ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মাজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হওয়ায় আজকে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের উপর যে জুলিম নির্যাতন ও হত্যাযঞ্জ চলছে তার প্রতিবাদে আমাদের রাজপথে থাকা অত্যাবশ্যকীয়। তিনি বলেন, আমেরিকা, ইউরোপসহ যে সকল দেশ যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের উপর আক্রমণকারীদের পক্ষাবলম্বন করে মানবতাবিরোধী কাজ করছে।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের কোন প্রতিবাদ আমরা দেখছি না। মাজুমদের পক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, জাতিসংঘের দায়িত্ব হচ্ছে মজলুম ফিলিস্তিনী মুসলমানদের পক্ষে দাড়িয়ে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলী অমানবিক হামলা নির্ষাতন ও হত্যাষঞ্জের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, মুসলিম জাগরণ শুরু হয়ে গেছে। ৫১ বছর পরে ফিলিস্তিনীদের জমি উদ্ধারে সোচ্চার হওয়ায় পশ্চিমারা এবং ভারত ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করেছে। তিনি বলেন, মুলমানরা তাদের দখল হওয়া জমি যেকোনভাবে ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, বায়তুল মোকাদ্দাস রক্ষায় আমরা বুকের তাজা রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, আমেরিকার সহায়তায় ১৯৪৮ সনে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইসরায়েলকে বসত করার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে। এখানে বসতি করে ইসরাইলীরা মুসলমানদের উপর একের পর এক জুলুম করে চলছে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম,সহকারী মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম,আলহাজ্ব কে এম আতিকুর রহমান ও মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমূখ।