Logo
শিরোনাম

ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,

রামগড়(খাগড়াছড়ি) :

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে ভূমি ও গুচ্ছ গ্রামের রেশন কার্ড আত্মসাৎ করার অশুভ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারি নাথ। 

শনিবার (৩০ ই সেপ্টেম্বর)  রামগড়ে স্থানীয় গোধূলি রেস্তোরাঁয় বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, জহর লাল ঘোষ নামের স্থানীয় বাসিন্দা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ভূমি ও রেশন কার্ড দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি জহর লাল ঘোষ একটি সংবাদ সম্মেলনে ভূমি অফিসের সহযোগীতায় ঘুষের প্রসঙ্গে  আমার সহযোগীতার অভিযোগ তুলেন। অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা উল্লেখকরে  বলেন, জহরলাল বোোন গীতা রানী ঘোষকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে পৌরসভার জগন্নাতপাড়াস্থ দশমিক ২০ শতক ভুমি নিজ নামে বন্দোবস্ত করে অন্যায় ভাবে তার স্ত্রীকে দান করতে অপচেষ্টা করে একই সাথে পারিবারিক রেশন কার্ড থেকে তার  বোনকে বাদ দিয়ে স্ত্রী সন্তানদের ওয়ারিশ করেন।  

উল্লেখিত জালিয়াতির বিচার ও সম্পত্তির দাবী চেয়ে তার বোন ভূমি অফিস ও স্থানীয় হিন্দু নেতাদের নিকট বিচার দাবী করলে আমি সুষ্ঠ বিচারে সহযোগীতা করায়  ভূমিদস্যু জহর লাল ঘোষ আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুষ বানিজ্যর নামে ভুয়া অভিযোগ তুলে আমাকে ও তদসংশ্লিষ্ট অফিসকে দায়ী করেন। 

 তিনি আরো বলেন, হিন্দু  নেতা হিসাবে বোনকে ওয়ারিশান থেকে বাদ দিয়ে ভূয়া বন্দোবস্তর বিরুদ্ধে তাদের কয়েকটি বিচারিক বৈঠকে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে মিথা অভিযোগ তুলে  অথচ তার বোন নিজেই বাদী হয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। 

এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কাজে রামগড় ভূমি অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম সুকৌশলে কবুলিয়ত না থাকা সত্ত্বেও  নামজারী মামলার সুপারিশ করায় তার বিরুদ্ধে  শাস্তি দাবী করেন এবং সুবিচারের আশায় তার বোন গীতা রানী ঘোষ খাগড়াছড়ি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২/২০২৩নং বিবিধ মামলা রুজু করেন যা আদালতে চলমান আছে এবং রেশন কার্ডের ওয়ারিশনে তার স্ত্রী সন্তাদের অন্তভূক্তের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র বরাবর তার বোনের আবেদনে শুনানীতে জহর লাল ঘোষের স্ত্রী সন্তানদের বাদ দিয়ে বোন গীতা রানীকে অন্তভূর্ত করতে নির্দেশ দিলেও জহর লাল একক ভাবে সেই রেশন কার্ড ভোগ করছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত বিষয়ে রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ভূমি বন্দোবস্ত ও স্ত্রীর নামে নামজারিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন  জহর লাল ও তার স্ত্রী উমা রাণী ঘোষ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বিহারী নাথকে ঘুষ কারবারে সহযোগীতার অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। ওই সময় জহর লাল  তার বোনকে সৎ বোন দাবী করে নামজারী মামলার বিরুদ্ধে ভূমি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুইবার শুনানী হয়। 

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।জহরলাল তার বোন কে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তার বোন অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখি। তদন্তে তার বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়। জহরলাল ঘোষের সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া।তার বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঘুষ দাবির বিষয়টিও বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।


আরও খবর



আগামীকাল ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


 অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার তদন্তের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাতিসংঘ কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসবে। দলটি প্রাথমিকভাবে তথ্যানুসন্ধানের কাজ করবে।

বুধবার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতিসংঘের জেনেভা মিশন থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে। কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের সফরের পর পরবর্তীতে ঢাকায় আসবে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

সেই টিমই চূড়ান্তভাবে হত্যার তদন্ত করবে। কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলটি মূলত চূড়ান্তভাবে তদন্তের জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে। পরবর্তীতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন চূড়ান্তভাবে তদন্তের কাজটি করবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এর আগেও জানিয়েছিলেন, আন্দোলনে হতাহতের ঘটনা তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘকে সহায়তা করতে প্রস্তুত অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারের চাওয়া একটা নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। এ সরকারের অবস্থান খুবই পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। যারা এ অপরাধগুলো করেছে এবং যারা হুকুম দিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং এ কাজে জাতিসংঘ সহায়তা করুক, এটা নিয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।

ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল এসে প্রাথমিক তদন্তের কাজ করবে।

তাদের ম্যান্ডেট (রাজনীতি) কী হবে, কিভাবে তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করবে, এ বিষয়ে আরো আলোচনা হবে। প্রতিনিধিদল প্রাথমিক তদন্তের কাজের পাশাপাশি তাদের টার্মস অব রেফারেন্স (কাজের পরিধি), কাজের সময়সীমাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৬৩০ জনেরও বেশি ছাত্র-জনতা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এসব লোক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে জাতিসংঘ।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যার্তদের ১০৭০ জন পরিবারের পাশে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

বন্যার্তদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দেশের পূর্বাঞ্চলে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যায় জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দিন কাটাচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত হয়েছে দেশের ১২ জেলা।এই সংকটময় পরিস্থিতে মাওলানা  ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(মাভাবিপ্রবি) বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে।


বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২৯শে আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাত ১২ টার পর  প্রায় ১৬ লাখ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য ২টি ট্রাক ও ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন শিক্ষার্থী।


রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জানান,আমরা ৪ দলে ভাগ হয়ে ১০৭০ টি পরিবারের জন্য প্যাকেট করা উপহার সামগ্রীর

৪৮০টি ফেনী, ৪০০টি লক্ষীপুর, ১২০টি নোয়াখালী ও ৭০টি কুমিল্লা জেলায় নিয়ে যাবো। একটি বাস ও ট্রাক ফেনী ও কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আরেকটি বাস ও ট্রাক নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।


অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবাদত আলী বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের সহায়তায় দেশজুড়ে গণত্রাণ সংগ্রহের কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। আর্ত-মানবতার সেবায় আমরা মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন ছাত্র সামাজিক  সংগঠনসমূহ এগিয়ে এসেছি ।তিনি আরো জানান, আমাদের দেওয়া প্রতিটি প্যাকেজে থাকছে চাল,ডাল, শুকনা খাবার, শুকনা কাপড়, বাচ্চাদের খাবার, প্রয়োজনীয় ঔষধ, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।


ক্রিমিনোলোজি এন্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আলামিন ফকির জানান মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন, আঞ্চলিক ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনসমূহের উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক,  কর্মকতা, কর্মচারীসহ আমাদের  যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি।


পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বী বলেন, বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বেশকিছু অঞ্চলে বন্যার পানি পুরোপুরি শুকায়নি। ফলে তাদের পক্ষে রান্না করে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেজন্য আমরা শুকনা খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি প্যাকেটে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট ও খেজুর রেখেছি। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, সাবান, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও জরুরী ওষুধপত্র দিয়েছি। আশা করি একটা পরিবারের কয়েকদিনের শুকনো খাবারের যে প্রয়োজনীয়তা, এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পূরণ হবে।


বিগত ৭ দিন যাবৎ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জামা-কাপড় ও প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



গোয়ালন্দে পদ্মার পানি বাড়েনি বরং কমেছে, আতংকিত না হতে পাউবোর পরামর্শ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

ফিরোজ আহমেদ - গোয়ালন্দ প্রতিনিধি::


বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের সবগুলো (১০৯ টি) গেট খুলে দিয়েছে ভারত।


বন্যা ঝুঁকিতে থাকলেও মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) দুপুর পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে। বরং এখানে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার নিচ দিয়ে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, গত কয়েকদিন ধরে এখানে পদ্মা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ৯ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার কমেছে। এখানে পানির বর্তমান লেভেল ৬.৮৫ মিটার। বিপদসীমা ৮.২০ মিটার। এছাড়া জেলার কালুখালি উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে বিগত ৯ ঘন্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। এখানে পানির বর্তমান লেভেল ৮.০৫ মিটার। বিপদসীমা ৯.৭৫ মিটার। অর্থাৎ জেলার দুটো পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে তা বন্যা হওয়ার মতো হবে না। তাদের (পাউবো) বিভাগীয় বন্যা সতর্কীকরন বার্তায় আগামি ৫ দিন পর্যন্ত  পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার কোন আশংকা নেই। তাই ফারাক্কা ব্যারেজ খুলে দেয়া হলেও জনসাধারণকে আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। তবে সতর্ক থাকা ভাল।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, তারা ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ জন্য উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২৪ টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসন হতে ১০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জনসাধারনকে আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই।সরকার তাদের পাশে রয়েছে।


আরও খবর



রাজশাহীতে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা শুরু ২০ দিন ব্যাপী

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ শাকিল আহামাদ - রাজশাহী::


রাজশাহীতে ২০ দিনব্যাপী রাজশাহী বিভাগীয় বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ । রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১.৩০ মিনিটে এ মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে নগরীর গৌরহাঙ্গা রেলগেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভাগীয় সামাজিক বন বিভাগ ২০ দিন ব্যাপী এই বৃক্ষ মেলার আয়োজন করেছে। নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় আয়োজিত এই মেলায় এবার শতাধিক স্টল অংশ নিয়েছে।

শোভাযাত্রা শেষে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। পরে বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়ার সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এই বৃক্ষমেলা শেষ হবে। আর মেলাটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও খবর



ঢাকায় নৌ-দুর্ঘটনায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কাওছার আহম্মেদ - রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি::


মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকার আশুলিয়ার রুস্তমপুর গুদারাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড (সেনের হাওলা) গ্রামের বাসিন্দা শহিদ তালুকদার (৪০) এবং অপরজন একই গ্রামের ইউনুস প্যাদা (৪৫)। তারা ঢাকার রাফি অ্যান্ড হৃদয় নামের বালু তোলার বাল্কহেডের শ্রমিকের কাজ করত।
জানা গেছে, অবস্থানরত রাফি অ্যান্ড হৃদয় নামের বাল্কহেডটিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডটির মধ্যে ছিলেন শহিদ তালুকদার এবং ইউনুস প্যাদা। পরে সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

দুর্বিষহ এ ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ইঞ্জিন মেস্তুরি ফিরোজ প্যাদা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত বাল্কহেড কাজ করা হয়। কাজ শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। রাত আনুমানিক ২টার সময় হঠাৎ একটি বালুর জাহাজ এসে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বাল্কহেডটি তলিয়ে দেয়। আমি উপরের কেবিনে ছিলাম। ডুবে যাওয়ার পর লাথি মেরে সাইট ভেঙে অনেক কষ্টে বের হই। কিন্তু নিচ তলায় কেবিনে থাকা স্টাফ ইউনুচ প্যাদা ও শহিদ তালুকদার আর বের হতে পারে নাই।

এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আমিরে জামায়াত মোহাম্মদ কবির আহম্মেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

আরও খবর