Logo
শিরোনাম
লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০ আলোকিত সেরা নারীর সম্মাননা পেলেন মাধবদীর আমেনা বেগম জোৎস্না রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে টিকে রইলো আফগানিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

টানা দুই ম্যাচ হারের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল সফরকারী আফগানিস্তান। টপ-অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান ২২ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে রইলো আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ৫ ও ৭ উইকেটে জিতেছিল আইরিশরা।

শুক্রবার রাতে বেলফাস্টে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে দলকে ৬৮ বলে ৯০ রানের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। জাজাই ৪০ বলে ৩৯ রান করেন। তবে ৩৫ বলে ৫৩ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন গুরবাজ। দলীয় ১০৯ রানের মধ্যে আফগানিস্তানের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংসের মাঝে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ইব্রাহিম জাদরান ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। তৃতীয় উইকেটে দুই জাদরান ২৬ বল খেলে ৪৮ রান যোগ করেন। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে আফগানিস্তান।

সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে ১৯০ রানের টার্গেট পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু আফগানিস্তানের বোলারদের সামনে অসহায় ছিল আইরিশ টপ-অর্ডার। ৮৫ রানে ৭ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এতে বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে আয়ারল্যান্ড। তবে অষ্টম উইকেটে দারুন লড়াই করে দলের হারের ব্যবধান কমান জিওর্জি ডকরেল ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ফিওন হ্যান্ড। ৩৮ বল খেলে ৭৪ রান তুলেন তারা। এই জুটির কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান করে আয়ারল্যান্ড।

আগামী ১৫ আগস্ট বেলফাস্টেই হবে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।



আরও খবর



৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর



আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তুমুল সংঘাত চলছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর। শিগগিরই দেশটিতে চলমান এ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে আরও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও।

জাতীয় সংসদ ভবনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসেই মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হয়েছে। ফলে সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। মিয়ানমারের পাশাপাশি আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলেও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে। সেইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে আরও কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য। এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মোট ৯ লাখ ৯ হাজার ২০৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালি বর্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৬ জন। অন্যান্য ক্যাম্পে রয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৪ জন রোহিঙ্গা। এর বাইরে ৬ হাজার ৮২৭ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে হোস্ট কমিউনিটি তথা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে কিশোর গ্যাং দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।


আরও খবর



সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস।  ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ প্রশংসা করেন।

এর আগে নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ৪৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। দলটির নেতৃত্ব দেন ড. হাসান আব্বাস। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতার সময় সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান নেসার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান ও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে তা মোকাবিলা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে তা সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। একইসঙ্গে উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


আরও খবর



করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বছর ধরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকারক প্রভাব মামলায় জর্জরিত রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এত দিন কোম্পানি বলে এসেছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এই কোভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এই ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার মুখে পড়েছেন। অ্যাটর্নিদের মতে, কিছু পরিবার টিকা দেয়ার একটি বিধ্বংসী প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে অবশেষে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে তার কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে হলেও, টিটিএস-এর কারণ হতে পারে।


টিটিএস কী


টিটিএস-এর সম্পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস)। এটি একটি খুব বিরল সিন্ড্রোম, যা রক্ত
​​জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) এবং কম প্লেটলেট সংখ্যা (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ভিআইটিটি নামেও অভিহিত করা হয়, যার পূর্ণ রূপ 'ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া'। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে থ্রম্বোসিস হতে পারে, যা প্রভাবিত রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া শরীরে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম হওয়ার সময় ঘটে। সাধারণত, প্লেটলেটগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত রোধ করতে রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর সেই প্লেট সংখ্যা কমে গেলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক।

 

গত বছর, জেমি স্কট, দুই সন্তানের পিতা, ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, স্কট উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনা রুখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন। এর ফলে তার রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল নাকি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে স্কট বেঁচে থাকতে পারবেন না। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে এই দাবিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এত দিন ধরে। এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে এক মেইল পাঠিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বীকার করি না আমরা।

যাইহোক, এত দিন পর কোম্পানির স্বীকারোক্তি তাকে বিরাট ক্ষতিপূরণের মুখে ফেলে দিতে পারে। কারণ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মোট ৫০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।


আরও খবর



ক্রেতাশূন্য বাজারেও পণ্যের বাড়তি দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে বন্ধ রয়েছে পণ্য সরবরাহ। আগে আসা পণ্যগুলোই এখন মূলত বিক্রি হচ্ছে। পাশপাশি বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে কিছুটা লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

আর প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা, কহি ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও।পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

এদিকে কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৫০-২৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৭০-৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৫০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই। তবু দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে নতুন করে কোনো মুরগি আসেনি। ঈদের আগে আসা বাড়তি দামের মুরগিই এখন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা চড়া।

কেরানীগঞ্জের মুরগি বিক্রেতা রিপন বলেন, বাজারে মুরগি কম। তাছাড়া ঈদের কারণে নতুন করে মুরগি আসেনি। আগে যা এসেছিল সব বাড়তি দামের। তাই কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ঈদের আগের দিন থেকে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ায় বেড়েছে মাংসের দামও। সহসাই কমার লক্ষণ নেই। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের মাংস বিক্রেতা আসলাম বলেন, বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। তাছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তাই সামনে গরুর দাম কমার লক্ষণ নেই, উল্টো বাড়তে পারে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।


আরও খবর