকের রগ, চোখের পানি ইত্যাদি। আর হাযির ও নাযির-এর পারিভাষিক র্অথ হলো- 

(১) পবিত্র ক্ষমতা সম্মপন্ন ব্যক্তি একই স্থানে অবস্থানপূর্বক সমগ্র জগতকে নিজ হাতের তালুর মত দেখা। 

(২) দূরে-কাছের আওয়াজ শুনতে পারা, অথবা এক মুহুর্তে সমগ্র ভ্রমণ করার ক্ষমতা রাখা। অনেক দূরে অবস্থানকারী বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করতে পারা। এক্ষেত্রে আসা-যাওয়া রুহানীভাবে অথবা রুপক শারীর নিয়ে বা আসল দেহ নিয়ে হতে পারে। 

উদাহরণ স্বরূপ দেখুন হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন-


حَيَاتِي خَيْرٌ لَكَمْ تُحْدِثُونَ وَيُحَدَثُ لَكَمْ، وَوَفَاتِي خَيْرٌ لَكَمْ تُعْرَضُ عَلَيَّ أَعْمَالُكُمْ، فَمَا رَأَيْتُ مِنْ خَيْرٍ حَمَدَتُ اللَّهَ عَلَيْهِ، وَمَا رَأَيْتُ مِنْ شَرٍّ اسْتَغْفَرْتُ اللَّهَ لَكَمْ -  


‘‘আমার হায়াত তোমাদের জন্য উত্তম বা নেয়ামত। কেননা আমি তোমাদের সাথে কথা বলি তোমরাও আমার সাথে কথা বলতে পারছ। এমনকি আমার ওফাতও তোমাদের জন্য উত্তম নেয়ামত। কেননা (আমার ওফাতের পর) তোমাদের আমল আমার নিকট পেশ করা হবে এবং আমি তা দেখবো। যদি তোমাদের কোন ভাল আমল করতে দেখি তাহলে আমি তোমাদের ভাল আমল দেখে আল্লাহর নিকট প্রশংসা করবো, আর তোমাদের কোন মন্দ কাজ দেখলে আল্লাহর কাছে (তোমাদেও পক্ষ হয়ে) ক্ষমা প্রার্থনা করবো।’’ 

🔴(ক.বায্যার, আল-মুসনাদ, ৫/৩০৮পৃ. হাদিসঃ ১৯২৫, সুয়ূতি, জামিউস সগীর, ১/২৮২পৃ. হাদিসঃ ৩৭৭০-৭১, ইবনে কাছির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৪/২৫৭পৃ. মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১১/৪০৭পৃ. হাদিসঃ ৩১৯০৩, ইমাম ইবনে জওজী, আল-ওফা বি আহওয়ালি মোস্তফা, ২/৮০৯-৮১০পৃ., ইবনে কাছির, সিরাতে নববিয়্যাহ, ৪/৪৫পৃ.)


এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল নবীজি (ﷺ) আমাদের ভাল, মন্দ সব কিছুই দেখতেছেন এবং দেখতে থাকবেন। 

ইমাম নুরুদ্দীন ইবনে হাযার হাইসামী (رحمة الله) বলেন-

 رَوَاهُ الْبَزَّارُ، وَرِجَالُهُ رِجَالُ الصَّحِيحِ. 


‘‘হাদিসটি ইমাম বাযযার (رحمة الله) বর্ণনা করেছেন আর সনদের সমস্ত রাবী বুখারীর সহিহ গ্রন্থের ন্যায় বিশুদ্ধ।’’ 

🔴(ইমাম হাইসামী, মাযমাউয যাওয়াইদ, ৯/২৪পৃ. হাদিস নং. ১৪২৫০, মাকতুবাতুল কুদসী, কায়রু, মিশর।)

━━━━━━━━━━━━━━━━

খ. হাযির-নাযির আল্লাহ না রাসূল?


আল্লাহকে হাযির-নাযির বলা যাবে না। আহলে হাদিসদের মতো আল্লাহ আরশে আযীমে সমাসীনও বলা যাবে না। কেননা আল্লাহ স্থান কাল থেকে মুক্ত। মহান আল্লাহ সমস্ত জগত বেষ্টন করে রয়েছেন; তাকে কোন সৃষ্টি বেষ্টন করতে পারে না।


 মহান রব পবিত্র কুরআনে বলেছেন-

إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُحِيطٌ


 ‘‘নিশ্চয় তিনি সব কিছুকে বেষ্টন করে আছেন।’’

(সুরা হা-মীম সিজদাহ, ৫৪) 

অনেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হাযির নাযির অস্বীকার করতে গিয়ে বলেন হাযির নাযির আল্লাহর গুণ। কিন্তু আহলে হাদিসদেরই মাযহাব আল্লাহ সব জায়গায় হাযির-নাযির নয়; বরং আরশে সমাসীন কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাযির-নাযির অস্বীকার করতে গিয়ে তাদের  নিজস্ব মতবাদ ভুলে যান। আর দেওবন্দীরা তাদের বিভিন্ন আক্বায়েদের কিতাবে লিখে থাকেন যে, আল্লাহ স্থান, কাল, আকার, আকৃতি থেকে মুক্ত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাযির-নাযির অস্বীকার করতে গিয়ে তারা আবার বেঁকে বসে এবং মুতাযিলা ও ক্বাদরিয়া ফিরকার আক্বিদা পোষণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তারও আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের অনুসারী বলে দাবী করে। ইমাম জুরজানী (رحمة الله) বলেন- 

 أنه تعالى ليس في جهة، ولا في مكان. 


-‘‘মহান আল্লাহ কোনো দিকে বা স্থানে নন।’’ 

🔴(ইমাম জুরজানী, শরহুল মাওয়াকিফ, ২/৫১-৫২পৃ., সাফর বিন আবদুর রাহমান আল-হাওলী, মিনহাজুল আশাইরাহ, ৭৯পৃ. (শামিলা))


ইমামে আহলে সুন্নাহ আবূ মানসূর মাতুরিদী 🔴(ওফাত.৩৩৩হি.) বলেন-


 وقالت القدرية و المعتزلة أن الله تعالى فى كل مكان 


-‘‘বাতিল ফিরকা মুতাযিলা ও ক্বদরিয়াগণ বলেন, আল্লাহ সব স্থানে উপস্থিত।’’ 

🔴(ইমাম মাতুরিদী, শরহুল ফিকহুল আকবার, ১৯পৃ.)


ইমাম ইবনে জারীর আত্-তবারী (رحمة الله) বলেন-


لا يتمكن في كلّ مكان.-


‘‘তিনি সব স্থানে নন।’’ তাই আমরা কী বলবো সে প্রসঙ্গে 

🔴(ইমাম তবারী, তাফসীরে তবারী, ৬/২১০পৃ.)


ইমাম কুরতুবী আন্দুলুসী (رحمة الله) বলেন- 


وأنه في كل مكان بعلمه،-


‘‘নিশ্চই মহান রবের জ্ঞান সকল স্থানে উপস্থিত।’’ 🔴(ইমাম কুরতুবী, হিদায়া ইলা বুলুগুল নিহায়া, ১/১২পৃ.)


শায়খ আহমাদ বিন উমর মাসআদ হাযামী তার شرح كتاب التوحيد. কিতাবের ৫৩/৮পৃষ্ঠায় (শামিলা) উল্লেখ করেন-


 اعتقد أن الله تعالى في كل مكان هذا كفر أكبر، -‘


‘কেউ যদি আক্বিদা রাখে আল্লাহ সবখানে (হাযির-নাযির) এই ধারণা কুফুরে আকবার।’’ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আকায়েদের ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (رحمة الله) 

🔴(ওফাত. ৩২৪হি.) তার الإبانة عن أصول الديانة গ্রন্থের ১০৯ পৃষ্ঠায় (যা দারুল আনসার, কায়রু মিশর হতে ১৩৯৭ হিজরীতে প্রকাশিত) লিখেন-


 وزعمت المعتزلة والحرورية والجهمية أن الله تعالى في كل مكان، -

‘‘ মুতাযিলা, হারুরিয়াহ এবং জাহমিয়্যাহ বাতিল ফিরকার লোকেরা বিশ্বাস করে আল্লাহ সকল স্থানে (হাযির-নাযির) আছেন।’’ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ)-এর ছেলে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ হাম্বল (ওফাত. ২৪১হি.) তিনি তার  الرد على الجهمية والزنادقة  কিতাবের ১১৪ পৃষ্ঠায় এ আক্বিদা পোষণ কারীদের খন্ডনে একটি শিরোনাম করেন এ নাম দিয়ে 

الرد على الجهمية في زعمهم أن الله في كل مكان -


‘‘আল্লাহ সকল স্থানে (হাযির-নাযির) আছেন জাহমিয়্যাহ ফিরকার বাতিল আক্বিদার খন্ডন।’’ 


আকায়েদবিদ ইমাম ত্বাহাবী (رحمة الله) বলেন-


مُحِيطٌ بِكُلِّ شَيْءٍ وَفَوْقَهُ وَقَدْ أَعْجَزَ عَنِ الإحاطة خلقه


-‘‘প্রত্যেক বস্তুই তাঁর পরিবেষ্টনে রয়েছে এবং তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর সৃষ্টিকুল তাঁকে পরিবেষ্টনে অক্ষম।’’ 

🔴(ইমাম তাহাভী, আক্বিদাতুল তাহাভী, ৫৬পৃ. ক্রমিক. ৫১, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৪হি.)


আর এজন্যই আল্লাহ তা‘য়ালার একটি নামই হল মুহিত বা পরিবেষ্টনকারী অর্থাৎ তিনি সকল সৃষ্টিকে বেষ্টন করে রয়েছেন। ইমাম ত্বাহাবী (رحمة الله) তাঁর এ কিতাবের অন্যত্র বলেন-

لَيْسَ فِي مَعْنَاهُ أَحَدٌ من البرية وَتَعَالَى عَنِ الْحُدُودِ وَالْغَايَاتِ وَالْأَرْكَانِ وَالْأَعْضَاءِ وَالْأَدَوَاتِ لا تحويه الجهات الست كسائر المبتدعات  

‘‘আল্লাহ তা‘য়ালার গুণে সৃষ্টি জগতের কেহ নেই। তিনি সীমা, পরিধি, অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং উপাদান উপকরণের ঊর্ধ্বে। সৃষ্টি জগতের ন্যায় ছয় দিকের কোন দিক তাকে বেষ্টন করতে পারে না।’’

🔴(ইমাম তাহাভী, আক্বিদাতুত তাহাভী, ৪৪পৃ. ক্রমিক. ৩৮, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪১৪হি.)

 তাই প্রমাণিত হল আল্লাহকে হাযির-নাযির বলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মতে কুফুরী।


আরও খবর

কারবালার ৭২ জন শহীদের নাম

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫




৬ বছরেরও প্রত্যাহার হয়নি ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক মোস্তফার ৬ মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

মেজবাহ আজাদ :

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি খুনী ওসি প্রদীপ কুমার দাসের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীন ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। 

অবিলম্বে সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। গত ১৫ মে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচার বিভাগ আন্তরিক হলেই কেবল মামলা গুলো প্রত্যাহার করতে পারে। একই সাথে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা এবং চিকিৎসা খরচ বহনের ব্যাপারেও আদালত আদেশ দিতে পারেন। আমরা আশা করছি, সরকার দ্রুত মামলা গুলো প্রত্যাহার করা হবে। 


বিগত ৫ বছর আগে জামিনে কারামুক্তির পর এবং এর আগে পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, ডিসি, এসপি সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করা হলেও রহস্যজনক কারণে তা ঝুলে আছে, প্রত্যাহার হয়নি মামলা। শুধু আবেদনের রিসিভ কপি আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া এই মুহূর্তে ফরিদুল মোস্তফার আর কিছুই নেই।


ফরিদ মোস্তফা বলছেন, ওসি প্রদীপের মৃত্যুদন্ডাদেশ একটি যুগান্তকারী রায়। তবে প্রদীপের মামলার বোঝা আর সইতে পারছিনা। মামলা ও চিকিৎসা চালাতে আর্থিক দৈন্যদশায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। আমি পরিত্রাণ চাই, আমাকে উদ্ধারে দেশের সকল সাংবাদিক বন্ধুদের পাশে চাই । 


সূত্রমতে, বিচার বহির্ভুত মানুষ হত্যা, উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি মাদকের গডফাদর আবদুর রহমান বদি, ওসি প্রদীপ এবং তার লালিত মাদক ঘুষ সিন্ডিকেটের মাদক নির্মুলের নামে নিজেদের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে "টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ" শিরোনামে ২০১৯ সালে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি তৎকালীন কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়েন। ফলে সেই সময়ে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে দেখা করে জীবনের নিরাপত্তা এবং মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে আবেদন করেন ফরিদুল।


কিন্তু দুর্ভাগ্য জুলুম নির্যাতন হয়রানি থেকে  রেহাই পাওয়াতো দুরের কথা ফরিদুল মোস্তফা কে বিনা মামলায় ঢাকা থেকে ওসি প্রদীপের টেকনাফ থানা পুলিশ তুলে এনে ২০১৯ সালে কয়েক দিন আটকে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজীর ৬ সাজানো মামলা দিয়ে চালান দেন আদালতে।


তবে আশ্চর্যের বিষয় ঐ সময়ে ওসি প্রদীপের ভয়ে ফরিদ মোস্তফার ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং ৬টি মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, গ্রেফতারের খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচারের সাহস পায়নি। কারাবন্দী ঘটনার সাড়ে ১০ মাস পর বিষয়টি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। তখন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে ঢাকা থেকে সাংবাদিকদের ৭ সদস্যের একটি টিম কক্সবাজারে যান। সেখানে গিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের পাশাপাশি  সংগঠনের আইন উপদেষ্টা পরিষদ ও শাখা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে বৈঠক করে আইনী লড়াইয়ে নামে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। 


বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আইনী লড়াইয়ে তিনি টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান । অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে বের হবার পর চিকিৎসার জন্য বিএমএসএফ তাকে এক লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে।  


এদিকে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ফরিদ মোস্তফা একটি মামলা দায়ের করলে গত ৫ বছর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি।


আরও খবর



রাণীনগরে মাদক সেবি তিন জনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে মাদক সেবি তিনজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম প্রহর রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার রেল গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রত্যেককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। কারাদন্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান

আদালতের বিচারক শেখ নওশাদ হাসান জানান,মাদক সেবন করে মাতাল হয়ে হাতুড়ি,¯øাইরেঞ্জ নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাপুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার প্রথম প্রহর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রেলগেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভরতেতুঁলিয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্রের ছেলে দুর্জয় চন্দ্র (২০),একই গ্রামের হেলাল উদ্দীনের ছেলে আশিকুর রহমান (২৬) ও বাচ্চু আলীর ছেলে মানিক হোসেন (২৬) কে হাতে-নাতে ধরা হয়। এসময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মাদক সেবনের দায়ে তিন জনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,দন্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

পটপরিবর্তনে হু হু করে বাড়ছে দলের সংখ্যা। নতুন করে আরও ১৪৭টি রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে। এসব দল তাদেরকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে।

এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত সেই সময় শেষ হয় গত রবিবার।

এদিকে রবিবার নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জনতার পার্টি বাংলাদেশসহ (জেপিপি) বেশ কিছু দল ইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে।

আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতীক ও দলের নাম উল্লেখ করে দলগুলোর নেতারা দাবি করছে ইসির সব ধরনের শর্তপূরণ করেই নিবন্ধন আবেদন করা হচ্ছে। তাদের দল নিবন্ধন পাবে বলে তারা আশাবাদী।

নির্বাচন ভবনে আবেদন জমা দিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বলেছি আমরা সকল শর্তাবলি এবং সকল আইন পর্যালোচনা করেই আবেদনটি করেছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। প্রত্যাশা করব যে উনারা নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী উনারা উনাদের কার্যক্রম সম্পাদন করবে। সেক্ষেত্রে এনসিপি যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের বা কোনো ধরনের অবিচারের শিকার না হয়। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা আশাবাদী দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধন পাবে। নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাবে।

আবেদন জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে সেগুলো পালন করা খুব কষ্টকর। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের এ বিধিমালার কিছু কিছু বিধিমালা সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছে। এ প্রস্তাবগুলো কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি এবং আমরা আশা করি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাবো।


আরও খবর



‎রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানীর ২০তম ইনস্টলেশন ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:‎

‎"রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানী টাংগাইল" এর ২০তম ক্লাব ইনস্টলেশন সেরেমনি ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎বৃহস্পতিবার(৩ জুলাই)  সন্ধ্যা ৭ টায় টাংগাইল জেলার ভিক্টোরিয়া ফুড জোন এন্ড পার্টি সেন্ট্রারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানী টাংগাইল কর্তৃক এই প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

‎ভিক্টোরিয়া ফুড সেন্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত বোর্ড মেম্বারদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় এবং বিদায়ী কমিটির কার্যক্রমের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রোটারিয়ান অধ্যাপক ডা. রতন চন্দ্র সাহা বলেন, "গত এক বছরে রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অসাধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। কমিউনিটি সার্ভিস, ক্যারিয়ার গাইড, আরও নানা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই মিলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আপনারা সত্যিই এই ক্লাবের সুনাম অটুট রেখেছেন।"

‎অনুষ্ঠানের সভাপতি পলাশ হোসেন বলেন, "আজকের দিনে, নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচয় ও উত্তীর্ণদের স্বীকৃতি, পুরস্কার বিতরণ ও বরণীয় মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরবে আমাদের ভবিষ্যত পথচলার মানচিত্র। আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও উৎসাহ নিয়ে  প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা আগামী বছর এই ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।"

‎প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, "আমরা গত এক বছরে অনেক কিছু অর্জন করেছি—সেবামূলক কর্মকাণ্ড, মিলনমেলা ও উঠতি প্রজন্মের জন্য নানা উদ্যোগ। আজকের এই আয়োজন আমাদের পুরনো সাফল্যকে স্মরণ করে নতুন সংস্কৃতি ও দায়িত্বের অঙ্গীকার করে।"

‎এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রোটারিয়ান মেজবাহ উদ্দিন, সাব্বির আহমেদ পল, হামিদুল হক চৌধুরী শেলি এবং ক্লাব এডভাইজর অধ্যাপক ড. পিনাকী দে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রোগ্রামে ক্লাব ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করেন পিডিআরআর মোস্তাফিজুর রহমান।

‎অনুষ্ঠানে বক্তারা রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম, নেতৃত্ব বিকাশ ও যুবসমাজকে ইতিবাচক পথে পরিচালনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও, বিগত বছরে ক্লাবের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং আগামী বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।

‎পরবর্তীতে সাকিব হাসান খানের নেতৃত্ব নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


আরও খবর