
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন করে
চালু হতে পারে জিএসপি সুবিধা। এরই মধ্যে দেশটির কংগ্রেসে এ নিয়ে শুরু হয়েছে
আলোচনা। ফের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে চাইলে বাংলাদেশকে পূরণ করতে হবে দেশটির দেয়া
অ্যাকশন প্ল্যান। বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা
বলেছেন, ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ল্যাবার অ্যাটাশে লিনা খান।
রানা প্লাজা ও তাজরীন
ফ্যাশন দুর্ঘটনার রেশ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা
জিএসপি সুবিধা হারায় বাংলাদেশ। ফিরে পেতে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। কিন্তু
দক্ষিণ এশিয়ার জন্যে স্কিমটি বন্ধ রেখেছে মার্কিনিরা।
এটি ফের চালুর
সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে শুরু হয়েছে আলোচনা। যেখানে বাংলাদেশ পেতে পারে
অগ্রাধিকার। আর সে কারণেই দেশটির তরফ থেকে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি, কাজের মান ও
পরিবেশ, শ্রমিকের সংগঠন করবার স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা তুলে দেয়া হয়েছে
সংশ্লিষ্টদের হাতে। লিনা খান জানান, তার দেশ আশা করে, ২০২৬ সাল নাগাদ সব শর্ত
পূরণে সক্ষম হবে ঢাকা।
প্রথম মার্কিন ল্যাবার
অ্যাটাশে লিনা খান বলেন, বাংলাদেশ যদি জিএসপি সুবিধা ফেরত পেতে চায়, তবে
আন্তর্জাতিক নিয়ম বা শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি আইএলওকে দেয়া সময়
অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে সব শর্ত পূরণে সক্ষম হবে।
তার দাবি গেল কয়েক
বছরে বাংলাদেশে কাজের পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে যেমন, তেমনি অভিযোগ আছে শ্রমিক ও
শ্রম অধিকার কর্মীদের স্বাধীনভাবে সংগঠন করবার অধিকার ক্ষুন্নের অভিযোগ।
প্রথম মার্কিন ল্যাবার
অ্যাটাশে লিনা খান বলেন, আমাদের কিছু বিষয়ে গভীর উদ্বেগ আছে। যেমন- শ্রমিক হয়রানি,
সংগঠন বিরোধী মনোভাব ও কার্যকলাপ, শ্রম অধিকারকর্মীদের সংগঠন করবার স্বাধীনতা খর্ব
ও মামলার মতন বিষয়গুলোতে। অথচ আমরা গত ১০ বছরে কাজের পরিবেশের নিরাপত্তার দারুণ
অগ্রগতি দেখেছি, যা প্রশংসার যোগ্য।
ভিন্ন এক প্রশ্নে লীনা
বলেন, মার্কিনিদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা। তাই
বাংলাদেশেও একে সম্মান জানাবে বলে প্রত্যাশা তাদের।