Logo
শিরোনাম

ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হচ্ছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বৃহস্পতিবারের (২২ মে) মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এ সংক্রান্ত এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলছেন, বর্তমান প্রেডিকশন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িশ্যা অঞ্চলের দিকেই। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত গতিপথ পরিবর্তন করছে; রাতে একটা গতিপথ থাকছে আবার সকালে আরেকটা। তাই লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমনই থাকবে। নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন গতিপথ স্থির হবে। সে সময় স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ২২ মে লঘুচাপ তৈরি হয়ে; ২৩ বা ২৪ মের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ‌ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে; চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পেছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থল ভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে ২৪ মে থেকে; যা ২৮ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের ওপর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ২৫, ২৬ ও ২৭ মে। অপেক্ষাকৃত হালকা পরিমাণে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; মে মাসের ২৪ ও ২৮ তারিখে। মে মাসের ২৩ তারিখ থেকেই সমুদ্র উত্তাল শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের অবস্থান করছে ঘূর্ণাবর্ত। যা পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার ওপরে রয়েছে। এর বিস্তৃতি ভারতের হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে পূর্ব বাংলাদেশ পর্যন্ত। এছাড়া রেমালের প্রভাবে দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে, যা পরে শুক্রবার নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে ওই নিম্নচাপ বলয় উত্তর পূর্বে সরে এসে নিম্নচাপ তৈরি করতে পারে। এছাড়াও এটিই পরে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি সাগরে ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও বিবিসি


আরও খবর



নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে আনুমানিক ২৪-২৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানাজানি হওয়ার পর এক নজর দেখার জন্য সেখানে মানুষ ভীড় জমান। মৃতদেহ পড়ে থাকার ঘটনাটি থানা পুলিশ কে জানানোর পরই মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র দেড়-দুই'শ গজ পশ্চিমে দক্ষিণ সাইডে ওড়া নামক স্থানে মহাদেবপুর টু শিবপুর রাস্তার পাশে ছোটো একটি ঝোপের ভেতর অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে তারা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অন্তে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত  মৃত নারীর নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়নি।


আরও খবর



প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যারিস হল ফ্রান্সের রাজধানী এবং সর্বাধিক জনবহুল শহর।  এটি 

আইফেল টাওয়ার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য বিশ্বের বিখ্যাত শহর। প্যারিস খুব ব্যয়বহুল শহর। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে প্যারিস ইউরোপের অন্যতম অর্থ কেন্দ্র, কূটনীতি, বাণিজ্য, ফ্যাশন, বিজ্ঞান এবং চারুকলা কেন্দ্রগুলির একটি। 

প্যারিস বিশ্বের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট। কাজেই আপনারা যারা ঘুরতে পছন্দ করেন , সবাই ফ্রান্স  ভিসা জন্য আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশেই ফ্রান্স দূতাবাস আছে।  আপনার ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনাকে ভিসা দিবে। 

প্যারিসের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহ


আইফেল টাওয়ার

আইফেল টাওয়ারটি প্যারিস এমনকি ফ্রান্সের প্রতীকী আইকন। ইঞ্জিনিয়ার গুস্তাভে আইফেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে, যার সংস্থা টাওয়ারটি ডিজাইন করে তৈরি করেছিল। আইফেল টাওয়ারটি ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এটি ফ্রান্সের একটি বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক আইকন এবং বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত কাঠামো । আইফেল টাওয়ার বিশ্বে পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর বিশ্বের বহু দম্পতি এখানে আসে এবং আইফেল টাওয়ারের সামনে ছবি তুলেন। 

নটরডেম ক্যাথিড্রাল

নটরডেম দে প্যারিস, নটর ডেম নামেও পরিচিত, রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রাল ইল দে লা সিটির পূর্ব অর্ধে অবস্থিত। এটি মধ্যযুগের গথিক ক্যাথেড্রালগুলির মধ্যে সর্বাধিক বিখ্যাত এবং এর আকার, প্রাচীনত্ব এবং স্থাপত্য আগ্রহের জন্য আলাদা করা হয়। এটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় স্থান। 

ল্যুভরে জাদুঘর 

ল্যুভরে বিশ্বের সবচেয়ে পরিদর্শন করা আর্ট মিউজিয়াম যা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জাদুঘরটি ল্যুভর প্রাসাদে অবস্থিত, মূলত দ্বিতীয় ফিলিপের অধীনে দ্বাদশ থেকে ১৩ শতকের শেষদিকে ল্যুভর  দুর্গ হিসাবে নির্মিত।  এই সংগ্রহশালাটি বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত - মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকতা, প্রাচ্য প্রত্নতত্ত্ব, ইসলামী শিল্প, গ্রীক এবং রোমান শিল্প, চিত্রকর্ম, শিল্পের বস্তু, মধ্যযুগীয় ভাস্কর্য । 

সেইন নদী

ফ্রান্সের উত্তরে প্যারিস অববাহিকার মধ্যে সেইন নদী একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নৌপথ। এই নদীটি প্যারিসের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সেইন নদী  ভ্রমন আপনি কখনই ভুলতে পারবেন না। 

ডিজনিল্যান্ডে

মিকির ভক্তরা ডিজনিল্যান্ড প্যারিসে যেতে পারবেন যা মধ্য প্যারিস থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত ইউরো ডিজনি রিসর্ট নামে পরিচিত, প্যারিসে দেখার জন্য সর্বাধিক বিখ্যাত এই জায়গাগুলি সুপার মজাদার রাইড, শো, অ্যানিমেশন সিনেমা, সমাবেশ এবং আপনার প্রিয় চরিত্রগুলির সাথে মিলিত হওয়ার আকর্ষণীয় মুহুর্তের জন্য পরিচিত।


আরও খবর



৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার পরের মাসগুলোতে কিছুটা করে বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। সেপ্টেম্বরের মতো সদস্য বিদায়ী অক্টোবর মাসেও প্রবাসী আয়ের গতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অক্টোবরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার।

চলতি মাস নভেম্বরেও রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ ভালো। নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৮৭৩ কোটি টাকার বেশি প্রবাসী আয়।

রোববার (১০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাস নভেম্বরের ৯ দিনে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোট ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এছাড়া ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।

তবে এ সময়ের মধ্যে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১১টি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাবাক)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি খাতের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এর আগে আগের মাস সেপ্টেম্বরের পুরো সময়ে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।

তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এর আগে দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে তার পুরনো রুপে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।

দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।


এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ  গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না।


আরও খবর



আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শরীফ আহমেদ সুমন, সংবাদকর্মী :

একটা সময় সাংবাদিকতার প্রতি প্রবল আগ্রহ কাজ করতো। আজ আমার ইংরেজি পত্রিকার নবায়নকৃত কার্ড হাতে পেয়ে সে আগের উচ্ছ্বাস কাজ করছেনা। প্রথম যেদিন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার লোকালিটির বাজারে পিরানহা মাছ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, সেদিন রাত ১২ টা বাজার অপেক্ষা করছিলাম, কখন অনলাইনে দেখবো আমার নিজের করা প্রতিবেদন! সেদিনের সে উচ্ছ্বাস আজ আর পাইনা। সাংবাদিকতাকে কিছু মানুষ আজ এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের অনেকে হাস্যরস করেও বলে ফেলে "সাং'ঘাতিক"। নিজের পেশার প্রতি এমন শব্দ আসলে আমার যেমনি কাম্য নয়, বোধকরি কারোরই কাম্য নয়। তবে মফস্বলে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে সত্যি নিজের ভিতরেও এক ধরণের হীনমন্যতা কাজ করে এখন। 

আসুন কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক:

মফস্বলে সাংবাদিকতা একটু বেশীই চ্যালেঞ্জিং। কেনোনা উপজেলায় একজন প্রতিনিধি থাকে। একই প্রতিনিধি তার উপজেলার উন্নয়ন, অবক্ষয় সব কিছুর প্রতিবেদন করতে হয়। স্টাফ রিপোর্টারদের মতো কাজ ভাগ করা থাকেনা। এখন স্পট নিউজের বাইরে গিয়ে অনুসন্ধানী কোনো প্রতিবেদন করতে গেলে দেখা যায় সেটা কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের বা কোনো দলের বিপক্ষে যেতে পারে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসলে একজন মফস্বল সাংবাদিক বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজের এলাকার কারও বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে কতোটা নিরাপদ। কারণ তার বাড়ি যেমনি চেনা তেমনি তারি আদি-অন্ত সবই স্থানীয়দের চেনা ও জানা। তবু বৃত্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেও সেখানে তা  অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তবে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে যদি কোনো সাংবাদিকের প্রতিবেদন আজ আপনার বিপক্ষে যায় তা  মেনে নিতে শিখুন। কারণ আজ আপনার ক্ষমতা থাকলেও কাল আপনি মজলুম হতে পারেন, তখন এই সাংবাদিক যেনো আবার আপনার পক্ষে কোনো ক্ষমতার বিপক্ষে লিখতে পারে সে পথটুকু খোলা রাখুন। 

এবার আসা যাক অপসাংবাদিকতার বিষয়ে - 

মফস্বলে সাংবাদিকতা অনেকটাই সম্মানী নির্ভর। যাদের সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করা হয় তাদের সম্মানী ছাড়া আসলে মফস্বল সাংবাদিকের সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোনো আয় নেই। উপজেলা পর্যায়ে বিজ্ঞাপন খুবই কম। তাই বিজ্ঞাপনের কমিশনের উপর নির্ভর করারও কোনো উপায় নেই। তাই মফস্বলে সাংবাদিকতায় আসতে হলে এটাকে কেবল প্যাশন থেকেই নেয়া যেতে পারে, আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নয়। ইদানিং কেউ কেউ এটাকে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে নিতে গিয়েই বাঁধছে যতো বিপত্তি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক সাংবাদিকের সাম্প্রতিক ঘটনা আজ শেয়ার করছি, এটা সাংবাদিকতা নাকি অপসাংবাদিকতা তা  ভেবে নেয়াটুকু পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম। 

সম্প্রতি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সোয়া নয়টায় এক সাংবাদিক আসেন। তিনি এসে দেখেন একজন শিক্ষক আসতে ১৫ মিনিট সময় বেশি নিয়েছেন। তাতে তিনি প্রশ্ন করেন এবং সেই শিক্ষক তাকে জানান তার ছোট বাচ্চা অসুস্থ তাই তিনি তাকে ডাক্তার দেখিয়ে আসতে একটু সময় লেগেছে। যাই হোক সেই সাংবাদিক মহোদয় যদি দায়িত্বে অবহেলা প্রত্যক্ষ করে থাকেন তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারতেন। তিনি সেটা না করে তিনি উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দকে বলেছেন "আমি শিক্ষা অফিসারকে বলে আপনাদের শোকজ করবো"। কথা হলো সাংবাদিকের কাজ কি শোকজ করানো নাকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা। তিনি তা করেননি। তিনি ২ দিন অপেক্ষা করেছেন শিক্ষকদের কেউ তার সাথে যোগাযোগ করেন কিনা। আর বোধকরি যোগাযোগের মানে পাঠকগণ অবগত আছেন। পরবর্তীতে শিক্ষা অফিস সেই স্কুলের শিক্ষকদের ডেকে পাঠান। এবং ২ হাজার টাকা সেই সাংবাদিক মহোদয়কে ঠান্ডা পানীয় পান করে ঠান্ডা হওয়ার জন্য প্রদান করার মাধ্যমে তাকে ঠান্ডা করা হয়। এমন কিছু ঘটনার কারণে আজ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটি কলু'ষিত। আমরা নিজেদের সীমারেখা ভুলে গেছি। আর ভার্চুয়ালিটির এই সময়ে এসে কিছু ফেসবুক পেইজ খুলে এমন সাংবাদিকতা আরও সহজ হয়ে গেছে। কারণ এখানে কিছু লিখতে বলতে সম্পাদক পর্যায়ের কোনো সেন্সরশিপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়না, শুধু স্ক্যা'ন্ডাল চাই। এদের অনেকে আবার নানান সময়ে নানান রাজনীতিক কিংবা প্রভাবশালী মহলের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে এলাকায় নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে এলাকার খাস জমি, ভূমি অফিসে খারিজের সুপারিশ নামের দালালি, থানায় লবিং করার দালালী করে রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। এমন কিছুর সংখ্যা কম হলেও মানুষের মনে এগুলো দাগ কেটে থাকে বলেই হয়তো আমাদের আজকাল মানুষ হাস্যরসের ছলে সাং'ঘাতিক বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। 

সর্বোপরি সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটাকে কলুষিত না করে এর যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা হিসেবে অনন্তকাল বেঁচে থাক এই প্রত্যাশা করি। আর কাউকে এমন ঠান্ডা না খাইয়ে সাধারণের পর্যায় থেকে ২ টাকার অফসেট কাগজে আমরাও জবাব দিতে শিখি।


আরও খবর

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪