কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ঃ
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন,নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন’ সফল-সার্থক ভাবে করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা এ নির্বাচনকে অত্যন্ত ধৈর্য্যরে সাথে মোকাবেলা করেছি। এতে আপনাদের সন্তান কুমিল্লার বাহার আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশে। এ সূষ্ঠ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিশেষ মিশন নিয়ে নেমেছিল। তারা শুধু নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার পাশাপাশি আন্তরজাতিক ভাবে প্রমাণ করাতে চেয়েছেলি বাংলাদেশে সূষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যারা এ কাজ করেছে তারা হয় স্বাধীনতা বিরোধী লোক নতুবা বিশাল টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছে। এসব অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবাগত মেয়র-কাউন্সিলরদের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় নবনির্বাচিত মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, এমপি বাহারের সহধর্মেনী নারী নেত্রী মেহেরুন্নেসা বাহার, নবনির্বাচিত মেয়র পতœী অধ্যাপিকা ফারহানা হক শিল্পী ,মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল¬াহ আল মাহমুদ সহিদ, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, জাগ্রত মানবিকতার চেয়ারম্যান তাহসিন বাহার সূচনা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নব নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাজী বাহার এমপি আরও বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করেছেন। দূর্নীতিগ্রস্থ ৭/৮ জন কর্মকর্তা নির্বাচন নসাৎ করার চেষ্টা করেছে। সব কর্মকর্তা এক রকম না। কুমিল্লা পুলিশ সুপার একজন সৎ মানুষ। তাকে নিয়ে কারো কোন অভিযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবেও তাকে পছন্দ করি। কিন্তু বাতির নিচের অন্ধকার থাকে। এমনই একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার। সে যেখানে নৌকার ব্যাজ পড়া লোক পেয়েছে সেখানে অকারণে নৌকা কর্মীদের পিটিয়েছে। নৌকার ব্যাজ ধরে টানাটানি করেছেন। নৌকার কর্মীদের গালিগালাজ করেছে। আমাদের কর্মীদের পিটিয়ে বেহুশ করে দিয়েছেন। সে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। এক সময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল। তখন সে আমার সরাপন্ন হয়েছিল। এ নির্বাচনে তার কর্মকান্ডে দেখে বুঝলাম সে ভূয়া মুক্তিযুদ্ধার সন্তান। মুুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ বিনা কারণে নৌকার ব্যাজ ছিড়তে পারে না। নৌকার কর্মীদের পিটাতে পারেনা। নৌকার কর্মীদের গালাগালি করতে পারে না। তার আবারো তদন্ত হওয়া দরকার। নির্বাচনে কয়েকজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট এমন আচরণ করেছে আল্লাহর পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে আমাদের সাথে। একজন ম্যাজিস্ট্যাট বিনা কারণে নৌকার চিফ এজেন্ট আতিকুল্লাহ খোকনের সাথে সাথে বাাজে আচরণ করেছে। ভোটারদের হয়রানী করেছেন। নির্বাচনে আচরন বিধি লংঘনের দায়ে ১২ জন লোককে জেল দেওয়া হয়েছে। সবাই নৌকার লোক। নৌকা ছাড়া একজন লোকও নেই। ৪৫ জন ম্যাজিস্ট্যাট এ কাজ করে নাই। যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল তাদের তদন্ত করতে হবে। সাক্কু সাব অহেতুক অভিযোগে তিন টা চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। চক্রান্ত করে আমার নামে একটা আশালীল ছিঠি ইস্যু করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশন থেকে। তারা চক্রান্ত করে কুমিল্লা থেকে ত্যাগ করাতে চেয়েছিল। যেন কুমিল্লায় নির্বাচেেনর পরিবেশ নষ্ট হয়। নির্বাচনে লাশ পড়ে। আমি যদি কুমিল্লায় না থাকতাম তাহলে লাশ পড়ত। আমি সকল কর্মীদের বলেছিলাম তারা ধৈর্য্য ধরে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধৈর্য্য ধরার কারণে কোন অঘটন ঘটেনি।
এর আগে নবনির্বাচিত মেয়র আরফানুল হক রিফাত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও দলীয় নব-নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে দলীয় কার্যলয়ের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকেলে নগর উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর মূর্যালেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আরফানুল হক রিফাত।