Logo
শিরোনাম

ভরা মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

আমনের ভরা মৌসুমে মোকাম, পাইকারি খুচরা বাজার- সবখানে চালের দাম বেড়েছে গত -১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে থেকে টাকা পর্যন্ত

বাজারে এখন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়, যা ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা ছিল মাঝারি (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা দুই টাকা বেড়ে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়

চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মালিবাগে কুমিল্লা রাইস এজেন্সির ফরিদ হোসেন বলেন, ভোটের কারণে গাড়ি কম এসেছে। তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে চালের দাম বেড়েছে

তিনি জানিয়েছেন, মানভেদে প্রতি বস্তা চালের দাম দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে

মোকামমালিক, আড়তদার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। কোথাও চালের সংকট নেই। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে আমন ধানের মজুত গড়ে তোলা হয়েছে। মজুতের কারণে বাজারে চালের দাম বাড়ছে

রামপুরা বাজারে খুচরা চাল বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৬৬ টাকা, বর্তমানে তা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৬ টাকার পায়জাম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়

তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে দশমিক ৮০ শতাংশ মাঝারি চালের দাম বেড়েছে দশমিক ৬৫ শতাংশ

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির হিসাবেও সরু চালের দাম এক মাসের ব্যবধানে টাকা পর্যন্ত বেড়েছে


আরও খবর



এক মাস না যেতেই বাড়ল ট্রেজারি বিলের সুদহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোর তরফে অর্থের জোগান বেশি থাকায় মার্চে ট্রেজারি বিলের সুদহার কমেছিল। তবে পরের মাসেই তা আবার বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে ট্রেজারি বিলের সুদের হার বেড়েছে ১০১ থেকে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদের হার নির্ধারণ করা হয় ব্যাংকগুলোর কাছে কী পরিমাণে তারল্য রয়েছে, সেটির ওপর ভিত্তি করে। সরকারের চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য জোগান বেশি থাকলে সুদের হার কমে। আর চাহিদার তুলনায় তারল্য যোগান কম থাকলে সুদের হার বাড়ে।

এখন ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে থাকায় এবং সরকারের বেশি ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় সুদহার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে, বলছেন ব্যাংকাররা।

সর্বশেষ সোমবারের নিলামে ৯১ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মার্চে যা ছিল ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সুদহার কমেছে ১২৩ বেসিস পয়েন্ট।

এদিন ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের সুদহার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এক মাস আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সে হিসাবে সুদহার কমেছে ১০১ বেসিস পয়েন্ট।

এপ্রিলে এসে ৩৬৪ দিনের টেজারি বিলের সুদের হার দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সুদহার কমেছে ১১৫ বেসিস পয়েন্ট।

ট্রেজারি বিল এক ধরনের স্বল্পমেয়াদি আর্থিক ঋণপত্র, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার বিক্রি করে থাকে। মেয়াদ হয় ৯১ থেকে ৩৬৪ দিন পর্যন্ত।


আরও খবর



ডায়াবেটিস ॥ ভুল ধারণা ও প্রকৃত সত্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক (ডাঃ) এ বি এম আব্দুল্লাহ:

ডায়াবেটিসকে বলা হয় নীরব ঘাতক। বিশ্বের বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। মানুষের মাঝে এ রোগ নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। আসল সত্য তুলে ধরেন।

(১) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস কোনদিনও ভাল হয় না :

* প্রকৃত সত্য- ডায়াবেটিসকে বলা হয় চিরজনমের রোগ। তবে কিছু কিছু রোগের কারণে ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে, তাকে বলে সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস। যেমন-এক্রোমেগালি, থাইরোটক্সিকোসিস, প্যানক্রিয়াটিক ডিজিজ, কুশিং সিনড্রোম। এ সমস্ত রোগের চিকিৎসা করলে ডায়াবেটিস ভাল হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহারে ডায়াবেটিস হয়। যেমন- অনেকদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খেলে। এগুলো ছেড়ে দিলে আবার ডায়াবেটিস ভাল হয়ে যায়। নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চললে এবং প্রয়োজনে ওষুধ নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস সেরে যেতে পারে।

(২) ভুল ধারণা- ভাত বা কার্বোহাইড্রেট একেবারেই খাওয়া যাবে না :

* প্রকৃত সত্য- অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস হলে আর ভাত খাওয়া যাবে না। কথাটা একেবারেই সত্য নয়। ভাত বা কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ মতো খাওয়া যাবে। সাধারণত সকালে- রাতে গমের রুটি খেতে বলা হয় এবং দুপুরে পরিমাণ মতো মেপে ভাত খেতে দেয়া হয়।

(৩) ভুল ধারণা- কৃত্রিম চিনি ইচ্ছামতো ব্যবহার করা যাবে :

* প্রকৃত সত্য- ডায়াবেটিস রোগীদের কোন প্রকার মিষ্টান্ন খাওয়া উচিত নয় বলে ভাবেন অনেকে। এটি ভুল ধারণা। সাধারণ চিনি না খেয়ে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেটাও হতে হবে পরিমিত। ইচ্ছে মতো অতিরিক্ত কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা উচিত না।

(৪) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস রোগীরা ফল খেতে পারেন না:

* প্রকৃত সত্য- এটাও একটা ভুল ধারণা। ডায়াবেটিস রোগীরা যে কোন ফল খেতে পারবেন। যেমন- কলা, আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি। তবে তা যেন হয় পরিমিত।

(৫) ভুল ধারণা - মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয় :

* প্রকৃত সত্য- মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়- এ কথাটা ঠিক নয়। সরাসরি মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার কোন যোগসূত্র নেই। মিষ্টি বেশি না খেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে। আসলে পারিবারিক ইতিহাস, ওজন বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বা পরিশ্রমবিহীন অলস জীবন যাপন ইত্যাদি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বলে ইচ্ছে মতো চিনি বা মিষ্টি কোনক্রমেই বেশি খাওয়া উচিত নয়।

(৬ ) ভুল ধারণা- মিষ্টিজাতীয় ওষুধ খেলে ডায়াবেটিস বাড়বে :

* প্রকৃত সত্য- কিছু কিছু সিরাপ জাতীয় ওষুধ বেশ মিষ্টি, যেগুলোতে সামান্য সুগার বা স্যাকারিন দেয়া হয়। অনেক ডায়াবেটিস রোগীর ধারণা এগুলো খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। আসলে তা ঠিক নয়। কারণ, এই সিরাপগুলোতে খুব সামান্য পরিমাণ স্যাকারিন মিশ্রিত থাকে। রোগের কারণে ওষুধটাই জরুরী। এগুলো সেবনে ডায়াবেটিস বাড়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই।

(৭) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে হতে পারে :

* প্রকৃত সত্য- ডায়াবেটিস কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। বরং জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। যেমন- বাপ-মা, ভাই-বোন, নিকটাত্মীয় কারও ডায়াবেটিস থাকলে অন্যদেরও হতে পারে।

(৮) ভুল ধারণা- হোমিওপ্যাথিক বা হার্বাল মেডিসিনে ডায়াবেটিস ভাল হয় :

* প্রকৃত সত্য- আসলে এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি তিনটা ‘ডি’-

* প্রথম ডি-ডায়েট কন্ট্রোল বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। ৬০ থেকে ৮০ ভাগ রোগী এতেই ভাল থাকেন।

* দ্বিতীয় ডি- ডিসিপ্লিন বা শৃঙ্খলা। সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।

* তৃতীয় ডি- ড্রাগ বা ওষুধ, খুব অল্প সংখ্যক রোগীর ওষুধের প্রয়োজন পড়বে।

(৯) ভুল ধারণা- তিতা জাতীয় জিনিস যেমন- করলা, মেথি বা নিমপাতা খেলে ডায়াবেটিস সেরে যায় :

* প্রকৃত সত্য- তিতা স্বাদযুক্ত খাবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস করে বলে মনে করেন অনেকেই। এ কারণে করলা বা নিম বা অন্যান্য তিতা খাবার খান। এটা একটি ভুল ধারণা। তিতা খেলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়, এ রকম ধারণা কমবেশি প্রচলিত থাকলেও বিজ্ঞানসম্মত এর কোন প্রমাণ নেই যে, এগুলো রক্তে গ্লুকোজের নিয়ন্ত্রণ করে।

(১০) ভুল ধারণা- সাধারণ চিনিমুক্ত খাবার বা পানীয় ইচ্ছেমতো খাওয়া যায় :

* প্রকৃত সত্য- এ কথাও সত্য নয়। বাজারে ‘ডায়াবেটিক’ পানীয় যেমন- কোক, পেপসি, সেভেন আপ ইত্যাদি এমনকি ডায়াবেটিক সন্দেশ, বিস্কুট, জ্যাম, চকলেট পাওয়া যায়। এসব খাবারের গায়ে চমকপ্রদ কিছু লেখা আর চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে স্বাভাবিকভাবেই একজন ডায়াবেটিস রোগীর খেতে মন চায়। ডায়াবেটিক রোগীরা মাঝেমধ্যে মিষ্টির বদলে এগুলো খেতে পারেন। তবে সব সময় খাওয়া উচিত না।

(১১) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনে কাউকে রক্তদান করতে পারবেন না :

* প্রকৃত সত্য- ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কখনও অন্য মানুষকে রক্তদান করতে পারেন না, এমনটাই ধারণা অনেকের। তবে এ ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে বা অন্য কোন সমস্যা না থাকলে রক্তদানে কোন সমস্যা নেই।

(১২) ভুল ধারণা- নিয়ন্ত্রণে এলে অনেকেই শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না মনে করে ওষুধ বন্ধ করে দেন। মনে করেন ওষুধ না খেলেও চলে :

* প্রকৃত সত্য- কোন কোন রোগী একবার সুগার নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু বাস্তবে ওষুধের কারণেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওষুধ বন্ধ করা হলে সুগারের মাত্রা আবার বাড়তে থাকে। তাই নিয়ন্ত্রণে এলেই ওষুধ বন্ধ করা মোটেও ঠিক নয়।

(১৩) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিক রোগীরা ওষুধ খাওয়ার পরে যত খুশি মিষ্টি খেতে পারেন :

* প্রকৃত সত্য- এ ধারণাটা মোটেই ঠিক নয়। হয়ত মাঝেমধ্যে একটু আধটু মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। তার মানে যত খুশি তত মিষ্টি খাওয়া কোনক্রমেই উচিত হবে না। তবে অনেকেই ডায়াবেটিস অতিরিক্ত কন্ট্রোল করতে গিয়ে স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেন বা ছেড়ে দেন। তা মোটেও ঠিক নয়। অবশ্যই পরিমিত পুষ্টিকর বিশুদ্ধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

(১৪) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস সারা জীবনের সঙ্গী। এটি থেকে আর কোনদিন পরিত্রাণ পাওয়া যায় না :

* প্রকৃত সত্য- এই বিষয়টি সত্যি নয়। সঠিক নিয়ম ও উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস মুক্ত হওয়া যায়।

(১৫) ভুল ধারণা- একবার ডায়াবেটিসের ওষুধ শুরু করলে আর কোন সময়ই তা বন্ধ করা যাবে না :

* প্রকৃত সত্য- এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। স্থূলকায় ব্যক্তিদের ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়েট কন্ট্রোল এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রয়োজনে ওষুধ বন্ধ করা যেতে পারে।

(১৬) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা তাড়াতাড়ি মারা যায় :

* প্রকৃত সত্য- এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। শৃঙ্খলা মেনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করলে অবশ্যই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে অনেক ধরনের জটিলতা হতে পারে।

(১৭) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিসে ইনসুলিন সর্বশেষ চিকিৎসা :

* প্রকৃত সত্য- ইনসুলিন একজন ডায়াবেটিস রোগীর জীবনে যে কোন সময়ই লাগতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, যে কোন অপারেশনের সময়, কোন গুরুতর রোগে হাসপাতালে থাকাকালীন। যেমন- হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক বা মারাত্মক কোন সংক্রমণের সময়, কিডনি বা যকৃতের জটিলতায় ইনসুলিনই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ। এ ছাড়া কোন কারণে রক্তে গ্লুকোজ অনেক বেড়ে গেলেও ইনসুলিন দরকার হবে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, ইনসুলিন দেয়া হচ্ছে মানে অবস্থা খুব জটিল বা মরণাপন্ন। তবে অবস্থার উন্নতি হলে ইনসুলিন বন্ধ করা যেতে পারে এবং মুখে খাওয়ার ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। তার মানে ইনসুলিন সর্বশেষ চিকিৎসা নয়।

(১৮) ভুল ধারণা - একবার ইনসুলিন ব্যবহার করলে সারা জীবনই তা নিতে হবে :

* প্রকৃত সত্য- বিষয়টা আসলে তা নয়। নানা কারণে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। আবার পরে তা পরিবর্তন করে বা বন্ধ করে ওষুধ খাওয়াও যেতে পারে। যেমন- গর্ভাবস্থা কেটে যাওয়ার পর বা অস্ত্রোপচারের ঘা শুকিয়ে যাওয়ার পর একসময় ইনসুলিন বন্ধ করে আবার ওষুধ খাওয়া যায়। তবে টাইপ ১ ডায়াবেটিস, কিডনি ও যকৃতের গুরুতর সমস্যা এবং সর্বোচ্চ মাত্রায় ওষুধ ব্যবহার করেও যদি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রিত না হয়, এসব ক্ষেত্রে সব সময়ের জন্য ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।

(১৯) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়ের গর্ভধারণ করা ঠিক নয়, এমনকি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না:

* প্রকৃত সত্য- এ ধারণাটা মোটেও ঠিক নয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে গর্ভধারণে কোন নিষেধ নেই, এমনকি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালেও বাচ্চার কোন ঝুঁকি নেই।

(২০) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা কখনোই রোজা রাখতে পারবেন না :

* প্রকৃত সত্য- এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। ডায়াবেটিসের চিকিৎসার মূলমন্ত্র হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। রোজা একটা সুবর্ণ সুযোগ, যা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে রোগীরা অবশ্যই রোজা রাখতে পারবেন। প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। এমনকি রোজা রেখে দিনের বেলায় রক্তের সুগার মাপা যাবে, প্রয়োজনে রোজা রেখে ইনসুলিন ইনজেকশন দেয়া যাবে। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।

(২১) ভুল ধারণা- ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ওরস্যালাইন খেতে পারবেন না :

* প্রকৃত সত্য - অনেকে মনে করেন ওরস্যালাইনের মধ্যে গ্লুকোজ থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীর ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়া উচিত নয়। এ ধারণাটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ ওরস্যালাইনে সামান্য গ্লুকোজ থাকে। এতে ডায়াবেটিসের ততটা ক্ষতি হয় না।

সুতরাং যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের এসব ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ডায়াবেটিসকে ভয় না পেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।



আরও খবর



অদৃশ্য মহামারি থ্যালাসেমিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশে রেজিস্ট্রারভুক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকটা অদৃশ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসা ব্যয়ের ভার এতটাই বেশি যে, সব রোগীর জন্য সেবা দিতে বছরে প্রয়োজন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য— যদি সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

৭ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় প্রতি মাসে একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ রেজিস্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছে, যাদের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকৃত রোগী সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার ব্যয়ে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর চিকিৎসা ব্যয় শুধু বাড়তেই থাকে। সমস্যা আরও গভীর হয় যখন দুইজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান জন্ম দেয়, যেটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। আমি নিজে এই বিষয়ে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করব এবং আমার তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জায়গায় এই রোগ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করব।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক। তিনি বলেন, বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া বাহক শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে।

শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিনই নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন। তাই নিরাপদ রক্তের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মো. মাজির হোসেন এবং অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন। বক্তারা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।


আরও খবর



নওগাঁয় মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুলিশে চাকরি পেলেন ৩৬ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

'সেবার ব্রতে চাকরি'' এই প্রতিপাদ্যে মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে মেধায় নিয়োগ পেয়েছেন নওগাঁর ৩৬ জন চাকুরীপ্রার্থী। মাত্র ১২০ টাকার সরকারি ফি জমা দিয়ে নিজের মেধায় স্বপ্নের চাকরি পেলেন তারা। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। জানা যায়, শারীরিক যোগ্যতা, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৬৯ জন। পরে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তারা। পরবর্তীতে চূড়ান্ত যাচাই শেষে ৩৬ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

ফলাফল ঘোষণার সময় পুলিশ সুপার বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা অনুসরণ করা হয়েছে। কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ ছাড়াই যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা প্রকৃত অর্থেই গর্বিত হওয়ার মতো একটি অর্জন করেছে।

তিনি নিয়োগ প্রাপ্তদের উদ্দেশে বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবে এই প্রত্যাশা করি।

পুলিশ সুপার জানান, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রতারণার অভিযোগে ৩জন দালালকে আটক করেছে পুলিশ। উক্ত প্রতারক চক্রটি চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চুক্তি করেছিল। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, চুক্তিনামা, ব্যাংকের চেকসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

উক্ত নিয়োগ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা শারমিন নেলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএমএম ওয়াসিম ফিরোজ সহ টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।


আরও খবর



পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টে ডলার সংযুক্তি (এনডোর্সমেন্ট) করতে চাইলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বাইরে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। রবিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিলি ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় বিভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ও চার্জ এবং অতিরিক্ত সার্ভিস ফি বা কমিশন নিচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে নিরুৎসাহিত হন গ্রাহকরা।

এ কারণে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর