Logo
শিরোনাম

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আজহার মাহমুদ: মা অতি ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর গুরুত্ব এবং মর্যাদা কতটুকু তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন দয়ালু এবং মর্যাদাবান মানুষটিকে কখনো কি আমরা সবাই সঠিকভাবে মর্যাদা দিই? যে মানুষটি আমাদের ১০ মাস ১০ দিন সহস্র যন্ত্রণা সহ্য করে তার গর্ভে রেখেছে এবং প্রবল ব্যথা উপেক্ষা করে প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের এনেছে, আমরা সেই মানুষটিকে কতটা সম্মান দিই? তা ছাড়া সব ভালোবাসা এই এক দিনে কেন? মা দিবসে মাকে লোকদেখানো ভালোবাসবেন, বাকি ৩৬৪ দিন মাকে অসম্মান করবেন, এমন লোকদেখানো ভালোবাসার প্রয়োজন নেই।

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসাটা আসতে হয় হৃদয় থেকে। এই ভালোবাসার জন্য কোনো অভিনয় করার দরকার পড়ে না, কোনো নাটক করার প্রয়োজন পড়ে না। আর মায়েরা সব বোঝেন, কোনটা আপনার ভালোবাসা আর কোনটা আপনার অভিনয়।

আচ্ছা মাকে ভালোবাসতে কী লাগে? অনেকেই হয়তো মাকে হাত-ভর্তি টাকা দিচ্ছেন কিংবা ভালো ভালো খাবার খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু মা কী চান সেটা কি বুঝতে চেয়েছি? আমরা কী কখনো চিন্তা করে দেখেছি মা আমাদের জন্য কী করে বা মূলত আমাদের কী দেন। কজন মা তার সন্তানকে ভালো খাবার কিংবা প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। কজন মা তার সন্তানকে দামি গাড়িতে করে দামি শপিং মলে নিয়ে যাচ্ছেন। সব মায়ই এসব তাদের সন্তানদের দিতে পারেন না। কিন্তু মায়ের ভালোবাসার কাছে সব দামি উপহার মামুলি এবং তুচ্ছ। কারণ মায়েরা যা দেন তা পৃথিবীর কেউ কখনোই তা দিতে পারবেন না। আমরা শপিং মলের দামি কাপড়টি কিংবা রেস্টুরেন্টের দামি খাবারটি পরে আবার পাব। কিন্তু মায়ের ভালোবাসা সেটা প্রতিবারই অমূল্য।

যাই হোক, মূল কথায় আসি, প্রতিটি সন্তান-ই জানে মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করে এবং কতটা ভালোবাসে। কিন্তু আমরা আমাদের মাকে কতটা ভালোবাসছি কিংবা ভালোবাসা দিচ্ছি। আবার এই সমাজে এমনও কিছু সন্তান আছে যারা মাকে ভালোবাসতে পারে না আবার কষ্ট দিতে জানে।

সত্যি বলতে, এখন মায়ের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসা বেড়েছে, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা কমেছে। মা দিবস আসলে লাফিয়ে লাফিয়ে বলি, মা আমি তোমাকে ভালোবাসি। ফেসবুকে মায়ের জন্য ভালোবাসার গল্প লিখে ভাসিয়ে ফেলি। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি করি সেটা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আমরা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি মা তখন কি খাচ্ছেন, কার সঙ্গে খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন।

আমরা অসুস্থ হলে মা আমাদের জন্য পারে না জীবনটা দিয়ে দিতে। তখন মা আমাদের জন্য কী করে কিংবা কেমন করে সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। কখনো খেলায় কিংবা অন্য কোথাও আহত হলে মায়ের অবস্থা কেমন হয়, সেটাও আমরা নিজেরাই দেখেছি। কিন্তু আমরা মায়ের অসুস্থতার সময় কী করেছি? কখনো জানতে চেষ্টা করেছি মা তুমি কেমন আছো?। কখনো কি জানতে চেষ্টা করেছি মা তোমার শরীর ভালো আছে?। মায়েরা শরীরে অসুস্থতা নিয়েও রান্না করে যান আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় খাবারটি। ঘরের সব কাজ নিশ্চুপে করে যান। বুঝতে দেন না কষ্ট হচ্ছে কিংবা আর পারছেন না।

আমরা যখন বুঝতে শিখি কিংবা একটু বড় হয়ে যাই, তখন আর মাকে মূল্যই দিই না। মায়ের সঙ্গে পরামর্শ কিংবা কোনো ধরনের কথা শেয়ারও করি না। একটা সময় নিজেরা মায়ের ভুল ধরতে শুরু করি। মাকে ধমক দিতে শুরু করি। আমরা বাবাকে যেমন-তেমন মান্য করলেও মাকে কখনোই মান্য করি না (অনেকেই করেন)। মা আমাদের কিছু বারণ করলেও আমরা সেটা তেমন তোয়াক্কা করি না। অথচ মায়ের সেই আদেশ, উপদেশ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্র্ণ ছিল সেটা পরবর্তী সময়ে ঠিকই টের পাই।

আমাদের সমাজে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা আজ মাকে ভালোবাসতে চাইলেও পারছে না। কারণ আজ তাদের মা নেই। যখন ছিল তখন হয়তো সেই সুযোগটি পাইনি। আজ সময় এসেছে কিন্তু মা নেই। কিন্তু যাদের আছে তারা মাকে কতটুকু সম্মান, ভালোবাসা দিচ্ছি। সমাজে এমনও কিছু সন্তান রয়েছে যারা তার জন্মদাত্রী মায়ের শরীরে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না। হয়তো ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে এই সম্মানটুকু দিচ্ছে মাকে। আমার কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে না পারলেও অসম্মান কেন করব?

শারীরিক কিংবা মানসিক সবভাবেই মাকে আমরা অনেকেই এখন আঘাত করে থাকি। এটাই কি প্রসব ব্যথা সহ্য করে আপনাকে-আমাকে জন্ম দেওয়ার পুরস্কার? শিশুকালে আমাদের লালনপালন করার পুরস্কার? নিজে না খেয়ে আমাদের খাওয়ানোর পুরস্কার?

এত কিছুর পরও সন্তানের জন্য মায়ের মনে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। আমরা অপরাধ করলে মা সব সময় আমাদের ক্ষমা করে দেন। মা শুধু চান আমরা যেন ভালো থাকি এবং সুন্দর থাকি। মা যদি না ফেরার দেশেও চলে যান সন্তানের মঙ্গল কামনা সেখান থেকেও করবেন। কারণ তিনি তো মা। সত্যি বলতে, আমরা যতটাই বড় হচ্ছি, ততটাই মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। এমনও সন্তান রয়েছে যাদের মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে রাত কাটান। এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী আছে?

আসুন মাকে লোকদেখানো ভালো না বেসে প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি। মাকে অন্তত তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই। অবহেলা আর অযত্নে যেন কোনো মা দিন না কাটান সেদিকে নজর রাখি। নিজের মায়ের পাশাপাশি, অসহায় মায়েদেরও খোঁজ রাখি। বৃদ্ধাশ্রমে যেন কোনো মাকে রাত কাটাতে না হয়, সে প্রত্যাশা রাখি।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। ইমেইল : [email protected]

 


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিন ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে। ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ফলে সারাদেশে ২৮০ থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেবে বলে জানা গেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম্বার ইউনিটের ওয়েলপাম্প নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের নাম্বার ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। আর ওভারহোলিংয়ের কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ কেন্দ্রের নাম্বার ইউনিটটি।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম্বার ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট, নাম্বার ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট নাম্বার ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। মাত্র দিনের ব্যবধানে এই কেন্দ্র থেকে ২৮০ থেকে ২৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলো। এর মধ্যে নাম্বার ইউনিট থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নাম্বার ইউনিট থেকে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।

তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ইউনিটগুলো সচল রাখতে প্রতিটি ইউনিটে ২টি করে ইলেক্ট্রো হাইড্রোলিক ওয়েলপাম্প জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। তবে একটি ওয়েলপাম্প দিয়েও জ্বালানি তেল সরবরাহ করে ইউনিট চালু রাখা যায়। সবশেষ নাম্বার ইউনিটটি একটি ওয়েলপাম্পের মাধ্যমে চালু রাখা হয়েছিল। তবে সেই পাম্পেও ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য হারবিন ইন্টারন্যাশনাল সিএমসি-এক্সএমসি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদারি এসব কোম্পানি ত্রুটি মেরামত করে কেন্দ্র সচল রাখার কথা থাকলেও করোনার পর থেকে চুক্তির চেয়ে যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সঠিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে না। তবে ত্রুটি মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে।

কথা হলে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের ইক্যুইপমেন্ট ফেইল করায় ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন নাম্বার ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। তেল সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ইউনিটে ২টি ওয়েলপাম্প প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে ২০২২ সালে একটি নষ্ট হয়ে যায়। একটি ওয়েলপাম্প দিয়েই ওই ইউনিটটি চালু ছিল, সেটি গতকাল নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নাম্বার ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই ইউনিটটি চালু হবে।

তিনি আরও বলেন, নাম্বার ইউনিটটি অনেক পুরনো, ভাইব্রেশনের কারণে সেপ্টেম্বর বন্ধ করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি, এটি এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করতে। তবে এক সপ্তাহ লাগবে না, থেকে দিনের মধ্যেই চালু হবে। আমরা একটু বেশি করেই এক সপ্তাহ সময় নিয়েছি। আর নাম্বার ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকেই ওভারহোলিং কার্যক্রমের জন্য বন্ধ রয়েছে। চীনারা এখনও কাজ শুরু করেনি। এই ইফনিটটির ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিএমসি-এক্সএমসি কোম্পানির সঙ্গে ওভারহোলিংয়ের কাজটির চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তারা কাজটি করতে পারেনি। করোনার পর জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, এজন্য তারা দাম বাড়ানোর দাবি করেছে। কিন্তু আমরা বলেছি যে আগের চুক্তিতেই থাকতে হবে। এভাবেই কথাগুলো হচ্ছে। এখনও ব্যাপারে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




উত্তপ্ত বিতর্কে মুখোমুখি হলেন হ্যারিস ও ট্রাম্প

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বর মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন তারা।

এদিনের বিতর্কে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, বিশ্ব নেতারাডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে হাসাহাসি করেন এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তারলাঞ্চেট্রাম্পকেখেয়ে ফেলবেনবলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি আল জাজিরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত টায় মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের আয়োজনে কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের সাথে হাত মেলান কমলা। এরপর কমলার তার বক্তব্য শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শুরু হয় বিতর্ক।

নিজের বক্তব্যে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেন কমলা। তিনি ট্রাম্পের সেই প্রচেষ্টার নিন্দা করে বলেন, আমাদের এমন কোনও প্রেসিডেন্ট থাকতে পারে না যিনি অতীতের মতো (আমেরিকান জনগণের) রায়কে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, যখন আপনি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে এইভাবে কথা বলেন এবং ২০২০ সালের ভোটের ফলাফল বারবার অস্বীকার করেন তখন এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং আমেরিকান জনগণ আরও ভালো কোনও নেতা পাওয়ার দাবিদার।

কমলা হ্যারিস বলেন, বিশ্ব নেতারা ট্রাম্পকে নিয়েহাসাহাসি করেন এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তারলাঞ্চেট্রাম্পকেখেয়ে ফেলবেনবলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিতর্কে ট্রাম্প জো বাইডেনকে অনুপস্থিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে সমালোচনা করেন এবং এর জবাবে হ্যারিসও পাল্টা আঘাত করেন। কমলা বলেন, আপনি বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না, আপনি আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইউক্রেনের প্রশ্নে ফিরে গিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। হ্যারিস ট্রাম্পকে বলেন, আপনি আর প্রেসিডেন্ট নন, আর এতেই আমাদের ন্যাটো মিত্ররা অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।

তিনি আরও বলেন, অন্যথায় পুতিন ইউরোপের বাকি অংশের দিকে চোখ রেখে কিয়েভে বসে থাকতেন। পুতিন একজন স্বৈরশাসক যিনি আপনাকে দুপুরের খাবারে খেয়ে নেবেন।

ট্রাম্প তখন কমলা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রেরইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ভাইস-প্রেসিডেন্টবলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, আক্রমণের আগে ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা করে যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন কমলা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি নির্ধারিত হবে আগামী পাঁচ নভেম্বরের নির্বাচনে। প্রাথমিকভাবে এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। মূলত এরপর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলকান, উভয় শিবিরেই নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে বেশ জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আসলে কী হবে? মার্কিন নাগরিকরা কি প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রেসিডেন্ট বেছে নিবেন, নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবেন?

উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত।