Logo
শিরোনাম

যে কারণে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সাতাশ বছর বয়সী ওয়াহিদা জামান অন্য একটি অসুখের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করাতে গিয়ে জানতে পেরেছেন তার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ রয়েছে।

পরিবারে আরো দুজন ব্যক্তি এতে আগে থেকেই আক্রান্ত। তাদের ক্ষেত্রেও যা ধরা পড়েছে অন্য অসুখের জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অথবা অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে।

পরিবারের একজন সদস্য আগেই মারা গেছেন লিভার সিরোসিসে, ফ্যাটি লিভার যার অন্যতম কারণ।

তিনি বলছিলেন, ‘আমার নানু এবং আম্মুর এই সমস্যা রয়েছে। নানা মারা গেছেন লিভার সিরোসিসে। উনি স্কুলশিক্ষক ছিলেন। বুকে ব্যথা উঠলেই বলতেন অ্যসিডিটি। আমার আম্মুও তাই ভাবতো। অ্যসিডিটি'র জন্য একটা ওষুধ খেয়ে নিত। বিষয়টা তারা কেউই গুরুত্ব দেয়নি।’

তবে ওয়াহিদা জামান বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি সম্পর্কে পড়েছেন এবং প্রাথমিক পর্যায়েই তা থামিয়ে দিতে ওজন ও খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন।

এখন বুঝতে পারছি এটা হয়ত আমাদের পরিবারের কোনো জিনগত ব্যাপার। আমি একজন ইন্টারনাল মেডিসিনের ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমার ক্ষেত্রে ওবেসিটি (স্থুলতা) এটার কারণ। আমাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন। এখন যেটা করছি, আমরা পোলাও, গরুর মাংস এরকম তৈলাক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ওজন কমানোর চেষ্টা করছি।

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কী
নামই সম্ভবত বলে দেয় এই অসুখটি হলে আসলে কী ঘটে। একজন ব্যক্তির যকৃতে দরকারের চাইতে বেশি চর্বি জমে গেলে সেটিকে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা এনএইচএস বলছে, যকৃতে কিছুটা চর্বির উপস্থিতি থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু একজন ব্যক্তির যকৃতের যে ওজন, তার ১০ শতাংশের বেশি যদি চর্বি হয় তখন সেটিকে ফ্যাটি লিভার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।সংস্থাটি বলছে, যাদের শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তাদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি, বিশেষ করে যাদের শরীরের মাঝখানের অংশে, পেটে অনেক চর্বি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে। এই ধরনের ব্যক্তিদের শরীরকে আপেল আকৃতির শরীর হিসেবে বর্ণনা করেছে এনএইচএস।

এছাড়া যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি রয়েছে তাদের ঝুঁকি বেশি।

কিন্তু এসব অসুখ নেই এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ছে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও এটি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে এনএইচএস।

একসময় বলা হতো এটি মদ্যপায়ীদের অসুখ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের কারণে লিভারে যেসব অসুখ ধরা পড়ে তার সাথে এটির মিল থাকলেও অ্যালকোহলের সাথে একদমই কোনো সম্পর্ক নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও এর প্রবণতা গত কয়েক দশক ধরে বাড়ছে।

তাই এর আলাদা নাম দেয়া হয়েছে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

শুরুতে যার লক্ষণ নেই
ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক, পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলছেন, দীর্ঘ দিন কারো ফ্যাটি লিভার থাকলে লিভার ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এর ফলে যকৃতে ফাইব্রোসিস, ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে।

তিনি বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো লক্ষণ নেই। একদম শুরুতে কোনো সমস্যা হয় না। তাই রোগীরা বুঝতে পারে না। অন্য কোনো সমস্যার কারণে চিকিৎসকের কাছ গেলেই বেশিরভাগ সময় এটি ধরা পড়ে। এর জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম ও রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। তবে এর পরের ধাপগুলোতে লক্ষণ শুরু হয়।

সেগুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়ে তিনি বলছেন, পেটের উপরের ডান দিকে, বুকের খাঁচার নিচে ডান দিকে ভারি লাগবে, একটা ব্যথা হবে। ক্লান্ত ও দুর্বল লাগবে সব সময়। ওজন কমতে থাকবে যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। যদি খুব খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে চোখের সাদা অংশ ও ত্বক হলুদাভ হয়ে যাবে, জন্ডিস হবে, ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে। পেট, গোড়ালি, পা ফুলে যাবে, রক্ত বমি, কালো পায়খানা হবে। এগুলো খুব অ্যাডভানস স্টেজে হয়।

বাংলাদেশে এর প্রবণতা
অধ্যাপক আহমেদ বলছেন, পশ্চিমা বিশ্বে এর প্রবণতা অনেক বেশি হলেও আমরা ইদানীং দেখছি আমাদের কাছে ফ্যাটি লিভার নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি রোগী আসছেন। এমনকি গ্রামের মানুষ তাদেরও এটি হচ্ছে। আমরা ভাবি যে শহরের মানুষ মোটা হয়ে থাকে আর গ্রামের মানুষ কায়িক পরিশ্রম করে বেশি তাই তাদের ওজন কম। কিন্তু আমাদের নিজেদের গবেষণা আছে। এমনকি গ্রামেও অনেকের ফ্যাটি লিভার পেয়েছি আমরা।

অধ্যাপক আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর ফ্যাটি লিভার রয়েছে।

যেভাবে সাবধান হবেন
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস মেডিসিন বলছে, এটি এমন এক রোগ যা নীরবে লিভার বা যকৃতের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর লিভারের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অন্য সকল অঙ্গের সুস্থতা।

জন হপকিনস মেডিসিন বলছে ফ্যাটি লিভার সারিয়ে তোলার কোনো ওষুধ নেই। কিন্তু লিভারের নিজেকে সারিয়ে তোলার দারুণ ক্ষমতা রয়েছে।

সেজন্য অবশ্য দরকার জীবনাচরণ পরিবর্তন করা, লিভারে চর্বি জমার কারণগুলো নির্ণয় করে তা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এর খারাপ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছানো প্রতিরোধ করা যায়।
সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আবদুর রহমান অনিককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার ভোররাতে চন্দ্রগঞ্জের দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে র‌্যাবের নায়েক সুবেদার মিরাজ আলী ভূইয়া চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, র‌্যাব অনিককে থানায় হস্তান্তর করে। 

গ্রেপ্তার অনিক চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পশ্চিম লতিফপুর এলাকার আবদুল হকের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেত্তপাড়ার ইব্রাহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাবের সদস্যরা। এসময় অনিককে একটি এলজিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অনিকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অস্ত্র আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ‘আবদুর রহমান অনিক ছাত্রলীগের কোনো পদেই ছিল না। পাশাপাশি আমি তাকে চিনি না।’ 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অস্ত্র আইনে র‌্যাব আবদুর রহমান অনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



শেরে খোদা আলি (রাঃ) ইমানদারদের অভিভাবক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩১তম বংশধর, শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে  রমজান মহিমান্বিত এক দিবস যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু'মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না। মু'মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু'মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, "তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'শেরে খোদা' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের 'যুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন। একদিক থেকে তিনি প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরম বন্ধু, ভাই ; অপরদিকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জামাতা ও উত্তরসূরী। তিনি বেহেশতে নারীদের নেতা মা ফাতিমাতুজজাহরা (রাঃ) এর স্বামী এবং বেহেশতে যুবকদের নেতা হযরত সাইয়্যেদুনা ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সম্মানিত পিতা। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও বেলায়ত হল নবুয়্যতের ছায়া। মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাই মওলা আলি (রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা, তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ এবং মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা ও প্রিয় নবিজী (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবে।

৩১শে মার্চ, ২০২৪ গাজীপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শাখার উদ্যোগে হযরত মওলা আলি মুসকিল কোশা কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারিম এর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মোহাম্মদ মনসুর আলী মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা।

এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির সাথে যুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করেছে।

সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

নজিরবিহীন সেই হামলার জবাবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল শুধুমাত্র কূটনৈতিক ভাবে আক্রমণ চালিয়েই পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি - ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার আহ্বানও জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করলেও যুক্তরাজ্য এখনও তা করেনি।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বক্তৃতাকালে মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে, আমি পুরোপুরি আশা করি, আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্পই আমার টেবিলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি এমন একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি। তার ভাষায়, স্পষ্টতই, ইরান এখনও কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরও কিছু করতে পারি।

ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে।

ইরানের ওপর বিদ্যমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে দেশটির সাথে প্রায় সমস্ত আমেরিকান বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে।

এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি বিপ্লবী গার্ড এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যবস্তু করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করবে।

অন্যদিকে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছে। তিনি বলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউয়ের কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ পাঠাবেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ইতিবাচক প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের সর্বশেষ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা এড়াতে বিশ্বনেতারা সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফোন কলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (সুনাক) জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি কারও স্বার্থে ভালো কিছু নয় এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। জয়ের জন্য মাথা ঠান্ডা রাখার সময় এখন।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নড়িয়া, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের জাকির খারকান্দি জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ককটেল ফুটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। 

এ ব্যাপারে হাবিব  মাদবর বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সি আর ৯১ /২০২৪ শরীয়তপুরে ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

আসামিরা হলেন বাবুল মাতবর,আবুল মাদবর,রাসেল মাদবর,সিয়াম মাদবর,আনোয়ার মৃধা,অনিক মৃধা, ফরিদ মুন্সী,নূর হোসেন মুন্সী,মোজাম্মেল মুন্সী,আজাহার মুন্সী,মেহেরাব মুন্সী,সেলিম চৌধুরী,অনিক চৌধুরী,মোহাম্মদ শাহিন সহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে জানা যায় সোমবার  রাত ১১ টার সময় ককটেল ফুটিয়ে আসামিরা আমার দুইটি বসত  ঘর দরজা-জানলা ভাঙ্গিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া  লুটপাট করে এবং ঘর ভাঙচুর করে আসবার পত্র নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯  ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তদন্ত করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমি নড়িয়া থানায় অভিযোগ করলে মামলা আমলে নেয়নি পুলিশ। তাই আমি শরীয়তপুর আদালতে মামলা করি। বর্তমানে আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। আমার বসত বাড়ি  তফসিল বনিত ভুমিতে আমার ছোট ভাই ফজলুর রহমান ও ভাতিজা মাহবুব মাদবর বসবাস করছে। জমির মোজা ১৬ নং জপসা বি আর,এস ১৫৫৫ খতিয়ান ভুক্ত বি আব এস ৫৩২৬ নং দাগে ২২ শতাংশ। 

বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি  শরীয়তপুর ডিবি নির্দেশ প্রদান করেন। 

মামলার বাদী হাবিব বলেন আমার সৎ ভাই বাদশা মাদবর দীর্ঘদিন যাবত এই জমিটি ভোগ করার জন্য হামলা মামলা দিয়ে আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি করছে। 

তার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের লোকজন আবার আমাদের মামলা হামলা দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করছে। বর্তমানে কোর্টে মামলা দিয়েও জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি পুরো পরিবারের লোকজন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পদ ফিরে পেতে চাই।


আরও খবর