Logo
শিরোনাম

আগামী সপ্তাহে আবারও তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গত দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ এর স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ

একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে তিনি গোটা জীবন ব্যয় করেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ-এর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ ৯ অক্টোবর ২০২৪ সিপিবি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ার সংগ্রামে কমরেড ফরহাদ তাঁর গোটা জীবন ব্যয় করেছেন। আকন্ঠ বিপ্লব পিয়াসী কমরেড ফরহাদ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি আমলের স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম, মহান ভাষা আন্দোলন, ৫৮ সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি এবং তার প্রিয় পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অবদান সেই বৈষম্য মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছে।

নিষিদ্ধ থাকা কমিউনিস্ট পার্টিকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পার্টি সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশে আমৃত্যু তিনি, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এবং বৈষম্য মুক্ত সমাজ তথা সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে অগ্রসর করে নিয়ে গেছেন।

কমিউনিস্ট পার্টি ও তার কর্মকান্ড এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। দেশের বিভিন্ন সংকটে স্বৈরাচার বিরোধী গণতন্ত্রের সংগ্রামে, তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। এবছর আমরা এমন একটি পরিবেশে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলিত হয়েছি যে, অসংখ্য মানুষের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা হলো, সব মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ, সবার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা, সব কালাকানুন বাতিল ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

এই আন্দোলনের শক্তি ভারসাম্যের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অনেক কিছুতে ভর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য হলো এক স্বৈরাচারীর বদলে আরেক স্বৈরাচার যেন প্রতিষ্ঠা না হয়। আমাদের পার্টি দীর্ঘদিন ধরে যে সংগ্রাম করছে তার অন্যতম স্লোগান হলো, দুঃশাসন হটাও ব্যবস্থা বদলাও এবং এজন্যে নীতিনিষ্ট বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলো। এই গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের উপরে দাঁড়িয়ে এই সংগ্রাম অগ্রসর করে দেশকে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর বিভিন্ন সময় যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে স্বৈরাচারী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে। আবার অনেকে সুযোগ বুঝে মুক্তিযুদ্ধকে পরিত্যাগ করতে নতুন নতুন বক্তব্য হাজির করছে।এই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে নীতিনীস্ঠ পার্টি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এটা মনে রাখা দরকার যে, দেশের অভ্যন্তরে ও বহির্বিশ্বের বিভিন্ন অপশক্তি সবসময় তাদের স্বার্থ পূরণ করতে চাইবে। এসব বিষয় সতর্ক থেকে সচেতন ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

নেতৃবৃন্দ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনা ছাড়া সংস্কারের কার্যক্রম এখনো যাবে না। নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে চলমান সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের কাজ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান।

বিকেল সাড়ে চারটায় সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স,মিহির ঘোষ, মাহবুবুর আলম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাসান তারিক চৌধুরী, বিমল মজুমদার, মোতালেব হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্রনেতা মাহির শাহরিয়ার রেজা। এছাড়া আজ সকালে ঢাকায় বনানী কবরস্থানে প্রয়াত মোহাম্মদ ফরহাদ এর কবরস্থানে সিপিবি সহ বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ ফরহাদ এব জন্মস্থান পঞ্চগড়ের বোদা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্মরন সভা আলোচনা সডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



পদ্মহেম ধাম মুন্সীগঞ্জ জেলায় ফকির লালন শাহের একটি আশ্রম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মোঃ সাদ্দাম হোসেন, সিরাজদিখান, মুন্সীগঞ্জ

পদ্মহেম ধাম। মুন্সীগঞ্জ জেলায় ফকির লালন শাহের একটি আশ্রম। ছায়া সুনিবির প্রাকৃতিক পরিবেশে এই লালন আকড়াটির অবস্থান। পাখিদের  কিচিরমিচিরে সারাক্ষণই পরিপূর্ণ এই জায়গাটি। ছোট ছোট ছেলেদের খেলাধূলায় ব্যস্ত থাকে জায়গাটি। এই আশ্রমটির পাশ দিয়ে ইছামতি নদীটি বয়ে চলেছে দুরপথে। নদীর তীরে বসে শীতল বাতাস আর নদী প্রকৃতি বেশ উপভোগ্য। নদীর তীরে দেখা মিলবে বেদে বহরের। বিকেলের শান্ত পরিবেশে ইছামতি নদীর বুকে নৌকা দিয়ে  ঘুরতে মন চাইলে সেই ব্যবস্থাও রয়েছে। বেঁদে বহরের কাছ থেকে নৌকা ভাড়া করে কিছু সময়ের জন্য নদীতে ঘুরতে পারবেন। আশ্রমটির মধ্যে রয়েছে কাঁঠের তৈরি দুতলা ঘর, বৈঠকখানা ও লালনগীতি বিদ্যালয়। আশ্রমে প্রবেশদ্বারে দেখা মিলবে পাথরের তৈরি বিশাল একটি একতারা। কিছুদুর পর পরই দেখা যাবে বড় বড় বটগাছ। বটগাছগুলো জায়গাটির সৌন্দর্য্য দ্বিগুন করেছে। শীতের সময় দুই পূর্ণিমা তিথিতে এই আশ্রমে লালন ফকিরের উৎসব, মেলা ও সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভ্রমনপ্রিয় মানুষজন অনেকেই ঘুরতে এখানে এসে থাকে। 


আরও খবর



নওগাঁয় স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্বামীর লাঠির আঘাতে আইলা (৪৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকাধীন পাতনা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দিনগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে রাগের বশীভূত হয়ে স্বামী নাছির উদ্দীন লাঠি দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। একটি আঘাতেই তার স্ত্রী মাটিতে লুটিয়ে পরে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর ঘটনাটি থানা পুলিশে জানানো হলে, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। 

গৃহবধূ মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহতের শরীরে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে গৃহবধু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :  

বকশীগঞ্জে গৃহবধু সূচনা আক্তার সূচী (২৭) হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া এলাকাবাসী এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধনে সূচীর স্বজনরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। 

মালিচর মন্ডলপাড়া-ধুমালী সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান,আলমগীর মিয়া,মজনু মিয়া ও গৃহবধূ সূচনার মা রোজিনা বেগম প্রমূখ। আসামীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। গত শুক্রবার রাতে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারি খানপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে সূচীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

জানা যায়,বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইড়মারী খানপাড়া গ্রামের ইফাজ উদ্দিনের ছেলে আলমাছ হোসেন আরিফের (৩২) সাথে প্রায় পাচঁ বছর পূর্বে পৌর শহরের মালিরচর মন্ডলপাড়া গ্রামের বেলায়েত মিয়ার মেয়ে সূচনা আক্তার সূচীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে সূচনার ঝগড়া হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে পুলিশ তার স্বামীর ঘর থেকে গৃহবধু সূচীর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পরেই সূচীর স্বামী ও শশুড়সহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গৃহবধু সূচীর মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূচনার শাশুড়ী আকলিমা বেগম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে। 

মানববন্ধনে সূচনার মা রোজিনা বেগম বলেন,বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন সূচনাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। সূচনা যদি আত্মহত্যা করেই থাকে তাহলে বাড়িতে খবর না দিয়ে শশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলো কেন। দোষীদের শাস্তি দাবি জানান তিনি।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে,গৃহবধুর শাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ১৯ জনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন

গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু এবং ৮৪৩ জন হাসপাতালে, ২২ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মৃত্যু এবং ৯২৬ জন হাসপাতালে, ২৩ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৮৬৬ জন হাসপাতালে, ২৪ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮০১ জন হাসপাতালে, ২৫ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৮৫৪ জন হাসপাতালে, ২৬ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮২৯ জন হাসপাতালে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৩২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ৭০৭ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬২০ জন। মারা গেছেন ১৪৩ জন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আসছে অক্টোবরে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়


আরও খবর