Logo
শিরোনাম
এক হাসপাতালেই ৫ হাজার রোগী

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মতলবের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ছিল শিশু।

এদিকে শুধু চাঁদপুরই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণা ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বেড বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাড়িতে পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছিল বাচ্চাদের। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তারা।

আইসিডিডিআর’বি মতলব হাসপাতালের তথ্যমতে, ৭০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডায়রিয়া আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের শয্যার তুলনায় চারগুণেরও বেশি রোগী এসেছে। আর গত ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন রোগী। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন।

আইসিডিডিআর'বি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্র শেখর দাস বলেন, রোটা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাতলা পায়খানা, বমি সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি শিশু খুব দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়লে ঘণ্টায় তিন বার বা তার বেশি বমি করলে, শিশুর পেট ফুলে গেলে, শ্বাস কষ্ট হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর বা খিচুনি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শিশুকে পরিমাণ মত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য পথ্য চালিয়ে যাবেন। প্রতি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে নিবেন এবং শিশুর যত কেজি ওজন প্রতিবার পায়খানার পর ততো চা চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে ১০ চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। পাঁচ বছরের শিশুকে একটি করে জিংক ট্যাবলেট দশ দিন খাওয়াবেন। দুই বছরের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশু খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার খাবে। রোগীকে বেশি বেশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি, সুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলে জুস, আঙ্গুর, বেদানা খাওয়াবেন না। সাধারণত এই নিয়ম মেনে চললে আক্রান্ত শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠে।

মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যা সাধারণত রোটা ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে আমরা মনে করি। গত ১৫ দিন ধরে গড়ে ৩শ’ রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যার প্রায় ৮৫ ভাগই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু।

তিনি বলেন, পাতলা পায়খানার সঙ্গে বাচ্চার বমি ও জ্বর থাকতে পারে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক দশ দিন খাওয়াতে হবে। এই ডায়রিয়া ভালো হতে সাধারণত তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির অবনতি হলে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিকে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী।

ডা. মো. আলফজল খান বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রোগী আসছেন। প্রতি বছরই আমরা দেখছি দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা মতলব হাসপাতালে আসছেন। যার ফলে আমাদের সেবা দেয়ার এলাকা বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩৫টি উপজেলার মানুষকে ডায়রিয়া স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে জুলাই গণহত্যা বিচার ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘জুলাই এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’ এই শ্লোগানে জুলাই গণহত্যা বিচার ও 

ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা উপজেলা শহীদ মিনার চত্তর থেকে কার্যক্রম শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তারা লিফলেট, গণসংযোগ ও বিক্ষোভ করেছে। লিফলেট বিতরণে তারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামুল্যে সুচিকৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন। লিফলেট বিতরণের সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ ওসমান হাদি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনোদলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি তাইমুর হায়দার সজীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয়কর্মী খালিদ সাইফুল্লাহ, রাইয়ান বিন কামাল, ইয়াসিন বিন ইফতি, তামজিত খান, ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করাসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ ওসমান হাদি।


আরও খবর



জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশেকদের কথা ভেবেছেন সৈয়দ মইনুদ্দীন (কঃ)

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হযরত সৈয়দ  মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী এমনই এক মহান অলিয়ে কামেল ছিলেন, যিনি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আল্লাহ্ ও রাসুলের (সাঃ) পথে এনেছেন। হাজার হাজার বিধর্মীরা তার পবিত্র হাতে হাত রেখে শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহন করেছেন। 

ফুলের মধু আহরনে মৌমাছিরা যেমন পাগলপারা হয়ে যায়। বাবা মইনুদ্দীন নামটাও ঠিক তেমনই। চৌম্বকের দুই বিপরীত মেরুর যেমন আকর্ষণ, বাবা মইনুদ্দীন এবং তার আশেকদেরও তেমন। 

২০১১ সালের ১৭ই আগস্ট হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (রঃ) মহামহিম স্রষ্টার ডাকে সাড়া দেন৷ তার এ ওফাত সম্পর্কেও তার অজানা কিছুই ছিল না। 

প্রায় ২/৩ বছর আগে থেকেই তিনি যেখানেই সফরে যেতেন, দরবারের মাহ্ফিলগুলোতে তিনি সকলকে বলতেন এটাই তার শেষ সফর এবং স্বীয় স্থলাভিসিক্ত স্নেহধন্য শাহ্জাদা হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাঃজিঃআঃ) এর হাত মুবারক উঠিয়ে সকলের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতেন। 

তিনি জানতেন তার জানাযা শরীফে এত মানুষের সমাগম হবে যে, তা সামলানো অত্যন্ত কঠিন হবে। আশেকদের যেন অংশগ্রহণে কষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি তার স্থলাভিষিক্ত শাহ্জাদাকে অসিয়ত করেন, পৃথকভাবে ৩ টি প্রধান স্থানে জানাযাহ্ শরীফ আয়োজনের জন্য। 

তিনি বলেন, ঢাকাতে মিরপুর-১ হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রঃ) এর মাযার শরীফ প্রাঙ্গনে, আমার প্রিয় খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম জামালপুরী (রঃ) এর ইমামতিতে  ১ম জানাযা, চট্টগ্রাম শহরের জাতীয় মসজিদ জামিয়াতুল ফালাহ্ ময়দানে খতিবে বাঙ্গাল মাওলানা  জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরী (রঃ) এর নেতৃত্বে ২য় জানাযা এবং মাইজভাণ্ডার শরীফে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মাঃজিঃআঃ) এর ইমামতিতে সর্বশেষ ও প্রধান  নামাযে জানাযাহ্ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। 

হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (রঃ) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ওফাত বরণের পরে, সিঙ্গাপুরে দুটি জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার প্রবাসী ও স্থানীয় মুসলিম এতে অংশগ্রহণ করেন। 

হযরত শাহ্জালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হযরতের কফিন মুবারক আগমন করলে, এয়ারপোর্টে লাখো জনতার ভীড়ে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ চারদিকে তীব্র যানজটের দেখা দেয়। 

ঢাকাস্থ হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার প্রাঙ্গনে জানাযা শরীফের ব্যাপ্তি মিরপুর-১ ওভারব্রিজও অতিক্রম করে। বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীবর্গ, সিটি মেয়র,  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ সহ লাখ লাখ জনতা এতে অংশগ্রহণ করেন। 

চট্টগ্রামের জানাযা শরীফের জানাযা, চট্টগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম জানাযা শরীফ। স্মরণকালের দীর্ঘ এ জানাযা শরীফেও সিটি মেয়র, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরামগণ সহ লাখ লাখ জনতা শরীক হন। 

এরপর শুক্রবার ১৯শে আগস্ট, ২০১৭, ১৯ শে রমজান বাদ জুম'আ লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে হযরতের সর্বশেষ জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। জামাআত এত দীর্ঘ ছিল যে, নাজিরহাট পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ দরবার শরীফের মসজিদ, বাড়ি, খানকাহ্, মঞ্জিলগুলোর ছাদেও তিল পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট ছিল না৷ 

সুবহান আল্লাহ্ সুবহান আল্লাহ্! সার্থক জীবন বাবা মইনুদ্দীন ক্বেবলা ক্বাবার৷ যার প্রয়াণে চোখের পানি ঝরিয়েছেন, জানাযা শরীফে শরীক হয়েছেন কোটি মানুষ৷ এর চেয়ে কারো জীবনে আর কি চাওয়া থাকতে পারে! মহান আল্লাহর জন্য যারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করেন, মহান আল্লাহ্ও তাদেরকে এভাবেই সম্মানিত করেন। 

পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্ পাক বলেন,, "সম্মান আল্লাহর জন্য, আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) জন্য এবং মু'মিনদের জন্য"


আরও খবর

২৭শে মাঘ মইন বাবার ৮৮ তম খোজরোজ শরীফ

বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫




সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসেছেন। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এবার সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের পথে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করবেন। সেখানে আমরণ অনশনও শুরু করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন তারা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে করণীয় ঠিক করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সভা হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আহমেদ শিবলীর সই করা নোটিশে এ সভা আহ্বান করা হয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জবি মেডিকেল সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্ররা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালিয়ে নিতে রাত ২টার দিকে গণ-অনশনে বসেন অর্ধশতাধিক ছাত্রী। তারা সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিপিএল ফাইনালে তামিমকে সম্মাননা দেবে বিসিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আরেকটি বিপিএলের শেষ পর্যায়ে এসে তামিম ইকবাল প্রকাশ করেছেন পরবর্তী বিপিএলেও খেলার তার আগ্রহ রয়েছে। এটি হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!

শুধু বিপিএল নয়, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলতে চান তিনি। সুতরাং বাংলাদেশ দলের জার্সি না পরলেও এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না তামিম। তবে গুঞ্জন সত্যি হলে অদূর ভবিষ্যতে যদি তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, সেটি হবে ভিন্ন কথা।

জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তার হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তার মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।

তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। তবে এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সা: সম্পাদক নাসিমের পদ স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

 ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। সেই সাথে তাকে বিএনপির সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ফেসবুক পেইজে বিকেল পৌনে ৪টায় পোস্ট দেয়া আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "ঝালকাঠি জেলা বিএনপি অধীন রাজাপুর উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম উদ্দিন আকন এর দলীয় পদ ২৫ জানুয়ারী হইতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সাথে সাথে তাকে দলীয় সমস্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক (দলীয় পদ স্থগিত) এর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রক্ষা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।"

এব্যাপারে নাসিম আকন জানান, আমাকে শোকজ করা হয়েছিলো। আমি তার জবাব দিয়েছি। এখন যদি আমাকে দলীয় পদ থেকে স্থগিত রাখে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। 


এর আগে গত ৮ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকনকে শোকজ করেছে বিএনপি। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকির বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আপনার (নাসিম আকন) নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির অধীনে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থাকাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ থাকায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না। তার উপযুক্ত জবাব আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা বিএনপির নিকট জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫