Logo
শিরোনাম

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এই মাসের সঙ্গে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের গভীর যোগ রয়েছে। ৪৭-এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার মাত্র সাড়ে চার বছর পরই নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তান নিয়ে মোহ ভেঙে যায়। তারই প্রকাশ ঘটে অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে। তারই ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন। ধাপে ধাপে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এবং শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাংলার মুক্তিপাগল দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে আনে রক্তে কেনা স্বাধীনতা। বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাঙালি পায় একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ড।

বলা যায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রথম সোপান ফেব্রুয়ারি। রফিক, শফিক, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা ভাষাশহীদদের আত্মদানে মহিমান্বিত মাস ফেব্রুয়ারি। তাই ফেব্রুয়ারির সঙ্গে বাঙালির প্রাণের যোগ। এই ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ এতটাই মহিমান্বিত যে, সেটা বাংলাদেশের ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে দ্যুতি ছড়িয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিবসটি।

ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমির আয়োজনে চলে প্রাণের মেলা, অমর একুশে বইমেলা। এবারও যথাযথ মর্যাদায় চলবে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বইমেলা। অন্যবারের মতো এবারও আজ ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে প্রাণের মেলা। ১৮ মাঘ ১৪২৯/১ ফেব্রুয়ারি বুধবার শুরু হবে বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩।

বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ দেওয়া হবে।


আরও খবর



মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ জন গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট-মহাদেবপুর সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চোখমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় জড়ীত দু'জনকে গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত টাকা সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এব্যাপারে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক এসব তথ্য জানান। 

এর আগে শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে জড়ীতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার কাশাবাড়িয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম এর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও তেঘরবিশা এলাকার মাহাতাব উদ্দিন এর ছেলে লিমন হোসেন মিন্টু (৩৩)। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা দস্যু দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে, জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১৬ মার্চ আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি নজিপুর ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজী-মহাদেবপুর রাস্তার বেলট মোড় 'ব্রীজ' এলাকায় পৌছালে এসময় অপর দুটি মোটরসাইকেলে যোগে আসা অজ্ঞাত ৪ জন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল এর গতিরোধ পূর্বক চোখেমুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে ও পকেটে থাকা নগদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত ৪ জন ছিনতাইকারী। এ ঘটনায় টাকার মালিক মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি উদর্ঘাটন ও টাকা উদ্ধার সহ জড়ীতদের গ্রেফতার এর জন্য পুলিশ একটি অভিযান পরিচালনা টিম গঠন করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ছিনতাই হওয়া টাকা দিয়ে ক্রয় করা স্বর্ণের চেন, দুল, ফ্রিজ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের দ্রুত অভিযান এবং ছিনতাইকারী চক্রে জড়ীতদের গ্রেফতার পূর্বক নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সহ মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তথা অভিযানিক পুলিশ টিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আরও খবর



স্বাধীনতার মাস ‘অগ্নিঝরা মার্চ’ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার :অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ । এ মাস মহান স্বাধীনতার মাস। বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা কারণে মার্চ মাস ঐতিহাসিক ও ঘটনাবহুল। এ মাসেই জাতি এবার পালন করবে মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা আয়োজনে মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।

একাত্তরে এই মাসের ২৫ মার্চে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবণিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্রযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।

জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

১৯৭১ এর ৭ মার্চ সাবেক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেয়া এই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লাখো কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারিত হতে থাকে দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পতপত করে উড়ছিল সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের পতাকা।

২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার লক্ষ্যে অপারেশন সার্চলাইট নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার লোককে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।


আরও খবর



মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ এর ভাষণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

আসসালামু আলাইকুম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এর সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ,

মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি,

সন্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,গণমাধ্যমের সন্মানিত প্রতিনিধিবৃন্দ,

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ,শুভ অপরাহ্ন।

বসন্তের এই সুন্দর বিকেলে নিজ শহরে আমার নিজের রাজনীতির চারণভূমিতে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ’ এর শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর হিসাবে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানটি আমার নিজের এবং কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ভিন্ন মাত্রার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কিশোগঞ্জবাসীর অনেক দিনের বহুকাঙ্ক্ষিত একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন হলো। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর এই শুভলগ্নে আমি কিশোরগঞ্জবাসীকেও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সম্মানিত সুধী,

মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস। যাঁর অসামান্য ত্যাগ আর নেতৃত্বে আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক আমি সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। স্মরণ করছি জাতীর চার নেতাসহ ৩০ লক্ষ শহিদ, দুই লক্ষ মা-বোন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন গণতান্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, অবদান রেখেছেন আমি তাঁদেরকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বাতিঘর যা থেকে সবসময় আলো ছড়ায়, মনবিকতার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্ববিদ্যালয় অর্জিত জ্ঞানের গুদাম ঘর নয়। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা থেকে জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের আবির্ভাব ঘটে। নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। আজ থেকে কিশোরগঞ্জের সেই বাতিঘরের যাত্রা শুরু হলো। একে লালন করতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র-শিক্ষকের বাইরে স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এলাকার পরিবেশেও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

সম্মানিত উপাচার্য ও শিক্ষকমণ্ডলী,

বর্তমানে দেশের প্রায় সকল জেলায়ই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে বা হচ্ছে। কিন্তু সবগুলোর মান সমান নয়। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরগঞ্জ, শুরু থেকেই গুনেমানে সমৃদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচালিত হোক। যুগের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম নির্ধারণ করতে হবে। বিভাগ খোলার ক্ষেত্রেও বাস্তবতা ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

শিক্ষার সাথে কর্মের সংযোগ ঘটাতে হবে। দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক বিভাগ রয়েছে যেখানে লেখাপড়া করলে হয়তো জ্ঞানার্জন সম্ভব হবে কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ একেবারেই সীমিত।  শিক্ষার্থীরাও বুঝে না বুঝে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এই ভাব ধরার জন্য এসব বিভাগে ভর্তি হন। মা-বাবা ও অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কষ্টে লেখাপড়ার খরচ যোগান। কিন্তু পাশ করার পর সেই গানের কলি Hundred Percent Love এর মতো 100% বেকার - এ পরিণত হন। অনেক সময় বাবা-মা ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা মিটাতে না পেরে কেউ কেউ বিপথেও পরিচালিত হয়। 

অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের বোঝা পরিবার ও সমাজের জন্য অনেক বেশি কষ্টের। কারণ এরা না হয় আউল্লা, না হয় জাউল্লা। তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন। শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য শিক্ষা বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাবেন না। 

মনে রাখবেন শুধুমাত্র জ্ঞান দান শিক্ষার উপজীব্য হতে পারে না। এমন শিক্ষা দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বিকশিত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে চাই, “শিক্ষিত জনশক্তি দেশের জনসম্পদ। আমি বাংলাদেশে এমন ব্যবহারিক শিক্ষার প্রসার চাই, যা দ্বারা প্রতিটি নাগরিক দেশের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে”।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

আজকাল বাবা-মা, অভিভাবক সবাই চান তাদের ছেলেমেয়েরা জিপিএ/ গোল্ডেন জিপিএ পাক বা ফার্স্ট/সেকেন্ড হোক। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেন না ছেলেমেয়েরা কতটুকু শিখল বা জানল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ভালো ফল করে নিজের ও প্রতিষ্ঠানের নাম বাড়ানোর লক্ষ্যে সহজপাঠ্য ও চমকপ্রদ উপায়কে প্রধান্য দিয়ে থাকেন। 

কষ্ট করে টেক্সট বই না পড়ে শিক্ষকের দেয়া নোট মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় ভাল নম্বর উঠান। এক কথায় কষ্ট না করেই কেষ্ট অর্জন। এরিস্টটলের ভাষায়, ‘শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও ফল মিষ্টি’। তাই আমরা আশা করব, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষিত করে তুলতে পারে।

সম্মানিত সুধীমণ্ডলী,

হাওড়বেষ্টিত জেলা কিশোরগঞ্জ। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভাটি এলাকা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত ছিল। আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার অভাবে লেখাপড়ায়ও হাওড় জনপদ তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে। বিগত ১২/১৪ বছরে ভাটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে লেখাপড়ায় ভাল করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভাল করতে না পারলে কিশোরগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হলেও ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না। এলাকা


আরও খবর



আহাদ শেখ সভাপতি মতিন মাষ্টার সম্পাদক

রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আব্দুল আহাদ শেখ (বাবু) সভাপতি এবং আব্দুল মতিন মাষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। 

বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ চত্রুবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দুলু,বিশেষ অতিথি হিসেবে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানূর আল-মামুন, সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া উপজেলা ,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে আব্দুল আহাদ শেখ (বাবু) সভাপতি এবং আব্দুল মতিন মাষ্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে বড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়।


আরও খবর



২০৩০ সালে রোজা রাখতে হবে ৩৬ দিন !

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

২০৩০ সালে রমজানের রোজা হবে ৩৬ দিন; সে কারণে ওই বছর রোজা হবে ৩৬টি।

সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের জলবায়ুর অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ। তা হলে ওই বছর কি রমজান মাস ৩৬ দিনে হবে!

অবশ্যই নয়, এমনটি ভাবাও অবৈজ্ঞানিক। কারণ আরবি মাসগুলো ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মুসনাদ-এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, হিসাবটি একদম সহজ। ২০৩০ সালে দুবার রমজান মাস পাবে মুসলমানরা। আর ঘটনার পুনরাবৃত্তি অনেক বছর পর আসে।

এক টুইটে তিনি লেখেন– ১৪৫১ হিজরির পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২০৩০ সালের ৫ জানুয়ারি। এ মাসটি ৩০ দিন পূর্ণ হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে শেষ হবে রমজান মাস।

আবার একই বছর ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১৪৫২ হিজরির রমজান মাস। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুমিন মুসলমান ৬ দিন রোজা পালন করবে। সে হিসাবে ২০৩০ সালে মুসলিম উম্মাহ ৩৬ দিন রোজা পালন করবে।

ইংরেজি একই বছরে আবার রমজান মাস চলে আসার কারণও জানিয়েছেন এ অধ্যাপক।

তিনি বলেন, চন্দ্র বছরের মাসগুলো ২৯ কিংবা ৩০ দিনে হয়। আর ইংরেজি বছরের মাসগুলো ৩০ ও ৩১ দিনে নির্ধারিত থাকে। সে কারণে প্রতি ইংরেজি বছর শেষে চন্দ্র বছর ১১ দিন কমে যায়।

আর এভাবে কমতে কমতে ২০৩০ সালে দুবার পবিত্র রমজান মাস পাওয়া যাবে।

তথ্যসূত্র: সৌদি২৪নিউজ, সৌদি হোলিক ডট কম


আরও খবর

তিল ঠাঁই নেই মসজিদে হারামে

বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩