Logo
শিরোনাম

ভেনিসের মসজিদে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, পার্কে হাজার মুসল্লির জুমা আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিনিধি:

ইতালির ভেনিসে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজ পড়ায় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে মসজিদে জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ আজ স্থানীয় একটি পার্কে জুমার নামাজের আয়োজন করেন।

খোলা আকাশের নিচে হাজারখানেক মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নামাজস্থলে ছিলো পুলিশের টহল।

মসজিদুল ইত্তেহাদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন- ইতালির একজন প্রভাবশালী সিনেটর তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। তবে ইমামের ধারণা, সিনেটার ব্যস্ত মানুষ, তাকে ভুলভাবে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মসজিদুল ইত্তেহাদ পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সম্রাট বলেন- 

প্রশাসনের সাথে তাদের কথা হয়েছে- প্রশাসন নামাজের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে যতদিন বিকল্প জায়গা না হয়- তারা পার্কেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করতে চান। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের কষ্ট দিয়েছে। 

তারা মনে করেন, এ জাতীয় আইন বা নিষেধাজ্ঞা ইতালির সভ্য সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক।

এদিকে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- তারা ইতোমধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মসজিদে আবার নামাজ চালুর আশ করেন।

মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে 'মসজিদ বিরোধী আইন' নামে পরিচিত একটি আইনের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াই করছে। তারা এই আইনটির বাতিল চায়। 

ওই আইনে বলা হয়েছে, নামাজ পড়তে হলে- শহরের বাইরে গিয়ে মসজিদ করতে হবে, যা অসম্ভব প্রায়। কারণ মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। 

এই আইনের বিরুদ্ধে মসজিদুল ইত্তেহাদ এককভাবে লড়াই করলেও ভেনিসের অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে তাদের পাশে কখনো দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর জুন জুলাই মাসে অভিন্ন দাবিতে ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ পার্কে প্রায় তারা তিন মাস নামাজ আদায় করেছিলেন।


আরও খবর



চাপের কারণে লন্ডনে কিছু অর্থ জব্দ হয়েছে : গভর্নর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ও তা ফেরত আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সেই চাপের কারণে লন্ডনে কিছু অর্থ জব্দ হয়েছে। এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। লন্ডনে আরও যেসব অর্থ গেছে, দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ যেসব দেশে পাচারের অর্থ গেছে তা ফেরত আনার জন্য চাপ রাখতে হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ঋণ সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির লন্ডনে মালিকানাধীন ৯০ মিলিয়ন বা প্রায় ৯ কোটি পাউন্ডের (প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা) বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এরা হলেন– সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও সালমান এফ রহমানের ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমান। এর ফলে এখন লন্ডনে তাদের সম্পদ বিক্রি করতে পারবেন না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, দেশ থেকে চুরি করা অর্থ ফেরত আনা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সব সরকারেরই এই অঙ্গীকার থাকা উচিত। কিছুদিন আগে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনার জন্য আমি লন্ডনে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রধান উপদেষ্টা চেষ্টা করছেন। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বলি, লন্ডন টাইমস বা আল–জাজিরার মতো গণমাধ্যম বাংলাদেশের অর্থ পাচার নিয়ে বড়–বড় নিবন্ধ লিখছে। আগামীতে এধরনের আরও প্রতিবেদন আসবে। সামনের দিনে এই চাপ আরও বেগবান করতে হবে। সেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি আছে যাদের অর্থ বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও বিভিন্ন দেশে এধরনের সম্পদ রয়েছে সে বিষয়ে কি ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সে বিষয়েও আমরা কাজ করছি। গত সপ্তাহে দুবাই গিয়েছিলাম। শিগগিরই সিঙ্গাপুর যাবো। আবারও লন্ডনে যাবো। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসবকে সক্রিয় রাখতে হবে। এটা সক্রিয় না রেখে ভুলে গেলে আর এগোবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। এটা নৈতিকতা বিরোধী। অন্যের অর্থ রাখা ঠিক নয়, এটা জনগণের সম্পদ, আমানতকারীর সম্পদ। এটা বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

জব্দ করা অর্থ কতোদিনের মধ্যে ফেরত আসতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, এই সিদ্ধান্ত অর্থ ফেরত আসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। অর্থ ফেরত আসবে বিচার শেষ হওয়ার পর। তবে এখন আর তারা এই সম্পদ বিক্রি করতে পারবে না। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তারা যদি বিক্রি করে চলে যেতো তাহলে তো আর আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে লাভ হতো না। সম্পদটা আটকে গেল। এটা খুবই একটা গুরিুত্বপূর্ণ ধাপ। আর নড়া–চড়া করতে পারবে না। বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, এসব সম্পদ যুক্তরাজ্যের না বাংলাদেশের।


আরও খবর



ঝুঁকিতে মৌলভীবাজারের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মৌলভীবাজারে গত ২-৩ দিন হয় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে হাকালুকি হাওর সহ হাওর বাওর ও নদীপারের নিম্নাঞ্চল। বাড়ছে মনু ধলাই ফানাই সোনাইর পানি। জুড়ী নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপদসীমা ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । কিন্তু বন্যার পদধ্বনি শুরু হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু মে ২০২৫ মাসে এসে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যা মুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৭ শতাংশ। অথচ বন্যার আগাম সতর্কতা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মনু নদীর ভাঙন হতে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলাকে রক্ষা করার লক্ষে ২০২২ সালে ৯৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরে চর অপসারণ বাধ মেরামত ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের ৭২ টি প্রকল্প টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হয়।

জানা যায়, মনু নদীর বাঁধের কাজ চলছে ৪ বছর থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিএসএফের বাধা, জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ সংকট জটিলতায় ৫০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ২ দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

জানা জায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু নদীর পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশের কারণে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিসারী। গৃহহীন হয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় বন্যাকবলিতদের। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান ওই সময় একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। তারপরও টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের গুদামঘাট নামক স্থানে প্রায় ৬শ’ ফুট বাঁধ ও মিয়ারপাড়া এলাকায় ৩শ’ ফুটের মতো বাঁধ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া ডেমা বিল এলাকায় ১শ’ ফুটের মতো ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

গতবছর বাঁধের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এ বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মনু নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকা। হাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর, দাউদপুর, সাধনপুর, মন্দিরা ও কাউকাপন বাজার এলাকা। শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল ও চানপুর এলাকা এবং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো ভাঙনের কবলে পড়বে বলে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম ব্যবস্থা নেয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আশ্রয়গ্রাম এলাকায় বাঁধে নতুন মাটি ভরাট করা হয়েছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ কতটুকু নিতে পারবে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা।

মৌলভীবাজার জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, পৃথিমপাশা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে ২৮টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। যার চুক্তিমূল্য ৩০৭ কোটি টাকা। ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে স্থায়ী তীর-প্রতিরক্ষা কাজের ২০টি, চর অপসারণ কাজের ৪টি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতীকরণ কাজের ৪টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের প্রায় চার বছর হলেও কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। মেয়াদ শেষ হলে ২ দফায় সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে বন্ধ রয়েছে।

টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকার নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মনু নদীর গত বছরের ভাঙন স্থান হাজীপুর (গুদামঘাট) ও মিয়ারপাড়া মাটি ভরাট করে ব্লক দেয়া হয়েছে তবে কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড আব্দুল লতিফ জানান, মনু নদীর শিকড়িয়া (ডেমা বিল) এলাকায় গত বছর ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে এখনো করা হয়নি। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকা প্রতিরক্ষা বাঁধ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শিকড়িয়ার ভাঙনটি ভরাট না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন অনেক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



পদ্মা সেতু ও যমুনা সেতুতে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যকর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতু ও যমুনা সেতু দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক যানবাহন পারাপার এবং সর্বোচ্চ টোল আদায়ের এক নতুন মাইলফলক অতিক্রান্ত হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে গৃহীত সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ফলে ২০২৫ সালের ৫ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৫২,৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং এদিন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। একই দিনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু যমুনা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৪,২৮৩ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা— যা উভয় সেতুর ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড। এই পরিসংখ্যানগুলো দেশের সড়ক অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় সেতু কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা এবং দক্ষতার প্রতিফলন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সর্বোচ্চ ৫১,৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয় এবং ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। আবার, বিগত ২০২৩ সালের ২৭ জুন যমুনা সেতু ব্যবহার করে ৫৫,৬২১ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং ২০২৪ সালের ১৪ জুন ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল।

এই গৌরবময় অর্জনের পেছনে যাঁদের নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম ও নিষ্ঠা রয়েছে—তাদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা ও সেতু সচিবের প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দের পেশাদারিত্ব এবং টোল আদায় ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আন্তরিক প্রচেষ্টা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবিদার।

এই সাফল্যের মাধ্যমে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা আরও স্বস্তিদায়ক ও সুশৃঙ্খল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও দায়িত্ববোধ এই সাফল্যকে সম্ভব করেছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ভালো লিচু চিনবেন যেভাবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গ্রীষ্মের অন্যতম প্রিয় ফল লিচু। রসালো ও মিষ্টি স্বাদের জন্য বিখ্যাত এই ফল। এই ফলটির জন্য ফলপ্রেমীরা প্রায় সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। বাজারে ইতোমধ্যেই দেখা যেতে শুরু করেছে লিচু।

তবে সুস্বাদু লিচুর আসল মজা পেতে হলে ভালো মানের ফল চেনা জরুরি। সেই সঙ্গে এগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার উপায়ও জানতে হবে।

 

ভালো লিচু চেনার উপায়

রং ও ত্বক : সাধারণত উজ্জ্বল লাল বা গোলাপি রঙের লিচু ভালো হয়। তবে কিছু জাতের লিচুর রং হালকাও হতে পারে।

খেয়াল রাখতে হবে যেন ফলের গায়ে কোনো রকম কালচে দাগ, ফাটল বা ছত্রাকের চিহ্ন না থাকে। অতিরিক্ত নরম বা চুপসে যাওয়া লিচু না কেনাই ভালো।

আকার ও গঠন : পরিপুষ্ট, গোলাকার লিচু সাধারণত রসালো হয়। ফলটি যেন দৃঢ় থাকে এবং পাথরের মতো শক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

বোঁটার কাছটা ভালো করে দেখে নিতে হবে, পচন ধরেছে কি না।

গন্ধ : পাকা ও তাজা লিচুতে মিষ্টত্বের স্বাভাবিক সুগন্ধ থাকে। যদি কোনো রকম টক বা গাঁজানো গন্ধ পাওয়া যায়, তবে সেই লিচু না কেনাই ভালো।

আর্দ্রতা : শুকনো বা নিষ্প্রভ দেখতে লিচু পুরনো বা কম রসালো হতে পারে। ত্বকে যেন সতেজ ভাব থাকে।

সংরক্ষণ পদ্ধতি

লিচু খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই সঠিকভাবে সংরক্ষণ জরুরি। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় লিচু এক দিনের বেশি ভালো থাকে না। তবে ফ্রিজে রাখলে আয়ু কিছুটা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে লিচু না ধুয়ে একটি ছিদ্রযুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগে বা কাগজের ঠোঙায় মুড়ে ফ্রিজের ভেজিটেবল বাস্কেটে রাখতে হবে। এতে লিচু ৪-৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি অল্প পরিমাণে কিনে দ্রুত খেয়ে ফেলা যায়। তবে মনে রাখবেন, ডাল থেকে ছেঁড়ার পর লিচুর পাকার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাই কেনার সময় পরিপক্ব লিচুই বেছে কিনুন।


আরও খবর



ইতালির নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস হলো না

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

৮ ও ৯ জুন ২০২৫ তারিখে ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। নাগরিকত্ব আইন এবং শ্রমিক অধিকার সংশোধন বিষয়ক মোট পাঁচটি প্রশ্নে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় গণভোটটি ব্যর্থ হয়। অনেক বিশ্লেষকের মতো আমিও ধারণা করেছিলাম, এমন একটি উদ্যোগ ইতালির সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় সফল হওয়া অসম্ভব প্রায়।


গণভোটের প্রেক্ষাপট:


গণভোটে পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে একটি ছিলো সবচেয়ে আলোচিত: বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়ার সময়সীমা ১০ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হবে কি না।


অন্য চারটি প্রশ্ন ছিলো শ্রম সংক্রান্ত- ২০১৫ সালের “Jobs Act” আইন সংশোধন করা হবে কিনা। 


এগুলো শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ক হলেও, জনসচেতনতা এবং রাজনৈতিক সমর্থনের অভাব বিষয়গুলোকে দুর্বল করে দেয়।


ভোটার উপস্থিতি:


ইতালির আইন অনুযায়ী, গণভোট কার্যকর হতে হলে- ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু এই ভোটে উপস্থিতি ছিলো মাত্র ২২.৭%। সুতরাং গণভটটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়।


এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র ভোট ব্যর্থতার প্রতীক নয়, এটি এক গভীর গণতান্ত্রিক সংকটের প্রতিফলন। রাজনৈতিক উদাসীনতা, মিডিয়ার সীমিত কাভারেজ, ক্ষমতাসীন সরকারের ‘ভোট বর্জন’ কৌশল, সবকিছু মিলে ভোটারদের কাছে এই গণভোটের গুরুত্ব আগেই ফিকে হয়ে গিয়েছিলো।


আমার কাছে এই ব্যর্থতা অপ্রত্যাশিত ছিলো না। ইতালির রাজনীতি ও সমাজ এখনও বহুজাতিক, বহুসাংস্কৃতিক বাস্তবতা গ্রহণে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।

বিশেষ করে নাগরিকত্ব নিয়ে জনমনে এক ধরনের "ভয়" বা "রক্ষণশীলতা" কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, সহজে নাগরিকত্ব দিলে “ইতালিয়ান পরিচয়ের” অবমূল্যায়ন হবে। এই মানসিকতা সমাজে গভীরভাবে গেঁথে আছে।


একইভাবে, শ্রম আইন সংস্কারও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পছন্দের বিষয় ছিলো না। তারা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আগ্রহী। গণভোট ব্যর্থ হওয়ায় মূলত মেলোনি সরকারের অবস্থান আরো মজবুত হলো।


ইতালির ২০২৫ সালের গণভোট প্রমাণ করে, শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জনসচেতনতা এবং সমাজের মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া বড় কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। নাগরিকত্ব কিংবা শ্রম অধিকার- উভয়ই মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন।


আরও খবর