Logo
শিরোনাম

ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে পাকিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও ১০২ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দ্য গ্রিন ম্যানরা। একই সঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়েও প্রথমবারের মতো তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাবর আজমের দল।

শুক্রবার (৫ মে) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩৪ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

আর এই জয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এতদিন ১১৩ দশমিক ২৮৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ১১২ রেটিং পয়েন্টে দুইয়ে ছিল ভারত।

কিন্তু কিউইদের সঙ্গে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে ১১৩ দশমিক ৪৮৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বাবর-রিজওয়ানরা। যদিও এই সিরিজের আগে তালিকার পাঁচে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাঁচ ম্যাচের সিরিজে চারে চার জয় তুলে নিয়ে ২০০৫ সালে চালু হওয়া র‍্যাঙ্কিং প্রথায় প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠে এলো দলটি। তবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সঙ্গে হেরে গেলে আবারও ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনে নেমে যাবে পাকিস্তান।

এদিন করাচিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দ্য ম্যান ইন গ্রিনরা। ওপেনিংয়ে নেমে ১০ চারে ১১৭ বলে ১০৭ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন বাবর। আর এতে ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এ ছাড়া ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৬ বলে ৫৮ রান করেন আঘা সালমান।

অন্যদের মধ্যে শান মাসুদ ৪৪, ইফতিখার ২৮, রিজওয়ান ২৪ রান করেন। এ ছাড়া ৭ বলে ২৩ রানের অপরাজিত এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।

কিউইদের হয়ে ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। এ ছাড়া বেন লিস্টার ও ইশ সৌধির শিকার একটি করে উইকেট।

জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক টম লাথামের অনবদ্য এক ইনিংসেও কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন ল্যাথাম। এ ছাড়া মার্ক চ্যাপম্যান ৪৬ ও ড্যারিল মিচেল ৩৪ রান করেন। শেষদিকে মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় মাত্র ৪৩ দশমিক ৪ ওভারে ২৩২ রানেই গুটিয়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

পাকিস্তানের হয়ে উসামা মীর চারটি, মোহাম্মদ ওয়াসিম তিনটি, হারিস রউফ দুটি ও শাহীন আফ্রিদি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।


আরও খবর



প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।

আর আগামী অর্থবছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩ শীর্ষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 ৩ মে আইএমএফ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মে) আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনও প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।

 


আরও খবর



সিটি নির্বাচন : অগ্নিপরীক্ষায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে পাঁচ সিটিতে নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তাই এবার যারা সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, পরিশ্রমী, এলাকায় জনপ্রিয়, তৃণমূলের কর্মী থেকে উঠে আসা নেতা এবং যাদের কোনো নৈতিক স্খলন নেই এমন প্রার্থীদেরই বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। তাই পাঁচ সিটির দুটিতে পুরনো মুখে ভরসা রেখেছে আওয়ামী লীগ; নতুন মুখ বাছাই করেছে তিন সিটিতে। বাদ পড়েছেন গাজীপুরের বহুল আলোচিত জাহাঙ্গীর আলম ও বরিশালের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

দলীয় সূত্র বলছে, টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় অনেক নেতার গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। তাদের কাছে রাজনীতির চেয়ে ক্ষমতার সাধ নেওয়াটাই বেশি জরুরি। এতে স্থানীয় নেতৃত্বে দেখা দিয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। তাই পাঁচ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসছে আওয়ামী লীগ। দক্ষ ও পরীক্ষিত প্রার্থীর পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী বেছে নিয়েছে দলটি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যাতে নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেন এবং দলকে যেন কোনো বেগ পেতে না হয়।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে। খুলনা ও বরিশালে ভোট হবে আগামী ১২ জুন। আর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ হবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানের কাছে হেরে যান। পরেরবার জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে পাঁচ সিটির ৪টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হলেও সিলেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় পান বিএনপির আরিফুল হক। তিনি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যু হওয়ায় এবার সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ওপরই ভরসা রেখেছে দল। এবারও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক একাধিকবার মেয়র হয়েছেন। সেখানেও মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। কারণ, সেখানে অন্য কোনো নেতার তেমন কোনো জোরালো তৎপরতা ছিল না। আর বর্তমান মেয়রদের মধ্যে মাঠের জরিপে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন পাননি। সেখানে দলীয় কোন্দলও প্রকট। বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে মেয়রের দ্বন্দ্ব বরিশালের সর্বস্তরে আলোচিত। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেনের (হিরণ) অনুসারীদের কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে সাদিক আবদুল্লাহর বিপক্ষে। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ, যদিও তার দলীয় পদ নেই। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলেন, আগামী বছরের প্রথম ভাগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এতে বাকি রয়েছে আর মাত্র ৮ মাস। ফলে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। যারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের এড়িয়ে চলেন, নৌকা হলেই পাস করে যাবেন এমন মনোভাব পোষণ করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না, এলাকায়ও কোনো যোগাযোগ রাখেন না তাদের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন, নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন তাদের বিষয়েও এবার কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সৎ, যোগ্য ও দলের জন্য যারা নিবেদিত তাদেরকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যোগ্যতা বিবেচনা করেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নেই, এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, পরিশ্রমী ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী- এমন ব্যক্তিদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনের অনেক সময় রয়েছে এখন মাঠে অনেক কিছুই হবে। এখনই সব বলা যাবে না।

 


আরও খবর



কেনা হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ শুরু হলো নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বেজে উঠল নির্বাচনী দামামা। এবারই প্রথম সরঞ্জাম কেনায় অনুসরণ করা হলো ডিজিটাল পদ্ধতি। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পদ্ধতিতে উন্মুক্ত করা হলো দরপত্র। আগ্রহীদের ইসির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টেন্ডার সাবমিট করতে হবে। এ তথ্য ইসির হাই অফিসিয়াল সূত্রের।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবার সংসদ নির্বাচন হবে না। তিনশ সংসদীয় আসনে ভোট হবে কাগজে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে। ইতোমধ্যে কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসকে কাগজ কিনে ব্যালট ছাপার নির্দেশনা দিয়েছে। আসনওয়ারি ভোটার অনুপাতে ব্যালট ছাপা হবে।

এসব কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে যে গুজব ও ধূম্রজাল তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটল। এছাড়া আগাম নির্বাচন করারও যে গুঞ্জন ছিল তা-ও দূর হলো। কারণ আগামী নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। দেশে সে ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি নেই। ফলে আগামী নির্বাচনের ইস্যুটিও নিছক গুজবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল।

এদিকে, নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটায় এবার কমানো হয়েছে সময়ও। আগে সরঞ্জাম কেনায় আড়াই মাস অর্থাৎ ৭৫ দিন নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হলেও এবার পনেরো দিন কমিয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে। আর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নয়, এবার অর্ধ-স্বচ্ছ অর্থাৎ ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে। আগে কেনা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা না হওয়ায় সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অর্ধ-স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটার ভোট দিলেও কোন প্রতীকে ভোট পড়েছে তা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাবে না বলে ধারণা করছে কমিশন। মূলত সরঞ্জাম কেনায় দীর্ঘসূত্রতা কমানো, নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহে দরদাতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং স্বচ্ছতার নিমিত্তে এই পথে পা বাড়ালো ইসি।

এদিকে, আসন্ন বাজেটে নির্বাচন উপলক্ষে বড় বাজেট ধরা হয়েছে এবার। সরঞ্জাম কেনাকাটায় ব্যয় নির্ধারিত না হলেও দরপত্রের চাহিদার আলোকে ব্যয় নির্বাহ হবে। কারণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ধরা খাতওয়ারি হিসাব থেকে এই ব্যয় মেটানো হবে। জানতে চাইলে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহৃত মালামাল কেনায় ই-জিপি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এর আগে কখনো এ পদ্ধতি অনুসরণ হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) আমরা দরপত্র উন্মুক্ত করেছি। এবার ১০ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে। ব্যয় নির্বাহ হবে আগামী বাজেটে বরাদ্দ থেকে।

প্রেষণে ইসিতে কর্মরত প্রশাসন সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কিনছি। আমাদের হাতে জমা প্রায় পৌনে দুই লাখ বাক্স রয়েছে। এগুলো সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত। তারপরেও দেশীয় দুটি কোম্পানি বেঙ্গলআরএফএলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। তাদের নমুনাও সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলো আমদানি করা হতো বেলজিয়াম এবং অন্য একটি দেশ থেকে। আর ব্যালট পেপার ছাপার জন্য বিজি প্রেসকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ সরবরাহ করবে সেটা তাদের বিষয়। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যালট পেপার যথাসময়ে পাওয়াটা জরুরি।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রাপ্ত সূত্রমতে, নির্বাচনের যে দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে তার মধ্যে প্রতিটি ব্যালট বাক্সের জন্য পাঁচটি করে মোট ১৫ লাখ ব্যালট বাক্সের লক, ২০ হাজার কেজি গালা, ৫০ হাজারের মতো চটের বস্তা, ৪ লাখ স্ট্যাম্প প্যাড, ৮ লাখের মতো অমোচনীয় কালির কলম, ৪০ হাজারের মতো ঘানি ব্যাগ, এক লাখের মতো ব্রাশ সিল, সম-পরিমাণ অফিসিয়াল সিল এবং ৭ লাখের মতো মার্কিন সিল কেনার জন্য ই- টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

একই দরপত্রে বড় পরিসরের দুটি (জাতীয় সংসদ ও উপজেলা) নির্বাচনের সামগ্রীও কেনা হবে। কারণ সংসদ নির্বাচনের পর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আলাদা দরপত্রের ঝামেলা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুটি নির্বাচনের জন্য দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ব্যালট বাক্সের লক (তালা), গালা, চটের বস্তা, স্ট্যাম্প প্যাড, অমোচনীয় কালির কলম, ঘানি ব্যাগ, ব্রাশ সিল, অফিসিয়াল সিল ও মার্কিং সিল।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজি প্রেসকে ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ব্যালট মুদ্রণের নির্দেশনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আলোচিত ইভিএম পর্ব শেষ হয়েছে। কারণ ইভিএমে নির্বাচন না করার ঘোষণার মধ্যেই থাকল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।


আরও খবর



পাটগ্রামে মদখাওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে ঘুরতে এসে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর হাতে অন্য বন্ধু খুন হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ আইয়ুব আলী নামে একজনকে আটক করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা এখনও জানা যায়নি।শুক্রবার (১২ মে) রাত একটার দিকে দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের দক্ষিনে তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্ধু আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম (২৩) দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার লাটেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আটক আইয়ুব আলী (২৬) একই এলাকার ইনসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেশা করার জন্য দুই বন্ধু তিস্তার চরে যায়। সেখানে উভয়ে ভারতীয় মদ পান করে এবং উভয়ের মধ্যে নেশা করার বিষয়কে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে আইউব প্লাস্টিক এর রশি দিয়ে রফিকুলকে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা করার পরে আইউব আলী রফিকুল এর মৃতদেহ তিস্তা নদীর চরে বালুতে পুতে রাখে।

আইউব এর সৎ ভাইয়ের বাড়ি দহগ্রাম গুচ্ছগ্রাম বাজারে। সে দহগ্রামে বিবাহ করেছিলেন এবং মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ি আসে। ঘটনার ৬ ঘন্টা আগে আইউব দিনাজপুর হতে দহগ্রামে আসে এবং তার সৎ ভাই জুলফিকার আলি ভূট্টুর বাড়িতে অবস্থান করে।

তারা দু'জনেই দিনাজপুর বীরগঞ্জ হতে নিজের অটো ইজিবাইক নিয়ে দুপুর বেলায় দহগ্রামে আসে। নিহত রফিকুল ইসলাম তার অটোটি এক পরিচিত বাড়িতে চার্জ দেয়। দহগ্রামে আসার পরে তারা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে নদীর চরে মদ নিয়ে যায় সেখানেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘাতক আইউব আলী।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রফিকুলের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



ফুলগাজীতে ১৫ ট্রান্সফরমার চুরি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

ফেনীর ফুলগাজীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বসানো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের ১৫টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে জমিতে পানি দিতে না পেরে ফসল উৎপাদন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। তবে চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার উদ্ধার বা চুরি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান তৎপরতাও দেখা যাচ্ছে না। পাউবো থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলেও, উদ্ধার হয়নি ট্রান্সফরমার।

পাউবোর চুরি হওয়া ১৫টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গাবতলার ৬টি, দৌলতপুরে ৩টি, গোসাইপুরে ৩টি, মুন্সীরহাটে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা রয়েছে।

জেলা পাউবোর্ড সূত্রে জানা যায়, ফুলগাজীর সিলোনীয়া নদী থেকে পানি তুলে চাষাবাদের জন্য ইউনিয়নে ইরিগেশন সেচ প্রকল্প চালু করে পাউবো। অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় এনে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রকল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে পানি উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন করে পাউবো। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে এ সব বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে, ওই এলাকায় নদী থেকে পানি তোলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একই এলাকায় পাউবোর ট্রান্সফরমারের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার থাকলেও সেগুলো কখনোই চুরি হয় না। কিন্তু পাউবোর বসানো ট্রান্সফরমারগুলো চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় কিছু অসাধু চক্রের পাশাপাশি পাউবো ও বিদ্যুতের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকতে পারেন বলে তাদের সন্দেহ।

ফুলগাজীর গোসাইপুর ইরিশেন সেচ প্রকল্পের পরিচালক মো. অহিদুন নবী জানান, ২০ এপ্রিল রাতে তার স্কিমের ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। সকালে গিয়ে দেখি ট্রান্সফরমারের ভেতরের কয়েল ও তেলগুলো নিয়ে গেছে। পরে আমি বিষয়টি পাউবোকে জানাই।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, গত একমাসে শুধু তার ইউনিয়নে অন্তত ১২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে করে কৃষকরা জমিতে পানি তুলতে না পারায় সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বরো ফসলের মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। সেচ প্রকল্পের স্কিমের আওতায় স্থাপিত ট্রান্সফরমার চুরির পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।

ফেনী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, ফুলগাজীতে ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় ফুলগাজী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসিম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর