Logo
শিরোনাম

আমি কে’ তা খুঁজে বের করতে হবে !!

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক ঃ

এ যুগে ‘আত্মবিশ্বাস’ বিষয়ক বই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি লেখা ও বিক্রি হচ্ছে । যে সমাজ হিংসা, রেষারেষি, প্রতিযোগিতা, শ্রেষ্ঠত্ব, ‘টাকাই সব’ ইত্যাদি ধার‌ণা ন্যাক্কারজনকভাবে (আমাদের স্কুল/কলেজের শিক্ষা তার প্রমাণ) প্রচার করে, সেখানে ‘আত্ম বিশ্বাস’ সবচেয়ে বিক্রয় যোগ্য ধারণা তো হবেই ! মজার বিয়য় পাশ্চাত্যে অর্থনীতির বৈচিত্রী-করণের আগ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসের ধারণাটি ছিল না । ধনতন্ত্র শক্তিশালী হবার পর থেকে সবাইকে ডিঙিয়ে ওপরে উঠার জন্য আত্মবিশ্বাসের ধারণাটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে । মাত্র ১৮৯০ সালে উইলিয়াম জেমস্ নামে একজন মনোবিজ্ঞানী ও দার্শনিক Principles of Psychology বইতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লেখালেখি করেন । প্রাচ্যে, বিশেষত ভারতবর্ষে কোন্ কৃষক কখন, কি চাষ করবেন, কতটুকু জমিতে ধান কতটুকু জমিতে পাট চাষ করবেন, তা নিয়ে তিনি মোটেও দ্বিধান্বিত নন । এই জনপদে কোন কৃষককে “আপনি পাট চাষের বিষয়ে কতখানি আত্মবিশ্বাসী” এমন প্রশ্ন করলে তিনি বুঝবেনই না তাঁকে কি জিজ্ঞেস করা হচ্ছে ! দুঃখজনকভাবে আজ আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য বিস্তর পড়াশনো করতে হচ্ছে, দৌড়াতে হচ্ছে মনোবিজ্ঞানীর কাছে !  । আত্মবিশ্বাস নিয়ে সমাজে দুটি ধারণা প্রচলিত---একটি জাগতিক (জীবনে অন্যদের থেকে বড় হতে হবে) এবং অন্যটি আত্মিক (’আমি কে’ তা খুঁজে বের করতে হবে )। আমার কাছে ‘আত্মবিশ্বাস’-এর বিষয়টি শেয়ার বাজারের মতই মনে হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন লেখক নানান ধরণের ‘আত্মবিশ্বাস’ নামক পণ্যটি বিক্রয় করতে বসে গেছেন। প্রাচীন যোগবিজ্ঞানে, বিশেষত বেদে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলা হয়েছে---যে কোন মানুষের পক্ষে মুক্তি অর্জন সম্ভব । মুক্তি অর্জনের প্রক্রিয়া (Self-realization process)-টিকে মানুষ যেন অসম্ভব মনে না করে সে কারণেই নিজের ও প্রকৃতির ওপর বিশ্বাস স্থাপনের কথা বলা হয়েছে । এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আপনার/ আমার জীবনে জাগতিক বিষয়াদি যতটুকু না হলেই নয়, তা অর্জন অসম্ভব নয় । প্রাণী জগতের কোন প্রাণীই আত্ম-অবিশ্বাসে ভোগে না । মানুষ ভোগে, কারণ প্রয়োজনের তুলনায় তার অনেক বেশি দরকার !!    

”যিনি আত্ম অনুসন্ধান ও গভীর উলদ্ধি দিয়ে নিজের মনের সক্ষমতা অর্জন করেছেন, তাঁর আত্ম বিশ্বাসের অভাব হবে না । মনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং তিনি সেটির পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহার করতে পারবেন (সাম বেদ) । “


আরও খবর



রাণীনগরে সেনাবাহিনীর একদিনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদিনের বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিনায়ক ২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স ১১পদাতিক ডিভিশন বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের আয়োজনে  রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এসময় প্রায় দেড় হাজার বিভিন্ন ধরনের রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেন।

২৫ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: রকিব উদ্দিন মজুমদার এমসিপিএস,ডিএফএম,এএমসি জানান,ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিসিন,চক্ষু,গাইনি,শিশু ও চর্ম রোগের চিকিৎসা প্রদানসহ প্রায় ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া জটিল রোগীদের অন্যান্য চিকিৎসাসহ অপারেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। বগুড়া অঞ্চলের তত্ত¡াবধানে এবং ১১পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় দেড় হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়।

 তমেজ উদ্দীন (৬৫),ফরেজ আলী ফকির (৭২),মেরিনা আক্তার (২৪),সাজ্জাদ হোসেন (৩৫)সহ ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বাংলাদেশ সেনাবাহীনির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর



পার্বত্য এলাকার শতকরা ৫০% মানুষ সুচিকিৎসা পায় না

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পার্বত্য এলাকার শতকরা ৫০% মানুষ সুচিকিৎসা পায় না। বিশেষ করে উপজেলার মানুষরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। সেখানে ওজা ও বৈদ্য দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করা হয়' এমন মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।রাঙামাটি শহরের বিজন স্মরণী এলাকায় রাঙামাটি পুপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমে হসপিটালের প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। পরে আলোচনা সভা ও কেক কাটা হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কর্ণেন কীর্তি রঞ্জন চাকমা, সাবেক সিভিল সার্জন ডা: উদয় শংকর দেওয়ান, পুপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন, পুপুলার ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা: বিজন চন্দ্র তালুকদারসহ অন্যান্য প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবীদ কাজল তালুদার বলেন, পার্বত্য এলাকায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে জাতি সত্তা আছে তাদের মধ্যে অনেকে চিকিৎসা সেবা বোঝে না। বিশেষ করে উপজেলাতে এসব হয়ে থাকে। যেমন দেখা গেছে, জুরাছড়িতে এক মহিলার বাচ্চা হবে। সেখানে ডাক্তার নাই। দুই ঘন্টা ধরে সেখানে রাখা হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। শুধু জুরাছড়ি নয়। মাত্র একজন ডাক্তার দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। শুধু জুরাছড়ি নয় বরকলসহ বিভিন্ন জায়গাতে এরকম দেখা যায়। আধুনিকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদানে পার্বত্য এলাকায় এভাবে উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক এন্ড হসপিটাল গড়ে উঠা প্রয়োজন। বক্তব্যের আরেক পর্যায়ে ডেপুটেশন থাকা ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবা প্রদান বিষয়েও উপস্থাপন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।


আরও খবর



বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে ৩৬টি ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার। এতে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক মাসের মাথায় ভারতের এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এল, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার কথা বলেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৭ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকার পণ্য ভারতে রপ্তানি করে, গত অর্থবছরে তা প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে ১৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে রপ্তানি হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার পণ্য। যেসব দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে, তার মধ্যে ভারত একটি, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৭০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ৯৩ শতাংশের মত পোশাক পণ্য স্থলপথেই রপ্তানি হয়। ফলে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা এ খাতের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দেবে বলে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিবৃতিতে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ হতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, গার্মেন্টস/তৈরি পোশাক পণ্যসহ সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর ফলে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় ৩৬টি গার্মেন্টস পণ্য বোঝাই বাংলাদেশী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে। ওই নিষেধাজ্ঞা আদেশে বাংলাদেশ হতে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, গার্মেন্টস/তৈরি পোশাক পণ্যসমুহ শুধু মাত্র কলকাতা সমুদ্রপথে আমদানি করা যাবে উল্লেখ করেছেন।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াড়িং এজেন্ট ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তি বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। যে সকল পণ্যের এলসি/টিটি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে সে সকল পণ্য যাতে আমদানি করা যায় তার জন্য কাস্টমসে আলোচনা চলছে।

বেনাপোলের কয়েকজন রপ্তানিকারক জানান, স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যত ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে থাকি কলকাতায়। সেটা বন্ধ হয়ে গেল। নৌপথে পণ্য পরিবহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতে খরচের পাশাপাশি সময়ের কারণে আমরা পারবো না।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস সামগ্রী আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। স্থলপথে এসব পণ্য রপ্তানিতে খরচ অনেক কম হতো কিন্তু সমুদ্র ও বিমান পথে পণ্য রপ্তানিতে খরচ অনেক বেশি হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বছরে ১০ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশিরভাগ আমদানিকারকেরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। এ পথে রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পাট, পাটের তৈরি পণ্য, গার্মেন্টস, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, বসুন্ধারা টিসু, মেলামাইন, মাছ উল্লেখ্যযোগ্য।

বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, এ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা পায়নি। পত্র পত্রিকায় দেখেছি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার পর্যন্ত সকল পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে রবিবার সকাল থেকে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হলেও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাক জাতীয় কোন পণ্য রপ্তানি হয়নি। বিভিন্ন ভাবে জানতে পেরেছি ৩০/৩৫ ট্রাক পণ্য এখানে আটকে আছে।


আরও খবর



গজারিয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে পিস্তল-গুলি উদ্ধার, আটক ৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ায় কোস্ট গার্ডের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে দেশীয় পিস্তল, গুলি, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। 

বুধবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদের হল রুমে এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ, কোস্ট গার্ডের ষ্টেশন কমান্ডার জিএম তানজিমুল ইসলাম প্রমুখ।

জানা যায়, গতকাল (২০মে) রাত ১০ঘটিকা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বালু উত্তোলনকালে ৩টি ড্রেজার, ৩টি বাল্কহেডসহ ৮ শ্রমিক আটক ও ড্রেজারে তল্লাশি করে একটি দেশীয় পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি চাকু, ৭টি মোবাইল ফোন, নগদ ২৫,৮৬৬ টাকা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে।


এ সময় আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নৌপথে ডাকাতিসহ নানা অপরাধ করে আসছে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ইতিমধ্যে একাধিক বার অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যেখানে দেশীয় অস্ত্র, গুলিসহ নানা সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছিল।


বিষয়টি সম্পর্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ রাতের আধারে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। 


এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



পবিত্র কুরআন মাজীদে স্পষ্টভাবে কিছু ধ্বংসের ঘোষণা দেয়া হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

১।ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর জন্য'। (সুরা জাসিয়াহ-৭)


২।ধ্বংস তার যে (মানুষের) পিছনে অপবাদ রটায়'। (সুরাহ হুমাযাহ- ১)


৩।ধ্বংস তার যে (মানুষকে) সামনে অপমানিত করে'। (সুরাহ হুমাযাহ: ১)


৪।ধ্বংস তার যে সম্পদ জমা করে এবং তা গুনে গুনে রাখে'। (সুরাহ হুমাযাহ : ১-২)


৫।ধ্বংস তাদের যাদের অন্তর আল্লাহর স্মরণ হতে কঠোর হয়ে গেছে'। (সুরা যুমার: ২২)



৬।ধ্বংস সে সব নামাজীর যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন'। (সুরা মাউন: ৪)


৭।ধ্বংস তাদের যারা পরিমাপে কম দেয়'। (সুরাহ মুতাফফিন: ১)


৮।ধ্বংস ঐ সকল মিথ্যারোপকারীর যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে'। (সুরাহ মুতাফফিন: ১০-১১)


৯।ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং সামান্য মূল্য লাভের জন্য বলে এটা আল্লাহর নিকট হতে'। (সূরা আল-বাকারাহ: ৭৯)


১০।ধ্বংস ও কঠিন শাস্থি ঐ সকল কাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট যারা পরকালের তুলনায় দুনিয়াকে অগ্রাধিকার দেয় এবং আল্লাহর পথ হতে লোকদেরকে বাঁধা প্রদান করে'। (সুরা ইবরাহিম:২-৩)


১১।ধ্বংস ঐ সকল লোকদের যারা আল্লাহ সম্পর্কে অযথা মিথ্যা কথা বানায়'। (সুরাহ আম্বিয়া: ১৮)


১২।ধ্বংস ঐ সকল কাফিরদের যারা ধারনা করে আসমান, যমীন ও এর মাঝে যা কিছু আছে, আল্লাহ সেগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেছেন'। (সুরাহ ছোয়াদ: ২৭)


১৩।ধ্বংস তাদের যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে'। (সুরাহ হা-মীম সেজদাহ-৬)


১৪। ধ্বংস সেই জাতির জন্য যারা নিজেদের নবীকে অস্বীকার করেছে (সূরা আশ-শু'আরা:১৩৯)


আরও খবর

আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫