Logo
শিরোনাম

ভারতের পুরোহিত কর্তৃক মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করায় তীব্র নিন্দা বিএসপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে ভারতীয় পুরোহিত কর্তৃক কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে বিজেপি নেতার সমর্থনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সুফিবাদী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি' (বিএসপি)। ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, মোসলমান মাত্রই প্রিয় নবী (সাঃ) কে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। তাই মুসলিম সমাজ অতীতেও নবীজির শানে যেকোনো প্রকারের কটুক্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। আগামীতেও ইসলাম ও প্রিয় নবী (দ.) কে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বদ্ধপরিকর বিশ্বের নবীপ্রেমী জনতা। তিনি বলেন, ১৮০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নাম ধর্ম নিরপেক্ষতা নয়। কথায় কথায় অন্যকে অসাম্প্রদায়িকতার সবক দিলেও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়  বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে ভারত সরকার। যেখানে উগ্রবাদীদের কঠোর হস্তে দমন করার কথা সেখানে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একের পর এক উস্কানীমূলক মন্তব্য করে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রিয়নবী (সা.) মুসলমানদের ঈমান আকিদা আবেগ ও অনুভূতি। রাসুলের (সা.) শানে কটূক্তি হলে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তাছাড়া এ ধরনের পরিকল্পিত উস্কানিমূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। যারা মতপ্রকাশের নামে এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে আগুনে ঘি ঢালছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই চক্রের কারণেই এ উপমহাদেশে বারবার ধর্মীয় সংঘাতে লাখো মানুষের সহায় সম্বলহীন ও প্রাণ দিতে হয়েছে। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হঠকারিতায় বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও মনে করেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। তিনি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে অপমান করার মধ্য দিয়ে মানবতার আদর্শকে অপমান করা হয়। পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে শেখায় না। যারা এসব করে তারা উগ্র। এদের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। মহানবীর অবমাননায় জড়িত অভিযুক্ত পুরোহিত ও বিজেপির উগ্রবাদী নেতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান। নবী বিদ্বেষী উগ্রবাদীদের দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভারত সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী।


আরও খবর



ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তেলবাহী ট্রাক লুট

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন(স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপর ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাক থামিয়ে ৩০ লাখ টাকার পামওয়েল তেলসহ ট্রাক লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চালক ও তার সহকারীকে আটকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ট্রাকচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস (৫৫) থানায় অভিযোগ করেন।

এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলি-বালিথা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ওপরে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন পাবনার সুজানগর থানার সুজানগর মানিকদী এলাকার বাসিন্দা ট্রাকচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস (৫৫) ও পাবনার কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা মাসুম (৫০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর ধরে পাবনার মায়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৬ চাকা বিশিষ্ট আন্তঃজেলা ট্রাক চালাচ্ছিলেন শ্যামল কুমার বিশ্বাস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কামাল অয়েল মিলস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪.৫ টন ওজনের ৭৫ ড্রাম বাটার ফ্লাই পাম ওয়েল তেল লোড করে পাবনার উদ্যেশ্যে রওনা হন তিনি। যার বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা।


রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিথা এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত অন্তত চারজন দুষ্কৃতকারী একটি অজ্ঞাত পিকআপ নিয়ে ব্যারিকেড দেয়। একপর্যায়ে তারা ট্রাকের কাছে এসে চালক ও সহকারীকে জোরপূর্বক টেনেহিচড়ে নিচে নামিয়ে এনে মারধর করে। ধারালো চাকু দিয়ে তাদের জখম করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের হাত পা ও মুখ বেঁধে ফেলে দুটি ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তেলবাহী ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।


একপর্যায়ে ট্রাক চালক ও সহকারীকে কৌশলে পায়ের বাঁধন খুলে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে গিয়ে লোকজনকে সব ঘটনা খুলে বলেন। পরে জাতীয় জরুরি যোগাযোগ নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা জানান, অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা ২৫-৩৫ বছর বয়সী ছিল। তাদের পরণে ফুল প্যান্ট ও বিভিন্ন রঙের গেঞ্জি ছিল। তারা স্থানীয় ভাষায় কথা বলছিল।


ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ট্রাক চুরির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর



গেজেট প্রকাশের পর আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রবিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

সিইসি বলেন, সরকারের গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গেজেট প্রকাশ হলে আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো। কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কাল গেজেট হয় তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত ৭ মে মধ্যরাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। এর সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন সংগঠন ও দল।

গত দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। শনিবার রাতে গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে সামাজিক বনায়নের অর্থ বিতরণ, ৩১ জন পেলেন টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়নের বিক্রিত বাগানের লভ্যাংশ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩১ জন উপকারভোগীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা প্রদান উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জামশেদ আলম রানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে অর্থ প্রদানের স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র দাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সৃজিত লক্ষ্মীপুরের বসুরহাট-ছয়আনি সড়কের ছয় কিলোমিটার এলাকায় সৃজিত বাগানটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিক্রয়মূল্য ছিল ৩২ লাখ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী এর ৫৫ শতাংশ অর্থ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগীদের থেকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির আবেদন সমূহ যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ জন উপকারভোগীর প্রত্যেকের ব্যাংক  একাউন্টে ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা জমা প্রদান করা হচ্ছে। বিক্রয়ের অর্থ থেকে ১০ শতাংশ বন রাজস্ব, ১০ শতাংশ টিএফএফ (ট্রি ফার্মিং ফান্ড), ২০ শতাংশ ভূমিমালিক সংস্থা এবং ৫ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

চেক পেয়ে প্রাপ্তির অনুভূতি জানালেন উপকারভোগীরা:

সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান,

"অনেকদিন পরে হলেও আমাদের প্রাপ্য অর্থ পাবো জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, তবে আজকে আমাদের পরিশ্রমের ফল পেলাম। এজন্য বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।"

একই উপজেলার পূর্ব জাফরপুর গ্রামের মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন,

"বন সংরক্ষণে অংশগ্রহণের কারণে আজ আমাদের জন্য এই বড় সুযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাপ্য অর্থ খবর পেয়ে, আমরা অনেক খুশি। ধন্যবাদ জানাই বন বিভাগকে।"

একই উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের স্ত্রী ছেমনা খাতুন বলেন,এই অর্থ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এটি শুধু কিছু টাকা নয়, এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। বন বিভাগের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে।"

উল্লেখ্য যে, সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ রোপণ ও সংরক্ষণে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, হ তে হাসিনা তুই খুনি তুই খুনি, ক তে কাদের তুই খুনি তুই খুনি, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের বিচারে অগ্রগতি নেই। হাজারো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”, “আমরা জানতে চাই, আর কত রক্ত ঝরলে বিচার হবে? আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিলম্বে আমরা আর শান্ত থাকব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন,অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও বিচারপ্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট হয়। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ছাত্র জনতা ঘরে ফিরবে না।

বিজিই  বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন ,ছাত্রসমাজ আর চুপ করে থাকবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”আমাদের দাবি স্পষ্ট—যে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”এই আন্দোলন কোনো দলের পক্ষে নয়, বরং গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসলে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিল, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করাসহ ছয় দফা দাবি পূরণের জন্য ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশ এর ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমাবেশে কুমিল্লায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হোন। এ সময় তারা ৬ দফা দাবি পূরণে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে একত্রিত হোন শেরে বাংলানগর মহিলা পলিটেকনিক এর সামনে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। তবে তারা রাস্তায় থেকে যানজট তৈরি করতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘ আট মাস ধরে আন্দোলন করলেও সরকার আমলে নিচ্ছেন না। তাদেরকে সরকার রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে তারা আর সময় দেওয়ার পক্ষে নয়। খুব শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।


আরও খবর