Logo
শিরোনাম

ভালো ঘুম না হলে করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

কখনো কখনো মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ঘুম হচ্ছে না। এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। তবে এ থেকে পরিত্রাণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক খবরে বলা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ফলে মস্তিষ্কে উঁকি মারতে পারি আমরা। মাথার খুলির ওপর ইলেকট্রোড মস্তিষ্কের তরঙ্গ নথিভুক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে পেশির টান, নড়াচড়া ও নিশ্বাস-প্রশ্বাসও রেকর্ড করা হয়।

একজন মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার প্রতি ১০০ মিনিট পরপর শুরুতে কম গভীর, এরপর গভীর এবং শেষ পর্যায়ে স্বপ্নের ঘুমে আচ্ছন্ন হয়। প্রতি একরাতে এ রকম চক্রের কয়েকবার পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে।

ঘুম বিজ্ঞানী আলিনে লিপ্স বলেন, ভালো ঘুম ও খারাপ ঘুমের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার জন্য শেষে এক হিপনোগ্রাম বিশ্লেষণ করা হয়। এতে গুমের ধরণ সম্পর্কে জানা যায়। রাতে ঘুমের পর্যায়ের ধরনও শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে রাতে গভীর ঘুমের পর্যায় কতটুকু যথেষ্ট ছিল, সেটি স্পষ্ট বোঝা যায়। হালকা ঘুমের জন্য শরীর চাঙা হয়ে না উঠলে, এর কারণ সম্পর্কেও জানা যায়। আর রাতে যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে দিনে এর প্রভাব পড়ে।

কোলবালিশ: অধিকাংশ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন। এ কারণে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশ কাত হয়ে থাকে। ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা দুই হাঁটুর মাঝে ছোট একটি বালিশ কিংবা কোল বালিশ রাখতে বলে থাকেন। এতে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না।

তোশকের অবস্থান পরিবর্তন করা: ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থান ঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে ঘুমানোর সময় তিন আঙুল পরিমাণ ব্যবধান থাকলে সেটি আরামদায়ক হয় না। এ কারণে প্রতি ছয় মাসে একবার করে তোশক উল্টানো উচিত। আবার ঘাড়ে বা শরীরে যদি কখনো ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে তোশক উল্টিয়ে দেয়া ভালো।

আকস্মিক শব্দ: রাতে ঘুমানোর সময় কিছু শব্দ ঘুমে বাধা হতে পারে। যেমন হঠাৎ রেলগাড়ি বা উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানোর কিছু শব্দ। যদি এ শব্দ প্রতিদিন একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকে অভ্যস্ত হয়ে যান এর সঙ্গে। হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলেও ঘুম ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড চালানো। যাতে করে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়।

বাতি বন্ধ করা: রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের বাতি বন্ধ করা একটি জরুরি বিষয়। ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাতি নিভিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ রাখা উচিত।

অতিরিক্ত খাওয়া: গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত খাওয়ার পরে কখনোই ভালো ঘুম হয় না। কারণ, অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাকস্থলী এতটাই ভরা থাকে যে, মস্তিষ্ক তখন দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়ে থাকে।


আরও খবর

খালি পেটে গ্রিন টি নয়

রবিবার ২১ মে ২০২৩




রাস্তার ধারে পরেছিলো যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

বগুড়ায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

হত্যাকান্ডের শিকার যুবক সাইদুল ইসলাম ওরফে রাজিব (২৫) পেশায় একজন ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলাই কারুন্ডা পাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাধো'র ছেলে। 

মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনঞ্জুরুল আলম।

শনিবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন এর বেলাই মোলামগাড়ী মাঠে (রাস্তার ধারে) যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানিয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

হত্যাকান্ডের শিকার যুবকের স্ত্রী শাকিলা আক্তার সাংবাদিকদের  জানান, আমার স্বামী গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টারদিকে বাড়ি থেকে গ্রিলের কাজ করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। কিন্তু রাতেও স্বামী বাড়িতে না ফেরায় স্বামীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ কল ঢোকেনি। এরিমাঝে রাত পেরোতেই আজ সকাল সারে ৬টারদিকে লোকজন আমাকে জানায় যে আমার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে হত্যাকারিরা। আমি প্রসাশনের কাছে আমার স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার চাই। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবক সাইদুল নেশায় আসক্ত ছিলেন। তবে নেশা করানিয়ে ঝামেলা না অপর কোন কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা প্রশাসন উদর্ঘাটন পূর্বক জড়ীতদের যেন আইনের আওতায় আনেন। 

পুলিশ সুত্র জানায়, ঘটনাস্থল গ্রামের কাচা রাস্তায় যুবকের মৃতদেহ পড়ে ছিলো এবং প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে নিহত যুবকের পাজর ও কাঁধে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পরে থাকার খবর পেয়ে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও 

সিআইডি'র ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাটি উদর্ঘাটনে কাজ করছে।  এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনঞ্জুরুল আলম আরো বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং আইনানুগ কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ছাত্রকে পেটালেন এক শিক্ষক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোটার :

নওগাঁয় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ৮ম' শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রকে পিটিয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করলেন এক শিক্ষক। পরে ছাত্র ও তার অভিভাবকের কাছে নিজের ভুল শিকার করে গোপনে ঘটনাটি মিমাংসা ও করেছেন মারপিটকারি শিক্ষক।

শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ে। 

মারপিটের শিকার ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু মহাদেবপুর উপজেলার পাতনা গ্রামের আমিনুল ইসলাম এর ছেলে ও হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই জন শিক্ষার্থী জানান, ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার দুপুরে ৮ম' শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু (১৪) টিউওবয়েল পাড়ে গিয়ে পানি তুলে চোখমুখ ধোয়ার সময় পানি ছিটকে অপর শিক্ষার্থীদের শরীরে পরে। এসময় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান পানি ছিটানোর অপরাধে ক্ষিপ্ত হয়ে রুম থেকে বেত এনে নাহিদ ইসলাম ওরফে অপুকে বেদম মারপিট করেন।

মারপিটের শিকার ছাত্র নাহিদ ইসলাম ওরফে অপু'র দুলাভাই প্রতিবেদক কে রবিবার মুঠোফোনে কলদিয়ে জানান, একজন শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগড়। আর সেই জাতিগড়ার কারিগড় শিক্ষক নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে কোন ছাত্রকেই অমানবিক ভাবে মারপিট করতে পারেন না। মারপিটের ঘটনাটি অমানবিক। তিনি আরো বলেন, কিভাবে মারপিট করা হয়েছে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখলে যে কেউ হতবাক হবেন।


এব্যাপারে বক্তব্য নিতে হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এনামুল হক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি তিনি জানেন না বলে জানান।

বক্তব্য নিতে সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সহকারি শিক্ষক মোকলেছুর রহমান মারপিট করার কথা শিকার করে বলেন, আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মারপিট করেছি। মারপিট করা ঠিক হয়নি জন্যই ঘটনাটি পরের দিন বুধবার মিমাংসা করা হয়েছে। 

ছাত্রের অপরাধ কি ছিলো যে কারনে আপনি তাকে বেদম মারপিট করলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঐ ছাত্র শিক্ষার্থীদের শরীরে পানি ছিটাচ্ছিলেন এমন দৃশ্য দেখে আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মারপিট করেছি এবং পরে ভেবে দেখেছি মারাটা ঠিক হয়নি এজন্য মিটিয়ে ফেলেছি।

অপরদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান প্রতিবেদক এর মুঠোফোনে কলদিয়ে জানান, মারপিট এর যে ঘটনা ঘটেছে তা ইতি মধ্যেই মিমাংসাও করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহতু ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়েছে, এজন্য এবিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করার দরকার নেই। অপরদিকে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে রবিবার দুপুরে সরজমিনে হাটচকগৌরী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে এসময় প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষে মারপিট এর শিকার শিক্ষার্থী ও মারপিটকারি শিক্ষককে ডেকে নিয়ে বলেন, আসলেই ঘটনাটি আমি আগে জানতাম না। এক পর্যায়ে প্রতিবেদক মারপিটের শিকার ছাত্রের বক্তব্য নিতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, কারো কোন অভিযোগ নেই। তারপর বক্তব্য নিলে এখানেই (অফিস রুমে নেন)। এসময় প্রধান শিক্ষক ও মারপিটকারি শিক্ষক এর সামনে কিছুটা বাধ্য হয়েই মারপিট এর শিকার ছাত্র প্রতিবেদক কে জানান, আমি হয়তটা দুষ্টুমি করেছি বলেই স্যার আমাকে মেরেছেন, পরে স্যার ডেকেনিলে আমি স্যারকে জড়িয়ে ধরি স্যারও আমাকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তার নির্যাতনের কয়েকটি ছবি দেখিয়ে তার ছবি কিনা ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, হাঁ মারপিট করার পর বাড়িতে গেলে আঘাতের ছবিগুলো ফোনে তুলেছিলো জানিয়ে তিনি বলেন আমি ও স্যার সব ভুলে মিমাংসা হয়েছি।


আরও খবর



শ্রীনগরে কৃষি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কৃষি জমির ওপর রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ফুলকুচি গ্রামের মারেজ হাজির বাড়িসংলগ্ন কৃষি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আকরাম হোসেন শিবলুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে রাতের আঁধারে গোপনে ভেকু দিয়ে বিনা অনুমতিতে ফসলি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে রাস্তা নির্মাণের নামে স্থানীয় মেম্বার জমির মালিকদের থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওয়াসিম হায়দার অভিযোগ করে বলেন, বিনা অনুমতিতে জমি কাটায় শিবলু মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। প্রতিবাদ করায় সে আমাকে গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। শ্রীনগর থানাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন শিবলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, পিআইও অফিসের বরাদ্দে রাস্তা নির্মাণকাজ হচ্ছে। তিনি রাস্তা নির্মাণকাজের জন্য এলাকার কারো কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন।

শ্রীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আশেকুর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কলেজ পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) রিফাত শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ - ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় গজারিয়া উপজেলায় কলেজ পর্যায়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হওয়ার পর এবার কলেজ পর্যায়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ শ্রেণি-শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হয়েছেন গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) রিফাত শিকদার।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষায় কলেজ পর্যায়ে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। অভিজ্ঞতা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, দক্ষতা, শিক্ষাবান্ধব ও উদ্ভাবনী উৎকর্ষসহ নানা ক্যাটাগরি বিবেচনায় তাঁকে জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিফাত শিকদার মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের সাতকাহনিয়া গ্রামে ০২ আগষ্ট ১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম শিকদার এর একমাত্র ছেলে রিফাত শিকদার। ছেলেবেলা থেকেই প্রকৌশল বিদ্যা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে পোষণ করেন। ছোটবেলায়  ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘাটাঘাটির পর প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন বুনেন। বর্তমানে নিজেকে গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত করতে চান, হতে চান একজন সফল গবেষক। রেখে যেতে চান মানুষের জন্য রাত জাগা ভালোবাসা অর্থাৎ কষ্টার্জিত গবেষণা। অধম্য পরিশ্রমী এবং মেধাবী এই শিক্ষক নিজের স্বপ্ন গুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এসএসসির পরিক্ষায় উর্ত্তীন হওয়ার পর ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রনিক্স বিভাগ) এবং বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ) সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন।

গুণী এই শিক্ষকের সাথে একান্ত আলাপ কালে তিনি বলেন, পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম আমার বাবার পূর্ণ সমর্থন না থাকলে আমার এ পর্যন্ত আসা হয়তো সম্ভব হতো না। ছেলেবেলা থেকেই আমার বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য এমনকি নিজের ক্ষুদ্র জীবনকে মানুষের কল্যাণেই নিবেদন করার জন্য বলতেন। সে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করে নিয়েছি। আমি মনে করি, শিক্ষকতা পেশায় থেকে মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ যতটা করা যায়, অন্য পেশায় থেকে অতটা সম্ভব হয়ে উঠে না। আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি এখন গবেষণায় মন দিতে চাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, শিক্ষকতা পেশায় আসার পর থেকেই গবেষক হওয়ার ইচ্ছেটা ঝুঁকে বসেছে। বই পড়া ও বই সংগ্রহের প্রতি অনেক ঝোঁক রয়েছে এই শিক্ষকের। তাই অবসর সময়ে তিনি বই পড়তে পছন্দ করেন। সেজন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাসায় বইয়ের পাঠাগার বানাচ্ছেন। সংগ্রহ করছেন গবেষণা সম্পর্কিত বই পুস্তক। গবেষণার ধরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহৃত যন্ত্রসমূহ উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করবেন যদি ভবিষ্যতে বিস্তর গবেষণা করার সুযোগ পায়।

এই বিষয়ে জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের রেজিস্টার ইঞ্জিঃ সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল বলেন রিফাত শিকদার জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে যুক্ত হওয়ার পরপরই কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কারিগরি শিক্ষাকে কিভাবে অগ্রগামী করা যায় সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে কারিগরি শিক্ষাকে সম্মুখ ভাগের শিক্ষায় উন্নিত এবং কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

এই বিষয়ে জিস্ট পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জিঃ মামুন শরীফ বলেন শিক্ষক হিসাবে রিফাত শিকদার অত্যন্ত বিনয়ী এবং পরিশ্রমী। এই গুণী শিক্ষক সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে পরিবেশিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রিফাত শিকদার কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক (কারিগরি) নির্বাচিত হওয়ায়, তাঁর সহকর্মী শিক্ষকগণ তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়াও দক্ষকতার বিচারে এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা সবাই সেই সাথে জেল উপজেলার বিভিন্ন মহল তাঁকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছে।


আরও খবর



শাকিবকে নিয়ে ‘বোমা’ ফাটালেন বুবলী

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

শাকিব খান ও বুবলীর কথার লড়াই থামছে না। বলা যায়, তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শাকিবের পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বুবলী।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুবলীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ আনেন শাকিব। সেখানে বুবলী কীভাবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট এবং ৫৬ লাখ টাকার গাড়ির মালিক হলেন, সে বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। এসবের পাল্টা জবাবের সঙ্গে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বুবলী।

বুবলী বলেন, তিনি যদি তার সন্তানের মাকে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া, বানোয়াট অভিযোগ (এলিগেশন) দিয়ে উনি (শাকিব) বোল্ড হতে চান, উনি উনার (শাকিব) পুরুষত্ব প্রমাণ করতে চান; এটি কী আসলে প্রমাণিত হবে? উনি আমাকে অনেকগুলো এলিগেশন দিয়েছেন। উনি উনার বাসা থেকে আমাকে বের করে দিয়েছেন। এটা কি তার পুরুষত্ব। উনি উনার স্ত্রীকে-সন্তানের মাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন; এটা কি তার পুরুষত্ব প্রমাণ পেয়েছে?

তিনি আরও বলেন, উনি (শাকিব খান) নিজেকে সুপারস্টার হিসেবে দাবি করেন, আমি এই নামটি উচ্চারণ করতে চাই না, কোনো ইচ্ছাই নেই। কারণ উনি বারবার বলেছেন আমি তাকে শেল্টার হিসেবে দেখছি। একজন সন্তানের মা, স্ত্রী তো স্বামীকেই শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করবেন। এটা কি আমার ভুল হয়েছে? এ কারণে আমি তার নাম আর মুখে আনতে চাই না। আমি উনাকে নিয়ে কথাও বলতে চাই না।

বুবলী বলেন, তিনি সম্পর্ক রাখতে চান বা না চান এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা বসে কথা বলতে পারি। বাইরের মানুষক জানানোটা সমাধান না। আমি আমার জায়গা থেকে সংসার করতে চেয়েছি সেটাই যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। তাকে সম্মান দিয়েই থাকতে চাই।


আরও খবর

কান উৎসব মাতিয়ে তুললেন সানি লিওন

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩