সদরুল আইন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয়ের অন্যতম বড় উৎস বিভিন্ন নির্বাচন ও উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ।
গত দুই জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়াবে দলটি।
জানা গেছে, গত সোমবার দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন দলের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকটি হয়। সেখানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবে মনোনয়নপত্রের মূল্য ৫০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন। এ প্রস্তাবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিক সম্মতিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচলন চালু হয় ২০১৫ সালে। সে সময় দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির জন্য সব পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় দলটি।
২০১৭ সালে সর্বশেষ নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের নির্বাচন ও উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার টাকা, যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যকর হয়। এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় ২৫ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া বর্তমানে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ২৫ হাজার, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার টাকা মনোনয়ন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা রয়েছে।
জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আয় হয় ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে দলটি আয় করে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।