মুজাহিদ সরকারঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনায় উপজেলা হেলথ কেয়ার আয়োজিত মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১১ জুন রোজ শনিবার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হেলথ কেয়ারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার(উপ-পরিচালক) ডা. হাসিবুর রহমান ভূঁইয়া, উপজেলা হেলথ কেয়ারের (ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার) ডা. শাহীন। ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.অতিশ দাস রাজিব সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও কর্মচারীবৃন্দ।
সারা বাংলাদেশে প্রথম পর্যায়ে ১৬ টি উপজেলায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২টি উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার একমাত্র ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই দ্বিতীয় পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হতে যাচ্ছে।
ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.অতিশ দাস রাজিব সবাইকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ডা. হাসিবুর রহমান ভূঁইয়া ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জহির আহমেদ এবং যার কথা না বললেই নয় ডা. শাহিন, যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টা আজকের এই মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং এর গাইডলাইন তৈরি করতে সাহায্য করেছে। তিনি আরও বলেন, ডা.হাসিবুর রহমান ভূঁইয়া সর্বদাই কিশোরগঞ্জের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন বিশেষ কিছু করার, আমাদের উপজেলায় মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপনা নির্মাণ এর আরেকটি উদাহরণ।
ডা. হাসিবুর রহমান ভূঁইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ উনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও ম্যাডামকে নিয়ে ইটনা উপজেলা পরিদর্শন করেছেন এবং যাবতীয় আরো কি কি প্রয়োজন তার সর্বোচ্চ উপজেলা হেলথ কেয়ার থেকে দেয়ার কথা বলেছেন ।
ধন্যবাদ আমাদের ইটনা উপজেলার স্বনামধন্য চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, কে যিনি প্রথম থেকে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পিট নির্মাণের জায়গা সহ আরো চলমান কাজের সর্বদা সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
ধন্যবাদ সিভিল সার্জন কিশোরগঞ্জ
ডা. সাইফুল ইসলাম কে প্রতিটি কাজে পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য।
আমাদের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপনাটি গড়ে উঠলে এত বছর ধরে চলে আসা সকল মেডিকেল বর্জ্য একসাথে ডাম্পিং করা অথবা পোড়ানো এবং সেটার জন্য যে সমস্যাগুলো তৈরি হতো সেটা একেবারেই কমে যাবে।
এতে একদিকে প্লাস্টিক বর্জনের জন্য পরিবেশের যে ক্ষতি হতো সেটা কমে যাবে এবং অন্যদিকে মেডিকেল বর্জ্য গুলো সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা আলাদা জায়গা নিষ্কাশন করা হবে ।