Logo
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে, কমেছে ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৮৮৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য। যা শতাংশের হিসেবে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে এসময়ে রপ্তানি কমেছে ভারতের বাজারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

একই সময়ে ইইউ বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩ দশমিক ৮৫  বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, জার্মানিতে আমাদের রপ্তানি ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ৯৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু বড় বাজারে রপ্তানিও যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ২৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় যথাক্রমে রপ্তানি ৯৭৬ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন এবং ২৪৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়নে মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। উভয় বাজারে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ২২ শতাংশ হারে রপ্তানি বেড়েছে।

একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানিও ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পোশাক পণ্য রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যাচ্ছে। এরপর ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে ৪৮ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারে ১২ শতাংশ এবং কানাডায় ১৮ শতাংশের পোশাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে ভালো করছি। এটা আমাদের জন্য প্রজেটিভ বিষয়। বিজিএমইএ সবসময় রপ্তানি বাড়াতে সজাগ থাকছে। এর ফলে রপ্তানি বাড়ছে উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন, ইউরোপে বড় বাজার সবসময় ছিল, এখনো আছে। যুক্তরাষ্ট্রে কখনো কম, কখনো বেশি হচ্ছে। তবে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে নিয়মিতভাবে বাড়ছে। খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি ভালো হলে রপ্তানি আরও বাড়বে। আশা করা যাচ্ছে, বাজার আরও ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ বাংলাদেশে ভালো করার মতো অবকাঠামো আছে, দক্ষ জনবল রয়েছে। কিন্তু মার্কেটে পণ্যের ডিমান্ড থাকতে হবে। ডিমান্ড এখন আসলেই কম। যুদ্ধ ও সুদের অবস্থা উন্নতি হলে মার্কেট আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি।


আরও খবর

স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মাত্রই এক মাস আগে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলো বাংলাদেশে। অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা চলছে প্রতিবেশী ভারতেও। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপ সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছে মোদি সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের পর্বতসমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ . মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এমনই একটা পরিস্থিতিতে এই দুই দেশ সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে দিনের সফর।

মঙ্গলবার (১০ সে‌প্টেস্বর) মা‌র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের মুখপা‌ত্রের কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে জানা‌নো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১০-১৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশ সফর করবেন। সফ‌রে অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রচারে সহায়তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত কর‌বেন লু।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ডোনাল্ড লুসহ মা‌র্কিন উচ্চপর্যা‌য়ের ওই প্রতি‌নি‌ধিদল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে কীভা‌বে বাংলা‌দেশ‌কে সহায়তা করা যায়, সে‌টি নি‌য়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা কর‌বেন।

ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৪ ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র বাণিজ্য দপ্তর ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, সফরকালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

মা‌র্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের মুখপা‌ত্রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভারতের নয়াদিল্লি সফরকালে ডোনাল্ড লু দুই দেশের বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। ছাড়া, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নারীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবেন। তাছাড়া, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।



আরও খবর

পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পদোন্নতি পেলেন দুদকের ৯ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


 নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৯ জন কর্মকর্তাকে উপপরিচালক পদ থেকে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন, মো. গোলাম ফারুক, ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা, মো. নাছির উদ্দিন, মো. মিজানুল ইসলাম, মো. রফিকুজ্জামান, মো. মোনায়েম হোসেন, মলয় কুমার সাহা, মো. আব্দুল মাজেদ ও সৈয়দ তাহসিনুল হক। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা চাঁদা নেন এনায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানী ঢাকা ও এর উপকণ্ঠের সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ১৫ হাজার বাস। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জোর করে সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। এরপর টানা ১৫ বছর দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক ছিল তার দখলে। পরিচিত ছিলেন সড়কের একচ্ছত্র সম্রাট হিসেবে। তার অনুমতি ছাড়া সড়কে নতুন কোনো বাস নামতে পারত না


পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন বাস নামানোর অনুমোদনের নামে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুধু সড়কে চাঁদাবাজি করেই তিনি হাজার কোটি টাকার বেশি কামিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকায় নিজের ও স্ত্রী-সন্তানের নামে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কেনার পাশাপাশি ব্যাংকে জমান বড় অঙ্কের টাকা। বিদেশেও তার রয়েছে বিপুল সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের উপপরিচালক নূরুল হুদা অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকা শহর ও শহরতলিতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে সমিতির নামে প্রতিদিন ২০, টার্মিনাল সমিতির ৩০ এবং কমিউনিটি পুলিশের জন্য ১০ টাকাসহ মোট ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। এর বেশি নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের লোকজন নির্দিষ্ট এই পরিমাণের চেয়ে বাসপ্রতি দিনে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করত। তার আমলে প্রভাব খাটিয়ে কত টাকা করে আদায় করা হয়েছে এবং সেসব টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা এখন সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র

সমিতির কয়েকজন নেতা বলেছেন, ঢাকার চারটি বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার বাস চলাচল করে। এর মধ্যে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল থেকে ১ হাজার ৮০০, সায়েদাবাদ থেকে ১ হাজার ৫০০, মহাখালী থেকে এক হাজার এবং গাবতলী থেকে তিন-চার হাজার বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকার আরও কয়েকটি জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকশ বাস চলাচল করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, এসব বাস থেকে দিনে ৬০ টাকা করে ১৫ বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করেছে এনায়েত উল্লাহ সিন্ডিকেট

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, রাজধানী ও এর উপকণ্ঠের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ১৫ হাজার বাস থেকে প্রতিদিন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা করে চাঁদা আদায় করত এনায়েত উল্লাহর সিন্ডিকেট। সে হিসেবে দিনে গড়ে ১ কোটি টাকা করে চাঁদা আদায় করা হলেও ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে

সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এর পরপরই এনায়েত উল্লাহ পরিবহন খাত দখল নেন। ওই সময়ে তিনি বিএনপির একজন সাবেক মন্ত্রীসহ কয়েকজন পরিবহন নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে অনেকের গাড়ি রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করেন। কেউ নির্দেশ অমান্য করে বাস সড়কে নামালে তার পেটুয়া বাহিনী লাঠি হাতে সেই বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যেত। ঢাকার চারটি টার্মিনাল থেকে অনেক পরিবহন নেতার বাস বের হতো। একসময় তারা সেসব বাস বিক্রি করে দিতে অথবা রঙ ও নাম পরিবর্তন করে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে দিতে বাধ্য হন।