Logo
শিরোনাম

ঈদে বাড়ি ফেরা হলোনা তাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ সদরের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তারা পরিরবারের সঙ্গে ঈদ করতে মাহিন্দ্র করে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহত লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (২৫) ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী প্রান্তিক সুপার বাস মাহিন্দ্রাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের শিশু সন্তান মাহিতের (২) মৃত্যু হয়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার বাবা-মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালুকা থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সদরে আসছিলেন লুৎফর। ল্যাংড়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে লুৎফর, তার স্ত্রী-সন্তান এবং মাহিন্দ্রাচালক গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহিন্দ্রাকে চাপা দেওয়া বাসটি পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, ত্রিশাল ও তারাকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের খাবারে বরাদ্দ কমাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা জোগাড় করতে না পারলে ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবারের বরাদ্দ অর্ধেক কমানো হতে পারে। এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এর ফলে আগে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রতি মাসে মাথাপিছু যেখানে সাড়ে ১২ ডলারের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হতো, তা কমে দাঁড়াবে ছয় ডলারে।

এতে করে প্রতি বেলার খাবারের জন্য বরাদ্দ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ টাকা থেকে কমে হবে আট টাকা। পরিণতিতে আগে থেকেই বিদ্যমান খাদ্য সংকট এবং অপুষ্টি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, এমন উদ্যোগে কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তারা (রোহিঙ্গা) এখন যা পাচ্ছে, সেটাই যথেষ্ট নয়। নতুন করে বরাদ্দ কমে যাওয়ার পরিণাম কী হবে তা অকল্পনীয়।

রেশন কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল চিঠি দিয়েছে ডব্লিউএফপি। আগের দিন মৌখিকভাবে তা মিজানুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। এমন একটি সময়ে ডব্লিউএফপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন বাতিল করেছে। জানুয়ারিতে এ বিষয়ক প্রাথমিক ঘোষণায় জরুরি খাদ্য ত্রাণকে আওতার বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছিল।

মিজানুর রহমান জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে বরাদ্দ কমেছে কি না, সেটা ডব্লিউএফপি সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে তিনি জানান, রেশন কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটাই যে শরণার্থীদের সহায়তায় শীর্ষ দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

মিজানুর রহমানকে পাঠানো চিঠিতে ডব্লিউএফপি উল্লেখ করেছে, তারা রেশনের পরিমাণ সাড়ে ১২ ডলার অব্যাহত রাখার জন্য তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে দাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডব্লিউএফপি বলেছে, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি, শরণার্থীরা মানবিক ত্রাণের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। যার ফলে, শরণার্থী পরিবারগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাবে এবং শিবিরে অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতার সময় পালিয়ে আসে।

গত বছরও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালেও মাসিক রেশন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছিল। সে সময় সেখানে ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

কয়েক মাসের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারীরা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান এবং ১৫ শতাংশেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। পরবর্তীতে রেশনের পরিমাণ আবারও আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

রোহিঙ্গাদের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রয়োজন হবে ৮১ মিলিয়ন ডলার। ডব্লিউএফপি’র বাংলাদেশ মুখপাত্র কুন লি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি মাসে ১৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার সেই তহবিল জোগাড় না হওয়ায় অর্থ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে এ মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করা সম্ভব হলে, আগামী মাসেও একই হারে অর্থাৎ জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার করে অনুদান দেওয়া সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের একটি মানবিক প্রকল্পে কাজ করেন এনজিওকর্মী জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রায় ৫০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই তহবিল কমানোর অর্থ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বিপর্যয় নেমে আসা। যার ফলে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীও প্রভাবিত হবে।

রোহিঙ্গারা যেসব খাবার পেয়ে থাকেন, তার মধ্যে আছে চাল, ডাল, পাঙ্গাস মাছ ও হাস-মুরগি প্রভৃতি। চাহিদার বিপরীতে এর পরিমাণ একেবারে ন্যূনতম।

জসিম উদ্দীন বলেন, চাকরির সুযোগ না থাকায় অনেক রোহিঙ্গা তরুণ শিবির থেকে কাজের খোঁজে বের হন। কেউ কেউ মাদক ও মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েন। আমার আশঙ্কা, খাদ্য সহায়তা সীমিত হয়ে পড়ায় রোহিঙ্গারা শিবির থেকে বের হয়ে এসে স্থানীয়দের জীবিকার উৎসগুলো দখল করার চেষ্টা করবে।

এ ব্যাপারে সরকারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উচিত শিগগির আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা।


আরও খবর



গজারিয়ায় জিস্ট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ পবিত্র মাহে রমাদানে ১৯তম দিনে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় অবস্থিত গজারিয়া ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি জিস্ট পলিটেকনিকের মিলনায়তন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে জিস্ট পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ইঞ্জি. মোঃ মামুন শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দি দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোঃ আঃ ছালাম, ভাটেরচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোঃ আঃ কালাম, ল্যান্ডোভারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আঃ জাব্বার, বালুয়াকান্দি শিশু বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক নয়ন, বড়কান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ওমর ফারুক, গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ইঞ্জি. নূর আলম হোসেন, ল্যান্ডোভারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সাঈদ সরকার ।


অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে জিস্ট পলিটেকনিকের রেজিস্ট্রার ইঞ্জি. সৈয়দ মোঃ শাকিলের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ মেহেদীর পিতা সানাউল্লাহ মিয়া, মানবিক ও সামাজিক নেতা বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান দেওয়ান হারুন-অর-রশীদ, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার গজারিয়া প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম নয়ন, এড়াছাও অনান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকার গজারিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক জুয়েল দেওয়ান, একাত্তর টিভি গজারিয়া প্রতিনিধি সায়মান শাহদত, দৈনিক সভ্যতার আলোর গজারিয়া প্রতিনিধি  আলমগীর হোসেন মিয়া, দৈনিক দেশ রূপান্তর গজারিয়া প্রতিনিধি আজিজুল হক পার্থ।


মাহফিলে ইফতার পূর্বে জিস্ট পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের নিপিড়ীত জনগনে মুক্তি কামনায় এবং বিশ্ববাসীর কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট্য ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা মোহাম্মদ এনামুল হোসেন খতিব ভাটেরচর বাজার জামে মসজিদ।


আরও খবর



কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভেনিসের কমিউনিটিকে অন্যতম বড় কমিউনিটি হিসেবে গণ্য করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের হিসাবে এ কমিউনিটির সদস্য সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এখানে কমিউনিটি ভিত্তিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক, ধর্মীয়সহ বহু সংগঠন রয়েছে। একই সাথে রয়েছে প্রবাসী সাংবাদিকদের সার্বজনীন সংগঠন ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। সুষ্ঠু এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংগঠনটির জন্ম হয়। কমিউনিটির সকল ভালো কাজের সাথে এ সংগঠনটি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান। 


তিনি বলেন, চলতি বছরে ভেনিসের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। একই সাথে সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। 

প্রেসক্লাবের সভাপতি এস কে এম ডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তৃতা করেন উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, অর্থ সম্পাদক জুম্মান অনিক মাতবর ও আনোয়ার হোসেন রানা।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  ভেনিস বাংলা স্কুল উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন ঢালী, রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কিশোর খন্দকার, শাহাদাত হোসেন,  শরিফুল আলম মৃধা, যুবদল সভাপতি আকবর খান, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী, ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জাকির হোসেন সুমন উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী বলেন, সমাজের সব ধরনের সংগঠনে মতভিন্নতা, বিভেদ থাকে। এগুলোকে গুরুত্ব যারা দেয় তারা অসংগঠনিক মানুষ। তাদের এড়িয়ে কমিউনিটির ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস বাংলা স্কুলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, মাস্টার হাকিম শেখ, প্রমূখ।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ আব্দুস সালাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন মোবারক হোসেন।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে নওগাঁর মহাদেবপুরে সড়কে নেমে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেন সাংবাদিকরা। শনিবার ১৫ মার্চ সকাল সারে ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে মাছের মোড়ে প্রধান সড়কের উপর আয়োজিত মানববন্ধনে নওগাঁ জেলা সদর, আত্রাই, মান্দা ও মহাদেবপুরের সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী ও নারীনেত্রীসহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাব ও মহাদেবপুর দর্পণ পরিবার এর আয়োজন করে।

মহাদেবপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, যায়যায়দিনের সাবেক মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কিউ, এম, সাঈদ টিটো এতে সভাপতিত্ব করেন। রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহাদেবপুর দর্পণের বার্তা সম্পাদক কাজী সামছুজ্জোহা মিলনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন মহাদেবপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও যায়যায়দিনের বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে যায়যায়দিনের নওগাঁ প্রতিনিধি রুহুল আমিন, আত্রাই প্রতিনিধি ওমর ফারুক, মান্দা প্রতিনিধি মাহবুুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের কার্য-নির্বাহী কমিটির মেম্বার, জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দৈনিক আজকের বিনোদন পত্রিকা, বিডি টুডেস এর সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম জিএম মিঠন, দৈনিক নয়া দিগন্তের মহাদেবপুর প্রতিনিধি ও দৈনিক শিক্ষা ডটকমের নওগাঁ প্রতিনিধি অহিদুল ইসলাম, মহাদেবপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সাইফুর রহমান সানি, উপদেষ্টা সামছুজ্জামান বিশ্বাস জামান, মহাদেবপুর দর্পণের প্রকাশক নারীনেত্রী কাজী রওশন জাহান, এনটিভি মাল্টিমিডিয়ার মহাদেবপুর-বদলগাছী প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিঠু, দৈনিক কালবেলার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি বিকাশ চন্দ্র, বার্তা ২৪ এর নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হক, দৈনিক নতুন দিন পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি রশিদুল ইসলাম রশিদ, দৈনিক ঘোষণার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মহাদেবপুর প্রতিনিধি এম, আর রাজ, দি-হাঙ্গার প্রকেক্টের পিস ফ্যাসিলেটেটর গ্রুপ পিএফজির সাবেক কো-অর্ডিনেটর হারুন অর রশিদ, সদস্য আব্দুর রহিম টুকু, মানবাধিকার কর্মী অসিত দাস, সমাজকর্মী জামিউল ইসলাম বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন শান্ত, ছাত্রনেতা মোতালেব, শিক্ষার্থী রিসান আস সামী, কাজী আবু হুরাইরা শিলন প্রমুখ অংশ নেন। 

বক্তারা মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করে তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন বাতিল করা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে যায়যায়দিনের প্রকাশনা অব্যাহত রাখার পূণরাদেশ দেয়া ও প্রধান কার্যালয় অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি জানান। অন্যথায় আরো বৃহৎ কর্মসূচি দিয়ে সাংবাদিকেরা মাঠে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া দেন বক্তারা।


আরও খবর



ঢাকা শহরের যানজটের সমাধানের আর কোন আশা আমি দেখি না

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ড. কাজী সাইফুন নেওয়াজ, যোগাযোগ বিশ্লেষক :

আমরা শুধু শুধু ট্রাফিক পুলিশের উপর একটা পাহাড় ঠেলে সরানোর কাজ দিচ্ছি যে পাহাড়ের উপরে আমারাই ক্রমাগত পাথর বোঝাই করে ওজন বাড়াচ্ছি...  

১) ব্যাটারি রিক্সা আর প্যাডেল রিক্সা যেভাবে এবনারমালি আমরা বাড়াচ্ছি তা আমাদের জন্য অভিশাপ হবে। না পারব সরাতে না পরব রাখতে...। এরা অগণিত...।  যে কোন ইন্টারসেকশনের সিগ্ন্যালে ৮০% তারা। এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স বরং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এ আমার উপর বিলের বোঝা চাপাচ্ছে। এরা নিয়ম মানেও না। হুটকরে উল্টা পথে চলে যায়, আর আমি লজ্জায় থাকি। এদের নিয়ন্ত্রণ করেন , না হলে দয়া করে আপনারা চলাচলের সময় প্রটোকল দিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে চলে না গিয়ে আমাদের মত চলেন... আপনাদের জীবন/সময়ের দাম আছে তেমন আমাদের ও আছে...। নিজে উপলব্ধি করলে বুঝবেন যানজট কতটা ক্ষতিকর একটা মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এর উপর...। 


২) বাস রুট ফ্রাঞ্চাইসি হলে তখন অনেকের অনেক হিসাব-নিকাশ বন্ধ হয়ে যাবে... তাই ক্রমাগত চেষ্টা হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইসি বন্ধ করার। যখন DTCA , এ বিষয়ে তোড়জোড় করে কাজ শুরু করছিল তখন একপক্ষ নিয়ে আসল "গোলাপি কালার বাস"... একই জিনিস শুধু নাম বদল... । সিস্টেম এর কোন চেঞ্জ নাই।  কারন সিস্টেম ভালো হলে যাত্রীদের লাভ কিন্তু গুটিকয়েক মানুষের লস ... । এটা আপনারা জানেন কিন্তু করেন না কারন শেষ কবে আপনি বা আপনার পরিবার বাসে চড়ছেন সেটা আপনি ভুলে গেছেন...।

আজ বিকাল ৫ টা নাগাদ পলাশী মোড়ে মোটরসাইকেল ( বর্তমান সময়ের ক্রেজ ব্র্যান্ডের) কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল ব্যাটারি রিক্সা... ২ জনেই টান দিলে থামাতে চায় না , থামায় না...  এই ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে, আরও বাড়বে...। আপনারা ধাক্কা খান না, কারন আপনারা যে রাস্তায় চলেন সে রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হয়,... আর যারা ফাঁকা করে দেয় আর যারা আপনাদের চলে যাওয়া দেখে তারা ধাক্কা খায়... আর ট্রাফিক পুলিশকে গালি দেয়। অথচ আমরা পাহাড় কে পর্বত বানাচ্ছি ক্রমাগত। যতটুকু ছিল তার চাইতে ভালো করতে না পারেন কিন্তু খারাপ কইরা দিয়ে যাইয়েন না। দেশেই থাকতে হবে আমাদের। আপনাদের মত সবার পরিবার আছে, সবার ছেলে-মেয়েই চায় তাদের বাবা একটু আগে বাসায় ফিরে আসুক...।  

কিছু একটা করেন আপনারা, এভাবে চলতে পারে না... এভাবে চলতে পারে না।


আরও খবর