Logo
শিরোনাম

আশরাফুলের বিয়ের প্রস্তাবে হাসলেন পরীমণি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : প্রতি বছরই ঈদকে ঘিরে তারকাদের আড্ডার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। যেখানে ভক্তদের সঙ্গে নিজেদের ঈদ ভাবনা, মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পান তারকারা।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ঈদ আড্ডায় হাজির হন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি, চিত্রনায়ক রোশান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।

অভিনেতা সাজু খাদেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নানা খুনসুটিতে মেতে উঠে তারকারা। যেখানে তারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ও মজার অভিজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে আশরাফুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কখনো মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন কি না? এর জবাবে সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, কখনো মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দেননি, তবে যাকে পছন্দ হয়েছিল তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তবে সেই নারী আর কেউ নয়, আশরাফুলেরই বর্তমান স্ত্রী। যাকে প্রথম দেখাতেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

এরপর সঞ্চালক সাজু খাদেম আশরাফুলকে অনুরোধ করেন পরীমণিকে প্রেমের প্রস্তাব জানানোর জন্য। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কও রাজি হয়ে যান।

অনুষ্ঠানের ভিডিওর ওই অংশতে দেখা যায়, মঞ্চে হেঁটে আসছেন পরীমণি। এসময় আশরাফুল তাকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভালো আছেন?’ জবাবে পরী জানান, ‘হ্যাঁ ভালো আছি’।

এরপর আশরাফুল বলেন, ‘আপনি কি সিঙ্গেল? কারণ আমার বাসা থেকে বিয়ের চিন্তা করছে। আপনাকে দেখে আমার ভালো লেগেছে। আপনি সিঙ্গেল হলে হয়তো আমার বাসা থেকে প্রস্তাব পাঠাবে।’

আশরাফুলের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে চুপ করে থাকেন পরী। এরপরই হেসে ফেলেন সকলে মিলে। এই ক্রিকেটারও তারপর জানান, তার স্ত্রীকেও ঠিক এভাবেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।

আশরাফুল-পরীমণির এই খুনসুটি ভক্তরাও বেশ উপভোগ করেছেন। ক্রিকেটার ও অভিনেত্রীর এক মঞ্চে অভিনয় বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছে।


আরও খবর



সংকটে হজযাত্রীরা, ভিসা জটিলতায় তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল হজ ভিসা আবেদনের সময়। এই সময়ের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় 

হজ করতে ইচ্ছুকদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ সৌদিতে হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে না পারা। তবে এই সংকটের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এ অবস্থায় বিশালসংখ্যক হজযাত্রীর হজ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল সৌদি সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এদিকে ৯ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

 

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক বলেন, কোনো ত্রুটি যাতে না থাকে, সেজন্য অংশীজন ও হজের সাথে সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হয়েছে। তিনটি এয়ারলাইন্স থেকে বিমান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

ভিসা আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার বলেন,


বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে ইচ্ছুক হজযাত্রীদের বেশির ভাগ এখনো ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর 

অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও 

সম্ভব না।

তিনি বলেন, সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ 

করা হয়েছিল। পাশাপাশি হজ এজেন্সিগুলো এ সময়ের মধ্যে ভিসা আবেদন করবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা 

আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করতে 

হবে।

তবে অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, এখনো যেহেতু অনেক হজযাত্রীই ভিসার আবেদন করতে পারেননি- 

তাই এ অবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করা প্রায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রীর সবাই ভিসা পাবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।

হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন ২৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার বাড়ি ভাড়ার টাকা সরকারের কাছে জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় সে অর্থ আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। একই সঙ্গে মোয়াল্লেম ভিসাও অনুমোদন করা হয়নি। এসব চ্যালেঞ্জের মুখে এবার হজ ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাড়ি ভাড়ার টাকা জমা দিলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় এখনো সবার অর্থ 

সৌদি আরবের আইবিএন অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি। ফলে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলরকে তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ই দায়ী।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন অবস্থানে মন্ত্রণালয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত 

এজেন্সিগুলোর বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থায় মন্ত্রণালয়। তাই হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই বলা হয়েছিল, এ বছর ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু এই সময়ে অর্ধেকের বেশি হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ ছাড়া অনেক এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ে টাকাও জমা দেয়নি। ফলে শেষ সময়ে এই বিপুলসংখ্যক টাকা ট্রান্সফার করতেও সময় লাগছে।

এজেন্সিগুলোকে দোষারোপ করে মন্ত্রণালয় বলছে, হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে গত বছরের ৩০ জুন 

এজেন্সিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে এই ইস্যুকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তারা বাড়ি ভাড়া করতে পারছে না বলে মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছে। প্রতিবারই তারা এ কাজগুলো করে মন্ত্রণালয়কে চাপে রাখে। এ ছাড়া সৌদি আরবে হাজিদের থাকা-খাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে দায়ী এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ধর্ম মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি 

দিয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি হজ ও ওমরা হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়ম পরিবর্তন করেছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে 

এখন থেকে যেকোনো ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল দেশটির 

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তায় বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে ওমরাহ পালন করা যাবে। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে ওমরাহ করতে কোনো বাধা নেই।

 অবস্থায় ওমরাহ করতে ইচ্ছুক অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিকে টাকা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ 

উঠেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্সি মালিকদের পক্ষে আল-কুতুব হজ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন বলেন, নতুন নিয়মের কারণে হঠাৎই ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। তবে হজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আবার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে তারা। এ ক্ষেত্রে হজ প্রত্যাশীরা চাইলে এজেন্সির কাছ থেকে টাকা ফিরিয়ে নিতে পারেন অথবা ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করলে আবেদন করতে পারেন।

উল্লেখ্যচাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে ৭ ধরনের মোটরযানের অগ্রিম কর মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৮ এপ্রিল এনবিআর করনীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত স্পষ্টীকরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৫৩ (৫) অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ধারা মোটরযান নিবন্ধন বা ফিটনেস নবায়নকালে কোনো প্রকার অগ্রিম কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে না। আর ওই সুবিধা পাওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো সনদের প্রয়োজন হবে না।

জানা গেছে, সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলতে সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ); সরকার বা স্থানীয় সরকারের অধীন কোনো প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম; কোনো বৈদেশিক কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোনো কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও ইহার অঙ্গ সংগঠনের দপ্তরসমূহ; বাংলাদেশের কোনো বিদেশি উন্নয়ন অংশীদার এবং ইহার সংযুক্ত দপ্তর বা দপ্তরসমূহ; সরকারের এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা অগ্রিম কর সুবিধার তালিকায় আছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার, ১৫০০ সিসির বেশি; কিন্তু ২০০০ হাজার সিসির কম এমন গাড়ির অগ্রিম কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার, ২০০০ সিসি থেকে ৩০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির জন্য ১ লাখ, ৩০০০ সিসি থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং এর বেশি সিসি হলে দুই লাখ টাকা অগ্রিম কর দিতে হয়।

তবে, দেশে ব্যবহৃত গাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ১৫০০ সিসির কম।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর



গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে অধ্যক্ষ নিয়োগের পাঁয়তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image
সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক ;

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষার বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান ডিগ্রী মহিলা কলেজে আদালতের নির্দেশণা উপেক্ষা করে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির হোতা এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিষয় নেই এমন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার বিধানকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করা হবে যদি এ ধরনের শিক্ষককে সত্যিই নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগ ও কলেজটির সাবেক অধ্যক্ষ লিখিত রেজুলেশণ খাতায় লিপিবদ্ধ তথ্যে জানা যায়, উক্ত কলেজের শিক্ষক মাহফুজুল হক ৩১/৯/১১ ইং তারিখেের পূর্বে তার মালিকানাধীন প্রিপেটরী স্কুলের সাবেক ছাত্রিক শ্লীলতাহানী করেন যা দেশের প্রথমশ্রেনীর জাতিয় দৈনিকসমুহে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদসমুহ এবং সেই ছাত্রির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় এবং সেসময়কার পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত রেজুলেশণ গ্রহন করেন।তিনি কলেজের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রিদের যৌন হয়রানি করেন বলেও কলেজটির তৎকালিন পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ ধরনের নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিতর্কিত উক্ত শিক্ষককে আদালতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে বিশেষ উদ্দেশে আগামিকাল ১৬ এপ্রিল গোপনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে ব্যাপক গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র শ্রীপুরে।
এ ব্যাপারে কলেজটির শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ এবং শ্রীপুরের সচেতন মহল আগামিকাল কি ঘটে এবং সকল আইন বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সত্যিই তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কি না তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
অনেকেই বলেছেন, আদাৱতের রায় ও নির্দেশণা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের এ সংক্রান্ত আইন উপেক্ষা করে যদি সত্যিই কোন নারী কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কোন শিক্ষককে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে তা আবারও আদালত পর্যন্ত গড়াবে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর