Logo
শিরোনাম

যানজটে থমকে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে গাড়ির এমন জট লাগে। দীর্ঘসময় আটকে থেকে ভোগান্তিতে পোহাচ্ছেন এসব গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল আটটা থেকে এমন যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় কুমিল্লামুখী সড়কে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়িটি সড়ক থেকে সরাতে সময় লাগায় দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।

ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের যাত্রী রফিক বলেন, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটে দুই ঘণ্টার মতো আটকে আছে গাড়ি। এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত লাগছে।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে গৌরীপুরে দুর্ঘটনার কারণে সড়কে যানবাহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুতই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে এক অটোরিকশার চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটিতে নিখোঁজের ২২ দিন পর মিজান হাওলাদার (২৮) নামে এক অটোরিকশার চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার মগড় ইউনিয়নের রায়াপুর বটতলা এলাকায় থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মিজান হাওলাদার ওই এলাকার আব্দুল সালাম হাওলাদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আশ্রাফ আলী।  অটোরিকশার মালিক সৈয়দ আবুল কালাম বরেনন, ‘মিজান আমার গাড়ি ভাড়ায় চালাত। গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে গাড়ি নিয়ে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজকে দুপুরে একজন ঘাস কাটতে গেলে তার মরদেহ দেখে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তার পরনের জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করে। ওসি তদন্ত আশ্রাফ আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সংগঠন হিযবুত তাহরীর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পুলিশ সদর দফতর। জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ সংগঠন। আইন অনুযায়ী তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।৭ মার্চ এক ক্ষুদে বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের বার্তায় বলা হয়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে সংগঠনটির যেকোনো কার্যক্রম বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিযবুত তাহরীরের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। তারা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কতিপয় সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বায়তুল মোকাররাম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ নামক একটি সমাবেশ পালনের বিষয়ে গোপন পরিকল্পনা করছে। এমন খবরে সিটিটিসির টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে থাকায় বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নই। এখন সরকারের দায়িত্বে আছি। এই সরকারের দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় রূপান্তরের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সে কারণে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারব না। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে শুধু নতুন দল নয়, বাংলাদেশের যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, সবাই জনকল্যাণমুখী হবে, জনগণের জন্য কাজ করবে।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। উপজেলার আকাবপুর হাজী ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ‘আকাবপুর ইউনিয়নবাসীর’ ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ‘উপজেলার সার্বিক পরিকল্পনা বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আকাবপুর আসিফ মাহমুদের নিজ গ্রাম।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সরকারের নানা উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন ইতিপূর্বে ছিনতাইয়ের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাহিনীগুলো এখন অ্যাকটিভ (সক্রিয়) অবস্থায় আছে, আমরা আশা করছি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে।


আরও খবর



রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

রোজা রাখায় অনেকের দেহে পানির ঘাটতি দিয়ে থাকে। পানিশূন্যতায় চরম ক্ষতি হয় ত্বকের। দেখা দেয় শুষ্কতা। পাশাপাশি ত্বক হারায় ঔজ্জ্বল্য। একজন রোজাদারের শরীরে পানিশূন্যতার পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিটি ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করেছেন, তার ওপর। অর্থাৎ তিনি রোজা থাকা অবস্থায় কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং তিনি যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আবহাওয়ার ওপর। পানি ও খাবারের স্বল্পতা, দৈনন্দিন রুটিনের পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতিতে রমজান মাসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক এক ধরনের চাপতৈরি হয়। ক্লান্তিহীনতা দেখা দেয়। এ ছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখের ক্লান্তি ফুটে ওঠে।

লক্ষণ : রোজা থাকা অবস্থায় যদি শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, তা হলে দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখ গর্তে চলে যাওয়া, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও ঝিমঝিম, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। পানির অভাব দেখা দিলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। অর্থাৎ শরীরে তরলরূপে থাকা বিভিন্ন লবণ, যেমন- সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। এ অবস্থা আরও বেড়ে গেলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

যা খাবেন : পানিশূন্যতা রোধে রমজানে শুধু পানি পরিমাণমতো পান করলেই চলবে না। বেশি বেশি অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে, যাতে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স না হয়। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচ্ছি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা খাবার দিয়েও পূরণ করা যায়। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে কিছুটা পানির চাহিদা পূরণ হবে। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে ঠিক রাখতে পানির চাহিদা পূরণে ফলের রস পান করা যায়। এটি ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্সে সাহায্য করবে। তরমুজ, বাঙি, কমলা, বেলসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ফলের জুস ইফতারের সময় সরাসরি খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে। সারা দিন রোজা রেখে খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।

ত্বক সতেজ রাখতে : একজন রোজাদার ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত শর্করা, লবণাক্ত খাবার, ফলমূলের কনসেনট্রেটেড জুস পুরোপুরি বাদ দিন। বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল খান। আট ঘণ্টার মতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফেইস-সিরাম ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। ইফতারের আধঘণ্টা পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটুন বা শারীরিক ব্যায়াম করুন।

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ


আরও খবর



ঝলকাঠিতে ভুয়া পরিচয়ে দুটি খেয়াঘাটের ইজারা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি শহরের রোনালছে রোড (পৌরসভা) খেয়াঘাট ও স্টিমার ঘাট খেয়া পারাপারের ভুয়া পরিচয়ে ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইজারা পাওয়া আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভা ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে ইজারাদাতা ঝালকাঠি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যয়য়নপ‌এ জমা দিয়েছে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে ইজারা পাওয়ায় পেশাদার মাঝি-মাল্লা (পার্টনিদের) মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত পার্টনিরা ভুয়া পরিচয়দানকারীর ইজারা পরিবর্তন করে বিধি অনুযায়ী খেয়াঘাটের ইজারা দেয়া দাবী জানিয়েছেন। নয়তো তারা উচ্চ আদালদের "স্বরণাপন্ন হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পূরাতন কলেজ, রোনালছে বোড খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট), স্টিমার খেয়াঘাট ইজারা আহ্বান করেন। ইজারা নোটিশ অনুযায়ী বেশ কিছু লোকজন টেন্ডারে অংশ নেয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ইজারাদার ঘোষণা করা হয়। রোনালছে রোড  খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট) এবং স্টিমারঘাট খেয়াঘাট ইজারাদার হিসেবে আব্বাস আলীর নাম ঘোষণা করা হয়। আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পুরাতন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এক বছর আগের দেয়া পৌর কাউন্সিলর হুমাউন কবীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দেন । আবার সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউপি সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন শরীফ স্বাক্ষরিত কিস্তাকাঠী এলাকার বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র জমা দেন আব্বাস আলী। ওই প্রত্যয়নপত্রের কোনোটাতেই দুজন জনপ্রতিনিধির একক স্বাক্ষরের বাইরে আরো স্বাক্ষর নেই। দু'স্থানের বাসিন্দা, দুজনের কাছ থেকেই খেয়াঘাটের মাঝি হিসেবে একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ দোদুল্যমান অবস্থা কাটাতে হালনাগাদ প্রত্যয়নপত্র পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক কুমার সমদ্দার জানান, আমরা দরপত্র বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ণয় করেছি। এখনও কারো নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। সব কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত ইজারাদারের নাম ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর