Logo
শিরোনাম

উরুগুয়েকে বিদায় করে ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গী কলম্বিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে এবারের কোপা আমেরিকায় দাপুটে ফুটবল খেলেছে উরুগুয়ে। গ্রুপপর্ব থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেমিফাইনালে জায়গা করেন নেয় দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারানো ফেদে ভালভার্দেরা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল কলম্বিয়ার বিপক্ষে। জেমস রদ্রিগেজদের বিপক্ষে এই ম্যাচটিতে মুহূর্মুহু ছড়িয়েছে উত্তাপ, দুই দলই ফাউল করায় বারবার কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারিকে। দুই দলের ম্যাচটিতে আজ প্রথমে গোলের দেখা পেয়েছে কলম্বিয়া, তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ দশজনের দলে পরিণত হলেও আর গোল শোধ করতে পারেনি বিয়েলসার শিষ্যরা। ফলে ১-০ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে কলম্বিয়ার।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নেমে আজ শুরু থেকেই সমানে সমান লড়াই করেছে দুই দল। ম্যাচে ৬ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। তবে জন অ্যারিসের নেয়া শট ঠিকানা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। এরপর মিনিট দশেক পর আরও একটিই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জেফারসন লার্মা।

এদিকে কলম্বিয়ার বিপক্ষে আজ উরুগুয়ে প্রথম আক্রমণে যায় ম্যাচের ১৭ মিনিটে। তবে ডারউইন নুনিয়েজের নেয়া শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর ২৩ মিনিটে আরও একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন লিভারপুলের এই তারকা ফুটবলার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমে আজ লক্ষ্যভেদ করার আরও বেশ কয়েকটি সুযোগই পেয়েছিলেন তিনি, তবে দলকে এগিয়ে দিতে পারেননি।

এদিকে ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম লাল কার্ড দেখেন উরুগুয়ের নিকোলাস দে লা ক্রুজ। এর মিনিট পাচেক পর কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরে বিরতিতে যাওয়ার আগে যোগ করা সময়ে আরও একবার কার্ড দেখায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে এর আগেই লিডে দেখা পায় কলম্বিয়া। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় ৬ গজ বক্সের বা দিক থেকে লার্মার করা হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে পায় বল।

এদিকে প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়া কলম্বিয়া দ্বিতীয়ার্ধে খেলেছে দশজনের দল নিয়ে। তবে খর্বশক্তির প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও আর গোল করতে পারেননি সুয়ারেজরা। এক গোলের লিড পাওয়া কলম্বিয়া দশজনের দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণেই মনোযোগী থেকেছে বেশি। ফলে বারবার আক্রমণে গিয়েও জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে।

এদিকে উরুগুয়ের একের পর আক্রমণের মাঝেই পালটা আক্রমণে উরুগুয়ের রক্ষণে ভয় ধরিয়েছে কলম্বিয়া। তবে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর গলের দেখা পায়নি কলম্বিয়া। এদিকে সুয়ারেজরা শেষ পর্যন্ত গোল করতে না পারায় ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া।


আরও খবর



ফুলবাড়ী সীমান্তে ৫ টি স্বর্ণের বার সহ এক চোরাকারবারী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ৫টি স্বর্নের বার ভারতে পাচারকালে এক চোরাকারবারী কে হাতেনাতে আটক করেছে গংগারহাট বিজিবি।যার আনুমানিক মূল্য ৬৭ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি।

গংগারহাট বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার আব্দুল মালেক জানান, সোমবার (৩০) সেপ্টেম্বর সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিদ্যাবাগিস সীমান্তে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩৭ নং এর পাশ দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান ভারতে পাচারের জন্য চোরাকারবারীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে।এমনি খবরে বিজিবির সদস্যরা ঐ সীমান্তে অবস্থান নেয়। এমতাবস্থায় মটরসাইকেল যোগে এক ব্যক্তি ওই সীমান্তে পৌঁছা মাত্র বিজিবির সদস্যদের সন্দেহ হলে তার মোটরসাইকেল আটকানো হয় পরবর্তীতে মোটরসাইকেল পেলে পালানোর চেষ্টা করলে পরে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে। পরবর্তিতে তার শরীর তল্লাশি করে তার অন্তর্বাসের পকেটে কসটেপ দিয়ে মোড়ানো দুইটি প্যাকেটের ভিতর ৫ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।যার আনুমানিক মূল্য ৬৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪০৩ টাকা।আটককৃত ঐ সোনা চোরাকারবারী ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর কাশেম বাজার এলাকার মৃত,সফর উদ্দিনের ছেলে, মোঃ সহিদুল ইসলাম (৫২)।

এব্যাপারে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীনে 

কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে আসামি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়ন বিজিবিতে রয়েছে হয়তো অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করা হবে।


আরও খবর



কমলনগরে মাছঘাট দখল-চাঁদাবাজিতে পদ হারালেন যুবদল নেতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাছঘাট দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের সদস্য পদ থেকে হেলাল উদ্দিন নামে এক নেতাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার  (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে জেলা যুবদলের সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শামছুল আহসান মামুন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

হেলাল কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হেলাল সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)। তিনি যুবদল নেতা পরিচয়ে জোরপূর্বক মাতাব্বরহাট মাছঘাটের বাক্স দখল করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জেলে-আড়তদারদের কাছে চাঁদা দাবি ও হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বহিস্কারাদেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় নির্দেশনা ভঙ্গ, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অপরাধ কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে হেলালকে দলের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। জেলা যুবদলের আহবায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন ও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন।

বহিস্কৃত যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, কি কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে তা আমার জনা নেই। জেলা নেতারা কোথায় আমার ত্রুটি বিচ্যুতি পেয়েছেন তাও কিছু জানি না।

জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের কোন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলালকে বহিস্কার করা হয়েছে।ব্যক্তির অপরাধের দায়ভার দল নেবে না। বহিস্কৃতদের সঙ্গে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।



আরও খবর



ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬৭, মৃত্যু ১

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩৪২ জনে। এসময় নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এসময়ে নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০৬ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, খুলনা বিভাগে ১০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৯ হাজার ৩৪২ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ১০৭ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান


আরও খবর



চিকিৎসা সেবায় পাল্টে গেছে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

গ্রামীণ জনপদে সেবার এক অনন্য রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।


সার্বিক অবকাঠামোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, নিয়ম শৃঙ্খলার উন্নতি ও সেবার মানে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হাসপাতালটির সেবা নিয়েও এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট।


জানা গেছে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট -১৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ০৪ জন কনসালটেন্ট ও ২৫ জন নার্স নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন।


 উপজেলার বিভিন্ন এলাকা  থেকে আসা প্রতিদিন ৫০০-৬০০ জন রোগী সেবা নিচ্ছেন। জরুরী বিভাগে প্রতিদিন ১০০-১৫০ জন রোগী সেবা নিয়ে থাকে।


 প্রতিমাসে প্রায় ০১-০৮ জন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি করা হয়। সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয় ০১-০৩ জনকে। 


এ ছাড়াও জরুরী প্রয়োজন বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ডেলিভারী ব্যবস্থা চালু রয়েছে। 


 নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। 


স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, হাসপাতালটিতে সেবার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন।


তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের খাবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সুবিধা-অসুবিধা, ফুল-ফলাদির বাগানসহ সার্বিক বিষয়ে নানা মুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া এলাকা থেকে  চিকিৎসা নিতে আসা শাহাদুল ইসলাম বলেন, এক সময় নিয়মিত চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যেত না । এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসক রয়েছেন, আমরাও উন্নত মানের সেবা পাচ্ছি। বিনামূল্যে ওষুধ দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ডা.আজিজ নাদিম বলেন, প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা বিভিন্ন ধরনের রোগীকে আমরা যত্নসহকারে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছি। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কিভাবে আরো সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়েও প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। 


সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সৃজনশীল ভাবনা, শৃঙ্খলা ও যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 


এদিকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যানুযায়ী,  চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আউটডোরে ৯৬ হাজার ৯২৪ জন ও হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ৫০০ জনকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোট ৩১২ জনকে ডেলিভারী করা হয়েছে। এর মধ্যে নরমাল  ৩০০ জন ও সিজারিয়ান ডেলিভারী ১২ জন। 


আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নত করতে আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।


এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মন  বলেন, রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক-নার্স সকলেই নিরলস ভাবে কাজ করছি,বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে জেনারেটর চালু রাখতে হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে জেনারেটরের তেল বরাদ্দ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।


আরও খবর



ফুলছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের গণ-সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ভারতে বিজেপি বিধায়ক কর্তৃক ইসলাম ও মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তির প্রতিবাদ, ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ফুলছড়িতে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফুলছড়ি উপজেলা শাখার আয়োজনে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার বিকেলে থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 


মোঃ সায়েম সেক্রেটারি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার, সঞ্চালনায়:

হাফেজ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এম.এ (কামিল): সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ফুলছড়ি থানা শাখার সভাপতিত্বে :সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ সভাপতি,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে গাইবান্ধা জেলা শাখা, সমাবেশে প্রধান মেহমান:হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি আল আমিন বিন হুসাইন সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


সমাবেশে প্রধান বক্তা: হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ

সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গাইবান্ধা জেলা শাখা। 


উক্ত গণ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন:

হাফেজ মাওলানা শাহিন সরকার সভাপতি , ইসলামী যুব আন্দোলন

ফুলছড়ি উপজেলা শাখা, মেঃ হারুন-অর-রশিদ সেক্রেটারি  ইসলামী যুব আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ বেলাল হোসাইন সভাপতি,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি  উপজেলা শাখা,

মো:মাহফুজ সরকার রাকিব সাধরণ-সম্পাদক ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা,হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন সভাপতি, মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শখা,হাফেজ মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাধারণ-সম্পাদক মুজাহিদ কমিটি ফুলছড়ি উপজেলা শাখা।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের ফুলছড়ি উপজেলার সাত ইউনিয়নের সভাপতি সেক্রেটার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


উক্ত গণ-সমাবেশে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে ইসলামিক আন্দোলনের বক্তারা বলেন আপনারা দলে দলে যোগদান করে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন মুক্তির মূলমন্ত্র ইসলামী শাসনতন্ত্র, নেতা নয় নীতি চাই-পীর সাহেব চরমোনাই। সব মার্কা দেখা শেষ, হাত পাখার বাংলাদেশ। যোগ্য নেতা পাইছি ভাই-পীর সাহেব চরমোনাই। গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান (বিএসসি) সেক্রেটারী ইসলামী অন্দোলন ফুলছড়ি উপজেলা শাখা গাইবান্ধা।


আরও খবর