Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ভারত মহাসাগর সম্মেলনে ৬টি অগ্রাধিকার উত্থাপন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার করা, অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি এ ৬ষ্ঠ ভারত মহাসাগর সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশী অতিথি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ অঞ্চলের অনেক দেশের জলবায়ু ঝুঁকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।

সমুদ্রে জরুরী পরিস্থিতিতে সাড়াদান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌচলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার অনুশীলনকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে শান্তি সংস্কৃতি এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন যা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এই অঞ্চলে ও অঞ্চলের বাইরেও ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নকে সহজতর করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঠেকিয়েছে। এখন, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে বহু শতাব্দী ধরে সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এবং এটি অনেক আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। বাংলাদেশ ভারতীয় মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের কাউন্সিলেরও বর্তমান সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পুরনো ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য আমাদের ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি এবং একটি সহনশীল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অন্য সব দেশও একই কাজ করবে বলে আশা করি।

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এবং তেল পরিবহনের ৬০ শতাংশ এই অঞ্চলের মহাসাগর ও সমুদ্র পথে পরিচালিত হয় এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রকৃত ব্যয় গত ১৫ বছরে তিনগুণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, মহাসাগর সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে চমৎকার সুযোগ প্রদান করে। তবুও অনেক সম্ভাবনা এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকান অঞ্চলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৬০ শতাংশ রয়েছে।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলিকে সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের 'মেরিটাইম জোন'-এর সীমানা নির্ধারণ করতে, সীমানার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষমতা গড়ে তুলতে করতে এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের সুবিধার্থে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন।

তিনি বলেন, এই আইনটি সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২ গৃহীত হওয়ার ৮ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল, যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে উপলব্ধি সীমিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের থিম শান্তি, অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধি: একটি সহনশীল স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে- খুবই উপযুক্ত ও সময়োপযোগী।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে এ থিমটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এগুলি বিশ্বের সকল দেশের জন্য অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বৈশ্বিক মন্দা, খাদ্য, জ্বালানি এবং সার সংকটের ফলে বিশ্বের সকল মানুষের জীবনযাত্রার অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলও জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে, এই অঞ্চলের দেশগুলিকে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এবং একটি উজ্জ্বল অঞ্চলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে শান্তির গ্যারান্টি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ ডায়ালগ, ২০২৩ শীর্ষক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল।

তিনি বলেন, সেই প্রস্তাবে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতার দেয়া ভাষণ থেকে ঐতিহাসিক উদ্ধৃতি রেজুলেশনের ১৪তম অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতিমালার অংশ। এতে লেখা আছে: দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ-ব্যাধি, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরীতা না করার উপর জোর দান এই উদ্দেশ্যগুলি অর্জনে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক, কারণ বাংলাদেশ একটি সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের চেষ্টা করছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদ্ধৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার আকারে বাংলাদেশের কার্যকর অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মানবজাতির টিকে থাকার জন্য শান্তি অপরিহার্য; এটি সারা বিশ্বে নারী ও পুরুষের গভীরতম আকাঙ্খার প্রতিফলন। সেই ভাষণে তিনি ভারত মহাসাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রবল প্রবক্তা হয়ে উঠেছে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে, আমরা শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করি যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল।

তিনি বলেন, পরবর্তীকালে, জাতিসংঘ ২০০০ সালকে "শান্তির সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক বছর" হিসাবে ঘোষণা করেছে এবং ২০০১-২০১০ সালকে "শান্তির সংস্কৃতি ও অহিংসার দশক" হিসাবে মনোনীত করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতিকে একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখে যা শান্তির সকল দিককে শক্তিশালী করবে। এ কারণেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা ও শান্তি-নির্মাণের প্রচেষ্টায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় আমাদের সৈন্যদের অবদান বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চরম দারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে এ নেমে এসেছে এবং আমাদের মাথাপিছু আয় এক দশকের মধ্যে তিনগুণ বেড়ে ২৮২৪ ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব মানদ- পূরণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য সহায়ক শক্ত ভৌত অবকাঠামোসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইছে। গত বছর আমরা নিজস্ব-অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা রাজধানীতে প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা উদ্বোধন করেছি। আমরা শীঘ্রই চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সম্পূর্ণ করব যা দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের প্রথম টানেল।

তিনি বলেন, আমাদের আকাঙ্খা হল ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক, উন্নত দেশ, 'সোনার বাংলা'তে রূপান্তর করা এবং ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু সহনশীল ব-দ্বীপ গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য আমাদের কৌশলের মধ্যে রয়েছে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার এবং সবার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা।

উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরে সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছেন।

 


আরও খবর



বিএনপি আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে..পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

বিএনপি আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশে বিদেশে বিএনপি তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু। শনিবার দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে আওয়ামী লীগের আয়োজনে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারের নানা উন্নয়নমূখী পরিকল্পনায় সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এখন সর্বস্তরের জনগণের এই সুবিধাভোগে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। 

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বেন্টু, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন, পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতায় বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না পেয়ে বিএনপি ভারতবিরোধী ইস্যু সামনে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। সরকারের সঙ্গে যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। রাজনৈতিক ইস্যু না পেয়ে তারা ভারতবিরোধী ইস্যু সামনে আনছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে, সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।

বিএনপি অবাক করা দল এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক নেতা বলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আপনারা সহযোগিতা করেছেন। আরেকজন বলে ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। এখন এই দলের নেতায় নেতায় মতের কোনো মিল নেই। মঈন খান বলে এক কথা, রিজভী বলে আরেক কথা। আবার সিঙ্গাপুর থেকে ফখরুল সাহেব বলেন আরেক কথা।

বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে এমন মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মাঝে পার্থক্য।

নির্বাচনের সময় ভারতের পাশে থাকার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা যখন নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র করে, তখন ভারত পাশে ছিল। ভারতসহ যেসব বন্ধুদেশ আছে তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি, তারা ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

দ্রব্যমূলের দাম নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু পণ্যের মূল্য কমতে শুরু করেছে। দাম আরও কমে সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হয়ে উঠবে।

এ সময় ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের এই কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

 


আরও খবর



শপথ নিলেন সাত প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাত এমপি। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এতে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪-এ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

শপথ নেওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রীরা হলেন রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আব্দুল ওয়াদুদ, নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকার, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও পরিকল্পনা অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে বেগম নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা) এবং সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বেগম রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট)।

এর আগে বিকেলে মন্ত্রিসভায় নতুন সাতজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে জানানো হয়, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শুক্রবার সাতজনকে সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। আজ নতুন করে ৭ জন যুক্ত হওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার দাড়াল ৪৪ জনে। এর মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন


আরও খবর



বিশ্বম্ভরপুরে মাদকবিরোধী সচেতনতায় ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার :

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে মাদকবিরোধী সচেতনতায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার ( ৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও শাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ফুটবল টিম বনাম সাতগাঁও মিলন টিমের অংশগ্রহণে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাস্টার শাহানূরের সভাপতিত্বে ও সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.লুৎফুর রহমানের সঞ্চালনায় খেলা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক। এসয়ময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মাহফুজা আক্তার রিনা, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ নজরুল ইসলাম,

ফতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান তালুকদার ও লুৎফুর রহমান, ইউপি আ.লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আখলাকুর রহমান তালুকদার, সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুস সামাদ, এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি আব্দুল আলী তালুকদার, আলহাজ জমিরুন নূর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফররুখ আহমদ, ডিজিটাল নূরানী মাদরাসার মুহতামিম শফিউল আলম, স্থানীয় সংগঠন হাওর জনপদের সভাপতি অব. সার্জেন্ট বাহা উদ্দিন আহমদ, মেরুয়াখলা মুমিনীয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক শেখ দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ। 

অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল খেলায় পূর্ন সময়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ও সাতগাঁও মিলন টিম ১-১ গোল থাকায় খেলাটি ড্র হয় এবং পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ফুটবল টিমকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। এসময় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন শাহ আলম তালুকদার। খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। 

এদিকে, খেলা শেষে উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের ডিজিটাল নূরানী মাদরাসার উদ্যোগে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিকসহ এলাকার ১০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ডিজিটাল নূরানী মাদরাসার সার্বিক সহযোগিতায় ও আনিকা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ডক্তর’স চেম্বারের বাস্তবায়নে শিক্ষার্র্থী ও কিশোর কিশোরীদের ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।


আরও খবর



দুই গৃহবধূ'র ঝুলন্ত মৃতদেহ সহ ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঝুলন্ত  অবস্থায় দুই গৃহবধূ সহ আরো দুই যুবক মোট ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক বিরোধ সহ স্বামী-স্ত্রীর মান-অভিমান থেকে গলায় ওড়না ও দড়ির ফাঁসদিয়ে দুই গৃহবধূ ও গ্যাস বড়ি খেয়ে দুই যুবক আত্নহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন স্থানিয়রা সহ থানা পুলিশ। নিহত ৪ জন হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নাইখট্টি গ্রামের আতিকুল ইসলাম এর স্ত্রী

তানজিলা আক্তার (৩০), একই উপজেলার পাতনা গ্রামের আঃ হামিদ এর স্ত্রী সেতারা বানু (২৬) ও চকরাজা গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৩) এবং নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বরবাড়িয়া গ্রামের মাজেদুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮)।

মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি সহ স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, রবিবার বিকেলে মহাদেবপুর উপজেলার নাইখট্টি গ্রামের আতিকুল ইসলাম এর স্ত্রী তানজিলা আক্তার (৩০) এর গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। এখবর পেয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। অপরদিকে শনিবার বিকেলে মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ভীমপুর ইউনিয়ন এর পাতনা গ্রামের আঃ হামিদ এর স্ত্রী সেতারা বানু (২৬) এর গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানিয়রা মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে জানান। খবর পেয়ে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আকবর সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ। ঐ দিনই অল্প সময়ের ব্যবধানে একই ইউপির চকরাজা গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (২৩) নামে এক যুবক গ্যাস বড়ি খেয়ে মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ সেখানেও দ্রুত পৌছান। দুই গৃহবধূ ও এক যুবক মোট ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, চকরাজা গ্রামে গ্যাস বড়ি খেয়ে যুবক সবুজ হোসেন এর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার সহ আত্বীয় স্বজন কারো কোন অভিযোগ নেই। এছাড়া দুই গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় আইনানুগ পক্রিয়া চলছে। অপরদিকে পুলিশ ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, পারিবারিক বিরোধের জেরধরে গলায় দড়ি ও ওড়না'র ফাঁস দিয়ে দুই গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন তারা। এছাড়া যুবক সবুজ হোসেন তার স্ত্রী পিতার বাড়ি থেকে না আসায় স্ত্রীর উপর অভিমান করে গ্যাস বড়ি খেয়ে আত্নহত্যা করেছেন এমন টা জানিয়ে তার পিতা বা স্বজন পক্ষ কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অপরদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বরবড়িয়া গ্রামের মাজেদুর রহমান এর ছেলে শরিফুল ইসলাম গ্যাস বড়ি খেয়ে আত্নহত্যা করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

রাণীনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,শরিফুল ইসলাম গত ৬ বছর আগে একই উপজেলার করজগ্রাম টুংকুড়ি পাড়া গ্রামের আছির উদ্দীনের মেয়ে আরজিনার (২৬) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ৬ মাস পর নানা প্রলোভনে স্বামী শরিফুলের নামীয় দু' বিঘা জমি লিখে নেয় স্ত্রী আরজিনা বিবি। এর পর থেকে স্বামী কে নানা ভাবে অবহেলা করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্ত্রী আরজিনা বিবি লিখে দেয়া জমি ফেরত না দিয়েই গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে স্বামীকে তালাক দেন। এরপরেও শরিফুল তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে থাকে। এসময় স্ত্রী আরজিনা স্বামী শরিফুলকে আত্মহত্যা করতে নানাভাবে প্ররোচিত করে। গত শনিবার বিকেলে স্বামী শরিফুল ইসলাম তার সাবেক স্ত্রীর বাবার বাড়ী করজ গ্রামে গেলে সেখানেও নানাভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করে চরম অবহেলা মুলক কথা বলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এক পর্যায়ে শরিফুল ঘৃনা এবং অপমানবোধ মনে করে সেখানেই গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শরিফুলের বোন বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে শরিফুলের সাবেক স্ত্রী আরজিনাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। শরিফুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর