Logo
শিরোনাম

দিনে পাঁচটি আগুন লাগে ঢাকায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের অক্টোবরে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সারা দেশে ২৭ জন আহত ও ১০ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৩টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকায় দিনে ৫-এর অধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এবং মিরপুর এলাকায় অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটছে। মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবরে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০১টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২১৩টি, খুলনা বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ৫৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬৬টি ও রংপুর বিভাগে ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে থেকে অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৫৫৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৩টি আগুনের ঘটনায় ১৫ জন আহত ও ৩ জন নিহত হয়েছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর (২২টি) সর্বোচ্চ আগুনের ঘটনা ঘটেছে, এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১৩টি, ডেমরাতে ৯টি, তেজগাঁও ১২টি, বারিধারায় ৯টি, উত্তরায় ১০টি, পোস্তাগোলায় ১০টি, এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আরো জানানো হয়, অক্টোবরে সারা দেশে ৮৪৬টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৮৩০ জন আহত ও ১৬৭ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৬৯০টি। এছাড়া রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা ৩৯টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ২১টি, বজ্রপাত ৩টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারা দেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৩৮ জন নিহত হন।

শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৯৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২২২টি, খুলনা বিভাগে ৯৬টি, সিলেট বিভাগে ৩৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪০টি ও রংপুর বিভাগে ৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অক্টোবরে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৮১৭টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এছাড়া ১১৩৯টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬৪ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলমান তীব্র তাপদাহে রোববার হিট স্ট্রোকে সারাদেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এর আগে একদিনে হিট স্ট্রোকে এত মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই। 

গতকাল থেকে পঞ্চম দফায় হিট এ্যলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল  ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ওপরে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শনিবারের চেয়ে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে চলতি মাসে তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। আজও তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে। ৫ বিভাগে প্রচণ্ড দাবদাহর মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই তিন বিভাগে আবহাওয়া সহনীয়। চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ,যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬, খুলনায় ৪২ দশমিক ২ , সৈয়দপুরে ৪০ দশমিক ২, মোংলায় ৪১, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসসহ ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে।

হিট স্ট্রোকে ১৭ মৃত্যু 

সংবাদদাতারা জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে কাওরান বাজারে যাওয়ার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন মো. সেলিম (৫৫) নামের এক যাত্রী। মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসারে হিটস্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে মারা যান ব্যবসায়ী শাহাদাত্ সরদার (৫২) ও দুপুরে মারা যান কৃষক মোসলেম ঘরামী (৫৮)। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হিটস্ট্রোকে জাহাঙ্গীর আলম (৫৩) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে হিট স্ট্রোকে মাওলানা মো. মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া থানার কাদিপুর গ্রামে হিট স্ট্রোকে দলীপ বিশ্বাস (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আইনজীবীর সহকারী সুলতান উদ্দিন (৭৮) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হিট স্ট্রোকে হাবিবা রিক্তা নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের মৈখালী গ্রামে বিলে ধান কাটতে গিয়ে হিট ষ্ট্রোকে মারা গেছেন কালাম সানা (৫০) নামের এক কৃষক। নওগাঁর রাণীনগরে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে কৃষি শ্রমিক রেজাউল ইসলাম (৪৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বরিশালের বাকেরগঞ্জে গরমের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ  নেতা রিয়াজুল ইসলামের (৪২) মৃত্যু হয়েছে। যশোরে আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিট স্ট্রোকে জাকির মিয়া (৩০) নামে এক  যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মানিকগঞ্জে হিট স্ট্রোকে হাছিনা পারভীন (৪২) নামে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নে মোজাহার আলী (৬৩) নামে এক রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আখতার মুক্তা হিট ষ্ট্রোকে মারা গেছেন। একই উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে চা বিক্রেতা ফেরদৌস আলম ঠান্ডু(৫০) মারা গেছেন। এদিকে গাইবান্ধায় গত কয়েকদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২টি গরু ও শতাধিক মুরগির মৃত্যুর খবর পাওয়া  গেছে।

মধ্য মেতে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা: কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। ঘূর্ণিঝড়ই যদি বাস্তবে সৃষ্টি হয় তবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রিমাল। এই নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দেওয়া। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ১৫ মের পরে সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর



শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এডুকেশন ওয়াচ২০২৩ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি২০১০ প্রণয়ন কমিটির কোচেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ বক্তব্য দেন।

প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব।

গবেষণার তথ্য বলছে, সামগ্রিকভাবে ২০২১ সালে সর্বস্তরে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর (কওমি মাদ্রাসা ব্যতীত) মধ্যে ৪২ শতাংশ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ৩৮ শতাংশ সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ২০ শতাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিশুদের শিক্ষার জন্য পারিবারিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি, প্রাইভেট টিউটর, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও স্টেশনারিসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পারিবারিক খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারিডিসেম্বর সময়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পরিবারের ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ।

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় আগের বছরের (২০২২) তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

প্রাথমিক স্তরে প্রায় ৪১ শতাংশ অভিভাবক এবং মাধ্যমিক স্তরে ১৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, প্রতি সন্তানের জন্য তাদের মাসিক ব্যয়ের সামর্থ্য ছিল ২ হাজার টাকার মধ্যে, যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের গড় ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।

শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপার্জনের মাধ্যমে তাদের পরিবারে আর্থিক অবদান রাখে, যা তাদের ঝরে পড়ার কারণ হিসেবে দারিদ্র্যকেই নির্দেশ করে। ঝরেপড়ার কারণসমূহ দূর করতে এবং স্কুলে কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্কুলের লেখাপড়ার মান গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে এবং তা পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী হতে হবে।

সুপারিশে বলা হয়, পারিবারিক সহায়তা এবং শিক্ষা ব্যয়ের বোঝা কমানো প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফির ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলো হলো :

মনিটরিং ও গাইডেন্স : শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমের মনিটরিং, প্রাইভেট টিউটরিং এবং গাইডবই নির্ভরতা কার্যকরভাবে হ্রাস করা। অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের মুখস্থভিত্তিক শিখন থেকে নিবৃত্ত করে প্রকৃত জ্ঞান আরোহণের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করা।

পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য বাড়তি সহায়তা : যারা পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে তাদের জন্য অতিরিক্ত পাঠ এবং চাহিদাভিত্তিক সহায়তা দিয়ে সফল হতে সাহায্য করা।

ফি নিয়ন্ত্রণ : স্কুল কর্তৃক আরোপিত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ফি নিয়ন্ত্রণ এবং দূর করার জন্য বিধান কার্যকর করা, যা পরিবারের ওপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং শিক্ষায় আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

স্কুল মিল কর্মসূচির সম্প্রসারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কর্মসূচি প্রবর্তন ও সমপ্রসারণ করা এবং সরকারি বাজেটের সহায়তায় মাধ্যমিক স্তরে ভর্তুকিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলা এবং তাদের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সুস্থতা বাড়ানো।

 

 


আরও খবর



তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পয়লা বৈশাখকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের সামনের দুটি গেট দিয়ে তারা পার্কে ঢুকছেন। সবাইকে রমনায় প্রবেশের আগে আর্চওয়ে দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগ ও মৎসভবনের মাঝে ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে আরেকটি গেট করা হয়েছে। সেটি দিয়ে পার্কে প্রবেশকারীরা ঘোরা শেষে বের হচ্ছেন। তবে বের হওয়া মানুষের চেয়ে প্রবেশের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। নিজেকে সেলফিবন্দি করতে ভুলছেন না তারা। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সাথে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

তবে প্রচণ্ড রোদ থাকায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গরম থেকে রেহাই পেতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কেউ কেউ আইসক্রিম এবং ঠান্ডা জাতীয় বরফ শরবত কিনে খাচ্ছেন।

শাহবাগের শিশু পার্কের বিপরীতে রমনার প্রধান গেট। তার পাশের ফুটপাতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন আনিস আহমেদ। এসেছেন পুরান ঢাকা থেকে। তিনি বলছিলেন, অনেক কষ্টে ঢুকেছিলাম ভেতরে, কিন্তু এত মানুষ! হাঁটার মতো পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে এখানে বসে আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি।

খিলগাঁও এলাকা থেকে এসেছে নবীন ও আয়েরা। তারা দুজন স্কুলপড়ুয়া। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছে তারা। এখন রমনা পার্কটা ঘুরে দেখার জন্য মৎস্য ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের মতে, রমনা পার্কে অন্য দিন আসাটা আর আজকে আসাটা এক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছে, বৈশাখের আমেজে আজ রমনা পার্ক সেজেছে। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে এতে। ফলে অন্যরকম একটি দেখার দৃশ্য।

তীব্র গরমের হাঁপিয়ে ওঠা মানুষজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি সরবরাহ করতেও দেখা গেল। পার্কজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে তারা বেশ তৎপর।

রমনার বটমূলে কোরাস গান গেয়ে সূর্য ওঠার মুহূর্তে বৈশাখকে বরণ করা হয়। এই আয়োজনে শতাধিক শিল্পী অংশ নেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেটি শাহবাগ ও ঢাকা ক্লাব হয়ে আবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর