Logo
শিরোনাম

যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

রাকিবুল ইসলাম মামুন: আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টবর ২০২২) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আওতাধীন যাত্রাবাড়ী থানা ও ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬২, ৬৩, ও ৬৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির।

সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মান্নাফি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মিনাল কান্তি দাস এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিসবাহুর রহমান ভূঁইয়া রতন, সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, কার্যনির্বাহী সদস্য সালাউদ্দিন বাদল, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন নবী সাগর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফএম শরিফুল ইসলাম শরীফ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী।


এছাড়াও সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন আহমেদ মুরাদ, ৪৮ নং ওয়াট আওয়ামিলীগের সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন গেশু, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বাকের, সাধারণ সম্পাদক এ কে খান জয়, মাতুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক শান্ত নূর খান শান্ত, ৪৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, সাধারণ সম্পাদক গাজী শামীম আহমেদ, ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুম মোল্লা, ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোস্তাক আহমেদ, ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামস উদ্দিন ভূঁইয়া শান্ত সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বলেন বিএনপি বর্তমানে সারাদেশে আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সেই সাথে তারা যতই ষড়যন্ত্র করুক এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ঈদের আনন্দ পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। চুরি ছিনতাইসহ ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা। মহাসড়কেও ডাকাতি ছিনতাই রোধে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গ্রামে ছুটছে মানুষ। উপলক্ষ ঈদ, তাই আগ্রহটাও বেশি, সংখ্যাও অনেক। তবে এবারের ঈদে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি। কারণ লম্বা ছুটি।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষের চাপও বাড়ছে। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। আর ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অপ্রতাশিত নয়। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে স্বর্ণের দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। মহানগর পুলিশ বলছে, এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বাড়িওয়ালা এবং দোকান মালিকদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথার্থ করে রাখার কথা বলা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) পুলিশ অফিসারদেরকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে অন্যতম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি।

এ বিষয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকার বাসিন্দাদেরকে খুব দামি জিনিসপত্র থাকলে সেটিকে সাবধানে রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যারা গ্রামে যাচ্ছেন, তারা প্রত্যেকে যেন গ্যাসের চুলাগুলো বন্ধ করে যান। গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেন সাবধানে নিরাপদ জায়গায় বন্ধ করে রেখে যান।

এদিকে হাইওয়েতে ডাকাতি, ছিনতাইরোধে তৎপর আছে পুলিশ। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদযাত্রা যেন সুন্দর, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্তভাবে নিরাপদে আনন্দমুখর পরিবেশে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের জেলা পুলিশের ১ হাজার ২০০ সদস্য ট্রাফিক এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ঢাকায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার পথে থাকছে ২৪ ঘণ্টার চেকপোস্ট।


আরও খবর



ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে ঈদের চাল বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বিশেষ ভিজিএফ চাল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। 

রবিবার সকাল থেকে এ সব চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. সাইফুল ইসলাম। ইউপি সচিব মো. সালাহউদ্দিন, ট্যাগ অফিসার মো.রিয়াজুল ইসলাম।

১৭৯৩ জন নারী পুরুষ সুবিধাভোগীরা নিচ্ছেন ১০ কেজি করে চাল।

এ চাল বিতরণকালে অন্যনোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুর রহিম মৃধা, আবু বকর ফরাজী, মো. কাওসার হোসেন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পারভীন বেগম।

চাল বিতরণকালে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য,  জন্য দোয়া চেয়েছেন।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর



তরমুজের ব্যাপক দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আড়তে তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এতে বাধ্য হয়ে ট্রাক ও ট্রলারে রেখেই চলছে তরমুজ বিক্রির চেষ্টা। তবে তরমুজ কেনার পাইকার কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তিন দিন ধরে আড়তে তরমুজের সরবরাহও বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে।

সরেজমিনে মুক্তারপুর তরমুজ আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১২টি আড়তের সামনে তরমুজের স্তূপ। আড়তগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। আড়তগুলোর সামনে রয়েছে তরমুজ ভর্তি ১০টি ট্রাক। পাশের ধলেশ্বরী নদীতে ৬টি ট্রলার ভর্তি তরমুজ। এসব ট্রলার ও ট্রাকে কয়েক লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। রাতে ট্রলার ও ট্রাক থেকে তরমুজ নামাতে দেখা গেলেও তরমুজ কেনার পাইকার তেমন দেখা যায়নি।

আড়তে তরমুজ নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন আগে বরিশাল বিভাগে সামন্য শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হলে তরমুজ সাধরণত নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই কম বেশি ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষক শিলা বৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবারহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে।

এই আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, চার দিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনিই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দুই দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

একই এলাকার অপর চাষি মিজান হাওলাদার বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে জমি থেকে তরমুজ সব তুলে ফেলছি। এখন আড়তে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারছি না। সবকিছুর দাম বেশি। এ বছর তরমুজ লাগানোর মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তরমুজের চারার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই তরমুজের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। যে তরমুজ উৎপাদন করতে আমাদের ১২০-১৫০ টাকা খরচ হয়েছে, এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাহিন এন্টার প্রাইজের মালিক আলমগীর কবির বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজের দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছে শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ জমি হতে তুলে নিয়ে আসছে। আড়তে প্রচুর তরমুজের আমদানি হয়েছে, কিন্তু ক্রেতা আগের চেয়ে কমছে। যার কারণে দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না।

মুক্তারপুর আড়ত সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ১০ থেকে ১২ কেজি ওজনের তরমুজ আড়তে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষক সব তরমুজ কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণ আমরা আড়তে তরমুজের জায়গা দিতে পারছি না। আমার এখানে ১২টি আড়তের প্রত্যেকটি তরমুজে ভরপুর জায়গা দেওয়ার স্থান নেই। তরমুজ প্রচুর থাকলেও সেভাবে পাইকার নেই।

 


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪