Logo
শিরোনাম

বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর



সংস্কার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর এটিএম মাঠ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহি এটিম মাঠ। নওগাঁ শহরের এ মাঠটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত। অবশেষে মাটি ভরাট করে খেলাধুলার উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে এটিএম মাঠটি। ১৯৭০ সালে ২৪ অক্টোবর শনিবার বঙ্গবন্ধু এই এটিম মাঠে নৌকার প্রচারনায় এসে এক বিশাল জনসভায় ভাষন দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রথম বার সরকার গঠনের পর নওগাঁয় এসে এই মাঠেই জনসভায় ভাষন দিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অনেক রাষ্ট্র প্রধান ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এই মাঠেই জনসভা করেছেন। এরপর এতোদিন মাঠটি বছরের বেশী সময় ধরে জলাবদ্ধতার কারনে খেলাধুলার অনপোযোগি হয়ে পড়ে থাকতো। তবুও নওগাঁ শহরে খেরার মাঠের সল্পতার কারনে এই মাঠেই দূরাবস্থার মধ্যে ও চলছিল নানা খেলাধুলা। শহরের এটিম মাঠটি ছিল চরম ভাবে অবহেলিত।

এই মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করতে এবার এগিয়ে এসেছেন নওগাঁর সুযোগ্য জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ, ও নওগাঁ চেম্বর অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের অর্থায়নে ইতোমধ্যেই মাটিতে মাটি ফেলে ভরাট করার কাজ এগিয়ে চলছে। এমন ভালো উদ্যোগকে ক্রীড়ামোদিরা সাধুবাদ জানিয়েয়েছেন।


আরও খবর



বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

ইয়াশফি রহমান :টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করেছে ইংল্যান্ড। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারাল টাইগাররা। বিশ্বকাপের পর দুদলের প্রথম ম্যাচ।

এই জয়ের রূপকার নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তার দুর্দান্ত ফিফটিতে ১৫৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। সেটাও দুই ওভার হাতে রেখেই। ৩০ বলে ৮ চারে ৫১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন শান্ত। উদ্বোধনীতে ঝড় তুলতে পারেননি লিটন দাস ও রনি তালুকদার। তবে পথটা দেখিয়ে গেছেন তারা। সেখানে হাল ধরেন শান্তই। মিডল অর্ডারে  তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। মঈন আলীর বলে আউট হন তিনি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অপরাজিত ২৪ রানে। আফিফ হোসেন অপরাজিত ১৫ রানে। 

ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন জোফরা আর্চার মার্ক উড, আদিল রশিদ ও মঈন আলী।

আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফিল সল্ট ও জস বাটলার ভালো শুরু এনে দেন। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ৮০ রানের এ জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এরপর সাকিব আল হাসান ফেরান ডেভিড মালানকে (৪)।

বেন ডাকেট ও জস বাটলার দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ১৩৫ রানে এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিন চারে ২০ রান করা ডাকেট বোল্ড হন ফিজের বলে।

পরের ওভার বিদায় নেন ফিফটি করা ইংলিশ অধিনায়ক। হাসান মাহমুদের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন  ৬৭ রানে ফিরেন বাটলার। টিকতে পারেননি স্যাম কুরান। মাত্র ৬ রান করে হাসানের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

শেষ ওভারের প্রথম বলে ক্রিস ওকসকে (১) বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। মঈন ৮ ও জর্ডান ৫ রানে থাকেন অপরাজিত।

বাংলাদেশের হয়ে দুইটি উইকেট নেন হাসান। একটি করে উইকেট নেন নাসুম, তাসকিন, মোস্তাফিজ, ও সাকিব।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের। এ ছাড়া একাদশে ফিরেছেন আট বছর পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া রনি তালুকদার। এ ছাড়া ফিরেছেন শামীম হোসেনও। 

 


আরও খবর



নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল। তবে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপির প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার বার বার আহ্বান জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে তাদের একটাই কথা, আগামী সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধানের আলোকে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সাফ কথা বর্তমান সরকারের অধীনেই বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এই লক্ষ্যে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে বলে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং ছোট-বড় নেতারা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সরকার, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে এসব বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকরা বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে নির্ভেজাল নির্বাচনের কথা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, কূটনীতিক কিংবা রাজনীতিকদের সঙ্গে যেকোনো আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার বিএনপির দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সরকারি দলের নেতারা।

তারা বলছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসুক তা আওয়ামী লীগের কাছে কাম্য। তবে তাদের কোনো দাবি থাকলে তা সংবিধানের উল্লেখিত বিধি-বিধান অনুসারে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এর বাহিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি দল হিসেবে বিএনপিকে নির্বাচনে চাইলেও তাদের তোষামোদ করে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়। বিএনপির নেতারা যে দাবি করছেন তা দেশের সংবিধানবিরোধী। বিএনপির জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছে দিয়েছেন, সংবিধানের বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনের সময় সরকার শুধু রুটিন কাজগুলো করবে বাকি সব করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, হবে না, হবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর এই নির্বাচন কারা যেন হতে দেবে না, এমন খবর আছে আমাদের কাছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।

সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক দলীয় সভায় বারবার বলছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ। দলের তিনজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সংবিধান মেনে বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। বিএনপিও নির্বাচনে আসবে। সম্প্রতি বিএনপির দফাওয়ারি আন্দোলন বিএনপিকে ভোটের মাঠে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির বড় একটি অংশ ভেতরে ভেতরে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময়ই মত প্রকাশ করে আসছে আগামীতে বিএনপি অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও ভোটে অংশ নেবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনরায় প্রতিফলিত হবে। সরকার পরিবর্তন করতে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের কাছে যদি বিএনপির কোনো কমিটমেন্ট ও দায়িত্ববোধ থাকে তাহলে দলটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর বাহিরে তাদের কোনো পথ খোলা নেই।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক 


আরও খবর



নওগাঁয় শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় ৪ শিক্ষক সহ ৫ জন শ্রীঘরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সিফাত হোসেন (১৪) কে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় ৪ জন শিক্ষক সহ ৫ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ আদালত। সোমবার দুপুরে তারা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমতিয়াজুল ইসলাম।

কারাগারে পাঠানো ৪ জন শিক্ষক সহ ৫জন হলেন, কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম (৫৬), সহকারী শিক্ষক মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু (৪৩), শ্রী সুবল মণ্ডল (৩৯), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫১) ও দাসকান্দি গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে মিঠু। মামলার এজাহার নামীয় অন্য আসামীরা হলেন, ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ স্বরন সাহারিয়ার (১৬), শ্রী রিত্তিক (১৬), মোঃ রিয়াদ হোসেন (১৬)।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ৩১ মে সকালে স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কীর্ত্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিফাত হোসেনকে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ার, হৃতিক ও রিয়াদ হোসেন মারধর করেন। ঘটনাটি সিফাত তার পরিবারকে জানালে ঐ দিনই সিফাতের বাবা মিজানুর রহমান প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিষয়টিতে কর্ণপাত না করে উল্টো সিফাতকেও মারপিট করতে বলেন, নতুবা হাতে মেয়েদের চুরি পরে থাকতে বলেন।

এঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী স্মরণ শাহরিয়ারের বাবা সাজেদুর রহমান শিক্ষার্থী সিফাতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বিদ্যালয় হতে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবল মন্ডল ও নজরুল ইসলামও সিফাতকে নিয়ে হাসাহাসি করেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ায় অত্যন্ত মনোকষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে ঐ দিন রাতে গ্যাস বড়ি (কীটনাশক) খায় সিফাত। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন (১ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলী আদালতে ঐ বছরের ৯ জুন মামলা দায়ের করে 


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩