Logo
শিরোনাম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশ। ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। বৃষ্টি এসে তাপ কমাবে মানুষ সেই আশায় থাকলেও গত এক মাস ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই। মাঝেমধ্যে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে খুব একটা সহায়ক ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।

গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।

হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েকদিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। সেসব জায়গায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কিছু এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপ কম থাকায় সেখানেও পানির সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে লাইনে পানি না পেয়ে যারা টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির পানি অর্ডার করছেন তারাও ঠিকমতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে।

যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও। এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে।

প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।

 


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন নেভাতে সময় লাগবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের গভীরে লাগা আগুন নেভাতে পুরো এলাকা ঘিরে ফায়ার লাইন করে অর্থাৎ আগুনের চারপাশের এলাকায় গাছপালা এবং মাটিতে নালা কেটে পানি ছেড়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন সুন্দরবনের আগুন লেগে যায়।

রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়, এখন সেখানে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোড়েলগঞ্জ ও মোংলাসহ চারটি উপজেলার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর মো: কায়মুজ্জামান বলেন, রোববার সকাল নাগাদ গভীর বনের প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আগুন যে এলাকায় লেগেছে সেটি ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

সকাল ১০টার দিকে গভীর বন থেকে আবার লোকালয়ের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই আছি। আমরা সুন্দরবনের আড়াই কিলোমিটার ভেতরে কাজ করছি। তবে নেভাতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আশা করছি, আগুন আর বাড়বে না।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, একটি পয়েন্টে আগুন নেভানো হয়েছে আর আড়াই কিলোমিটার ব্যপ্তি নিয়ে যে আগুন সেটি ফায়ার লাইন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুরোদমে কাজ চলছে।

মূলত নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম, কোস্টগার্ড ছাড়াও স্থানীয়দের সাথে মিলে আগুন নেভানোর কাজটি করছে ফায়ার সার্ভিস।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সুন্দরবনের যেখানে আগুন লেগেছে সেটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া বন হিসেবেই স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। এটি লোকালয় থেকে অন্তত চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে এবং সেখানে আশপাশে কোনো খাল বা পানির উৎস নেই।

এদিকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে সুন্দরবনের আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বন বিভাগ।

ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও কিভাবে নেভানোর কাজ হচ্ছে


মো: কায়মুজ্জামান বলেন, আগুন সুনির্দিষ্ট এক জায়গায় জ্বলছে না। বরং খণ্ড খণ্ড আকারে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে বিরাট এলাকা জুড়ে।

তিনি বলেন, আমরা যে অঞ্চলটিতে আগুন জ্বলছে সেটি পুরোটা ঘিরে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এখন আর এই আগুন বাড়বে না বলেই আমরা আশা করছি।

তবে আগুন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাতে পুরোপুরি নেভাতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুনের পুরো এলাকা ঘিরে কর্ডন লাইন করে পানি ছেড়ে দেয়ায় আগুন ওই লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর ওই দলের সাথেই ঘটনাস্থলে আছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের স্থানীয় সাংবাদিক মো: ইয়ামিন আলী।

তিনি জানান, সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আমি দেখছি যে অন্তত অর্ধ-শতাধিক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আবার আগুন কমলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গায়।

ধারণা করা হচ্ছে, দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকায় ৪০-৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল। যেসব জায়গায় শুকনো পাতা বা গুল্ম বেশি সেখানেই আগুন জ্বলেছে।

ইয়ামিন আলী বলেন, ধরেন এক জায়গায় গুল্ম চলছে। আবার ৫০ মিটার দূরে আরেক জায়গায় জ্বলছে। এমন করে বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট আকারে আগুন বা ধোঁয়া এখনো দেখা যাচ্ছে।

কিভাবে ও কখন আগুন লাগলো


মোড়েলগঞ্জের জিওধরা এলাকার আমুরবুনিয়া গ্রামের পাশেই ভোলা নদী। সেই নদী পার হলেই সুন্দরবনের ওই অংশের শুরু। সেখান থেকেই আগুনের দূরত্ব কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার ভেতরে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের এত ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো সে সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন।

তবে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় পাতা ও গুল্মের স্তূপ তৈরি হয়।

কোনো কারণে তার একটিতে আগুন লেগে হয়তো ধীরে ধীরে আশপাশে ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এর বাইরে গত এক দশকে অনেকবারই এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পর জীবিকার তাগিদে বনের ভেতরে ঢোকেন এমন ব্যক্তিদের ধূমপানের প্রবণতা কিংবা মৌমাছি তাড়াতে মশালের ব্যবহারের কথাও অনেকে বলে থাকেন।

তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা এখনই এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি আগুনের সূত্রপাত কখন হয়েছে সেটি সম্পর্কেও এখনো কেউ নিশ্চিত নন।

সাংবাদিক ইয়ামিন আলী বলেন, লোকালয় থেকে বনের ভেতরে অন্তত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এই আগুন নজরে আসতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন বনের ভেতরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। যে এলাকায় আগুন লেগেছে তার থেকে বন বিভাগের কার্যালয় অনেক দূরে। আর গভীর বন হওয়াতে ওই এলাকায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

নেভানোর চেষ্টা শুরু হলো কখন


রোববার সকাল নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ সরাসরি ঘটনাস্থলে শুরু হলেও এর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে শনিবার থেকেই। বিকেলেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় ফায়ার সার্ভিসের দল। কিন্তু রাতের অন্ধকার আর সুন্দরবনের ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীর ঝুঁকির কারণে রাতে কাজ শুরু করতে পারেনি তারা। এছাড়া ওই এলাকায় কাছাকাছি খাল বা নদী না থাকায় পানিও নিতে হয়েছে বেশ দূর থেকে।

আবার রাতেই ফায়ার লাইন কেটে পানি ছাড়ার কাজ শুরু না হওয়া রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকের মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি বলেই জানান কর্মকর্তারা।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম তারেক সুলতান জানান, দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

তবে সকালের জোয়ারের কারণে এখন পানির প্রবাহ ভালো থাকায় কাজটা কিছুটা সহজ হয়েছে।

তিনি বলেণন, ভাটার সময় হয়তো একটু ঝামেলা হবে। তবে যেভাবে ফায়ার লাইন কর্ডন করে পানি দেয়ার কাজ চলছে তাতে আশা করি দ্রুতই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুন লেগেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের আগুন নেভাতে দুদিনের বেশি সময় লেগেছিল।

এসব আগুনের পেছনে বন ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা, বন-সংলগ্ন নদ-নদী মরে যাওয়া, অসচেতনতা, নাশকতা, ফেলে দেয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুনকে দায়ী করা হয়।


আরও খবর



হামাস নির্মূল হবে না, বললেন ব্লিঙ্কেন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালালেও হামাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বরং তা হামাসকে একত্রিত হতে ও পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যা হামাসের বাকি সদস্যদের পুনঃসংঠিত হতে সাহায্য করবে। আবার ইসরায়েলি বাহিনী যদি রাফা শহর ছেড়ে চলে যায়, তাহলে হামাস আবারও এই এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলকে এখন গাজা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।

আমরা দেখেছি, ইসরায়েল উত্তর গাজায় পূর্ণ মাত্রার স্থল অভিযান চালানোর পরও হামাস সেখানে ফিরে এসেছে। এমনকি, খান ইউনিসেও সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্যরা একত্রিত হচ্ছেন। সুতরাং ইসরায়েল রাফায় তাদের সর্বাত্মক শক্তি কাজে লাগালেও হামাসকে নির্মূল করা অসম্ভব। দেখা যাবে, হাজার হাজার সশস্ত্র হামাস সদস্য বাকি রয়ে গেছেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, গাজায় হামলা চালাতে ইসরায়েল যে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজার হাজার হাজার নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েল সম্ভবত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, রাফায় হামলা চালানোর পরিবর্তে, ইসরায়েলের উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা উপস্থাপন করা।

আমরা ইসরায়েলের বিরোধিতা করছি না; বরং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও করার দেশটিকে সুরক্ষার আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোববার (১২ মে) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলার সময় রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছি।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




নেত্রকোনায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্টের জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। তিন প্রার্থীর সমর্থকদের ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। 

এছাড়াও দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়। 

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ থেকে নাগড়া জেলা পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাপি এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

আদালতে নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার।


এসময় নাগড়া এলাকায় আনারস প্রতীকের এক সমর্থক মো. ওয়াফিজ ও মো. সমেদ মিয়া পোস্টার অপসারণে বাধা প্রদান করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সাথে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরবর্তীতে মো. ওয়াফিজকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সতর্কতা মূলক ১০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 


পরবর্তীতে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।  


এছাড়াও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কাপ পিরিচের প্রার্থীর সমর্থক মো. শফিকুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা ও হেলিকপ্টার প্রার্থীর সমর্থক মো হায়দার আলীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। 


উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নেত্রকোনা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  


নেত্রকোনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা আক্তার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আচরণ বিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। প্রার্থীদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে দেয়ালে পোস্টার না লাগানো হয়।  আচরণ বিধি মেনেই তাদের প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এছাড়া প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রের তালিকা প্রদান করতে বলা হয়েছে


আরও খবর



ফিলিস্তিনের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ৯ দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের প্রস্তাব ব্যাপক সমর্থন নিয়ে পাস হয়েছে। ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

আর্জেন্টিনাসহ নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

শুক্রবার ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনকে বিশ্বসংস্থাটিতে বাড়তি কিছু অধিকার দেবে। দেশটি বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে।

যে নয়টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দেখতে চায় না, তারা এর আগে ২০১২ সালেও দেশটিকে সংস্থার অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। রাষ্ট্রগুলো হলোআর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ, পাপুয়া নিউগিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হতে দিতে চায় না, সেটা অনুমেয়। দেশটি ধারাবাহিকভাবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসছে। ইসরায়েলের বন্ধু দেশ যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আগে ঘোষণা দিয়েই।

শুক্রবার (১১ মে) ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল, তাদের প্রতিনিধি সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবের ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। ভোটের আগে, জাতিসংঘে মার্কিন মিশনের মুখপাত্র নেট ইভানস বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের সদস্য পদের প্রস্তাবে ওয়াশিংটন না ভোট দেবে। অন্যান্য দেশগুলোকেও একই সিদ্ধান্ত নিতে উত্সাহিত করবে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ পরিষদ যদি এই রেজুলেশন গ্রহণ করে ও ফিলিস্তিনের সদস্যপদের আবেদন নিরাপত্তা পরিষদে পাঠায়, গত এপ্রিলে যা ঘটেছিল তা আবারও ঘটবে বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

চেক প্রজাতন্ত্র ঐতিহাসিকভাবে অনেক বেশিই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলপন্থী। হাঙ্গেরিও ইউরোপে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি রাষ্ট্র। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দেয় হাঙ্গেরি।

আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে আর্জেন্টিনার। যদিও ২০১০ সালে ফিলিস্তিনকে ১৯৬৭ সালে বিদ্যমান সীমানার মধ্যে মুক্ত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে, গত ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের জেরার্ডো মিলেই ইসরায়েল সফর করেন এবং নিজ দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেন। যা বুয়েনস আইরেসের বৈদেশিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

এর মধ্যে জাভিয়েও ঘোষণাও দেন, তার সরকার হামাসকে একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করবে। কেননা, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে জিম্মি শত শত মানুষের মধ্যে আর্জেন্টিনার নাগরিকও ছিলেন।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪