Logo
শিরোনাম

যুদ্ধে অর্থ ব্যয় না করে ক্ষুধার্ত মানুষের পেছনে ব্যয় করুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

যুদ্ধ-সংঘাতে বিশ্বশান্তি ব্যাহত হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে, মানুষের জীবন তত দুর্বিষহ হচ্ছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

বুধবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা এখন আগের চেয়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। এ যুদ্ধ মানবজাতির কোনো কল্যাণ বয়ে আনছে না।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে রক্ষা, ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণ ও শিক্ষাবঞ্চিতদের পেছনে ব্যয় করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। জাতিসংঘ এখন আরও নারী শান্তিরক্ষী পাঠাতে বলছে।


আরও খবর



মহাসমাবেশে আপত্তিকর শব্দচয়নে দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে কোনো কোনো বক্তা নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন-এমন অভিযোগে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় হেফাজতে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কোনো বক্তারা আপত্তিকর শব্দচয়ন হেফাজত সমর্থন করে না। এ ধরনের শব্দ চয়নকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে তা থেকে বিরত থাকতে দলেন নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। ৬ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে 'জঙ্গি', 'মৌলবাদী', 'ধর্মব্যবসায়ী' ও 'সাম্প্রদায়িক' বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরকেও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।

হেফাজত নেতা বলেন, নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে 'নারীর প্রতি ঘৃণা' আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের 'নারীবিদ্বেষী' অপবাদ দেওয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনো আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। আর আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে 'পণ্য' বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেবো না।


আরও খবর



শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার বাড়াচ্ছে কিশোরী মা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কয়েক বছরের ধারাবাহিক অগ্রগতির পর গত দুই বছরে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হারও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর বড় কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণের কারণে সন্তান প্রসব করার সময় রক্তক্ষরণ বেশি হয়, যে কারণে তাদের মৃত্যুর হার বেশি। এছাড়া কিশোরী মায়েদের বিভিন্ন সমস্যার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, এখনো বিশ্বে প্রতি বছর তিন লাখ নারী গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর পরই মারা যান। বছরে ২০ লাখ শিশু জন্মের প্রথম মাসেই মারা যায়। আর মৃত শিশু জন্ম নেয় ২০ লাখেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি এমন শিশু মারা যায়, যার মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেটারনাল অ্যান্ড পেরিনেটাল ডেথ সার্ভিলেন্স অ্যান্ড রেসপন্সের (এমপিডিএসআর) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ধারাবাহিকভাবে মাতৃমৃত্যু কমলেও গত দুই বছর আবার বাড়তে শুরু করেছে। ২০২২ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৬২ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল লাখে ৭৫। ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৯০-এ পৌঁছেছে। গত বছর মাতৃমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে লাখে ১১ জন নারী মারা যান।

যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের হিসাব অনুসারে, প্রতি ১ লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ১৩৬ জন মা মারা যান। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১৫৩। ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৬৮।

নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। ১৯ বছর বয়সের আগে প্রতি হাজারে ১১৩ কিশোরী গর্ভধারণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোরী অবস্থায় বিয়ে ও গর্ভধারণের হার বেড়ে যাওয়ায় মাতৃমৃত্যু বাড়ছে।

লালকুঠি মা ও ‍শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. শাহনাজ খান বলেন, যে হারে মা ও নবজাতক মৃত্যুহার কমার কথা ছিল তা কমছে না। যারা অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ করে তাদের নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। যেমন খিঁচুনি, উচ্চ রক্তচাপ, পায়ে পানি আসা। মায়েদের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটার প্রভাব শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে। ফলে শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি দেখা দেয়। কিশোরী অবস্থায় বিয়ে হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ। যে কারণে মাতৃমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এমপিডিএসআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সন্তান জন্মদানের সময় যেসব নারী মারা গেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। ২০২২ ও ২০২৩ সালে এ হার ছিল যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৮ ও ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যেসব নারী মারা যান তাদের বেশির ভাগই প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের একটি বড় অংশ আবার গ্রাম পর্যায়ের। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে তারা গর্ভবতী নারী ও গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকেন না। প্রসবের আগে চিকিৎসকের অধীনও হন না। তাদের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রচার-প্রচারণাও আরো বাড়ানো জরুরি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। গত বছর প্রকাশিত বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদনে (২০২৩) বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার ছিল হাজারে ২৫ জন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ২৭। পাঁচ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ২১।

অন্যদিকে এক মাসের কম বয়সী নবজাতকের মৃত্যুহার হঠাৎ বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে প্রতি এক হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২০ জন মারা যায়। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৬। পাঁচ বছর আগে ছিল ১৫। এছাড়া ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ জন। ২০২২ সালে ছিল ৩১ জন। পাঁচ বছর আগে ছিল আরো কম, ২৮ জন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, নিরাপদ পানি না পাওয়া ও ভেজালযুক্ত খাবারে কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যু বাড়ছে। এছাড়া শিশু ও মাতৃমৃত্যু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বাল্য ও কিশোরী বিয়ে। যে কিশোরী গর্ভধারণ করে স্বাভাবিকভাবেই তারা নিজের ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খুব একটা সচেতন থাকে না। তাদের পুষ্টির অভাব থাকে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

২০২৩ সালে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত ইউনিসেফের জরিপে দেখা যায়, ৫১ শতাংশ নারীর বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। এছাড়া বাংলাদেশে প্রায় ৪8 লাখ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু খর্বাকৃতির শিকার। যার অন্যতম কারণ মায়ের অল্প বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ, ‍শিক্ষা ও পুষ্টির অভাব। বাংলাদেশে ১২ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের মধ্যে ১২ শতাংশেরই ওজন তাদের বয়স ও উচ্চতার তুলনায় কম। এছাড়া বাংলাদেশে গর্ভবতী নয় এমন প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে উচ্চমাত্রার পুষ্টিহীনতা রয়েছে।


আরও খবর



ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

‘গণ-অভ্যুত্থানের পর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য’ জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, এ সংস্কার আলোচনা এ সংগ্রামেরই ধারাবাহিকতা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারণ করতেই আমরা আজ এখানে।

জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সাথে সংলাপ শুরুর আগে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করেছে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারণ করতেই আমরা আজ এখানে। গণঅভ্যুত্থানের পর এ কাঠামোগত পরিবর্তন সুনির্দিষ্ট করা ও বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।

এরপর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কাঠামোগত সংস্কারের জন্য সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। মত-দ্বিমত থাকলেও এর জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। সরকারকে এখন প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বড় ধরনের সংস্কারে হাত দিলে জনগণকে নির্বাচন উপহার দেওয়া সংকটে পড়তে পারে। নির্বাচনকে প্রধান কাজ হিসেবে নিতে হবে। পাশাপাশি এখন পুরো ঐকমত্য করা সম্ভব না, যতটুকু ঐকমত্য করা যায় ততটুকুই করতে হবে।


আরও খবর



টানা ৫ দিন যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দেশের বেশ কিছু জায়গায় টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



ঈদে চলবে যাত্রীবাহী বিশেষ ১০টি ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনগুলো ঈদের আগে তিন দিন (৪-৬ জুন) এবং ঈদের পরে ছয় দিন (৯-১৪ জুন) পর্যন্ত চলবে। রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত অংশীজন সভায় এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম।

ফাহিমুল ইসলাম জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভ্রমণ সুবিধার্থে বাড়তি ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এ সময় নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনগুলো আগের মতোই চলবে।

বিশেষ ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী, যাত্রীবাহী চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ২ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ছেড়ে চাঁদপুর পৌঁছাবে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে। চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ চাঁদপুর থেকে রাত সাড়ে ৩টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে।

তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৩ ও ৪ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৩ ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ৩টায়। তিস্তা ঈদ স্পেশাল-৪ দেওয়ানগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে।

শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৫ ও ৬ ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৫ ভৈরববাজার থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৬ কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ১২টায় ছেড়ে ভৈরববাজার পৌঁছাবে দুপুর ২টায়।

শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৭ ও ৯ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৬ ময়মনসিংহ থেকে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়। শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-৮ কিশোরগঞ্জ থেকে বেলা ১২টায় ছেড়ে ময়মনসিংহ পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।

পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ ও ১০ জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে চলাচল করবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৪-৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯-১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ জয়দেবপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে পার্বতীপুর পৌঁছাবে রাত আড়াইটায়। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-১০ পার্বতীপুর থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে।

তবে ঈদের পর পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-৯ জয়দেবপুর থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে পার্বতীপুর পৌঁছাবে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল-১০ পার্বতীপুর থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছাবে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মে'র আসন বিক্রি হবে ২১ মে; ১ জুনের আসন বিক্রি হবে ২২ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।

যাত্রীদের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করার সব আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা সব ট্রেনের আসন ২টায় বিক্রি শুরু হবে।


আরও খবর