Logo
শিরোনাম

যেসব কারণে রক্ত ওঠানামা করে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রক্ত উঠানামা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। কারো কারো ক্ষেত্রে রক্তচাপ খুব অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, আবার কখনও রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যায়। এমনটি কোনো কোনো সময় বিপজ্জনক।

রক্তচাপ উঠানামা করার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মেডিনোভা হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. তৌফিকুর রহমান 

রক্তচাপ কেন ওঠানামা করে, রক্তচাপ অনেক কারণে ওঠানামা করতে পারে। কিছু রোগীর কারণে, কিছু খাবারের কারণে, কিছু রক্তচাপ মাপার মেশিনের কারণে, কিছু রক্তচাপ মাপার পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে ও পরিবেশগত কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে।

রোগীর কী কী কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করে

রোগী দুশ্চিন্তা করলে রক্তচাপ হঠাৎ খুব বেড়ে যেতে পারে আবার দুশ্চিন্তা কমে গেলে বা নিয়ন্ত্রণে এলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে পারে। যদিও প্রাথমিকভাবে এই বাড়তি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সাময়িকভাবে কিছু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ও দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ লাগতে পারে, পরবর্তীকালে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের আর প্রয়োজন নাও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বেশি করলে রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমেও যেতে পারে। রোগী যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের ব্যথা কমানোর ওষুধ বিশেষ করে এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ সেবন করে রোগীর রক্তচাপ বাড়তে পারে বা ওঠানামাও করতে পারে। রোগী যদি নিয়মিত ওষুধ না খায় বা মাঝেমাঝে ওষুধ বাদ দেয় তবে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। রোগী যদি দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান তবে রক্তচাপ বাড়তে পারে বা ওঠানামা করতে পারে। রোগীর যদি কিডনিতে সমস্যা থাকে তাহলেও রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। রোগীর যদি কিছু হরমোনজনিত রোগ যেমন হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড গ্লান্ড থেকে বেশি বেশি থাইরয়েড হরমোন বের হওয়া রোগ) বা ফিওক্রোমোসাইটোমা (কিডনির উপরে অবস্থিত এড্রেনাল গ্লান্ডের টিউমার রোগ) জাতীয় রোগ হয় তবে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে।

কী কী খাবারের কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করে? অতিরিক্ত কফি পান, চা পান ও ধূমপান করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। রক্তচাপ মাপার মেশিনের তারতম্যের কারণে কি রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে হ্যাঁ, বিভিন্ন প্রকারের রক্তচাপ মাপার মেশিন বিভিন্ন সময়ে ব্যবহারের কারণে রক্তচাপের মান ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আবার দেখা যায় অটোমেটিক মেশিনে রক্তচাপ মাপার কয়েক মিনিট পরে আবার রক্তচাপ মাপলে আগের মাপের থেকে ভিন্নতা পাওয়া যায়।

রক্তচাপ মাপার কী পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে ও পরিবেশগত কী কী কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করে

রক্তচাপ মাপার মেশিনের সঠিক সাইজ ব্যবহার না করলে, রক্তচাপ মাপার সময় কথা বললে, অনেক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর রক্তচাপ মাপলে বা হোয়াইট কোট হাইপারটেনশনের কারণে রক্তচাপের মান বেশি আসতে পারে।

হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন কী? অনেক রোগী চিকিৎসকের চেম্বারে আসার পর অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় টেনশন বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, ফলে রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায়, কিন্তু এসব রোগীর বাসায় বা অন্য সময় রক্তচাপ স্বাভাবিক বা কম থাকে, যেহেতু ডাক্তাররা সাদা এপ্রোন বা কোট পরিধান করে তাই এ সমস্যাকে হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন বলে।


সুত্র:  যুগান্তর


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নিয়ে বিরোধ, মারপিটে আহত-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি না দিয়েও ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য হওয়ার দাবী করাকে কেন্দ্র করে স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক শাহাজান গংয়ের মারপিটে আহত হয়েছেন রাজু আহমেদ জুয়েল, সাজু, হাবিব ও উৎসব নামে ৪ যুবক। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী সকাল সারে ১০ টারদিকে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর। মারপিটের ঘটনাটি জানাজানি হলে, শাহাজানের শাস্তির দাবী করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার দিন স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাজানকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ওই বিদ্যালয়ের জমির দাতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ওই বিদ্যালয়ের জমির প্রকৃত দাতা আব্দুল রাজ্জাক মাস্টারের স্বজনেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষককে তাদের দলিল দেখানোর সময় খবর পেয়ে শাহাজান তার দলবল (শাকিব, শামিম, আরাফাত, রহুল, সালাম) সহ আরো কয়েক জনকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা সহ বিদ্যালয়ের অফিসের ভেতরে থাকা প্রকৃত জমি দাতার স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং প্রধান শিক্ষিকাকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আজ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করেন। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, শাহাজান বলেন, আমি তাদের মারপিট করিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। তারা আমার ভাবির কাথায় ইট মেরে মারান্তক জখম করেছে, আমার ভাবি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, শাহজাহন ও রুহুল এসে আমাদের মেডামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি মেয়ে মানুষ না হলে এতোক্ষনে আপনাকে পিটিয়ে সরাইতাম, আপনি মেয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে গেলেন। এখনো সময় আছে নিজে থেকেই বদলী নিয়ে সরে পরেন, না হলে আপনার চাকুরি খাব। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চিতা রানী সরকার বলেন, শাহজাহান আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চাকুরিচুত করার হুমকি দেন। শাহজান গংয়ের হুকমিতে আমি ও অপর শিক্ষকরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রযে়ছি। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান, তার ছোট ভাই ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ মোঃ শামিম এবং তার আরেক ছোট ভাই যিনি, নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা দাবী করেন তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষকের কাছে দাতা সদস্য হিসাবে দাবী করলে প্রধান শিক্ষক তাদের (কাগজ) দলিল দেখাতে বলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি প্রকৃত জমি দাতার ছেলেসহ স্বজনরা জমির দলিল (কাগজ) সহ বিদ্যালয়ের অফিস রুমে গিয়ে শিক্ষকদের দেখানোর সময় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান এর নের্তৃত্বে বেশ কয়েক জন বিদ্যালয়ের অফিসের মধ্যে ঢুকে জমি দাতার ছেলে ও স্বজনদের মারপিট সহ শিক্ষককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে এবং অন্য পক্ষও অভিযোগ দেওয়ার জন্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশ ও জনগণের কল্যাণে ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।

বড়দিন উপলক্ষে  বঙ্গভবনে  খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী  বিশিষ্ট  ব্যক্তিবর্গের সাথে  শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে  তিনি এ আহ্বান জানান।

বড়দিন উপলক্ষে  রাষ্ট্রপতি  এবং তাঁর সহধর্মিনী  ড. রেবেকা সুলতানা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সম্মানে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। 

ধর্ম উপদেষ্টা  ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, আর্চবিশপ  বিজয় এন. ডি .ক্রুজ , ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‍্যান্ডেল এবং রাষ্ট্রপতির সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 খ্রিস্ট  ধর্মাবলম্বীদের  শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। 

বাংলাদেশকে একটি বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায় ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো মজবুত করার উপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে,রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বড় দিন উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন ।

পরে ,  রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল  বিনিময় করেন । বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দসহ  বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 


আরও খবর



যানজটে থমকে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে গাড়ির এমন জট লাগে। দীর্ঘসময় আটকে থেকে ভোগান্তিতে পোহাচ্ছেন এসব গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল আটটা থেকে এমন যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় কুমিল্লামুখী সড়কে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়িটি সড়ক থেকে সরাতে সময় লাগায় দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।

ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের যাত্রী রফিক বলেন, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটে দুই ঘণ্টার মতো আটকে আছে গাড়ি। এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত লাগছে।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, সকালে গৌরীপুরে দুর্ঘটনার কারণে সড়কে যানবাহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। খুব দ্রুতই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, খেজুরের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময় পিঠা পায়েস এর কথা উঠতেই বাংলা মুলকে পৌষ কথা মনে আসে।পৌষের শীতে জমে উঠে পিঠা পুলি তৈরির আয়োজন,বিশেষ করে বাঙালিদের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় পৌষ সংক্রান্তিতে,পৌষ সংক্রান্তি আবহমান বাংলার এক চিরায়ত সংস্কৃতি। পিঠা উৎসবের সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে,এর আরেক নাম মকরক্রান্তি পৌষ মাসের শেষ দিকে এই সংক্রান্তি পালন করা হয়।বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটি পিঠা উৎসবে পরিণত হয়।

শীত কাল আসলেই খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। তারপর পৌষের শেষ দিকে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও রসের গুঁড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খেজুর গাছিরা।এদিকে সংক্রান্তির দিনও ঘনিয়ে আসছে শীতের তীব্রতাও বেশি হচ্ছে রস ও গুড়ের চাহিদা ততই বেড়েই চলছে।


পৌষের এই কনকনে শীতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রায় পরিবার গুলোতে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে নানা রকমের পিঠা পুলি,পায়েস, ক্ষীর তৈরির এক রকম ধুম পড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ পৌষ সংক্রান্তিতে সামনে রেখে নতুন করে পিঠা পুলি তৈরির উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।এই কারণে বর্তমান সময়ে খেজুর রস ও গুড়ের চাহিদা বেড়েই চলছে। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি কে সামনে রেখে রস ও গুড়ের চাহিদা বাড়ায় শীতের তীব্রতা কে উপেক্ষা করে খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন অঞ্চলের খেজুর গাছিরা।

দেখা গেছে খেজুর রস সংগ্রহকারী গাছিরা প্রতিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খেজুর গাছ গুলোতে ধারালো কাস্তে দিয়ে (চেঁচিয়ে) যেটাকে গ্রামের ভাষায় বলে,গাছ কাম দেওয়া বা পরিস্কার করা সেটি করে রস নামানোর জন্য একটি নল বসিয়ে দিয়ে ঠিক দুপুরের দিকে রস সংগ্রহের জন্য সেখানে বেঁধে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকার হাঁড়ি,পাতিল,কলস প্লাস্টিকের জেরিকেন ইত্যাদি। রসের পাত্র গুলোর মুখে সুন্দর করে বেঁধে দেওয়া হতো নেট, কাপড় বা পলিথিন যাতে কোন ময়লা বা পাখপাখালির মলমূত্র রসের পাত্রের ভীতরে ঢুকতে না পারে।পরে দিন সাত সকালে খেজুর গাছ থেকে নামানো হয় রসে ভরা পাত্র গুলি।এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেছেন গাছিরা,এই সুস্বাদু রস বিক্রির পাশাপাশি রসের তৈরি পাঁঠালি গুঁড় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছেন গাছিরা।


উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের খেজুর গাছি, মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, এবারে খেজুরের রসের চেয়ে গুড়ের চাহিদা বেশি যেটা তরল গুঁড় প্রতি কেজি ২৫০ টাকা আর পাঁঠালি গুঁড় ২৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। আমি সবসময় ভালো মানের গুঁড় তৈরি করে থাকি। তিনি আরও বলেন, এবছর ৮০ টি খেজুর গাছ এভাবে কন্টাক্ট নিয়েছি যে গাছের প্রকারভেদে গাছ প্রতি দুই, আড়াই, সর্বোচ্চ তিন কেজি গুঁড় দেওয়া লাগবে। তিন দিন পর পর ৪০টি গাছের রস সংগ্রহ করে জাল দিয়ে গুঁড় তৈরি করি। আশাকরি গাছের মালিক খড়ের দাম সহ সবকিছু মিটিয়ে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভবান হবো। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি জানান, আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ এবারে ৪০টি খেজুর গাছ লিজ নিয়েছি মালিক ও খড়ের খরচ মিটিয়ে গুঁড় বিক্রি করে ৩০/৪০ হাজার টাকা কামাই হবে আর কি।

কুরুষা ফেরুষা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও চওড়া বাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র রায় কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের সোহেল মাষ্টার জানান, হেমন্ত, শীত ও বসন্তের পাঁচ মাস পর্যন্ত খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।এসময় এটি খুব সুস্বাদু খাবার, বিশেষ করে সামনে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে খেজুর রস ও রসের তৈরি গুড় দিয়ে গ্রামীণ বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি, পায়েস, পাটিসাপটা, ক্ষীর ইত্যাদি। গ্রামীণ পুরাতন রেওয়াজ অনুযায়ী পৌষ সংক্রান্তিতে এইসব পিঠা পুলি পায়েস খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ বা দাওয়াত করা হয় নতুন পুরাতন জামাই সহ আত্নীয় স্বজনদের। সত্যি পৌষের শীতে এটি একটি মজাদার খাবার, যার কারণে এই সময়টাতে রস ও গুড়ের চাহিদা একটু বেশি।

শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের খেজুর গুড় ক্রেতা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত জানান, আমার জানামতে রেজাউল গাছি ভাইয়ের খেজুর গুড়ে কোন ভ্যাজাল নাই,খাবার উৎকৃষ্ট সুস্বাদু বটে।তারপর সামনে আসছে বাঙালি বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য পৌষ সংক্রান্তি এই দিনটি কে আমরা পিঠা উৎসব হিসেবে উপভোগ করি ওই দিনে আমার বাড়িতে সবার পছন্দ খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা পুলি পায়েস পাটিসাপটা ক্ষীর, অনেক আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত করতে হবে সেই উপলক্ষে রেজাউল গাছি ভাইয়ের নিকট থেকে পনের কেজি খেজুর গুড় ক্রয় করলাম। তিনি আরও বলেন, এলাকায় যেভাবে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে গ্রামীণ এই ঐতিহ্যবাহী খাবার একদিন না বিলীন হয়ে যায়। যাতে এটিকে রক্ষা করা যায় সেই কারণে  সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে খেজুর গাছ উৎপাদন ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তা নাহলে গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুরের রস গুড় একদিন বিলীন হয়ে যাবে।


আরও খবর



দাবানলে পুড়ে যেতে পারে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। উল্টো দাবানলের আগুনে নতুন নতুন এলাকা পুড়ছে। এর মধ্যে ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাসে দেওয়ায় নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।

কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় পূর্বাভাসে আরও তীব্র বাতাসের প্রভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং এর আশপাশে এখনও জ্বলন্ত ভয়াবহ দাবানল আরও তীব্র হতে পারে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কর্তৃপক্ষ বলছে, প্যালিসেডস এবং ইটনের প্রধান দাবানল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টির ফায়ার প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোন বাসিন্দাদের যেকোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন যে এই দাবানল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

ঝড়ো বাতাসের হুমকির মুখে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা, যা সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র বলেছেন,ঝড়ো বাতাস ফিরে আসার আগেই জরুরি সব প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মীরা পুরোপুরি ভাল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা।

ঝড়ো বাতাসের কারণে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়লে তা বিপর্যয়কর হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে গোটা লস এঞ্জেলসই দাবানলের হুমকির মুখে পড়েছে।

পাসাডেনার দমকল বিভাগের প্রধান চাদ অগাস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা হয়ত আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছি। কারণ মঙ্গলবার বাতাসের গতি সর্বোচ্চ হতে পারে।’

এরই মধ্যে আগুনে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যান্থনি বলেন, ফিরে আসার পূর্বাভাস থাকা ঝড়ো বাতাসে আর্দ্রতা খুবই কম থাকায় লস অ্যাঞ্জেলেসজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।

লস এঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি আগুন নেভানোর কাজে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডের আরও সদস্য চেয়েছেন। চারশ’সদস্য এর মধ্যেই কাজ করছে।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে আক্রান্ত এলাকায় কারফিউ বলবৎ আছে বলে কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন উইলিয়ামস কারফিউ পালনের জন্য বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উইলিয়ামসন আরও বলেন, পুলিশ কারফিউ ‘কঠোরভাবে প্রয়োগ’ করছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে যারা এটি লঙ্ঘন করবে তাদের এক হাজার ডলার জরিমানা অথবা জেল হতে পারে।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫