Logo
শিরোনাম

বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সিপিবির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

বিডিটুডেস ডেস্ক :

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তারা আগামী ১ থেকে ১৫ নভেম্বর দেশব্যাপী ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রা’ করবে। 

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির চার দিনব্যাপী সভা সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শেষ হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভায় রিপোর্ট উত্থাপন করেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব। এতে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সংগঠক ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যরা বক্তব্য দেন।


সভায় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপ, অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভায় আগামী ১ থেকে ১৫ নভেম্বর ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রা’য় ঢাকাসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা, গণসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে যা জানাল বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছে বিএনপি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন সংস্কারসহ বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেছে দলটি।

শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এদিন দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারগুলো আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের মতামতও দিয়ে এসেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। নির্বাচন কমিশন, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাস, দিনকাল নিয়ে কথা বলি না। উনি যেটা আমাদের বলেছেন, নির্বাচনই আমাদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ

বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে সংলাপে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




হাতবদলেই চালের দাম বাড়ে ৩০৭ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তার পাতে ওঠা পর্যন্ত হাতবদলের কারণে শুধু সরু চালের দাম বৃদ্ধি পায় ৩০৭ শতাংশ।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সব ধরনের নিত্যপণ্যেও একই অবস্থা, বিশেষ করে মোটা চাল, পেঁয়াজ, আদা-রসুন, রুই মাছ, ডাল, আলু, কাঁচামরিচ, হলুদ ও শুকনা মরিচের দামের ক্ষেত্রে

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়

২০ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮টি বিভাগের ৪৯টি জেলায় যেখানে ৬০০ জন উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় ২১টি খাদ্যপণ্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১২টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, ৫টি আমদানিকৃত এবং বাকি ৪টি স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি করা হয়

গবেষণার তথ্যমতে, ভালো মানের এক কেজি মোটা চাল উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে সর্বোচ্চ খরচ পড়ে ২৬ টাকা। সেই চাল কৃষক বিক্রি করে ৩২ টাকায়। ভোক্তাদের সেই মোটা চাল কিনতে হয় ৬০ টাকায়। অর্থাৎ শুধু হাত বদলে মোটা চালের দাম ২১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বা ২৮ টাকা

একইভাবে প্রতি কেজি সরু চালের দাম পার্থক্য প্রায় ৪০ টাকা, পেঁয়াজের ৪০ টাকা, রুই মাছের ১২০ টাকা, ডালে ৩০ টাকা, আলু ২৯ টাকা, কাঁচামরিচ ৭২ টাকা এবং হলুদে ১০০ টাকা


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বুয়েট-এর ছাত্র আবরার স্বরণে সাঘাটায় ছাত্রদলের মৌনমিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সাঘাটা, গাইবান্ধা প্রতিনিধি::

গাইবান্ধার সাঘাটায় বোনারপাড়ার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদ স্বরণে ছাত্র দলের মৌনমিছিল ও স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিরাপদ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসের দাবি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনমলে বর্বর ছাত্রলীগের নির্মম নির্যাতনে নিহত বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ-এর পঞ্চম শাহাদৎকার্ষিকী উপলক্ষে (৭ অক্টোবর) সোমবার দেশব্যাপী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বোনারপাড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল মৌনমিছিল শেষে স্বরণ সভা করে।

কলেজ ক্যাম্পাসে মৌনমিছিল শেষে কলেজ হলরুমে অনুষ্ঠিত স্বরণ সভায় বোনারপাড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক সৃজন আহম্মেদ শিপন-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব সোহেল রানা, ছাত্র নেতা আতিকুর রহমান ,অশীম, রিপন প্রমুখ।




আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে পতন

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তেলের দাম কমেছে চার শতাংশের বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাস ও ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা করবে না এমন ঘোষণায়।

ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে

এর আগে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম কমে অন্তত চার ডলার। এতে অক্টোবরের পর তেলের দাম কমে সর্বনিম্ন হয়

ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে দেশটির তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। এতে তেলখাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও তেলের দাম বেড়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে

সবশেষ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন, তার দেশ ইরানের তেল অথবা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়, বরং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায়

এদিকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে


আরও খবর

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪

চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪