Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

‘যুদ্ধ করতে প্রস্তুত’ সৈন্যের সংখ্যা দশগুণ বাড়াচ্ছে ন্যাটো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট তাদের ‘যুদ্ধ করতে প্রস্তুত’ এমন সেনা সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

স্নায়ু যুদ্ধের অবসানের পর ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একে সবচেয়ে বড় পুনর্গঠন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। 

ন্যাটো জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, এ জোটের ‘দ্রুত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ সৈন্যের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে প্রায় দশগুণ বাড়িয়ে ৩ লক্ষাধিকে উন্নীত করছে।

এটি একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা- এবং এ সপ্তাহেই মাদ্রিদে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে যেখানে এটা অনুমোদিত হতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।  

স্টোলটেনবার্গ বলছেন, ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি রাশিয়ার প্রত্যক্ষ হুমকির পরই এই সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তার কথায়, নতুন এই ‘সামরিক ব্লুপ্রিন্ট’ পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করা হবে।

ন্যাটোর এই ‘র‍্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স’ হচ্ছে স্থল, নৌ ও বিমান সেনা ও সরঞ্জামের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি বাহিনী। কোন আক্রমণ হলে যাদেরকে দ্রুতগতিতে মোতায়েন করা যাবে। ২০১৪ সালের আগে এ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার - আর এখন তা বেড়ে ৪০ হাজার হয়েছে।

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর এই সৈন্যদের ইতোমধ্যেই লাৎভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে উচ্চ-প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়ায় আরো ‘যুদ্ধের জন্য তৈরি’ সেনাদল মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তীকালে ২০১০ সালে ন্যাটো জোট রাশিয়ার ব্যাপারে নতুন অবস্থান নিয়েছিল। রাশিয়াকে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কৌশলগত অংশীদা’ বলা হতো। তবে এখন তা বদলে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধের প্রতি সবচেয়ে বড় ও প্রত্যক্ষ হুমকি হচ্ছে রাশিয়া। তবে নতুন পরিকল্পনাটিতে এই প্রথমবারের মতো ন্যাটো জোটের প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও থাকবে।


সূত্র: বিবিসি বাংলা


আরও খবর



রোজার দুমাস আগেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবুও দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে দামে। এ অবস্থায় রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মহাচিন্তায় সাধারণ ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়।

তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি। বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো।

দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির, স্থিতিশীল গরু-খাসি

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর লাল লেয়ার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের রিপন বলেন, বাজারে সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শীত যেভাবে বাড়ছে, এতে মুরগির রোগ-বালাইও বাড়ছে। প্রচুর মুরগি মরে যাওয়ায় সামনে আরও দাম বাড়তে পারে।

এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তবে গত মাসে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ীরা। এখন থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।

আর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন বলেন, দাম কমানোয় গরুর মাংসের বিক্রি বেড়েছিল; কিন্তু কম দামের কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখতে দাম ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়।

এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডজন প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মুরগির রোগ-বালাই। মারা যাচ্ছে মুরগির। এতে ডিমের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের এ অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

রোজার পণ্যের বাজার গরম-

রোজার এখনও প্রায় দেড় মাস বাকি। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দা, ডাল-ছোলা ও চিনির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। ছোলার পাশাপাশি বাড়ছে অন্যান্য ডালের দামও। গত এক মাসের মধ্যে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ডাবলির ডাল ৭৫ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানার মুগ ডাল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, চিকন মুগ ডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা ও খেসারি ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা ময়দা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।

আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা জানান, রোজাকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকরা। সরকার তাদের ওখানে অভিযান চালায় না। মিলগুলোতে অভিযান চালালে পণ্যের দাম এমনিতেই কমে যাবে।

আর খুচরা বিক্রেতা সালাম জানান, পণ্যের দাম খুচরা বিক্রেতাদের হাতে নেই। বাড়তি দামে কেনায়, বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

খেজুরের দাম আকাশছোঁয়া-

রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। গত এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে খেজুরের চাহিদা। এতে বাড়ছে দামও।

এছাড়া প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০ টাকা, সবুজ আপেল ২৮০ টাকা, নাশপতি ২৫০ টাকা, আনার ৫০০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা ও কমলা ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অস্থির মসলার বাজার-

দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারেও। গত এক মাসের ব্যবধানে এলাচ-লবঙ্গের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। গোলমরিচ, দারুচিনির দামও বাড়তি। এর কারণ জানেন না খোদ বিক্রেতারাও। তাদের দাবি, আমদানিকারকদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা বলেন, দাম কমেছে শুধু জিরার। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৮০০ টাকা, গোল মরিচ ৮০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা ও দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। তবে বাজারে দেখা নেই পুরাতন দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও সেটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পুরোদমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। এতে বাড়ছে দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিব বলেন, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করলে দাম কমে আসবে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আড়ত পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।

এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে আদা-রসুনের।

আল-আমিন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার আগেই সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখনই বেগুনের কেজি ১০০ টাকা, রোজায় কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানেন! দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে।

বিক্রেতাদের দাবি, রোজা সমানে রেখে পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রুত গতিতে। মূলত মিল পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে দাম। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোজায় দাম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



রমজানে যুদ্ধবিরতি হলো না গাজায়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গতকাল রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে; কিন্তু রমজানের চাঁদ রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি পেরিয়েছে ৬ মাস। এ ছয় মাসে গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ওপেন আর্মস নামের স্পেনভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা ভূমধ্যসাগর পথে সম্প্রতি ২০০ টন খাদ্য ও ওষুধবাহী একটি জাহাজ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরশহর লারাঙ্কায় রয়েছে, সোমবারের মধ্যে সেটি গাজার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। গাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওপেন আর্মস।

খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়া গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কানাডা ও অন্যান্য দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা শুরু করেছিল, কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা বিভাগ জানিয়েছে, উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি জনগণের সবার কাছে ত্রাণ পৌছানোর জন্য বিমানের চেয়ে সড়ক পথ বেশি উপযোগী।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের শুরু থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। চলতি মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আসন্ন রমজানে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে গাজায়। এই বিরতির সময় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েলি বাহিনী এবং তার পরিবর্তে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

কিন্তু বহু আকাঙিক্ষত সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আর হয়নি; আর চুক্তি না হওয়ার জন্য ইসরায়েলের এবং হামাস উভয়ই পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাসের দাবি ছিল যে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গতকাল চাঁদরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান অভিযানে গাজার মধ্যাঞ্চল গাজা সিটিতে ১৩ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে গাজা উপত্যকায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন তাতে দিন দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, তা ইসরায়েলকে সহায়তার পরিবর্তে ক্ষতি করছে বেশি। গাজার বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীর আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ইসরালের জনগণের সঙ্গে এ ইস্যুতে তিনি সরাসরি মতবিনিময় করতে আগ্রহী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহ রয়েছে।

আমরা আশা করছি রমজানের মাঝামাঝি এ ইস্যুতে একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে, এএফপিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর



জলদস্যুদের কবলে জাহাজ, মুক্তিপণ দেওয়া না হলে মেরে ফেলা হবে সবাইকে..সাঈদের স্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ভারত মহাসাগরে জল-দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন নওগাঁর এ,এস,এম সাইদুজ্জামান সাঈদ। তিনি নওগাঁ জেলা শহরের আরজী নওগাঁ- শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার আব্দুল কাইয়ুম এর ছেলে। ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।

গতকাল মঙ্গলবার ১২ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে সাইদুজ্জামান সাঈদ এর পরিবার জানতে পারেন ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সেই জাহাজ টিই জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। পরে জাহাজ টি জল-দস্যুরা আটক করে সোমালিয়ায় তাদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর শোনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার বাবা-মা। ছেলেকে ফেরত পেতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। বুধবার ১৩ মার্চ বিকেলে তাদের শহরের বাড়িতে গিয়ে সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা-মাকে ছেলের জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায়।

এসময় বাবা অবসর প্রাপ্ত প্রেফেসর আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গতকাল বিকেল ৩টারদিকে জানতে পারি ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সে জাহাজটি জল-দস্যুদের কবলে পড়েছে। তবে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তারা দিচ্ছে। এরপর রাত ১০টায় আমার ছেলের বউয়ের সাথে যোগাযোগ হয় ছেলের। তখন ঘরে বন্দী করে রাখার কথা জানান। জাহাজটি তাদের জিম্মায় নিয়েছে, তাদেরকে কিছু করতে দিচ্ছে না বলে জানান। এ খবর পাওয়ার পর থেকে সারারাত পরিবার এর কেউ ঘুমাইতে পারেনি। সারারাত আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছি ছেলের জন্য। ঘুম বিহীন রজনী কাটিয়েছি।

মা কোহিনুর বেগম বলেন, এখন আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি আমরা। আল্লাহ যেন সুস্থ্য ভাবে আমার ছেলে সহ জাহাজের সবাইকে সবার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও আমরা প্রধানমন্ত্রী ও কোম্পানির কাছে অনুরোধ জানাবো তারা যেন খুব তাড়াতাড়ী ব্যবস্থা নেয়। মা হিসেবে এটাই আশা। এসময় দেশবাসী সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান তিনি।জাহাজ টিতে আটক সাইদুজ্জামান সাঈদ এর স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টারদিকে তার স্বামীর সাথে কথা হয়। তখন তিনি তাকে জানান, তারা সবাই ভালো আছেন, ইফতার করেছেন এবং সবাইকে এক রুমে রাখা হয়েছে। এরপর সকাল সারে ১০টায় দিকে জাহাজের আরেক জন আমাকে ভয়েস মেসেজ দিয়ে রেখে দেন সবাই ভালো আছেন। সেহরি খেয়ে সবাই এক রুমেই ঘুমাচ্ছেন। তবে মুক্তিপণ যত তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে ততো তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। মুক্তিপণ দেওয়া না হলে একে একে মেরে ফেলা হবে। এটা শোনার পর আরো বেশি আমরা চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এক বছর বয়সী এক মেয়ে আছে। বাচ্চাটা অনেক ছোট এখনো বুঝতে শিখেনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন আমার স্বামী সহ জাহাজের সবাইকে সুষ্ঠুভাবে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। 


আরও খবর



রোজায় স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বারেও বহাল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। পাশাপাশি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে নিয়মিত শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। পরে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

চেম্বার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে। আর পুরো রমজান স্কুল বন্ধ থাকবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আপিল বিভাগ।

এর আগে রোববার (১০ মার্চ) পুরো রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

তবে এদিনই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করার জন্য।

তার আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল।

রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ গণমাধ্যমকে জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুইমাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিটে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।


আরও খবর



ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজান উপলক্ষে সব অফিস আদালতের সময় কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয় যেন অফিস শেষেও সবাই পরিবারের সঙ্গে গিয়ে ইফতার করতে পারেন। কিন্তু এই জ্যামের শহরে অনেকেই ঠিক সময়ে বাসায় উপস্থিত হতে পারে না। নগরবাসীকে যানজট বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে নানা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও মিলছে না তেমন সুফল।

রাজধানীতে সকাল ৯টার দিকে এবং বিকেল ৩টার পর থেকেই শুরু হয় যানজটের বিড়ম্বনা। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগরবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

উন্নয়নের কারণে রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ যাতায়াত নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে। তবে অধিকাংশের দুঃশ্চিতার কারণ রমজান মাসে অফিস শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে। এক্ষেত্রে মগবাজার, মালিবাগ, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১১টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

অন্তত ১১টি রুটের যানজটের চিত্র সামনে আসছে, যেসব রুটে প্রায়ই লেগে থাকে। অনেক গণপরিবহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না বিধায় যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশেল (ডিএমপি) গুলশান ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তুত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।


আরও খবর