Logo
শিরোনাম

বিজিবি’র মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ এর সফল বাস্তবায়নে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বিজিবি’র মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ উপলক্ষে তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হল সংলগ্ন পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। 

এসময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে একটি সুস্থ জাতি গঠন অত্যাবশ্যক। আর সুস্থ জাতি গঠনে আমিষের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের আমিষের চাহিদার সিংহভাগই পূরণ করে মাছ। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৎস্য চাষের বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদ-নদী, খাল-বিল ও পুকুর জলাশয়ের দেশ। এ সকল পুকুর-জলাশয় ফেলে না রেখে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মাছ চাষ করলে তা জাতীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেও বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। তাই তিনি প্রত্যেক বিজিবি সদস্যকে মৎস্য চাষে ব্রতী হয়ে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি’তে যে সকল পুকুর ও জলাশয় রয়েছে তা সংস্কার করে মাছ চাষ করার আহবান জানান। শুধু মৎস্য চাষই নয়, দেশের সকল মহৎ কাজে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বলিষ্ঠ অবদান রাখবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।   


আরও খবর



গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

গাজার ক্ষমতাসীন ইসলামি শাসক গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেখানকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌‘‘আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।’’

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আরও ২৫৩ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জন জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



কক্সবাজারে বন কর্মকর্তা সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস, রাঙ্গামাটি : 

পাহাড়খেকোর ডাম্প ট্রাকের চাপায় নিহত কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদুজ্জামান সজল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আজ রাঙ্গামাটি বন বিভাগের সম্মুখে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোঃ জাহিদুল রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউ এস এফ বন বিভাগের মোঃ সোহেল রানা সহ বন বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় চিহ্নিত পাহাড় খেকো চক্র তাদের অপকর্ম বিনাবাধায় চালিয়ে যেতে এবং বন বিভাগকে হুমকি বার্তা দিতে পরিকল্পিতভাবে এই সজলকে হত্যা করেছে। 

এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি নিশ্চিত করা দাবি জানান রাঙ্গামাটির বন বিভাগের কর্মরত সকল কর্মকর্তাও কর্মচারী। 


আরও খবর



রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ রেলওয়ের আখাউড়া-সিলেট সেকশনের মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। চীনের অর্থায়নে জিটুজি পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়নের কথা। দর চূড়ান্তকরণের পর তা কমানোর নির্দেশের পর সরে যায় চীন। পরে ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়নের চিন্তা করা হয়। তাতেও লাভ হয়নি। কোনোভাবেই অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বলা হয়, প্রকল্পের অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় কাজ শুরু হয়নি। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।

প্রকল্প থেকে চীন সরে যাওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (ইরকন) মাধ্যমে কাজ পাওয়াসাপেক্ষে অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রস্তাব পেয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেই প্রস্তাবও বেশি দূর অগ্রসর হয়নি। এরপর অন্য উৎস থেকেও অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারেনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেন, প্রকল্পটির অর্থায়নে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এডিপি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার।

জানা গেছে, ঢাকার সঙ্গে সিলেটের যোগাযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে। প্রকল্পে ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ অর্থায়ন করার কথা ছিল চীন সরকারের। এমনকি ঠিকাদার নির্বাচনসহ প্রায় সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছিল। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। চীনের রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যৌথ সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর প্রকল্পটির দরকষাকষি সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুমোদন দেয় একনেক। পরবর্তী সময়ে এটি অত্যধিক ব্যয়বহুল মনে হলে খরচ কমানোর নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। তাতে রাজি হয়নি নিযুক্ত চীনের ঠিকাদার।

বলা হয়েছে, নির্ধারণকৃত দর থেকে ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা (২০.৮%) কমে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ অনুশাসনের পর ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়। খরচ কমানোর জন্য প্রস্তাব তৈরি করে এ সংক্রান্ত কমিটি। তাদের প্রতিবেদনে দর নির্ধারণের জন্য চলমান অন্য প্রকল্পের আইটেমের দরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতামত চাইলে তারা বেশ কয়েকটি যুক্তি দেখিয়ে প্রকল্পের মূল্য পুনর্নির্ধারণে একমত পোষণ না করে জবাব পাঠিয়েছে। সেখানে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) অনুমোদিত দরমূল্য বহাল রাখার কথা বলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব চিঠি চালাচালি শেষে প্রকল্প থেকে সরে যায় চীন।

আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ২৩৯ দশমিক ১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েলগেজে রূপান্তরে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ১০৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৭৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মাটির কাজে ৩৪৬ কোটি ২৮ লাখ, ট্র্যাকের কাজে ১৯২ কোটি ৫৭ লাখ, সিগন্যাল ও টেলিকম খাতে ২১ কোটি ৬১ লাখ, সেতু ও কালভার্ট খাতে ১৪৬ কোটি ৪৬ লাখ, স্টেশন ও বিল্ডিং খাতে ২০ কোটি ৩৩ লাখ এবং প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট খাতে এক হাজার ৩৮২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু রাজি হয়নি ঠিকাদার সিআরবিসি।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি ছিল। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডুয়েলগেজ লাইন হলে ট্রেন চলাচলের হার (ফ্রিকোয়েন্সি) বাড়বে না। এ রুটে ডাবল লাইন এবং ডুয়েলগেজ নির্মাণ করা হলে এ প্রকল্প থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে। অন্যথায় সরকারের এ বিশাল বিনিয়োগে জনগণের তেমন কোনো সুবিধা হবে না। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এ প্রকল্পে আপত্তি তুলে এক চিঠিতে বলেছিলেন, এটা ডাবল লাইন ও ডুয়েলগেজ হওয়া উচিত। শুধু ডুয়েলগেজ করে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।


আরও খবর



দেশের সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এছাড়া তল্লাশিচৌকি ও টহল জোরদারেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র ও তিনটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, বান্দরবানের দুই উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এই নির্দেশনা দিয়েছে। দেশের প্রতিটি থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করে।

এছাড়া তল্লাশিচৌকি টহল জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে গত মঙ্গলবার রাতে হামলা করে অস্ত্রধারী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা। তবে ব্যাংক থেকে তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি।

গত বুধবার বান্দরবানের থানচিতে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখা থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট করে। এরপর গতকাল রাতেও থানচিতে থানায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বান্দরবানের আলীকদম থানার ডিম পাহাড়ের ২৬ মাইল এলাকায় পুলিশ ও সেনাদের যৌথ তল্লাশিচৌকিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এসব ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কেএনএফ।

বান্দরবানে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ব্যাংকে লেনদেন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর সারা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিল।


আরও খবর



ঈদে ১৭২ বাইক দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। আহত হয়েছেন ৮২ জন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে

ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন

আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন

তিনি আরো বলেন, গুলশান, ডেমরা নরসিংদীতে নারীসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে


আরও খবর