Logo
শিরোনাম

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, কোনো এলাকায় যদি তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে তাহলে তাকে বলে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড এই গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-

১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি ধীরে ধীরে পান করুন। ঠান্ডা ও বরফজাতীয় পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে।

২. বাইরে যখন তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়, তখন আপনি বাইরে থেকে ঘরে ফিরে কখনোই ঠান্ডা পানি পান করবেন না। সব সময় ধীরে ধীরে উষ্ণ পানি পান করুন।

৩. যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

৪. তীব্র গরমের এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। এই সময়ে ঘরে থাকাই ভালো।

৫. বাইরে বের হতে হলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। স্কিন টাইট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না।

৬. তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় পানীয় সঙ্গে রাখুন।

৭. শরীরে অস্বস্তি হলে ওআরএস স্যালাইনে পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লাচ্চি বানিয়েও পান করতে পারেন। এভাবে শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে।

৮. বাইরে বের হলে বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না। যাদের পেশার জন্য রাস্তায় রোদে থাকতেই হবে, তারা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠাণ্ডায় থাকার চেষ্টা করুন।

৯. যারা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, যাদের কনকনে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা থাকে এবং গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাদের অসুখ চট করে ধরে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।

১০. হিট স্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন।

১১. পুরোনো বা বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

১২. প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফা বৈঠক শনিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় পরোক্ষ আলোচনার সময় উভয় পক্ষ থেকে তৃতীয়বার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনার পরিবেশকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেন দুপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী শনিবার ওমানে তৃতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

২২ এপ্রিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওমানের রাজধানী মাস্কটে হবে বৈঠকটি। খবর রয়টার্সের।

রোমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ দেশ দুটির নেতৃত্ব দেন। তবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা হয় সেখানে। পরে অবশ্য দুই দেশের প্রতিনিধিরা অল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

ওই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে এবং পরবর্তী বৈঠক নিশ্চিত।


আরও খবর



নিজ দেশের শিখদের উপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল ভারত!

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, যেগুলো তাদের নিজ রাজ্য পাঞ্জাবে পড়েছে। তার দাবি, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পাঞ্জাবের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের ওপর মিসাইলগুলো ছুড়েছে। খবর দ্য ডন ও রয়টার্সের।

মাধ্যরাতে তার এমন অভিযোগের পর ভারত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও অন্য জায়গায় মিসাইল ছুড়েছিল ভারত।

ওই হামলার পরপরই সবার আগে এটির খবর জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক। পরবর্তীতে ভারতও মিসাইল ছোড়ার সত্যতা স্বীকার করে নেয়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত পাঞ্জাবের ঝালান্দার বিভাগের অদমপুর থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো ছোড়ে, যার মধ্যে একটি অদমপুরে আঘাত হানে।

আর বাকি পাঁচটি তারা ফেলে পাঞ্জাবেরই অমৃতসরে। তার অভিযোগ, নিজ দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে মিসাইলগুলো ছুড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

তিনি বলেন, ভারত তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে, পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, আমাদের সব সহমর্মিতা শিখ এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি রয়েছে, যারা ভারতের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এটি অবাক করার মতো ঘটনা এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে উসকানিমূলক কাজ। যেখানে ভারত এখন নিজ জনগণের ওপর ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া শুরু করেছে, যেটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

এর আগে অমৃতসরে রাতের বেলা সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তখন সেখানকার বিভাগীয় কমিশনার সবাইকে শান্ত থেকে ব্ল্যাকআউট পালনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।


আরও খবর



ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো বিলম্ব ছাড়াই ১৫ মে'র মধ্যেই একটি আলোচনা শুরু হওয়া উচিত। আমরা সিরিয়াস আলোচনা চাই। সংঘাতের মূল কারণ উপড়ে ফেলতে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করতে চাই l শনিবার গভীর রাতে ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিরল এক ভাষণে এ কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাত্রোঁসহ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেন সফর করে রাশিয়াকে ৩০-দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর পুতিন এমন প্রস্তাব দেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিয়ে মস্কো চিন্তা করবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হবে নিতান্তই অর্থহীন।

ওদিকে পুতিন তার বক্তব্যে বলেছেন, তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে আলোচনা হওয়া উচিত বলে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটিকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন নতুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে।

এ বিষয়ে রবিবার তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন। পুতিনের এ প্রস্তাবের বিষয়ে কিয়েভ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।


আরও খবর



ভারতে হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিলো পাকিস্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) পাঞ্জাব এবং আজাদ কাশ্মীর জুড়ে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান এবং ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে এবং সশস্ত্র বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কমিটি পাকিস্তানি ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষার সময় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসাও করেছে।

এনএসসি বলেছে, মসজিদ এবং বাড়িঘরসহ বেসামরিক এলাকাগুলোতে ভারতের ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তুতে নিরীহ পুরুষ, নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে আঞ্চলিক উত্তেজনার জন্য দায়বদ্ধতা সরাসরি ভারতের।

ভারতকে জবাবদিহি করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনএসসি মর্যাদার সাথে শান্তির প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। জোর দিয়ে বলেছে, এটি কখনই তার জনগণের ক্ষতি বা তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার কোনও লঙ্ঘন হতে দেবে না।


আরও খবর



ভারত যুদ্ধ চাইলে চূড়ান্ত জবাব দেবে পাকিস্তানও!

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।

এ অবস্থায় ভারতকে একটি স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার কোনোরকম চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তানের দিক থেকেও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল সদর দপ্তরে একটি বিশেষ কর্পস কমান্ডারদের বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।

এরপরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান ভূ-কৌশলগত পরিবেশ নিয়ে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে বর্তমান পাকিস্তান-ভারত অচলাবস্থা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা যাচাইয়ের উপর জোর দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসন বা দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিজেদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, দৃঢ় মনোবল এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেকোনও মূল্যে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এছাড়া সকল ফ্রন্টে সতর্কতা এবং সক্রিয় প্রস্তুতি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান।

বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) ভারতীয় নৃশংসতার তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা। তাদের আশঙ্কা, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত, যেমনটা ঘটেছিল ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর। ওই ঘটনার পরই ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর কেন্দ্রের শাসন চালু করে ভারত।

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বলছে, ভারতীয় সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোকে কার্যকরভাবে শ্বাস নেওয়ার স্থান তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের বিচ্যুত কৌশল কখনই সফল হবে না।

শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির প্রতি পাকিস্তানের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি শীর্ষ কমান্ডারদের ফোরাম স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনও প্রচেষ্টার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে যেকোনও মূল্যে সম্মান করা হবে।

একইসঙ্গে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ভারতীয় সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে দাবি করে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ফোরামটি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এ ছাড়া সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের জেরে ভারতকে হুমকি দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও। তিনি বলেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার জন্যও প্রস্তুত আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি।

অন্যদিকে পেহেলগাম হামলায় জড়িত ও মদতদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সময় এসেছে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার। ১৪০ কোটি মানুষের দৃঢ় সংকল্প সন্ত্রাসের মদতদাতাদের চূর্ণ করে দেবে।


আরও খবর