Logo
শিরোনাম

আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপির

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দুই দিনের বিরতি দিয়ে আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর রবিবার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকার প্রধান বলেছেন, নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবনযাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সকল অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন । গ্রেফতারের জন্য মহাউৎসব শুরু করেছেন আপনি। প্রাণভরে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছেন আপনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার করতে আপনি এবং আপনার সরকার পছন্দ করেন। একতরফা নির্বাচনী দৌড় আপনি দেবেন। তবে বলে রাখছি, এটা বাংলাদেশ। দেশের অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কিছু কিছু দেশকে সব উজাড় করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

এসব গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে দুই দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চার দিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

 


আরও খবর



অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

মো: সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত  ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরোও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি  ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন-আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারছি নাহ,আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করে,যেন আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট এ নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে,অথচ এইবার অংশগ্রহনে অনিশ্চিত।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন - খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এইবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবো না,এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকট এর কারনে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ নাহ করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করবো।

উল্লেখ্য , আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে ফসল এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ বিশেষ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা

টানা খরায় পুড়ছে ঈশ্বরদীও। চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। আকাশে মেঘ নেই বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাসও নেই। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ছিল। 

ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে শহরের পূর্বটেরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়

নামাজে ইমামতি করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকীয়া কওমিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহ্তামিম মাওলানা আব্দুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ওয়ালিউল্লাহ

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এস জোহা বলেন, অতি তীব্র তাপদাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার জীবদ্দশায় এরকম ইসতিসকার সালাত আদায় করতেন। আমরাও ইসতিসকার নামাজে আজ অংশ নিয়ে আল্লাহ কাছে বৃষ্টি গরমের তীব্রতা নিরসনের জন্য দোয়া কামনা করেছি।  

কুমিল্লা : তাপদাহ থেকে রক্ষা রহমতের বৃষ্টির জন্য ঢাকার পর এবার কুমিল্লায় ইসতেসক্বার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ওলামায়ে ক্বেরামের উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর রেসকোর্স নূর মসজিদ তাবলিগ মার্কাজে ওই সালাতের আয়োজন করা হয়। নামাজ মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী। নামাজে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা

মুফতি ছামসুল ইসলাম জ্বিলানী বলেন, ‘আমরা অপরাধী এই অপরাধের কারণে আজ আজাব নেমে এসেছে তাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টির জন্য নামাজ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে

মানিকগঞ্জ : প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত। অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মানিকগঞ্জে বিশেষ নামাজ মোনাজাত করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ১০ টার দিকে শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে ইস্তিসকার সালাতের আয়োজন করে  জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই নামাজে ইমামতি করেন হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ

ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানবী (সাঃ) তৎকালীন সময়ে অনাবৃষ্টি খরার সময় সাহাবীদের সাথে নিয়ে খোলা ময়দানে দুই রাকাত ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। আমরা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাহকে অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছি। মহান আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিবেন এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা

চুয়াডাঙ্গাচুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বয়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। তীব্র গরম তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা) আদায় করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে এই নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আব্দুর রাজ্জাক। নামাজ শেষে বৃষ্টি চেয়ে এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়

ঝিনাইদহতাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে একফোঁটা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয় এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন

নামাজের ইমামতি করেন শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শায়েখ মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের পাপ থেকে মুক্তি চেয়েছি খোদার কাছে। নবী করিম (সাঃ) খোদাতাআলার কাছে বিশেষ নাময়ের মাধ্যমে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তার রহমত পাব


আরও খবর



১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

৩২ বছর ধরে চলমান রেয়াত সুবিধা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর মাত্র ১০ দিন পরই বেড়ে যাবে রেল এর ভাড়া।

আগামী ৪ মের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়া। ওই দিনের আসন বিক্রি শুরু হবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধায় ৩২ বছর ধরে মূল ভাড়ায় ১০১-২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ২৫১-৪০০ কিলোমিটারে ২৫ শতাংশ ও ৪০১ কিলোমিটার বা এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর্থিক চাপ ও লোকসান কমাতে এখন এ সুবিধা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সরকারের যাত্রীসেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। এর পাশাপাশি ট্রেনে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা আসনের ভাড়াও বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রিজারভেশন চার্জের ভিত্তিতে অতিরিক্ত সংযোজিত কোচ ও আবেদনের মাধ্যমে রিজার্ভ করা নন-এসি কোচের আসনে ব্যয় বাড়ছে মূল ভাড়ার ২০ শতাংশ এবং এসি কোচের আসনের বাড়ছে ৩০ শতাংশ।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি এরইমধ্যে সারা দেশে স্টেশন-টু-স্টেশন রেয়াত সুবিধা বাদ দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের ভিত্তিতে ১ হাজার ৩৪টি স্টেশন-টু-স্টেশনে নির্ধারিত নতুন ভাড়ায় এরই মধ্যে রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের মাধ্যমে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

১৫টি প্রধান রুটে যত বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বাড়বে।


আরও খবর



তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর