Logo
শিরোনাম

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে গেল বাংলাদেশ। ভারতে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

দুবাইয়ের ২ নম্বর আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে পড়েন ভারতের ব্যাটাররা। ১৩ রানের মধ্যেই ভারত অধিনায়ক উদয় শাহারানসহ ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩৬ রানের মাথায় চুতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও ৬১ রানে একই ওভারে প্রিয়াংশু মোলিয়া ও আরভেলি অবিনাশ ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে দলটি।

এরপরই ঘুরে দাঁড়ান মুশির ও মুরুগান। শুরুর দিকে রান তোলার গতি ওভারপ্রতি চারের কম থাকলেও এই দুই ব্যাটার সমানে ব্যাট চালাতে থাকেন। ১৪৫ রানের মাথায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি মুশিরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। ৬১ বলে ৫০ রান করেন মুশির। দলের সঙ্গে আর তিন রান যোগ হতেই ফেরেন অষ্টম ব্যাটার। তবে লেজের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে ভালোই লড়াই করেন অভিষেক। ১৭২ রানে সেই মারুফের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে করেন মূল্যবান ৬২ রান। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভার ৪ বলে ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।

বল হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল মারুফই। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২ উইকেট নেন রোহানাত দৌলাহ বর্ষন ও শেখ পারভেজ জীবন।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশের যুবারাও। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আশিকুর শিবলি রানআউট হওয়াতেই বেশি চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আরিফুল ইসলাম। আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তিনি।

৯৪ রানের মাথায় আউট হন আরিফুল। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে যান তিনি। তার বিদায়ের পর যদিও ঘন ঘন উইকেট পড়ে, তবে জয় পেতে কঠিন হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের জন্য। 


আরও খবর



চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকটি বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতি বছর দুইবার করে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে দুই বাহিনীর প্রধান বৈঠক করেন। বিএসএফ এবং বিজিবি (তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস) এর ডিজিদের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর ১৯৯৩ সালে দিল্লি ও ঢাকায় দ্বিবার্ষিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে।

বাতিল করা বৈঠকটি একটি রুটিন বৈঠক হলেও এবার তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কেননা, ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনও বৈঠক হয়নি।

নভেম্বরে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নতুন করে আর কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ডিসেম্বরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করা হচ্ছিলো। তবে এ মাসেও তা না হওয়ায় ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন তারিখ এখনও ঠিক করা হয়নি। তাই চলতি বছর বৈঠকটি আর হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর ডিসেম্বরে এর আয়োজন নিয়ে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সেগুলো ছোট বিষয়। যে বিষয়গুলোর সমাধান করা সম্ভব নয় সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হওয়াটাকে আমরা বড় করে দেখছি না। কেননা, মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




একদিনে ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ধ্বংস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

একদিনে ১০৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের তৈরি দুটি গাইডেড বোমা, মার্কিন তৈরির সাতটি এইচআইএমএআরএস রকেট প্রজেক্টাইল এবং ১০৩টি ফিক্সড-উইং ড্রোন ধ্বংস করেছে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, গত ছয় দিনে সামরিক বিমানঘাঁটি, একটি গোলাবারুদ প্ল্যান্ট, ড্রোনের গুদাম এবং সেনা সমাবেশে হামলা করেছে রাশিয়ার সেনারা।

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার রণতরী একদিনে আটটি ইউক্রেনের মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেল ধ্বংস করেছে। এছাড়া রাশিয়ার সেনাসদস্যরা কয়েকদিনের অভিযানে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৫০৫ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি করছে।


আরও খবর



ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভোটার তালিকা হালনাগাদে কোনোরকম অনিয়ম, অবহেলা, অস্বচ্ছতা বরদাস্ত করা হবে না বলে নিজেদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাদাগের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন সিইসি।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না নির্বাচন কমিশন।

ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইসি আবদুর রহমান মাছউদও। তিনি বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।

ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে এবার ইসি বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে, তার সবটুকুই করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




জাবি ভর্তি পরিক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা বাতিল

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি ও ভিসি কোটা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আলী রেজা বলেন, ‘আজকে ভর্তি কমিটির সভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা ভিসি কোটা চূড়ান্তভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছাড়া ১০ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট) জীববিজ্ঞান অনুষদ (ডি ইউনিট) অপরিবর্তিত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট রদবদল করার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের তারিখ পিছিয়ে জানুয়ারি থেকে জানুয়ারি হতে পারে।


আরও খবর



সহনীয় পর্যায়ে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গেল ২-৩ সপ্তাহ ধরে বাজারে কমেছে সবজির দাম। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলে কমেছে দামও ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুই একটি সবজির এখন মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি। এগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, একইভায়াবে প্রতি পিস বাধা কপিও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, নতুন লাল আলু ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

মাংসের দাম স্থিতিশীল : সবজির দাম কমার ধারাবাহিকতার সাথে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বর্তমান দামকে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল উল্লেখ করে সরকারকে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাকের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীল অবস্থা দেখা গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতিকেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিকভাবে মাংসের দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশিল মানেই তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে না। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।


আরও খবর