Logo
শিরোনাম

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে মাভাবিপ্রবির ছাত্রসংগঠনগুলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৯ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে ‘মাভাবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ (বৈছাআ), শিবির, ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যে সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, পরীক্ষার্থীদের জন্য পথনির্দেশনা, জরুরি প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অভিভাবকদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামস্থলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করছি, যেন তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারি।”আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলো: তথ্যসেবা, ‘আমানত কর্নার’ (পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য), কলম উপহার, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, ছাউনির মাধ্যমে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা,

চিকিৎসাসেবা এবং হাতপাখা উপহার।

ছাত্রদলের কর্মী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিগত দিনের মতো ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সুপেয় ঠান্ডা পানি, স্যালাইন, বাইক সেবা সহ যত ধরনের সাহায্য দরকার হয়, আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে।

মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “আগামী GST ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেট থেকে সন্তোষ বাজার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে সংগঠনটির সদস্যরা। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল, ঘড়ি ও ব্যাগ নিরাপদে রাখার জন্য থাকবে সুরক্ষিত জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা। অভিভাবকদের জন্য নির্দিষ্ট বসার স্থান ও পর্যাপ্ত সুবিধা রাখা হবে যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারেন। সব মিলিয়ে, কোনো পরীক্ষার্থী যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।”

“আমরা বিশ্বাস করি, এসব উদ্যোগ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কর্মী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন,"আমরা মাভাবিপ্রবিতে আগত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কলম উপহার দিয়ে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছি এবং আগামীকাল ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরও জানাবো। পাশাপাশি তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে পানি বিতরণ করবো, যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ইউনিটে এবার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৮ এপ্রিল। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মে এবং এর ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ মে। ‘এ’ ইউনিটে সাধারণত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে সরকারি ভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দি পাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক,ইমাম,রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,কৃষক,ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এলকার সর্বস্তরের জনগনের ব্যনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জি.শাহরিয়ার আহমেদ সমুন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সা’দ আহমেদ রাজু, সুন্দর আলী,ইমরান নাজির প্রমুখ।

এ সময় বন্যায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া,সুন্দর আলী,জুয়েল মিয়া,সেমাজুল হক,শিক্কু মিয়া, লুৎফর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া, মজিবুর রহমান, সোলায়মান হক, কালামত আলী,আলাল মিয়া,আমিরুল ইসলাম,ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ,ফরিদ,মজিবুর রহমান,দুখু মিয়া, টুনু মিয়া, শের আলী, হযরত আলী, ওমান মিয়া, ইসরাফিল, আলামিনসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তরা বলেন,প্রতিবছর বন্যায় শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন নদী ভাঙে,তেমনি পানি কমার সময়েও ভাঙন আরো বৃদ্ধি পায়। ভাঙন ভাঙন খেলায় নদী বেষ্ঠিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ এখন দিশেহারা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর,ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জি,শাহরিয়ার আহমেদ সুমন বলেন, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বছরের পর বছর এলাকাবাসী শুধু আবেদন করেই গেছেন। আশ্বাস মিললেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তাই জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা সুন্দর আলী বলেন,গরীব মানুষ আমরা,তাই আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখে না। কতজনই তো কথা দিলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। 

মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,ইতোমধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন,উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী বেষ্ঠিত। বন্যার সময় ব্যপক ভাঙনের কবলে পড়েন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধব্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। 


আরও খবর



৯ দিনে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কয়েক হাজার রোগী আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনই আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোমবার (৯ জুন) রাতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আবহাওয়ার কারণে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আগের মতো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি যেমন- হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, এগুলো মেনে চললে করোনা থেকে সুরক্ষা থাকা সম্ভব।

তিনি বলেন, করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সচেতন হতে হবে। একসঙ্গে দুটি ভাইরাসে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের প্রতিরোধের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তারা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক যারা তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগ আছে, তারা আক্রান্ত হলে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এজন্য এখনই সচেতন হতে হবে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগের দিন চার জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় জন।

এদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পুরুষ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৪ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করতে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়৷

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনায় বলা হয়, বারবার প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড), নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না, হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু ও কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

দেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরগুলোতে আইএইচআর (আইএইচআর ২০০৫) স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করা, দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্কান্যার বা ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখা।

জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়৷

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে বলা হয়— অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে (০১৪০১-১৯৬২৯৩)। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রেল, মেট্রোরেলে মাস্ক ছাড়া যাতায়াত না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



যানজটের শহরে ফাঁকা ঢাকার রাস্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী ঢাকা। ঢাকার রাস্তায় নেই চিরচেনা ব্যস্ততা, কোলাহল, যানজট। ঈদুল আজহায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাবেন। গতকাল বুধবার থেকেই ঈদের এই লম্বা ছুটিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। আজও অনেকে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুরসহ রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক আজ অনেকটাই ফাঁকা। অন্যান্য কর্মমুখর দিনের তুলনায় আজ জনসাধারণ ও যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে। অন্যদিকে সড়কে যে-সব গণপরিবহন দেখা যাচ্ছে, সেগুলোতেও রয়েছে যাত্রী সংকট।

এদিকে ফাঁকা রাজধানীর সড়কজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার রিকশার আধিক্য রয়েছে। পাশাপাশি সড়কে সিএনজি ও সামান্য কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।  অন্যদিকে যেসব এলাকায় বাস টার্মিনাল কিংবা গরুর হাট আছে, সেসব এলাকাগুলোতে কিছুটা যানজট ও মানুষের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আগারগাঁও এলাকায় কথা হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক কলিম উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন ঢাকায় গাড়ি কম তাই সব ধরনের রাস্তায় রিকশা চালাতে পারছি। কেউ বাধা দিচ্ছে না। ঈদের সময় যাত্রীরা বকশিস হিসেবে ভাড়াও একটু বাড়িয়ে দেয়।  

ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকায় অন্যান্য দিন যেখানে দ্বিগুণ বা তারও বেশি সময় লেগে যেত, এখন সেই পথ পেরোতে সময়ও কম লাগছে। তাই যারা বিভিন্ন কাজে বের হয়েছেন, তারা খুব দ্রুত সময়েই গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন।

একটি পরিবহন কোম্পানির বাসের সহকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অর্ধেক গাড়ি রাজধানীতে চলাচল করেছে। বাকি অর্ধেক গাড়ি রিজার্ভে উত্তরবঙ্গে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।

বাসচালক আব্দুল্লাহ কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঈদের এমন সময় যাত্রী অনেক কম পাওয়া যায়, তবে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় খুব কম সময়েই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায়।

দূরপাল্লার পরিবহন কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে, এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটির ফলে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন ঈদ পালন করতে। তাই গতকাল ও আজ বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। অনেক বাস কোম্পানি যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনায় নির্ধারিত বাসের পাশাপাশি বাড়তি বাস নামিয়েছেন সড়কে।  

ঈদ কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত ও বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ বলছে, তিন পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেমন- ঈদ পূর্ববর্তী, ঈদের সময় ও ঈদ পরবর্তী।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এপ্রিল ফুল নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে কোনোভাবে এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের পরিবেশের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। সুতরাং রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। আবহাওয়ার অবস্থাও থাকবে অনিশ্চিত। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিক্কেই ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, যারা এ সিদ্ধাদের বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, এ বক্তব্য স্পষ্টত সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। ড. ইউনূস প্রধান হিসেবে নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনুস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

নেতারা বলেন, ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।


আরও খবর



দ্বীন প্রচারে সুফিদের অবদান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম, লেখক ও গবেষক :

আধ্যাত্মিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যমে সৃষ্টি ও স্রষ্টার সম্পর্ক নিরূপণ করে আত্মার পরিশুদ্ধিই সুফিবাদের মূলকথা। মানসিক ও নৈতিক উন্নতি সাধনে তাদের কৃতিত্ব ছিল অসীম। খাজা মঈনউদ্দীন চিশতি (র.)-এর চিশতিয়া, আব্দুল কাদের জিলানী (র.)-এর কাদেরিয়া, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক:) মাইজভান্ডারীয়া, শেখ বাহাউদ্দীন জাকারিয়া (র.)-এর সোহরাবর্দীয়া, খাজা বাহাউদ্দীন নকশ (র.)-এর নকশ বন্দিয়া, শরফুদ্দিন আলী কলন্দিয়া (র.)-এর কলন্দিয়া তরিকাসহ সুফিবাদে অসংখ্য তরিকা রয়েছে।

মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে এর যাত্রা শুরু হলেও পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে সুফিবাদ। যেখানেই অশান্তি বিরাজমান, অত্যাচারী শাসক কর্তৃক প্রজা নির্যাতিত ও নিপীড়িত, সেখানেই ইসলামের শান্তি ও উদারতার বাণী নিয়ে সুফিদের আগমন ছিল অলৌকিক ঘটনা। তাদের জ্ঞানের উৎস ছিল কুরআন ও হাদিস। এ দেশের শহর-বন্দর ও গ্রাম-গঞ্জে তাদের খানকা পাওয়া যায়। এসব খানকা ছিল শিক্ষা ও জ্ঞানের কেন্দ্র। দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য শিষ্যরা ছুটে আসত দীক্ষা নেওয়ার জন্য। নিজ ধর্মের শ্রী বৃদ্ধির জন্য সুফিরা কখনো অন্য ধর্মের প্রতি বিরোধিতা করেননি।

সুফিদের মধ্যে অনেকে বড় আলেম ছিলেন, তারা প্রত্যক্ষভাবে প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও ইসলামের প্রয়োজনে শাসকশ্রেণিকে সহযোগিতা করেছেন। বাংলায় ইলিয়াস শাহী আমলে হিন্দু আধিপত্য বেড়ে গেলে সুফিদের মাধ্যমেই ইসলামের রাস্তা প্রশস্ত হয়। কখনো বা যুদ্ধে উপস্থিত থেকে হাতে অস্ত্র না নিয়ে নৈতিক ও মানসিকভাবে শিষ্যদের শক্তি জুগিয়েছেন। আদর্শ অনুসন্ধানকারীদের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য ও উদারতা তুলে ধরেছেন আর শান্তির ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অমুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু ও সমাজের নিপীড়িত মানুষ ইসলামের ছত্রছায়ায় নিজেকে আবৃত করেছিল। সুফিবাদে সুফিরা সন্ন্যাসীদের মতো ঘুরে বেড়ালেও সুফিবাদ আর সন্ন্যাসবাদ ভিন্ন বিষয়। সত্তা ত্যাগ বা সংসার ত্যাগ করে স্রষ্টার চিন্তায় মগ্ন থাকা সন্ন্যাসবাদ।

সুফিবাদে সংসার ত্যাগের কথা উল্লেখ থাকে না, সুফিরা আল্লাহর জন্য ইসলামের দ্বীনকে প্রতিষ্ঠায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সত্তা বিলিন করে নয়। পারস্য সুফিবাদের উর্বর ভূমি হলেও কালক্রমে ভারতবর্ষ পরিশেষে বাংলায় দূরদূরান্ত থেকে সুফিরা আগমন করেছিল। রুম থেকে শাহ সুলতান কমরুদ্দিন (র.), ইয়েমেন থেকে হজরত শাহজালাল (র), তুর্কিস্তানের বাহাউদ্দীন জাকারিয়া প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তাদের খানকার পাশে গরিব, অসহায় আর দুস্থ মানুষের জন্য বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হতো। সব ধর্মের মানুষের জন্য এ ব্যবস্থা ছিল উন্মুক্ত। সুফিদের উৎকর্ষ নীতি আর নৈতিকতা দেখে নানা স্তরের মানুষ মুগ্ধ হতো, অনেকে তাদের দ্বারা সংঘটিত ক্রিয়াকলাপকে (শাহজালালের আজানের ধ্বনিতে গৌর গোবিন্দের প্রাসাদ ধ্বংস) অলৌকিক মোজেজা বলে আখ্যা দিত

।তাদের আত্মশুদ্ধি ছিল সর্বোচ্চ স্তরের, ফলে আল্লাহর কাছে চাওয়ামাত্র তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে দিতেন। আর বর্তমানে কিছু ভণ্ডদের দেখা যায় গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ সব কিছুতেই আসক্ত। তারা আবার ছড়িয়ে বেড়ায় নেশার মাধ্যমেই আল্লাহর সঙ্গে ধ্যানে মগ্ন থাকেন। মাথায় চুলের জট, কয়েক মাসে একবার গোসল করে, শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয় বেশির ভাগই মাজারে পড়ে থাকে। বর্তমানে এসব ভণ্ডরাই সুফিদের খানকাগুলো দখল করে নিয়েছে, নিজের মতো গাঁজার আসর বসাচ্ছে, হিন্দু কায়দায় মাথা ঝুঁকে প্রণাম করছে।

দেশের কোনো মাজার বা সুফিদের খানকায় সুস্থ ধারায় ইসলামের রীতিনীতি বা সংস্কৃতি এখন আর চালু নেই। খানকা পূজারি বেড়ে গেছে, খানকাগুলোকে আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহার করছে, প্রতি বছর ধর্মকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে একটা গোষ্ঠী। প্রতিনিয়ত এর মাত্রা বেড়ে চলছে। আবার বর্তমানে একদল দেশব্যাপী কাওয়ালি গানের রেওয়াজ শুরু করেছে। অনেকে মরমিবাদের সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে ফেলছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র এর সয়লাব। এসব পুরোপুরিভাবে ইসলাম-সাংঘর্ষিক। ইসলাম প্রচারে সুফিরা অকাতরে নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে আল্লাহর জমিনে কাজ করে গেছেন। সমসাময়িক সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অনেক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান (চিকিৎসালয়, আশ্রয়স্থল, লঙ্গরখানা, শিক্ষালয়) স্থাপন করেছেন। বিশেষ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝোঁক ছিল বেশি। সুফিদের সমসাময়িক প্রায় সব শাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকা সত্ত্বেও ভিন্ন দেশ থেকে এসে আবাস্থল স্থাপন করে এসব জনহিতকর কার‌্যাবলি করেছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ তাদের মাহাত্ম্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শিষ্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। ইসলাম প্রচারে তাদের বাণী, কর্ম, ত্যাগ-তিতিক্ষা কখনো ভোলার নয়।


আরও খবর